বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১৯৭১

"জানিস দাদুভাই! ভিষণ গোলাগুলি হচ্ছিল তখন। গেরিলা আক্রমণে আমরা আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি শত্রুদের দিকে। ওরাও থেমে ছিলোনা। একেরপর এক খই ফোটার মতো গুলি করেই যাচ্ছে। এমন সময় আমাদের আবদুল ভাইয়ের বুকে গুলি লাগলো। অবস্থা বেগতিক। কমান্ডার শামসুল ভাইকে বললাম আবদুল ভাই সহ সবাইকে নিয়ে ফিরে যেতে। আমার সাথে দুটো মাইন। পাশাপাশি অস্ত্র আছে। এদিকটা আমি সামলে নিতে পারবো। যদিও মৃত্যু নিশ্চিত। পাকবাহিনী এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে। আমরা তখন অসহায়।"

বলেই একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললেন আহতাব রহমান। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। নিজের সাত বছর বয়সী নাতি আহনাফকে মুক্তিযু্দ্ধের সময়কার তার এক ভয়ংকর লড়াইয়ের গল্প শোনাচ্ছিলেন তিনি। সেদিন যদি সেই ছেলেটা দেবদূত হয়ে না আসতো তাহলে হয়তো আজ তিনি জীবিত থাকতে পারতেন না। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ নাতির নামও সেই ছেলেটার নামে রেখেছেন।
"ও দাদুভাই বলোনা। পরে কি হয়েছিলো?"

নাতির দিকে তাকিয়ে আবারও অতীতে ডুব দিলেন আহতাব।

১৯৭১ সাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণে ঘোষণা দিলেন,
"রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম জয় বাংলা।"

বাঙালির রক্ত টগবগ করছে তখন। বহু বছরের পরাধীনতার জাল ছিঁড়ে বাঙালি মুক্তি চায়। স্বাধীনতা চায়। বঙ্গবন্ধুর ডাক যেন ছিল তারই প্রতিচ্ছবি। আহতাব একজন সরকারি কর্মকর্তা। উপস্থিত হয়েছেন রেসকোর্স ময়দানে। তারও রক্ত টগবগ করছে। মনে মনে একটাই চাওয়া। স্বাধীনতা। বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ২৫ শে মার্চের অতর্কিত হামলা। ৩০ বছরের আহতাব সদ্য বিবাহিত বউ নিয়ে ভিষণ ঝামেলায় পড়লেন। বাইরে হানাদার বাহিনীর হামলা। কি করবেন! কোথায় যাবেন! হতভম্ব হয়ে আছেন আহতাব। অতঃপর বহুকষ্টে প্রাণ বাঁচিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি পৌঁছালেন। হাতের উপর হাত দিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে করলোনা তার। চারিদিকে হাহাকার, বর্বর পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞ। কয়েকজন মিলে চলে গেলেন ভারত ট্রেনিং করার জন্য। একে একে গেরিলা প্রশিক্ষণ, বন্দুক চালনা, মাইন ব্যবহারে পারদর্শী হয়ে উঠলেন সকলে। একের পর এক ধ্বংস করতে লাগলেন শত্রুদের একেকটি বাঙ্কার। এমনই একদিন। শত্রুপক্ষের সাথে তুমুল যুদ্ধ হচ্ছে। চারিদিকে খই ফোটার মতো গুলির আওয়াজ। ওরা ছয়জন এগিয়ে যাচ্ছে শত্রুদের দিকে। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো তখনই। দুজন গুলি খেয়ে সাথে সাথে মারা গেলেন। তখনও চারজনে আক্রমণ চালাচ্ছেন। সবচেয়ে দক্ষ আবদুল রহমানের বুকে গুলি লাগতেই ঘাবড়ে গেলেন সকলে। তাছাড়া গুলিও কেবল কয়েকটা রয়েছে। এখনই ফিরে না গেলে নির্ঘাত প্রাণ যাবে। পাকবাহিনী বুঝতে পারলে মহা ঝামেলা হবে। কাউকে উপস্থিত থেকে তাদের ধোঁকার ভিতর রাখতে হবে। গুলি চালালে পাকবাহিনী দ্রুত আসবেনা এদিকটায়। আহতাব কমান্ডার শামসুলের উদ্দেশ্যে বললেন,
"ভাই, আপনি ওদের নিয়ে চলে যান। আমি এদিকটা সামলাচ্ছি। আবদুল ভাইকে নিয়ে ফিরে যান।"
"আহতাব এটা কি করে সম্ভব! তোমাকে ফেলে কি করে যাবো আমরা। তুমি দক্ষ একজন যোদ্ধা। এমনতেই আমরা দুজনকে হারিয়েছি।"

ভাঙা কন্ঠে বললেন শামসুল। পাকবাহিনী এগিয়ে আসছে। আহতাব চিৎকার করে বললো,
"ভাই, আমার চিন্তা না করে আপনারা ফিরে যান৷ আল্লাহর দোহাই।"

অবস্থা বেগতিক দেখে শামসুল বাধ্য হয়ে বাকি দুজনকে নিয়ে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় মাটিতে পড়ে থাকা দুটো লাশের দিকে তাকিয়ে বুকটা কেঁপে উঠলো তার। চোখ ফেটে এলো জল। দ্রুত চোখ মুছে প্রস্থান করলেন তিনি। আহতাব একা একাই গুলি চালাচ্ছে। একসময় ফুরিয়ে এলো গুলি। পাকবাহিনী ধরে ফেললো আহতাবকে। স্কুল মাঠের বাঙ্কারে বেঁধে নিয়ে চললো তাকে। কর্নেল ওসমানের সামনে হাজির করা হয় আহতাবকে। কর্নেল ঘৃণার দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রাজাকার মোল্লাকে উর্দুতে বললেন,
"ওকে বলো আস্তানার ঠিকানা বলতে। তাহলে ওকে ছেড়ে দেওয়া হবে।"

মোল্লা পান খাওয়া লাল দাঁত দিয়ে ভ্যাবলা হেসে বললেন,
"জ্বে, স্যার।"
"আহতাব মিয়া জলদি কইরা ঠিকানা কইয়া দাও স্যাররে।"

আহতাব বললেন,
"কিসের ঠিকানা?"
"তোমাগো আস্তানার।"
"মেরে ফেললেও বলবোনা।"

মোল্লা বিরক্তির সাথে তাকিয়ে আধাভাঙা উর্দুতে কর্নেল ওসমানকে বললেন,
"স্যার, আহতাব নাকি কহেগা নেহি।"

পাশে থাকা পানির গ্লাসটা আহতাবের মাথায় ছুড়ে মারলেন ওসমান। হুংকার ছাড়লেন। মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে অথচ আহতাব নির্বিকার। প্রচুর মারধর করা হলো তাকে। রাত দুইটায় নদীর পাড় নিয়ে গুলি করা হবে । বাঙ্কারের এককোনায় বেঁধে রাখা হলো তাকে। ক্লান্ত, ব্যথায় ক্লিষ্ট আহতাব নিবুনিবু চোখে নিজের মৃত্যুর অপেক্ষা করছেন। এমন সময় একটা আলো জ্বলে উঠলো চোখের সামনে। কে যেন এগিয়ে আসছে।
"এই যে। আপনি ঠিক আছেন? আপনি কি আহতাব রহমান?"
"হুম"

বলে আবার চোখ বুজলেন আহতাব। শরীরে প্রচুর ব্যথা। আস্তে আস্তে ব্যথাগুলো দূর হতে লাগলো। ক্লান্তি কেটে যাচ্ছে। শরীরে শক্তি ফিরে পাচ্ছেন আহতাব। আচমকা তিনি চোখ মেলে পাশে চিন্তিত এক যুবককে দেখতে পেলেন।
"কে? কে তুমি?"
"সেসব কথা পরে হবে আপনি আমার সাথে বাইরে চলুন।"

বলেই আহতাব সাহেবের হাতের বাঁধন খুলে দিলো ছেলেটি। আহতাব মুক্ত হলেন। আফসোস হচ্ছে মাইন দুটো নিয়ে নিয়েছে পাকবাহিনী। সাথে অস্ত্রও নেই। ফর্সা যুবকটা কাঁধের ব্যাগ হাতে নিয়ে কি যেন একটা বের করলো।

"এটা কি?"
"আপনাদের ভাষায় মাইন। তবে আরো শক্তিশালী।"

বলেই বাঙ্কারের মাটিতে পুঁতে দিলো মাইনটি। আহতাব অবাক হয়ে যুকটিকে দেখে যাচ্ছেন। এমন পোশাক পরিহিত মানুষ তিনি কখনো দেখেননি।
"আপনি এই অস্ত্রটি ধরুন।"

বন্দুকের মতো একটা অস্ত্র ছেলেটি ধরিয়ে দিলো আহতাব সাহেবের হাতে। আহতাব বিস্ময় নিয়ে বললেন,
"তুমি পাকবাহিনীর লোক?"
ছেলেটা একটু হাসলো। মাথা নেড়ে না জানালো।
"আপনি পরে আমাকে প্রশ্ন করবেন। আগে বাইরে চলুন। দশমিনিটের মাঝে মাইন ফেটে যাবে।"

বের হওয়ার কালে একজন সিপাহি দেখে ফেললো তাদের। ঘাবড়ে গেলেন আহতাব। যুবক ঘাবড়ালো না। বন্ধুক দিয়ে গুলি ছুড়লো। সোজা মাথায় লেগেছে সিপাহির। অথচ কোনো শব্দ হলোনা। সিপাহি আর্তনাদ করে পরে যেতেই দৌড়ে বাইরে বের হওয়ার কালে আবার বিপত্তি ঘটলো। আহতাবকে দেখে ফেললেন কর্নেল। হুংকার ছেড়ে দৌড়ে বের হতে নিতেই যুবক আবার গুলি করলো তাকে। আশেপাশে কোনো হানাদার নেই। তারা বেশিরভাগই অন্য বাঙ্কারে অবস্থান করছে। হাতে তখন পাঁচ মিনিট। মিনিমাম একশ মিটার দূরে না সরতে পারলে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত। বহুকষ্টে দৌড়ে বাইরে পালাতে সফল হলো তারা। আর পিছনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটলো। উড়ে গেলো হানাদারদের আস্তানা। আহতাব হাঁটুতে ধরে হাঁপাচ্ছিলেন। পাশের ছেলেটাকে ধন্যবাদ দিতে পাশ ফিরে দেখলেন একটা উজ্জ্বল আলোর ভিতর ছেলেটি হারিয়ে যাচ্ছে। তিনি ডাকলেন,
"এই ছেলে কে তুমি?"
"আহনাফ। আমি আহনাফ।"
বলেই ছেলেটা হারিয়ে গেলো। জ্ঞান হারালেন আহতাব।

দাদার মুখে প্রায়ই এই গল্পটা শুনতো আহনাফ। আজ সে ত্রিশ বছরের যুবক। দাদাজান বেঁচে নেই। একশত বছর জীবিত ছিলেন আহনাফের দাদাজান। আহনাফ নিজের ব্যাকপ্যাকটা রেডি করে নিলো প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে। তার দীর্ঘ পাঁচ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম সফল হয়েছে অবশেষে। টাইম ট্রাভেল আবিষ্কার করতে সে সফল। আহনাফ এখন ছুটে চলেছে ১৯৭১ সালে।




ডিএসএস/ 

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া