রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

কয়েকদিন পরে কায়রো ফিরে মনে হলো নিজের বাসায় ফিরেছি। একটু রাত করে নিজের বিছানায় ঘুমিয়ে বেশ বেলা করে যখন উঠেছি তার আগেই সৌরভ অফিসের উদ্দেশে বেরিয়ে গেছে। আমরা ধীরে-সুস্থে ঘরে নাস্তা বানিয়ে খেয়ে কিছুটা সময় আলসেমি করে বাইরে বেরোতে সাড়ে এগারোটা বেজে গেল। হাঁটতে হাঁটতে আল মাদি স্টেশনে যাবার পথে রানা ভাই দুই দুটো ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেন। লুক্সরেও আমাদের একই অভিজ্ঞতা হয়েছে। ফলে বুঝলাম মিশরের বেশিরভাগ এটিএম বুথ অনেক সময় খারাপ থাকে। 

এল মাদি থেকে ট্রেনে চেপে দুটো স্টেশন পার হবার পরে রানাভাই বললেন, আমরা তো উল্টো দিকে যাচ্ছি।’ তিনি যেহেতু আগে একবার কায়রো এসে গেছেন, সেই কারণে আমি নিজে কোনো কিছু না দেখে তাকে কেবল অনুসরণ করেছি মাত্র। উল্টো পথের যাত্রা নিশ্চিত হবার পরে পরবর্তী স্টেশন কোজিকায় নেমে গেলাম। ওভার ব্রিজ দিয়ে প্লাটফর্ম বদলে ওপারে যাবার পরপরই সঠিক পথের ট্রেন এসে দাঁড়াল। ট্রেনে উঠেই শূন্য আসনে বসে পড়তে পেরেছি তিনজনই। মহিলাদের জন্য নির্ধারিত কামরা থাকলেও পুরুষের কামরায় মহিলাদের উঠতে মানা নেই।

হিজাব-নিকাব-বোরকার পাশাপাশি টিশার্ট-জিনস কিংবা স্কার্ট-টপস পরিহিতাদেরও একই কামরায় আসা যাওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। যাত্রীদের কেউ কারো দিকে তাকায় বলেও মনে হলো না। বরং আমিই আমাদের উল্টো দিকের সিটে বসা মেরুন রঙের বোরকায় আবৃত এক মহিলাকে আড় চোখে কয়েকবার দেখে নিলাম। কিছুক্ষণ পরপরই তিনি যখন তার বোরকার লম্বা জিহ্বা তুলে একটা করে চকলেট মুখে পুরে দিচ্ছিলেন আমার মনে হচ্ছিল তিনি লেটারবক্সের ঢাকনা তুলে একটা করে চিঠি পোস্ট করছেন। 

একে একে তোরা এল বালাদ, এল মাদি, দার এল সালাম, জগলুল নামের গোটা দশেক স্টেশন পার হয়ে যেখানে এসে আমরা নেমে গেলাম, সেই স্টেশনটির নাম সাদাত এবং পরের স্টেশনই নাসের। আনোয়ার সাদাত বা গামাল আব্দুল নাসেরের লম্বা চওড়া নাম বাদ দিয়ে শুধুই সাদাত এবং নাসের। এতে মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্টদের কোনো ক্ষতি বৃদ্ধি হয়নি, বরং স্টপেজের সংক্ষিপ্ত নামই মানুষের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়। সাদাত স্টেশনটি এদেশের মেট্রোর সমসাময়িক, অর্থাৎ পঁত্রিশ বছরের পুরোনো। ইওরোপ এবং এশিয়ার যে সব দেশে মেট্রোরেলে আসা যাওয়া করেছি তার সবগুলোই ভীষণ পরিচ্ছন্ন ঝকঝকে। সেই তুলনায় মিশররের মেট্রোরেল এবং স্টেশন অনেকটাই নিষ্প্রভ। আফ্রিকায় অবশ্য কায়রো এবং আলজিয়ার্স ছাড়া আর কোনো শহরে মেট্রো নেই। সেদিক থেকে কায়রো অনেক এগিয়ে আছে। 

বেশ বড় মেট্রো স্টেশন সাদাত থেকে অনেকগুলো বাইরে বেরিয়ে যাবার পথ। পথ খুঁজে বাইরে বেরোতে আমাদের বেশ সময় লেগে গেল। সাদাত থেকে সঠিক পথে বাইরে বেরোতে পারলে মিনিট খানেক পায়ে হেঁটেই তাহরির স্কয়ার পৌঁছানো যায়। আমরা একটু ভুল পথে বেরিয়েও মিনিট পাঁচেক হেঁটে গোটা পাঁচেক বড় রাস্তার সংযোগস্থলের যে বিশাল সড়ক দ্বীপে এসে পৌঁছলাম সেটিই বিখ্যাত তাহরির স্কয়ার।  

তিউনিশিয়ায় ২০১০ সালে স্বৈরশাসকের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আরব বসন্ত নামে যে গণজাগরণ ঘটেছিল তার ঢেউ এসে লেগেছিল মিশরসহ আর বিশ্বের আরও অনেক দেশে। সে সময় মিশরে সমাজের বিভিন্ন আর্থ সামাজিক স্তরের লাখ লাখ বিক্ষুব্ধ মানুষ তাহরির স্কয়ার এবং সংলগ্ন এলাকায় সমবেত হয়ে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবি জানায়। গণ বিরোধী রাষ্ট্রীয় জরুরি আইন, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, পুলিশি নির্যাতন, মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্ব এবং ঘুষ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভুত ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কায়রো। 

গণ আন্দোলনের মুখে ২০১১ সালের এগারোই ফেব্রুয়ারি হোসনি মোবারক পদত্যাগ করলেও সমস্যা সমাধান হয়নি। সামরিক বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিল ক্ষমতা দখল করে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে। ২০১২ সালে নির্বাচনে জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইসলামিক ব্রাদারহুডের মোহম্মদ মুরসি। একটি ইসলামপন্থী সংবিধান পাশ করানোর চেষ্টা করে মুরসি পার্লামেন্টের ভেতরে বাইরে, জনগণ এবং সামরিক বাহিনীর তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। 
গণরোষকে কাজে লাগিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি সেনাবাহিনীর সহায়তায় মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ২০১৪ সালে আবারো একটি নির্বাচন দিয়ে নিজেই প্রেসিডেন্ট হয়ে বসে পড়েছেন। প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতার রদবদল ছাড়া তাহরির স্কয়ার ঘিরে জনগণের বিক্ষোভ সংগ্রামের ফলাফল একেবারেই শূন্য।  

দুপুরের এই সময়টাতে তাহরির স্কয়ারে খুব একটা জনসমাগম নেই। চত্বরে সবুজ ঘাস এবং ছোট ছোট গাছপালার ভেতরে ভেতরে বেঞ্চ পাতা। পাথরের বেদীতে বসানো ভাস্কর্যটি কার তা না জেনেই ক্যামেরা বের করে ভিউ ফাইন্ডারে চোখ রাখতেই বেঞ্চে বসা নীল পোশাকধারী দুজনের একজন এগিয়ে এসে হাসিহাসি মুখে বললো, লা তসবির, লা তসবির, তসবির মানে ছবি আগে থেকেই জানতাম আর লা মানে যে না অথবা নাই সে তো মুসলমান মাত্রেরই জানা। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ... মানে যদি আল্লাহ ছাড়া উপাস্য নেই হয়, তাহলে লা তসবির মানে ছবি নাই। এই এলাকায় ছবি তোলা যে নিষিদ্ধ, তা কিন্তু কোথাও লেখা নেই। কোনো বোর্ডে-বিজ্ঞপ্তি দিয়েও জানানো হয়নি। পরে খেয়াল করে দেখলাম তাহরির চত্বরের চারিদিকে নীল রঙের বেসামরিক পোশাক পরা বেশ কিছু সংখ্যক সতর্ক প্রহরী আসলে পুরো স্কয়ারকে ঘিরে রেখেছে। কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, পোশাকধারী কোনো সরকারি বাহিনী নেই অথচ অদৃশ্য প্রহরার বেস্টনি দিয়ে ঘেরা বিদ্রোহ বিপ্লব সংগ্রামের সূতিকাগার তাহরির স্কয়ার। মুরসির কুরসি উল্টে যাবার অভিজ্ঞতা শাসকগোষ্ঠীর মনে এই চত্বর সম্পর্কেই একটা ভীতি ছড়িয়ে দিয়েছে। তাই সিসি মহোদয়ের এই সাবধানতা।  কী মনে করে সতর্ক প্রহরী কাছে এসে বলল তোমরা ইচ্ছে করলে একটা ছবি তুলে রাখতে পারো, তার বেশি নয়।’ আমার ততোক্ষণে ছবি তোলার ইচ্ছে চলে গেছে। 

তাহরির স্কয়ার থেকে বেরিয়ে রাস্তার ওপারে যাবার জন্যে ট্রাফিক সিগনালে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম, তারপরে রাস্তা পেরিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম কায়রোর জাতীয় জাদুঘরের দিকে। তাহরির স্কয়ারের দৃষ্টি সীমার মধ্যে আরব বিশ্বের প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের গোলাপি রঙের ভবনের দিকে এগোতে থাকি। ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ঈজিপ্টশিয়ান অ্যান্টিকুইটি নামে ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই জাদুঘর খুব শিগগিরই স্থান্তরিত হয়ে গ্রান্ড ঈজিপ্টশিয়ান মিউজিয়াম নামে গিজায় চলে যাবে। তখন এটিই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর। এরই মধ্যে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবার ফলে জাদুঘরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন চলে গেছে গ্রান্ড মিউজিয়ামে। সম্প্রতি দ্বিতীয় তৃতীয় রামেসেস, প্রথম ও দ্বিতীয় আমেনহোতেপ, নেফারতারি এবং হাতসেপস্যুসহ ফারাও যুগের সম্রাট সম্রাজ্ঞীদের বাইশটি মমি রাজকীয় আনুষ্ঠানিকতায় বাদ্য বাজনা বাজিয়ে শোভাযাত্রা করে গ্রান্ড ঈজিপ্টশিয়ান মিউজিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারপরেও কায়রোর পুরোনো মিউজিয়ামে ঢুকে পড়ার ইচ্ছে ছিল। রানাভাই ঘড়ি দেখে বললেন, এখন ২০০ পাউন্ড দিয়ে টিকেট কিনে ঘণ্টা দুয়েকের জন্যে মিউজিয়ামে ঢুকে দেখে শেষ করা সম্ভব হবে না। বরং অন্য কোনো দিন সকালের দিকে আসা যাবে।’ 

বাইরে থেকে মিউজিয়াম ভবন দেখে খানিকটা উল্টো দিকে হেঁটে আমরা মূল সড়ক ছেড়ে একটা অপ্রশস্ত পথে ঢুকে পড়লাম। বেলা প্রায় আড়াইটা বাজে, অতএব লাঞ্চের সময়ও পার হয়ে গেছে বলা যায়। পথে প্রথমেই যে রেস্টুরেন্ট চোখে পড়ল তার ঝকঝকে নাম ফলক এবং কাচের স্যুইংডোর দেখে বিভ্রান্ত হয়ে সেখানে ঢুকে পড়লাম। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হলঘরের ভেতরে তুমুল হৈ হট্টগোল চলছে। এক নজর চারিদিকে তাকিয়ে দ্রুত, বলা যায় ছিটকে বেরিয়ে এলাম। আবার ফুটপাথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে খানিকটা এগিয়ে একটা মোড়ের ওপরে পাওয়া গেল কায়রোর জনপ্রিয় স্ট্রিটফুডের ভ্যান। অনেকটা কলকাতায় রাস্তায় লুচি তরকারি আলুর দম পরিবেশনের মতো পরিবেশিত হচ্ছে রুটির ভেতরে ভাজা মাংসের কিমা পুরে শরমা কিংবা বনরুটির মধ্যে কাবাব জাতীয় কিছু একটা দিয়ে বার্গার। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় আলেক্সাদ্রিয়ান লিভার কিংবা সসেজ স্যান্ডউইচ। সসেজ জিনিসটা আমার পছন্দ নয় বলে পরীক্ষামূলকভাবে লম্বা ব্রেডের ভেতরে কলিজি ভুনার পুর দেয়া আলেক্সাদ্রিয়ান লিভার স্যান্ডউইচ এবং কোল্ডড্রিংকস দিতে বললাম। 

অল্প সময়ে লিভার স্যান্ডউইচ তৈরি হয়ে গেলে রাস্তার ওপার থেকে ঠাণ্ডা পানীয়ের বোতল আনিয়ে নিয়ে আমাদের হাতে ধরিয়ে দিলেন স্ট্রিটফুড কার্টের মধ্য বয়সী মালিক কাম বাবুর্চি। পাশেই একটি বন্ধ ভবনের সিঁড়ি দেখিয়ে দিয়ে বললেন, তোমরা বসে পড়ো না কেন। সত্যিই তো! রাস্তায় বসে না খেলে আর স্ট্রিটফুড খাওয়া কেন। আমরা যখন সিঁড়িতে বসে আলেক্সাদ্রিয়ান লিভার স্যান্ডউইচ সাবাড় করছি তখন স্কুল ড্রেস পরা একদল কিশোরী খাবারের গাড়িটা ঘিরে দাঁড়িয়ে গেছে। একে একে খাবারের প্লেট হাতে নিয়ে কেউ কেউ আমাদের কাছাকাছি এসে বসেও পড়েছে। তারা প্রথমে আমাদের দিকে কৌতূহল নিয়ে তাকাচ্ছিল আর মিট মিট করে হাসছিল। আমি যখন বললাম, তোমরা কি কিছু বলবে? তখন দু তিনজন হাসতে হাসতে এক অন্যজনের গায়ে গড়িয়ে পড়ল। খাবারের দাম মিটিয়ে আমরা যখন আবার হাঁটতে শুরু করেছি, তখন ফুডকার্টের বিশাল ছাতার নিচে ভিড় জমিয়েছে নতুন একদল তরুণ। কে জানে তাদের মূল আকর্ষণ আলেক্সাদ্রিয়ার স্যান্ডুইচ নাকি একঝাঁক রূপবতী কিশোরী! 

রানা ভাই বললেন, এখন এক কাপ কফি হলে ভালো হতো। আমিও ভাবছিলাম, কফি বা চা হলে মন্দ হতো না। একটু সামনে এগোতেই দুই সারি ভবনের মাঝখানে ছোট্ট এক কানাগলিতে দু পাশে চেয়ার টেবিল সাজিয়ে অস্থায়ী চা কফির আয়োজন। দুপাশে উঁচু ভবন ছাড়াও ভেঙে ফেলা একটা বাড়ির খালি জায়গায় ইট পাথরের স্তূপ। সে অংশটা অবশ্য পর্দা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। গোটা  কয়েক টেবিলে কয়েক জোড়া তরুণ-তরুণী কফির কাপ সামনে নিয়ে বসে আছে। বোরকা আবৃত তরুণীদের মুখ খোলা, তারা কথা বলে ফিসফাস করে কিন্তু হাসে উচ্চস্বরে। পথের রেস্তোরায় পথিক নেই কিন্তু চলছে ফেরিওয়ালা নারী পুরুষের বিরতিহীন আসা যাওয়া। মালা, মানিব্যাগ, চিরুনি, রুমাল, টুপিসহ অনেক কিছুই এখানে বসে কিনে ফেলা যায়। এক নারী হাতে কতগুলো তসবিহ ঝুলিয়ে আমাদের সামনে করুণ মুখ করে হাজির হতেই রানা ভাই তসবিহ না কিনেই তার হাতে একটা দশ পাউন্ডের নোট ধরিয়ে দিলেন।  

আমরা যে কফির কাপ সামনে নিয়ে বসেছিলাম, অ্যারাবিয়ান কফি নামের সেই বিস্বাদ কফির তলায় ঘন তলানি জমে, আমার খুব একটা ভালো লাগে না। আমাদের উল্টো দিকের এক টেবিলে বিভিন্ন বয়সের চারজন বসে ডমিনো খেলছেন। বেলা সাড়ে তিনটায় গলিপথের কফিশপে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া বোধহয় মিশরীয়দের পক্ষেই সম্ভব। আমি টেবিল থেকে উঠে ডোমিনো খেলায় মগ্ন মানুষদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি, অনুমতি নিয়ে কয়েকটা ছবিও তুলি। এদের একজন আমাদের পরিচয় জানতে চান, কিন্তু বাকিদের খেলায় বিঘ্ন ঘটবে বলে আমি পরিচয় দিয়ে খুব বেশি কথা না বলেই নিজেদের টেবিলে ফিরে আসি। 

ফেরার পথে সাদাত মেট্রো স্টেশনে এবং ট্রেনে ভিড় বেড়েছে। এবারে তিন চারটে স্টেশন পার হবার পরে বসার জায়গা পেলাম। যাত্রীর ভিড় কমে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই ফেরওিয়ালার ভিড় বেড়েছে। মাস্কের ফেরিওয়ালা ঘোরাঘুরি করলেও বিক্রি হতে দেখিনি একটাও। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই, দুতিনজন তাদের মাস্ক যথারীতি গলায় ঝুলিয়ে রেখেছেন। ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনের বাইরে বেরোতেই ফুটপাথ জুড়ে পসরা সাজিয়ে বসা নানা পণ্যের মাঝখানে জুতা সেলাইয়ের দোকানে সৌমকান্তি বৃদ্ধ লোকটিকে চোখে পড়ে। সাদা চুল দাড়ি মিলিয়ে তাকে চর্মকার নয়, দার্শনিক বলে মনে হয়। রানা ভাই জানালেন কয়েক বছর আগেও তাকে ঠিক একই জায়গায় একইভাবে বসে জুতা স্যান্ডেল মেরামত কিংবা পালিশ করতে দেখেছেন। হয়ত আরও বহু বছর দার্শনিক চর্মকার তার কর্ম করে যাবেন। তার দোকানের উল্টোপাশেই একটি বইপত্রের দোকান। হয়ত একেই বলে জুতা সেলাই থেকে চণ্ডিপাঠ। আমাদের দার্শনিক মুচির তেমন পাঠাভ্যাস আছে কিনা কে জানে! 

চলবে...  

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

 

Header Ad

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে একটি বিদেশি পিস্তল ও আট রাউন্ড তাজা গুলি সহ জুয়েল রানা (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাতে পলাশবাড়ী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার রাসেল দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার মাছুয়াপাড়া গ্রামের পান্না মিয়ার ছেলে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে পলাশবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গেল রাতে পলাশবাড়ী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রামে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী সদস্য। এসময় ভগ্নিপতি জুয়েল মিয়ার বাড়ি থেকে ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও আট রাউন্ড তাজা গুলিসহ জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি আরও জানান।

Header Ad

আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলাম চলছে। তিন বছর পর পর হওয়া এই নিলাম এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। দুই দিনব্যাপী নিলামের প্রথম দিনটি শুরু হয়েছে আজ, রোববার (২৪ নভেম্বর)। বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর এখন ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের নিলামে। ভক্তদের কৌতূহল, কোন তারকা কোন দলে যাচ্ছেন, কত টাকায় বিক্রি হচ্ছেন তারা—এইসব প্রশ্ন নিয়ে উত্তেজনা চলছে। চলুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক, প্রথম দিন কোন খেলোয়াড় কোন দলে যোগ দিলেন।

গুজরাট টাইটান্স:

আইপিএলের অন্যতম সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট এবারও শক্তিশালী দল গড়তে মরিয়া। নিলামের আগে তারা পাঁচ ক্রিকেটারকে রিটেন করেছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৬৯ কোটি রুপি নিয়ে শুরু করেছে নিলাম। অবশ্য এত টাকা খরচ করলেও অভিজ্ঞ রশিদ-গিলকে ঠিকই ধরে রেখেছে দলটি। এই দুইজন ছাড়াও আছেন সাই সুদর্শন, রাহুল তেওয়াটিয়া ও শাহরুখ খানের মতো ক্রিকেটাররা।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে গুজরাট

কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)—১০.৭৫ কোটি রুপি

জস বাটলার (ইংল্যান্ড)—১০.৭৫ কোটি রুপি

মোহাম্মদ সিরাজ (ভারত)— ১২.২৫ কোটি রুপি

পাঞ্জাব কিংস:

কখনও আইপিএলের শিরোপা জিততে না পারা পাঞ্জাব কিংস এবারের নিলামে সবচেয়ে বেশি ১১০ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি নিয়ে হাজির হবে। মূলত খেলোয়াড় রিটেনশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় তারা। অন্যান্য দলগুলো তারকা সব ক্রিকেটারদের রিটেনশন পদ্ধতিতে দলে নিলেও সেখানে মাত্র দুইজনকে নিয়েছে পাঞ্জাব। তাদের কেউই তারকা ক্রিকেটার নন। তারা হলে শশাঙ্ক সিংহ ও প্রভসিমরান সিংহ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে পাঞ্জাব

অর্শ্বদীপ সিং (ভারত)—১৮ কোটি রুপি

শ্রেয়ার আইয়ার (ভারত)— ২৬.৭৫ কোটি রুপি

যুযবেন্দ্র চাহাল (ভারত)— ১৮ কোটি রুপি

মার্কাস স্টয়নিস (অস্ট্রেলিয়া)— ১১ কোটি রুপি

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)— ৪.২০ কোটি রুপি

দিল্লি ক্যাপিটালস:

নিলামের টেবিলে ৭৩ কোটি রুপি নিয়ে হাজির হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। চার ক্রিকেটারকে রিটেনশন করেছে তারা। এতে খরচ হয়েছে মোট ৪৭ কোটি রুপি। সেই হিসেবে নিলাম থেকে বড় কোনো তারকাকে ভেড়াতে প্রস্তুত দলটি। কখনও শিরোপা জিততে না পারা দলটির জন্য ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়াই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। দলটিতে আছেন অক্ষর প্যাটেল, কুলদ্বীপ যাদব, ত্রিস্টান স্টাবস ও অভিষেক পোরেল।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে দিল্লি

মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)—১১.৭৫ কোটি রুপি

লোকেশ রাহুল (ভারত)—১৪ কোটি রুপি

হ্যারি ব্রুক (ইংল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক (অস্ট্রেলিয়া)— ৯ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

লখনৌ সুপার জায়ান্ট:

২০২৪ আইপিএলে মাঠের বাইরের নানা কর্মকান্ডে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এবার নিলামের আগে তারাও গুজরাটের মতো পাঁচ ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। এতে খরচ হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। হাতে আছে ৬৯ কোটি রুপি। দলটিতে আছেন নিকোলাস পুরান, রবি বিষ্ণুই, মায়াঙ্ক যাদব, মহসিন খান ও আয়ুশ বাদোনি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে লখনৌ

ঋষভ পন্ত (ভারত)— ২৭ কোটি রুপি

ডেভিড মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৭.৫০ কোটি রুপি

এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ২ কোটি রুপি

মিচেল মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)— ৩.৪০ কোটি রুপি

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:

আইপিএলের গত আসরের রানার্সআপ হায়দরাবাদ এবারও চমক দেওয়ার অপেক্ষায়। ২০২৪ সালে দারুণ ছন্দে থাকা দুই অসি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেডকে ধরে রেখেছে তারা। পাশাপাশি আছে হেনরিখ ক্লাসেনের মতো বিধ্বংসী ব্যাটারও। এছাড়া, দেশিদের মধ্যে অভিষেক শর্মা ও নিতীশ কুমার রেড্ডিরাও দ্যুতি ছড়াতে প্রস্তুত। এই পাঁচ ক্রিকেটারকে কিনতে খরচ হয়েছে ৭৫ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৪৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলাম শুরু করেছে হায়দরাবাদ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে হায়দরাবাদ

মোহাম্মদ সামি (ভারত)—১০ কোটি রুপি

হারশাল প্যাটেল (ভারত)—৮ কোটি রুপি

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু:

আইপিএলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল ধরা হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। মূলত কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলি থাকায় দলটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এবারের নিলামে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে হাজির হয়েছে আরসিবিও। রিটেনশনের সময় তারা দলে ভিড়িয়েছে বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার ও ইয়াশ দয়ালকে। এদের কিনতে মোট খরচ হয়েছে ৩৭ কোটি রুপি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নিলাম শুরু করেছে ৮৩ কোটি রুপি নিয়ে।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে বেঙ্গালুরু

লিয়াম লিভিংস্টোন (ইংল্যান্ড)— ৮.৭৫ কোটি রুপি

ফিল সল্ট (ইংল্যান্ড)— ১১.৫০ কোটি রুপি

চেন্নাই সুপার কিংস:

আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই এবারও শক্তিশালী দল গড়ার পথে। দলটি রিটেন করেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়, মাথিশা পাথিরানা, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা ও এমএস ধোনিকে। এতে তাদের খরচ হয়েছে মোট ৬৫ কোটি রুপি। বাকি ৫৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলামে অংশ নিয়েছে তারা। দেখার বিষয় গত আসরে দলটিতে দারুণ খেলা বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে এবার তারা ডেরায় ভেড়ায় কি না।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে চেন্নাই

ডেভন কনওয়ে ( নিউজিল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

রাহুল ত্রিপাঠি (ভারত) — ৩.৪০ কোটি রুপি

রাচিন রবীন্দ্র ( নিউজিল্যান্ড)—৪ কোটি রুপি

রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত) — ৯.৭৫ কোটি রুপি

কলকাতা নাইট রাইডার্স:

আইপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়নস কলকাতা নাইট রাইডার্স ফের একবার চমক দিতে মরিয়া। গত আসরের দলটিতে খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। যদিও এবার তাকে রিটেন করেনি দলটি। তারা ছয় জন প্লেয়ারকে নিলামের আগেই রিটেইন করেছে। তারা হলেন রিঙ্কু সিংহ, বরুণ চক্রবর্তী, সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, হারশিত রানা ও রামানদ্বীপ সিংহ। এতে তাদের ব্যয় হয়েছে ৬৯ কোটি রুপি। ৫১ কোটি রুপি নিয়ে আজ নিলাম শুরু করেছে দলটি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে কলকাতা

ভেঙ্কটেশ আইয়ার (ভারত)—২৩.৭৫ কোটি রুপি

কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৩.৬০ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

Header Ad

রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা

দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত থেকে ওই দুই নেতার কথোপকথনের ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এর আগে উপজেলার গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে স্থানীয় থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন। এ মামলায় আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে "এডিট করা ফেক মোবাইল কল" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তার এবং দলীয় ইমেজ ক্ষুণ্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাময়িক বহিষ্কৃত ওই বিএনপি নেতা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বদলগাছী সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন।

এসময় তিনি বলেন, বিগত ২০১৩ সালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে আওয়ামী লীগ দুইটি মামলা করে। একটি বিষ্ফোরক ও একটি দ্রুত বিচার আইনে। আমাকে গ্রেফতার করা হয় ক্লিন হার্ট অপারেশনে। সেখানে আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয় শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার জন্য। আমি জানতে পেরেছি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম খানের সাথে আমার একটি কল রেকর্ড প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা সম্পূর্ণ এডিট করা ফেক মোবাইল কল। কল রেকর্ডটি আগস্ট মাসের।

প্রকৃত তথ্য এই যে, শামসুল আলম খান ইতঃপূর্বে তার একটি ব্যাংক চেক গচ্ছিত রেখে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন। যার নম্বর: CD /A- ২৮৮৫০৯২ (ডাচ বাংলা ব্যাংক)। এভাবে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আরও অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা ধার করেছেন বলে লোকমুখে জেনেছি। অতি সম্প্রতি জানতে পারি যে, তিনি কিছু কিছু পাওনাদারদের ধারের টাকা পরিশোধ করছেন। এ কারণে আমি তার নিকট আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য কল করেছিলাম। এছাড়া আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য তার সামনাসামনি হলে সে আমাকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভয় দেখাতো। আমি গত ২০১৪ সালের ৫নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিস্ফোরক মামলার বিবাদী হওয়ার কারণে আগস্ট মাসের কল রেকর্ডটি নতুন করে "এডিট" করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত শামসুল আলম খানের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, পাওনা সংক্রান্ত ও কল রেকর্ডটি এডিট করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশও করা হয়েছে। শুধুমাত্র আমাকে এবং আমার দল বিএনপিকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই ফেক কল রেকর্ডটি ছেড়ে দেওয়া দেয়। মর্যাদাহানি করার জন্যই তারা এই মিথ্যা এবং বানোয়াট রেকর্ড ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবাদী হওয়ার কারণেই আগস্ট মাসের আমার টাকা সংক্রান্ত রেকর্ডটি ছেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সেই সাথে দুষ্কৃতিকারীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান বলেন, ঘটনার দিন নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ