রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমছে: ড. মোয়াজ্জেম

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম

সরবরাহ চেইন নষ্ট হলে নেতিবাচক পরিস্থিতির দিকে যেতে পারে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডির) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, খাদ্য সংকটের নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সরকার প্রধান হয়ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এখনো আমাদের সেরকম পরিস্থিতি হয়নি যে এটাকে দুর্ভিক্ষ বলা যবে। ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সব কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহজাহান মোল্লা।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু দিন ধরেই বলছেন দুর্ভিক্ষ আসতে পারে। তার এই আশঙ্কার কারণ কী বলে মনে করেন?

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ যাচ্ছে। খাদ্য সরবরাহ রয়েছে, কিন্তু খাদ্য কেনার ক্ষমতা আস্তে আস্তে মানুষের কমে যাচ্ছে। ফলে এই বিষয়টাই অনেক সময় দুর্ভাগ্যের কারণ হয়ে যায়। বাজারে হয়ত পণ্য থাকবে কিন্তু পণ্য কেনার ক্রয় ক্ষমতা মানুষের থাকবে না। আগের দুর্ভিক্ষগুলোর ঐতিহাসিক ইঙ্গিত তাই দেয়। তবে এখনো আমাদের সে রকম পরিস্থিতি হয়নি, যে এটাকে দুর্ভিক্ষ বলা যাবে। বরং এই মুহূর্তে উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য মানুষের খাদ্য কেনায় সংকোচন করতে হচ্ছে, পুষ্টি নিরাপত্তায় আঘাত পড়ছে, খাদ্য নিরাপত্তায় আঘাত পড়ছে। এরমধ্যে দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতির জন্য দারিদ্রও বাড়ছে। এরকম পরিস্থিতির জন্য, আগামী বছরের জন্য যে ধরনের অবস্থা দাঁড়াতে পারে, আমাদের যে সমস্ত পণ্য আমদানি করতে হয় বা খাদ্যের জন্য যেসমস্ত কাঁচামাল আমদানি করতে হয় সেগুলোর সরবরাহ যদি আস্তে আস্তে সংকুচিত হয়, কোনো কারণে বা সেগুলোর যদি মূল্য বেড়ে যায় বা ডলারের যে রিজার্ভ তার কারণে যদি আমদানি পর্যাপ্তভাবে না করতে পারি তাহলে পণ্য সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

সেই প্রেক্ষাপটেই আগাম সতর্ক বাণী দিয়ে রাখা। যদি মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকে এবং খাদ্য সরবরাহ যদি এখনকার মতো না থাকে তার জন্য আগাম প্রস্তুতি দরকার। সেটার জন্য যেন মানুষ এখনই সতর্ক হয়। সতর্ক অনেকভাবে করা যায়। যারা উৎপাদন করে তারা যেন যার যতটুকু জমি আছে সেটাতেই যেন তারা উৎপাদনে যায়। যার আয় আছে, আয় থেকে কম ব্যয় করে সঞ্চয় করা।

ঢাকাপ্রকাশ: এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকারের কী করা দরকার?

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম: সরকারের দরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি আরও বাড়ানো। যদি এরকম পরিস্থিতি হয় তার জন্য দরকার হলে অর্থের ব্যবস্থা রাখা। আমদানির প্রয়োজন হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো। বৈদেশিক উৎস ঋণ করা যেতে পারে। এই প্রস্তুতিগুলোর অংশ হিসেবে আগাম সতর্কবাণী হয়ত দিয়ে রাখা। নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য সকলে যেন প্রস্তুত থাকে। সরকার প্রধান হিসেবে তিনি এরকম একটা মেসেজ আগাম দিয়ে রাখতে চাচ্ছেন, যেন সকলে এখনই প্রস্তুত থাকেন। হঠাৎ করে যদি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আসে তখন যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আমাদের জন্য কষ্ট হবে।

এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাজারে শুধু খাদ্য সরবরাহ থাকলে চলবে না, খাদ্য কেনার সামর্থ্য থাকতে হবে। খাদ্য মূল্য যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে ফলে আগামী বছর ওই চ্যালেঞ্জটা আবারও বাড়বে। খাদ্য উৎপাদন যতটুকু হয় ততটুকুই হয়ত হবে, কিন্তু উচ্চ মূল্যের জন্য মানুষ হয়ত কিনতে পারবে না। এজন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি আরও বাড়ানো দরকার হতে পারে। সরকারকে নিজের উদ্যোগে আমাদনি করে সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। এজন্য বৈদেশিক ঋণের সাহায্য নেওয়ার মাধ্যমে রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। টাকার যত অবমূল্যায়ন হবে তত আমদানি ব্যয় বাড়বে, তত খাদ্য মূল্য বাড়বে। ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার থাকা দরকার। প্রয়োজনবোধে বিদেশি উৎস থেকে ঋণ করা যেতে পারে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক