সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

১৯৭১

"জানিস দাদুভাই! ভিষণ গোলাগুলি হচ্ছিল তখন। গেরিলা আক্রমণে আমরা আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি শত্রুদের দিকে। ওরাও থেমে ছিলোনা। একেরপর এক খই ফোটার মতো গুলি করেই যাচ্ছে। এমন সময় আমাদের আবদুল ভাইয়ের বুকে গুলি লাগলো। অবস্থা বেগতিক। কমান্ডার শামসুল ভাইকে বললাম আবদুল ভাই সহ সবাইকে নিয়ে ফিরে যেতে। আমার সাথে দুটো মাইন। পাশাপাশি অস্ত্র আছে। এদিকটা আমি সামলে নিতে পারবো। যদিও মৃত্যু নিশ্চিত। পাকবাহিনী এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে। আমরা তখন অসহায়।"

বলেই একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললেন আহতাব রহমান। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। নিজের সাত বছর বয়সী নাতি আহনাফকে মুক্তিযু্দ্ধের সময়কার তার এক ভয়ংকর লড়াইয়ের গল্প শোনাচ্ছিলেন তিনি। সেদিন যদি সেই ছেলেটা দেবদূত হয়ে না আসতো তাহলে হয়তো আজ তিনি জীবিত থাকতে পারতেন না। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ নাতির নামও সেই ছেলেটার নামে রেখেছেন।
"ও দাদুভাই বলোনা। পরে কি হয়েছিলো?"

নাতির দিকে তাকিয়ে আবারও অতীতে ডুব দিলেন আহতাব।

১৯৭১ সাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণে ঘোষণা দিলেন,
"রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম জয় বাংলা।"

বাঙালির রক্ত টগবগ করছে তখন। বহু বছরের পরাধীনতার জাল ছিঁড়ে বাঙালি মুক্তি চায়। স্বাধীনতা চায়। বঙ্গবন্ধুর ডাক যেন ছিল তারই প্রতিচ্ছবি। আহতাব একজন সরকারি কর্মকর্তা। উপস্থিত হয়েছেন রেসকোর্স ময়দানে। তারও রক্ত টগবগ করছে। মনে মনে একটাই চাওয়া। স্বাধীনতা। বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ২৫ শে মার্চের অতর্কিত হামলা। ৩০ বছরের আহতাব সদ্য বিবাহিত বউ নিয়ে ভিষণ ঝামেলায় পড়লেন। বাইরে হানাদার বাহিনীর হামলা। কি করবেন! কোথায় যাবেন! হতভম্ব হয়ে আছেন আহতাব। অতঃপর বহুকষ্টে প্রাণ বাঁচিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি পৌঁছালেন। হাতের উপর হাত দিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে করলোনা তার। চারিদিকে হাহাকার, বর্বর পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞ। কয়েকজন মিলে চলে গেলেন ভারত ট্রেনিং করার জন্য। একে একে গেরিলা প্রশিক্ষণ, বন্দুক চালনা, মাইন ব্যবহারে পারদর্শী হয়ে উঠলেন সকলে। একের পর এক ধ্বংস করতে লাগলেন শত্রুদের একেকটি বাঙ্কার। এমনই একদিন। শত্রুপক্ষের সাথে তুমুল যুদ্ধ হচ্ছে। চারিদিকে খই ফোটার মতো গুলির আওয়াজ। ওরা ছয়জন এগিয়ে যাচ্ছে শত্রুদের দিকে। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো তখনই। দুজন গুলি খেয়ে সাথে সাথে মারা গেলেন। তখনও চারজনে আক্রমণ চালাচ্ছেন। সবচেয়ে দক্ষ আবদুল রহমানের বুকে গুলি লাগতেই ঘাবড়ে গেলেন সকলে। তাছাড়া গুলিও কেবল কয়েকটা রয়েছে। এখনই ফিরে না গেলে নির্ঘাত প্রাণ যাবে। পাকবাহিনী বুঝতে পারলে মহা ঝামেলা হবে। কাউকে উপস্থিত থেকে তাদের ধোঁকার ভিতর রাখতে হবে। গুলি চালালে পাকবাহিনী দ্রুত আসবেনা এদিকটায়। আহতাব কমান্ডার শামসুলের উদ্দেশ্যে বললেন,
"ভাই, আপনি ওদের নিয়ে চলে যান। আমি এদিকটা সামলাচ্ছি। আবদুল ভাইকে নিয়ে ফিরে যান।"
"আহতাব এটা কি করে সম্ভব! তোমাকে ফেলে কি করে যাবো আমরা। তুমি দক্ষ একজন যোদ্ধা। এমনতেই আমরা দুজনকে হারিয়েছি।"

ভাঙা কন্ঠে বললেন শামসুল। পাকবাহিনী এগিয়ে আসছে। আহতাব চিৎকার করে বললো,
"ভাই, আমার চিন্তা না করে আপনারা ফিরে যান৷ আল্লাহর দোহাই।"

অবস্থা বেগতিক দেখে শামসুল বাধ্য হয়ে বাকি দুজনকে নিয়ে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় মাটিতে পড়ে থাকা দুটো লাশের দিকে তাকিয়ে বুকটা কেঁপে উঠলো তার। চোখ ফেটে এলো জল। দ্রুত চোখ মুছে প্রস্থান করলেন তিনি। আহতাব একা একাই গুলি চালাচ্ছে। একসময় ফুরিয়ে এলো গুলি। পাকবাহিনী ধরে ফেললো আহতাবকে। স্কুল মাঠের বাঙ্কারে বেঁধে নিয়ে চললো তাকে। কর্নেল ওসমানের সামনে হাজির করা হয় আহতাবকে। কর্নেল ঘৃণার দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রাজাকার মোল্লাকে উর্দুতে বললেন,
"ওকে বলো আস্তানার ঠিকানা বলতে। তাহলে ওকে ছেড়ে দেওয়া হবে।"

মোল্লা পান খাওয়া লাল দাঁত দিয়ে ভ্যাবলা হেসে বললেন,
"জ্বে, স্যার।"
"আহতাব মিয়া জলদি কইরা ঠিকানা কইয়া দাও স্যাররে।"

আহতাব বললেন,
"কিসের ঠিকানা?"
"তোমাগো আস্তানার।"
"মেরে ফেললেও বলবোনা।"

মোল্লা বিরক্তির সাথে তাকিয়ে আধাভাঙা উর্দুতে কর্নেল ওসমানকে বললেন,
"স্যার, আহতাব নাকি কহেগা নেহি।"

পাশে থাকা পানির গ্লাসটা আহতাবের মাথায় ছুড়ে মারলেন ওসমান। হুংকার ছাড়লেন। মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে অথচ আহতাব নির্বিকার। প্রচুর মারধর করা হলো তাকে। রাত দুইটায় নদীর পাড় নিয়ে গুলি করা হবে । বাঙ্কারের এককোনায় বেঁধে রাখা হলো তাকে। ক্লান্ত, ব্যথায় ক্লিষ্ট আহতাব নিবুনিবু চোখে নিজের মৃত্যুর অপেক্ষা করছেন। এমন সময় একটা আলো জ্বলে উঠলো চোখের সামনে। কে যেন এগিয়ে আসছে।
"এই যে। আপনি ঠিক আছেন? আপনি কি আহতাব রহমান?"
"হুম"

বলে আবার চোখ বুজলেন আহতাব। শরীরে প্রচুর ব্যথা। আস্তে আস্তে ব্যথাগুলো দূর হতে লাগলো। ক্লান্তি কেটে যাচ্ছে। শরীরে শক্তি ফিরে পাচ্ছেন আহতাব। আচমকা তিনি চোখ মেলে পাশে চিন্তিত এক যুবককে দেখতে পেলেন।
"কে? কে তুমি?"
"সেসব কথা পরে হবে আপনি আমার সাথে বাইরে চলুন।"

বলেই আহতাব সাহেবের হাতের বাঁধন খুলে দিলো ছেলেটি। আহতাব মুক্ত হলেন। আফসোস হচ্ছে মাইন দুটো নিয়ে নিয়েছে পাকবাহিনী। সাথে অস্ত্রও নেই। ফর্সা যুবকটা কাঁধের ব্যাগ হাতে নিয়ে কি যেন একটা বের করলো।

"এটা কি?"
"আপনাদের ভাষায় মাইন। তবে আরো শক্তিশালী।"

বলেই বাঙ্কারের মাটিতে পুঁতে দিলো মাইনটি। আহতাব অবাক হয়ে যুকটিকে দেখে যাচ্ছেন। এমন পোশাক পরিহিত মানুষ তিনি কখনো দেখেননি।
"আপনি এই অস্ত্রটি ধরুন।"

বন্দুকের মতো একটা অস্ত্র ছেলেটি ধরিয়ে দিলো আহতাব সাহেবের হাতে। আহতাব বিস্ময় নিয়ে বললেন,
"তুমি পাকবাহিনীর লোক?"
ছেলেটা একটু হাসলো। মাথা নেড়ে না জানালো।
"আপনি পরে আমাকে প্রশ্ন করবেন। আগে বাইরে চলুন। দশমিনিটের মাঝে মাইন ফেটে যাবে।"

বের হওয়ার কালে একজন সিপাহি দেখে ফেললো তাদের। ঘাবড়ে গেলেন আহতাব। যুবক ঘাবড়ালো না। বন্ধুক দিয়ে গুলি ছুড়লো। সোজা মাথায় লেগেছে সিপাহির। অথচ কোনো শব্দ হলোনা। সিপাহি আর্তনাদ করে পরে যেতেই দৌড়ে বাইরে বের হওয়ার কালে আবার বিপত্তি ঘটলো। আহতাবকে দেখে ফেললেন কর্নেল। হুংকার ছেড়ে দৌড়ে বের হতে নিতেই যুবক আবার গুলি করলো তাকে। আশেপাশে কোনো হানাদার নেই। তারা বেশিরভাগই অন্য বাঙ্কারে অবস্থান করছে। হাতে তখন পাঁচ মিনিট। মিনিমাম একশ মিটার দূরে না সরতে পারলে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত। বহুকষ্টে দৌড়ে বাইরে পালাতে সফল হলো তারা। আর পিছনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটলো। উড়ে গেলো হানাদারদের আস্তানা। আহতাব হাঁটুতে ধরে হাঁপাচ্ছিলেন। পাশের ছেলেটাকে ধন্যবাদ দিতে পাশ ফিরে দেখলেন একটা উজ্জ্বল আলোর ভিতর ছেলেটি হারিয়ে যাচ্ছে। তিনি ডাকলেন,
"এই ছেলে কে তুমি?"
"আহনাফ। আমি আহনাফ।"
বলেই ছেলেটা হারিয়ে গেলো। জ্ঞান হারালেন আহতাব।

দাদার মুখে প্রায়ই এই গল্পটা শুনতো আহনাফ। আজ সে ত্রিশ বছরের যুবক। দাদাজান বেঁচে নেই। একশত বছর জীবিত ছিলেন আহনাফের দাদাজান। আহনাফ নিজের ব্যাকপ্যাকটা রেডি করে নিলো প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে। তার দীর্ঘ পাঁচ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম সফল হয়েছে অবশেষে। টাইম ট্রাভেল আবিষ্কার করতে সে সফল। আহনাফ এখন ছুটে চলেছে ১৯৭১ সালে।




ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র:রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে