শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পণ্য থাকলেও কেনার সামর্থ্য থাকবে না মানুষের: ড. জাহিদ

বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা উড়িয়ে না দিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিতে বললেন বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া মোবাইল সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে আর ডলারের যে পরিস্থিতি তাতে এমন একটা সময় আসতে পারে দেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য থাকলেও মানুষের কেনার সামর্থ্য থাকবে না। তাই এখন থেকেই আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দুর্ভিক্ষের যে আশঙ্কার কথা বলেছেন তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহজাহান মোল্লা। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—

ঢাকাপ্রকাশ: দুর্ভিক্ষ হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা বেশ কিছুদিন ধরে বলছেন সরকার প্রধান। আসলেই কি পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে?

ড. জাহিদ হোসেন: আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সেপ্টেম্বরের রিপোর্টে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে এমন ৪৫টি দেশের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তারমধ্যে বাংলাদেশও আছে। তা ছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) তারাও এরকম একটা আশঙ্কার কথা বলেছে। যেহেতু ইউক্রেন হচ্ছে গ্রেনারি অব দ্য ওয়ার্ল্ড। সারাবিশ্বে গমের সরবরাহের প্রায় ২০-২২ শতাংশ আসে ইউক্রেন থেকে। অন্যদিকে ব্লাক সি ব্লকেডের কারণে উৎপাদন থাকলেও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যুদ্ধের কারণে। তাই বিশ্বব্যাপী একটা সংকট আছে। আবার বৈরি আবহাওয়ায় অনেক খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে যেমন পাকিস্তানে বিশাল বন্যা হয়েছে। ভারতেও কিছু এলাকায় বন্যা হয়েছে। ধান এবং গমের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈরি আবহাওয়া, যুদ্ধ, সরবরাহে সমস্যা, এগুলোর কারণে সারাবিশ্বে খাদ্য সংকটের ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যদি মন্দা হয় তাহলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে। এর ফলে একটা দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি হতে পারে।

দেখেন, দুর্ভিক্ষ হয় দুটো জিনিস যখন ঘটে। একটা খাদ্যের যোগান যথেষ্ট না থাকলে। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে— যোগান থাকলেও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি আছে। ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি দু’কারণে হতে পারে, একটা হচ্ছে খাদ্যের মূল্য অনেক উচ্চ পর্যায়ে থাকে, মানুষ কিনতে পারছে না। অথবা আয় যদি না থাকে।

ঢাকাপ্রকাশ: বাংলাদেশে কি সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে?

ড. জাহিদ হোসেন: বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যোগানের দিকে এপ্রিল মাসে আগাম বন্যার কারণে আউশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমন একটা দীর্ঘ খরার মধ্যে দিয়ে গেছে। এখনো খরাটা কাটেনি। কাজেই আমন তো একটা বড় ফসল। ফলে নরমালি যে পরিমাণ আমন উৎপাদন হয় এ বছর হয়ত ততটা হবে না। তা ছাড়া বোরো হচ্ছে সেচ নির্ভর, সার নির্ভর। দেশে বিদ্যুতের যে অবস্থা, ডিজেল সরবরাহের যে অবস্থা। ঢাকাতেও দুই ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং, ঢাকার বাইরের কী অবস্থা। যেখানে ডেসকো, ডেসা, সামাল দিতে পারছে না, পিডিবি সামাল দিতে পারছে না, আরইবি কীভাবে সামাল দেবে? বিদ্যুৎ যদি সেচে ব্যবহার না করতে পারি, ডিজেল যদি পর্যাপ্ত না হয়, তাহলে তো বোরো উৎপাদনেও ধাক্কা আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমার বিকল্প হলো আমদানি। আমদানির ক্ষেত্রে বড় বড় সরবরাহকারী দেশগুলো যেমন— ফিলিপিনস, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম। এইসব দেশ কিন্তু চাল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। তারা হয় শুল্ক বাড়াচ্ছে নয়তো নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। তারা আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে চায়। যেটা স্বাভাবিক।

ঢাকাপ্রকাশ: সরকার তো বিকল্প উৎস থেকে খাদ্যপণ্য আমদানির পরিকল্পনাও করেছিল। তা দিয়ে কি মোকাবিলা করা সম্ভব?

ড. জাহিদ হোসেন: সরকার আমদানির জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল। আমদানির জন্য ব্যক্তি খাতে শুল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। এমনকি ২/৩টা প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়। সেগুলোর কি অবস্থা জানি না। আমদানি যদি সময় মতো দেশে এসে না পৌঁছায় তাহলে তো যোগানে একটা ঘাটতি দেখা দেবে। এখন মূল্যস্ফীতি তো ৯ শতাংশের উপরে। সেখানে তো মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে, ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সব বিবেচনা করেই দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাটা।

ঢাকাপ্রকাশ: এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী?

ড. জাহিদ হোসেন: বের হওয়ার একটাই উপায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে জোর দিতে হবে বেশি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর তো কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। দেখা যাবে খাদ্যপণ্য পাওয়া গেল কিন্তু কেনা গেল না। ২০০৮ সালের অভিজ্ঞতাটা অনেকটা একই ধরণের ছিল। প্রথমে আগস্টে বন্যা হলো, সেপ্টেম্বরে আবার বন্যা তারপর নভেম্বরে আসল সাইক্লোন ‘সিডর’। যার কারণে আমন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আন্তর্জাতিক বাজারে কেউ চাল বিক্রি করছিল না। সবাই চালের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তখন বোরোতে বাম্পার ফলন এক নম্বর প্রায়োরিটি ছিল। উৎপাদন নরমালের চেয়ে অনেক বেশি করতে হবে। সেজন্য পানি, সার, কীটনাশক এবং যন্ত্রের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করার জন্য শতভাগ অ্যাফোর্ট দরকার ছিল। আমাদের বোরো ধানের চাষটা ওভাবেই দেখতে হবে। আমন-আউশের ক্ষতি কীভাবে বোরো দিয়ে পুষিয়ে নিতে পারি ভাবতে হবে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহারটা কোথায় অগ্রাধিকার দেবেন সেটা নির্ধারণ করতে হবে। দেখা গেল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য ডিজেল, এলএনজি, কিনব না, সেটা না কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে ঘাটতি সেটার কারণে বৈদেশিক মুদ্রা লোকসান হবে বেশি। উৎপাদনে ঘাটতি হলে চাল আমদানি করা লাগতে পারে, সুতা আমদানি করতে হতে পারে।

ব্যবসায়ীরা এলএনজি আমদানির জন্য প্রস্তুত। তাতে মাসে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দরকার। এটা না আনলে একদিকে দৃশ্যমান সাশ্রয় দেখা যাবে। বাস্তবে যে ক্ষতিটা দৃশ্যমান না সেটা হলো আমদানিতে ক্ষতি হবে। ব্যবসায়ীরা বিটিএমই থেকে সুতা না কিনে চায়না থেকে কিনবে। সেখানে তো আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে।

আমাদের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার কথা মনে করিয়ে দেয়। শ্রীলঙ্কা সার এর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য। তাতে তাদের ৪০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হলো। কিন্তু ওটা না করার ফলে যে চাল আমদানি করতে হলো তাতে তাদের ব্যয় হলো ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। সে সময় সার ও অন্যান্য কীটনাশক পর্যাপ্ততা না থাকায় চায়ের উৎপাদন কমে গেল। সেখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়টা কমে গেল, তাতে কি হলো হিতে বিপরীত। বিদ্যুৎ উৎপাদন যেহেতু সব খাতকে প্রভাব ফেলে- সরাসরি সেখানে কৃষি, সেবা, শিল্প খাত তো বটেই। গ্যাসের সরবরাহ যাতে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়, ডিজেল সরবরাহ, বিদ্যুৎ এবং সেচের জন্য যেন থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা তো প্রতিদিনই বাংলাদেশ ব্যাংক বিক্রি করছে। সেগুলো কিসের জন্য বিক্রি করছে? প্রতিদিনই তো ৬০, ৭০ কোনো দিন ১০০ মিলিয়ন ডলার করে বিক্রি হচ্ছে জরুরি আমদানির জন্য? ডিজেল কী জরুরি আমদানি না? সার কী জরুরি আমদানি না? এলএনজি কী জরুরি আমদানি না? সেগুলোকে যদি অগ্রাধিকার না করি তাহলে তো লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে মানুষ কী কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে?

ড. জাহিদ হোসেন: এখনই যেসকল মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে আছে, তারা অনেক কষ্টে আছে। এখন ওদের তো দুর্ভিক্ষের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না, ওরা এরইমধ্যে কষ্টে আছে। সরকার ফ্যামিলি কার্ড সিস্টেম চালু করেছে। কথা হচ্ছে, যে মানুষগুলো কষ্টে আছে তারা কী পাচ্ছে? এক কোটি পরিবারের জন্য করা হচ্ছে। কিন্তু দরিদ্রের সংখ্যাটি তো অনেক বেশি। তারা এখন জীবিকার যুদ্ধে আছেন। তাই খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি আরও বাড়াতে হবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সকল সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ভ্যান (পাখিভ্যান) ও  ইজিবাইক চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আগামীকাল রোববারের মধ্যে প্রশাসন তাদের দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে সোমবার সকাল থেকে জেলার সকল পথে পরিবহন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত  এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।  সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈন উদ্দিন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগে জেলায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক,পাখিভ্যান, থ্রি হুইলার সহ অন্য অবৈধ যানগুলো যেভাবে চলাচল করতো, সেভাবেই তারা চলাচল করুক এই দাবিতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। প্রশাসন বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা সেটা রক্ষা করেনি।

কর্মসূচি ঘোষণাকালে বলা হয়, ২৩ ডিসেম্বর সোমবার থেকে টানা দুইদিন পরিবহন চলাচল বন্ধের মধ্যে প্রশাসন যদি বসে সমাধানের উদ্যোগ না নেয়, তাহলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে অভ্যন্তরীণ পথের পাশাপাশি দূরপাল্লার সকল রুটে পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান ইমাম বকুল, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম সহ সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারীরা একটি মসজিদে আগুন লাগিয়ে ভবনের দেওয়ালে বিদ্বেষমূলক স্লোগান লিখে গেছে। শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) জুমার দিন সকালে সালফিতের মারদা গ্রামে বার আল-ওয়ালিদাইন মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদের সামনের দেয়ালে হিব্রু ভাষায় ‘প্রতিশোধ’, ‘আরবদের মৃত্যু হোক’সহ বিভিন্ন স্লোগান লিখে রেখেছেন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা। এ ছাড়া উত্তর পশ্চিম তীরের মারদা গ্রামের মসজিদের প্রবেশপথে কালো পোড়া দাগ দেখা গেছে। তবে আগুন বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নেভানো হয়।

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থল থেকে সাক্ষ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করছে।

মারদা গ্রাম পরিষদের প্রধান নাসফাত আল-খুফাশ বলেন, শুক্রবার মারদা গ্রাম একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলায় জেগে উঠল। বসতিস্থাপনকারী গোষ্ঠী বীর আল-ওয়ালিদিন মসজিদে আগুন দেয়। বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীগুলোর এই ধরনের আক্রমণ ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত।

ইসরায়েলি পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করে। দোষীদের কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে তারা দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে।

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আক্রমণকে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সংঘটিত অপরাধের ধারাবাহিক সর্বশেষ ঘটনা বলে নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় সহায়তার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৭ লক্ষাধিক ইসরায়েলি বসবাস করে। ১৯৬৭ সালে এই দুটি অঞ্চল দখল করে নেয় ইসরায়েল। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই দখলকৃত ভূমিতে গড়ে ওঠা ইসরায়েলি বসতিগুলোকে অবৈধ বলে মনে করে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণ চালানোর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০

গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ইসলামি জলসাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পল্টন মোড়ে।

সাবেক ওই আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমানে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে। এর আগে তিনি বগুড়া শহর যুবলীগের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, সাঘাটা ইউনিয়নের সরদারপাড়া গ্রামে একটি ইসলামি মাহফিলের আয়োজনে অতিথি করাকে কেন্দ্র করে উপজেলার পল্টন মোড়ে জামায়াত-বিএনপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হন।

পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাঘাটা উপজেলা ও জেলা বিএনপির সদস্য কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপিতে যোগদান করা সাবেক যুবলীগ নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাদকে একটি ইসলামি মাহফিলে অতিথি করেন জামায়াতের আয়োজকরা। সেখানে উপজেলা বিএনপির প্রকৃত কোনও নেতাকে অতিথির তালিকায় রাখা হয়নি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপকে মারপিট ও মাথায় আঘাত করা হয়। পরে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় অভিযোগ দিতে জেলা বিএনপির নেতারা থানায় আসেন বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম জানান, একটি ইসলামি মাহফিলকে কেন্দ্র করে মূলত জামায়াত-বিএনপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের ৮ থেকে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার