শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭  

কায়রোতে এসে নামার পরদিন থেকে গিজার পিরামিড, সাক্কারার ধ্বংসাবশেষ, ফিলাই দ্বীপ ও আবু সিম্বেলের স্থানান্তরিত প্রত্ম নিদর্শন এবং এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই কোমওম্বো, এদফু, কর্নাক, লুক্সর ও ভ্যালি অফ কিংস অ্যান্ড কুইন্সে হাজার তিনেক বছর আগের ফারাওদের রাজ্যে বিস্তর ঘোরাঘুরি ঘরে সকলেই বোধহয় একটু ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই রামসেস-নেফারতারি কিংবা ক্লিওপেট্রা- তুতেনখামেন-নেফারতিতির প্রস্তর মূর্তি, পিলার ও দেয়াল, পিরামিড-স্ফিংস এবং অন্ধকার কবরের দেয়ালে হায়রোগ্লিফিক লিপিতে লেখা ইতিহাসের বাইরে বেরোবার জন্যে হাঁসফাঁস করছিলেন। সেই কারণে দেখা গেল ভ্যালি অফ কুইন্স থেকে লুক্সর ফেরার পথে কলোসি অফ মেমননে কিছু সময়ের জন্যেও কেউ দাঁড়াতে রাজি নয়। অবশ্য কনভেয়ার বেল্ট টুরিস্টদের যেমন করে ট্যুর গাইডেরা কুতুব মিনার দেখিয়ে দেয় তেমনি করে চলতে থাকা গাড়িতে বসেই মোস্তফা আমাদের কলোসি অফ মেমনন দেখিয়ে দিল।
 ফারাও তৃতীয় আমেনহোটপের দুটি বিশাল প্রস্তর মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন থিবস নগরীর সবচেয়ে বড় সমাধি মন্দিরের সামনে। তবে সমাধি মন্দির বলতে এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। খ্রিস্টপূর্ব ১৩৫০ অব্দ অর্থাৎ এখন থেকে তিন হাজার তিনশ বাহাত্তর বছর আগের নির্মিত মহামহিম যে প্রস্তরীভূত হয়ে এখনো সশরীরে দণ্ডায়মান থেকে পর্যটকদের কৌতূহল মিটিয়ে মিশরের সরকারকে রাজস্বের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন সে জন্যেই তৃতীয় আমেনহোটপ এবং তাঁর সময়ের ভাস্কর্য শিল্পীদের ধন্যবাদ দেয়া যায়। অন্য সব বিবেচনা বাদ দিলেও এর বিশালত্বই রীতিমতো বিস্ময় জাগায়। 

কলোসি অফ মেমনন

কলোসি অফ মেমনন থেকে লুক্সর পৌঁছাতে চল্লিশ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা নয়। সম্ভবত সেই কারণে মোস্তফা তার সর্বশেষ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে আর দেরি করেনি। দুটি সাদা খামের একটিতে তার নিজের এবং অন্যটিতে গাড়িচালকের নাম লিখে পেছনের দিকে পাঠিয়ে দিয়ে বললো, ‘তোমাদের যার যেমন ইচ্ছে টিপস-এই খামের ভেতরে ভরে দিতে পারো।’ রানা ভাই বললেন, ‘ইচ্ছে না করলে না দিলেও চলবে?’  মোস্তফার উত্তর, ‘আমার সার্ভিস যদি যথেষ্ট ভালো মনে না হয়ে থাকে বা টুরিস্ট গাইড হিসাবে আমার যদি কোনো সমস্যা থাকে তুমি বলতে পারো এবং কোনো টিপস নাও দিতে পারো।’ রানা ভাই শুরু থেকেই মোস্তফার উপরে খুব একাট খুশি ছিলেন না, তারপরেও অবাক হয়ে দেখলাম অংকের শিক্ষক কাম গাইড ওসামাকে বাদ দিলে তিনি মোস্তফাকেই টিপস দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি। 

লুক্সরের পথে ফলের দোকান

ফেরার পথে রাস্তার ডান পাশে ধীরে ধীরে ধূসর পাহাড় এবং উঁচু নিচু হলদে বালুময় ঊসর মাটি সবুজে রূপান্তরিত হতে থাকে। কিন্তু এবারে খেজুর গাছের সারি, আখখেত এবং অন্যান্য ফসলের সবুজ ক্ষেত ছাড়াও মাইলের পর মাইল ফুটে আছে লাল গোলাপি হলদে সাদা নানা রঙের ফুল। অবশ্য একটা প্রায় পরিত্যক্ত ভাঙাচোরা রেল লাইন পেরিয়ে শহরের ঢুকবার পরেই ফলের সমারোহ উধাও হয়ে গেল, তার পরিবর্তে দেখা দিল রাস্তার পাশে সাজানো ফলের দোকান, মসজিদ এবং কোথাও কোথাও বসত বাড়ি। লুক্সরে নীল নদের জাহাজ ঘাট এগিয়ে আসতে থাকলে আমাদের প্রথম চিন্তা হলো টুইয়া থেকে লটবহর নামিয়ে নিয়ে শহরের পান্থ নিবাসে যাবার ব্যবস্থা। মোস্তফাকে বলতেই সে সানন্দে বলে উঠলো, ‘তোমাদের কোনো চিন্তা নাই। আমরাই পৌঁছে দেবো।’ 

 লুক্সর আদালত ভবন

সৌরভের দেয়া নির্দেশনার পাতা উল্টিয়ে দেখলাম ঘাট থেকে হোটেল একশ থেকে দেড়শ ঈজিপ্টশিয়ান পাউন্ড। মোস্তফা শুরুতেই একশ পাউন্ড বলে ফেলায় আর দর কষাকষির ঝামেলায় যেতে হলো না। এই বাড়তি একশ পাউন্ড যে ড্রাইভার এবং গাইডের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গাড়ির মালিকের হাতে এক পেনিও পৌছোব না তা নিশ্চিত করে বলা যায়। যাই হোক আমাদের গন্তব্যে পৌঁছানোটাই আসল কথা। সাথে বাড়তি সুবিধা হলো গাড়ি থেকে নামতে হলো না। আমাদের তিনজনের বোঝা দুজনে বয়ে নিয়ে গাড়িতে তুলে দিলে চারদিন তিনরাতে টুইয়া জাহাজকে বিদায় জানিয়ে চললাম লুক্সর শহরের পথে। 

রিসর্টের সীমানার পরে নীল নদ

সাত তোরণের থিবস নগরী যে আসলেই আধুনিক শহরে পরিণত হয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। নিশ্চিত করেই বলা যায়, আমার দেখা কায়রো, আসোয়ান, আলেক্সান্দ্রিয়া এবং ছোট ছোট আরো দুই একটি শহরের মধ্যে লুক্সরই সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন, সাজানো গোছানো। বিশাল বড় এলাকা নিয়ে বস্তি, ভাঙাচোরা দালান কোঠা ও ধূলি ধূসর কায়রো কিংবা পলেস্তারা খসা পুরোনো বসত বাড়িতে পরিপূর্ণ আসোয়ান এবং পরিচ্ছন্ন কিন্তু অপরিসর সমুদ্র শহর আলেক্সান্দ্রিয়ার সাথে তুলনা করলে নীলে তীরে গড়ে ওঠা লুক্সর অতীতের মতো এখনো তিলোত্তমা। বিশেষ করে আলোকোজ্জ্বল এবং জাকজমকে ভরা রাতের লুক্সর পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় শহর। এই শহরের মূল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যটন কেন্দ্রীক হলেও হোটেল রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি বেড়েছে ব্যাংক-বীমা, কিছু শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। চলার পথেই আমাদের চোখে পড়ে আদালত ভবন, লুক্সর  বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ আর্টস ভবনসহ বেশ কিছু আধুনিক স্থাপনা।        

 লুক্সরের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দপ্তর

সৌরভ আমাদের জন্য লুক্সর শহরের প্রান্তে ঠিক নীল নদের উপরে যে হোটেল বুক করে রেখেছিল সেখানে ঢুকে পড়ার পরেই মনে হলো গাছপালায় ঘেরা নির্জন এলাকায় যেখানে আমরা রাত্রি যাপন করতে যাচ্ছি সেটি শহরের ব্যস্ত এলাকায় প্রচলিত ধারণার কোনো হোটেল নয়। সাদামাটা বড় তোরণে লেখা নাম ফলক ‘স্টিগেন বার্গার রিসর্ট’। চত্বরে বিশাল উদ্যান, সুইমিংপুল, স্পা-জিম-ফিটনেস সেন্টার মিলিয়ে পাঁচতারা মর্যাদা সম্পন্ন একটি রিসর্টে রাত কাটাবার ব্যয় এতো কম কেন! ভাবলাম কোনো ভুল হচ্ছে না তো! চেক-ইন করার পরে ক্রেডিট কার্ড থেকে বাড়তি কত টাকা কেটে নেয় সেই আশঙ্কায় ছিলাম। কিন্তু লবিতে বসে ওয়েলকাম ড্রিংক শেষ হতে না হতেই চেক-ইন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়ে গেল। হতে পারে করোনো মহামারি থেকে উত্তরণের পরে পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে সকলেই একটু ছাড় দিচ্ছে। লিফটে তিনতলায় নিজেদের ঘরে পৌঁছে জানালার পর্দা টেনে দিতেই চোখে পড়ে রিসর্টের সীমানার ওপারে বয়ে যাচ্ছে নীল। অবশ্য এই নদী  এতোটাই শান্ত যে দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবহমান কোনো স্রোতধারা চোখেই পড়ে না, ফলে নদী আসলে বয়ে চলেছে বলে মনে হয় না । দুই একটা ফেলুকা পাল তুলে প্রায় গতিহীন ভেসে যাচ্ছে। ওপারে সবুজ গাছপালা এবং আধুনিক বাড়ির ওপারে রিসর্টের সীমানার ঠিক নিচেই ফেলুকা ছাড়াও গোটা কয়েক সাজানো গোছানো ছোট ছোট নৌযান অপেক্ষায় আছে, পর্যটক পেলেই ভেসে যাবে নীলের নীল জলে।  

 

ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বেশিক্ষণ বাইরের দৃশ্য দেখার উপায় ছিল না। পেটে টান পড়লে বুঝতে বাকি থাকে না বেলা তিনটা বেজে পার। রানা ভাই খাদ্য অনুসন্ধানে আগেই নিচে নেমে গেছেন। আমরা এলে জানালেন এখানে লাঞ্চ আওয়ার শেষ, তবে রিসর্টের অঙ্গনেই একটাে রেস্তোঁরা আছে সেখানে কিছু পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু কপাল খারাপ হলে যা হয়। স্ন্যাকস জাতীয় খাবার থাকলেও সেখানেও শেফ নেই। অতএব বাইরে কোনো স্ট্রিটফুড বা পাড়ার ছোটখাট রেস্টুরেন্ট পাওয়া যায় কিনা দেখতে বের হলাম। গেট পেরিয়ে রিসর্টের বাইরে বেরোতেই হাতের ডান দিকে একটা কোক ফান্টা বিস্কিট চানাচুরের দোকানের মতো গ্রোসারিশপ পাওয়া গেল। ব্রেড বাটার থাকলে এখানেই যাত্রা বিরতি দিয়ে কিছু কিনে ঘরে ফেরা যেতো। কিন্তু হা হোতস্মি! এ দোকানের ব্রেডও শেষ গেছে আমরা আসার আগেই। তবে তিনজন ক্ষুধার্ত ভিনদেশিকে দেখে দোকানী আমাদেরকে গলিপথ ধরে সামনে কিছুটা এগিয়ে যেতে বললেন। ঝকঝকে পাঁচতারা হোটেলের বাইরেই অপরিসর নোংরা গলিপথ ধরে খানিক দূর এগোতে সত্যিই একটা রেস্টুরেন্ট চোখে পড়লো। আমাদের হাতিরপুল বাজার বা সেন্ট্রাল রোডের মাথায় যেমন রেস্টুরেন্ট দেখা যায় তেমনি এক রেস্টুরেন্টের বাইরে হাড়ি পাতিল মাজা ধোয়ার কাজ চলছে। বিদেশি দেখে রেস্তোাঁর এক তরুণ কর্মী উৎসাহের সাথে এগিয়ে আসায় বেশ ভরসা পেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কথা শুনে সে দুঃখ প্রকাশ করে বললো, ‘নাইট কাম, গিভ গুড ফুড!’ বুঝলাম সে নৈশ্যভোজে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে পারবে, তবে আপাতত কিছু করার নেই। এভাবে প্রতিবেলার খাবার শেষ করে বসে থাকলে এরা ব্যবসা চালাবে কেমন করে! আমাদের রেস্টুরেন্টে নাকি যতো দিনের দোকান ততোদিনের ডাল পাওয়া যায়! 

 নীল নদের ওপারে সূর্যাস্ত

কয়েকদিন জাহাজে সময় মতো বুফে ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ-ডিনারে চর্ব চোষ্য লেহ্য পেয়, কোনো কিছুরই সদ্ব্যবহার করতে ছাড়িনি। জলযান থেকে বাস্তুচ্যুত হবার প্রথম দিনেই খাদ্য পানীয়ের অভাবে প্রাণ প্রায় ওঠাগত। আর সামনে এগোবার শক্তি সাহস কোনোটাই ছিল না বলে আবার আমাদের আস্তানায় ফিরে এলাম। বেলা চারটে বেজে যাওয়ায় রেস্তোঁরার কাজ শুরু হবার পরে তিনজনের জন্য স্যান্ডুইচের অর্ডার দেয়া হলো। রানা ভাই জিজ্ঞেস করলেন, ‘কতোক্ষণ লাগবে?’ উত্তর এলো, ‘টেন টু ফিফটিন মিনিটস স্যার।’ এই ফিফটিন মিনিটস যখন থার্টি মিনিটসে দাঁড়ালো তখন রানা ভাই রাগ করে বললেন, ‘এবারে চলেন ঘরে চলে যাই, শুয়ে থাকি। ডিনারের সময় হলে নেমে আসা যাবে।’ রানা ভাইয়ের উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আমি ইচ্ছে করেই একটা গল্প শুরু করলাম। গল্প হলেও গল্পটা অনেক বছর আগের এক ঘটনা।


একটা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে কেরালায় এসেছি। ত্রিবান্দ্রম তখনও নাম বদলে দুঃসাধ্য উচ্চারণের নতুন নগরীতে পরিণত হয়নি। উৎসবের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক সন্ধ্যায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে খেতে গেছি। সঙ্গে এফডিসির পরিচালক সাজ্জাদ জহির এবং ভারতীয় বন্ধু চলচ্চিত্র পরিচালক সুরজিৎ ধর। যতোদূর মনে পড়ে চিকেন ফ্রাইড রাইস এবং একটা ভেজিটেবল ছাড়াও বিফের একটা আইটেম ছিল। যাঁরা জানেন না, তাঁদের  জন্য বলে রাখা ভালো, কেরালার সকল নন-ভেজ রেস্তোঁরায় সে সময় বিফ সহজলভ্য ছিল। পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় সেই কেরালা এখন কোন পথে হাঁটছে জানি না। আমরা খাবারের অর্ডার দিয়ে বসে আছি তা আছিই। পনের কুড়ি পঁচিশ মিনিটেও খাবার আসে না। দুবার তিনবার জিজ্ঞেস করা হয়ে গেছে। প্রতিবারই উত্তর আসে ফাইভ মিনিটস স্যার! পঁয়তাল্লিশ মিনিটের সময় সুরজিৎ সিদ্ধান্ত দিয়ে দিল, ‘যে মুহূর্তে কিচেনের দরজা দিয়ে খাবারের ট্রে হাতে পরিবেশক ভেতরে আসবে সেই মুহূর্তে আমরা সামনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবো।’ আরো দশ মিনিট অর্থাৎ পঞ্চান্ন মিনিট পরে যখন সত্যিই খাবারের দেখা মিলল ঠিক সেই সময় আমরা সামনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। পেছন থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম, ‘ইওর ফুড ইজ অন দ্য টেবল স্যার!’  


পঁয়ত্রিশ মিনিটের সময় আমার গল্প শেষ হতে না হতেই তিনটি বিশাল আকৃতির স্যান্ডুইচ এসে হাজির হলো। আমরা এবারে সত্যিই নিজেদের ঘরে চলে গেলাম, তবে যাবার সময় স্যান্ডুইচগুলো সঙ্গে নিতে ভুলিনি। প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত হলেও দুজনের দুটি স্যান্ডুইচ শেষ করা সম্ভব হলো না। প্রচণ্ড ক্লান্তির কারণে কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম ভাঙলে ব্যলকনিতে দাঁড়িয়ে মোহিত হয়ে দেখলাম নীল নদের ওপারে অসাধারণ সূর্যাস্ত!  

 

 

চলবে...

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

   

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত