রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ১২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পণ্য থাকলেও কেনার সামর্থ্য থাকবে না মানুষের: ড. জাহিদ

বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা উড়িয়ে না দিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিতে বললেন বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া মোবাইল সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে আর ডলারের যে পরিস্থিতি তাতে এমন একটা সময় আসতে পারে দেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য থাকলেও মানুষের কেনার সামর্থ্য থাকবে না। তাই এখন থেকেই আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দুর্ভিক্ষের যে আশঙ্কার কথা বলেছেন তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহজাহান মোল্লা। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—

ঢাকাপ্রকাশ: দুর্ভিক্ষ হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা বেশ কিছুদিন ধরে বলছেন সরকার প্রধান। আসলেই কি পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে?

ড. জাহিদ হোসেন: আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সেপ্টেম্বরের রিপোর্টে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে এমন ৪৫টি দেশের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তারমধ্যে বাংলাদেশও আছে। তা ছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) তারাও এরকম একটা আশঙ্কার কথা বলেছে। যেহেতু ইউক্রেন হচ্ছে গ্রেনারি অব দ্য ওয়ার্ল্ড। সারাবিশ্বে গমের সরবরাহের প্রায় ২০-২২ শতাংশ আসে ইউক্রেন থেকে। অন্যদিকে ব্লাক সি ব্লকেডের কারণে উৎপাদন থাকলেও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যুদ্ধের কারণে। তাই বিশ্বব্যাপী একটা সংকট আছে। আবার বৈরি আবহাওয়ায় অনেক খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে যেমন পাকিস্তানে বিশাল বন্যা হয়েছে। ভারতেও কিছু এলাকায় বন্যা হয়েছে। ধান এবং গমের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈরি আবহাওয়া, যুদ্ধ, সরবরাহে সমস্যা, এগুলোর কারণে সারাবিশ্বে খাদ্য সংকটের ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যদি মন্দা হয় তাহলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে। এর ফলে একটা দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি হতে পারে।

দেখেন, দুর্ভিক্ষ হয় দুটো জিনিস যখন ঘটে। একটা খাদ্যের যোগান যথেষ্ট না থাকলে। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে— যোগান থাকলেও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি আছে। ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি দু’কারণে হতে পারে, একটা হচ্ছে খাদ্যের মূল্য অনেক উচ্চ পর্যায়ে থাকে, মানুষ কিনতে পারছে না। অথবা আয় যদি না থাকে।

ঢাকাপ্রকাশ: বাংলাদেশে কি সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে?

ড. জাহিদ হোসেন: বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যোগানের দিকে এপ্রিল মাসে আগাম বন্যার কারণে আউশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমন একটা দীর্ঘ খরার মধ্যে দিয়ে গেছে। এখনো খরাটা কাটেনি। কাজেই আমন তো একটা বড় ফসল। ফলে নরমালি যে পরিমাণ আমন উৎপাদন হয় এ বছর হয়ত ততটা হবে না। তা ছাড়া বোরো হচ্ছে সেচ নির্ভর, সার নির্ভর। দেশে বিদ্যুতের যে অবস্থা, ডিজেল সরবরাহের যে অবস্থা। ঢাকাতেও দুই ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং, ঢাকার বাইরের কী অবস্থা। যেখানে ডেসকো, ডেসা, সামাল দিতে পারছে না, পিডিবি সামাল দিতে পারছে না, আরইবি কীভাবে সামাল দেবে? বিদ্যুৎ যদি সেচে ব্যবহার না করতে পারি, ডিজেল যদি পর্যাপ্ত না হয়, তাহলে তো বোরো উৎপাদনেও ধাক্কা আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমার বিকল্প হলো আমদানি। আমদানির ক্ষেত্রে বড় বড় সরবরাহকারী দেশগুলো যেমন— ফিলিপিনস, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম। এইসব দেশ কিন্তু চাল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। তারা হয় শুল্ক বাড়াচ্ছে নয়তো নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। তারা আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে চায়। যেটা স্বাভাবিক।

ঢাকাপ্রকাশ: সরকার তো বিকল্প উৎস থেকে খাদ্যপণ্য আমদানির পরিকল্পনাও করেছিল। তা দিয়ে কি মোকাবিলা করা সম্ভব?

ড. জাহিদ হোসেন: সরকার আমদানির জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল। আমদানির জন্য ব্যক্তি খাতে শুল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। এমনকি ২/৩টা প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়। সেগুলোর কি অবস্থা জানি না। আমদানি যদি সময় মতো দেশে এসে না পৌঁছায় তাহলে তো যোগানে একটা ঘাটতি দেখা দেবে। এখন মূল্যস্ফীতি তো ৯ শতাংশের উপরে। সেখানে তো মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে, ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সব বিবেচনা করেই দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাটা।

ঢাকাপ্রকাশ: এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী?

ড. জাহিদ হোসেন: বের হওয়ার একটাই উপায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে জোর দিতে হবে বেশি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর তো কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। দেখা যাবে খাদ্যপণ্য পাওয়া গেল কিন্তু কেনা গেল না। ২০০৮ সালের অভিজ্ঞতাটা অনেকটা একই ধরণের ছিল। প্রথমে আগস্টে বন্যা হলো, সেপ্টেম্বরে আবার বন্যা তারপর নভেম্বরে আসল সাইক্লোন ‘সিডর’। যার কারণে আমন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আন্তর্জাতিক বাজারে কেউ চাল বিক্রি করছিল না। সবাই চালের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তখন বোরোতে বাম্পার ফলন এক নম্বর প্রায়োরিটি ছিল। উৎপাদন নরমালের চেয়ে অনেক বেশি করতে হবে। সেজন্য পানি, সার, কীটনাশক এবং যন্ত্রের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করার জন্য শতভাগ অ্যাফোর্ট দরকার ছিল। আমাদের বোরো ধানের চাষটা ওভাবেই দেখতে হবে। আমন-আউশের ক্ষতি কীভাবে বোরো দিয়ে পুষিয়ে নিতে পারি ভাবতে হবে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহারটা কোথায় অগ্রাধিকার দেবেন সেটা নির্ধারণ করতে হবে। দেখা গেল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য ডিজেল, এলএনজি, কিনব না, সেটা না কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে ঘাটতি সেটার কারণে বৈদেশিক মুদ্রা লোকসান হবে বেশি। উৎপাদনে ঘাটতি হলে চাল আমদানি করা লাগতে পারে, সুতা আমদানি করতে হতে পারে।

ব্যবসায়ীরা এলএনজি আমদানির জন্য প্রস্তুত। তাতে মাসে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দরকার। এটা না আনলে একদিকে দৃশ্যমান সাশ্রয় দেখা যাবে। বাস্তবে যে ক্ষতিটা দৃশ্যমান না সেটা হলো আমদানিতে ক্ষতি হবে। ব্যবসায়ীরা বিটিএমই থেকে সুতা না কিনে চায়না থেকে কিনবে। সেখানে তো আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে।

আমাদের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার কথা মনে করিয়ে দেয়। শ্রীলঙ্কা সার এর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য। তাতে তাদের ৪০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হলো। কিন্তু ওটা না করার ফলে যে চাল আমদানি করতে হলো তাতে তাদের ব্যয় হলো ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। সে সময় সার ও অন্যান্য কীটনাশক পর্যাপ্ততা না থাকায় চায়ের উৎপাদন কমে গেল। সেখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়টা কমে গেল, তাতে কি হলো হিতে বিপরীত। বিদ্যুৎ উৎপাদন যেহেতু সব খাতকে প্রভাব ফেলে- সরাসরি সেখানে কৃষি, সেবা, শিল্প খাত তো বটেই। গ্যাসের সরবরাহ যাতে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়, ডিজেল সরবরাহ, বিদ্যুৎ এবং সেচের জন্য যেন থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা তো প্রতিদিনই বাংলাদেশ ব্যাংক বিক্রি করছে। সেগুলো কিসের জন্য বিক্রি করছে? প্রতিদিনই তো ৬০, ৭০ কোনো দিন ১০০ মিলিয়ন ডলার করে বিক্রি হচ্ছে জরুরি আমদানির জন্য? ডিজেল কী জরুরি আমদানি না? সার কী জরুরি আমদানি না? এলএনজি কী জরুরি আমদানি না? সেগুলোকে যদি অগ্রাধিকার না করি তাহলে তো লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে মানুষ কী কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে?

ড. জাহিদ হোসেন: এখনই যেসকল মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে আছে, তারা অনেক কষ্টে আছে। এখন ওদের তো দুর্ভিক্ষের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না, ওরা এরইমধ্যে কষ্টে আছে। সরকার ফ্যামিলি কার্ড সিস্টেম চালু করেছে। কথা হচ্ছে, যে মানুষগুলো কষ্টে আছে তারা কী পাচ্ছে? এক কোটি পরিবারের জন্য করা হচ্ছে। কিন্তু দরিদ্রের সংখ্যাটি তো অনেক বেশি। তারা এখন জীবিকার যুদ্ধে আছেন। তাই খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি আরও বাড়াতে হবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

দেশের প্রথম সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ মারা গেছেন

কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম। ছবি: সংগৃহীত

দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান ছিলেন তিনি।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কে এম সফিউল্লাহর ব্যক্তিগত সহকারী জিয়ার রহমান মনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রণাঙ্গনের এ বীর। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি।

১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেন কে এম সফিউল্লাহ। ১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে একটিতে নেতৃত্ব দেন সফিউল্লাহ। তার নামানুসারে সেই ফোর্সের নাম ছিল ‘এস’ ফোর্স। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ‘বীর উত্তম’ (দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পুরস্কার) খেতাবও পান তিনি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন সফিউল্লাহ। পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর ঘোষণা  

ছবিঃ সংগৃহীত

৫ আগষ্ট হাসিনা সরকার পতনের পর পাকিস্তান আর বাংলাদেশের বানিজ্য যাত্রা নতুন মাত্রা শুরু হয়েছে। গত কিছুদিন আগে চাল এসছে সমুদ্র পথে। সমুদ্রের পর এবার আকাশপথেও বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। চলতি বছর যেকোনো সময় চালু হবে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে কাজ চলছে ভিসা জটিলতা নিরসন নিয়েও।

এবার পাকিস্তানের সাথে সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হুসেইন। এতে করে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শনিবার দেশটির কাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে ইকবাল হুসেইন দুই দেশের মধ্যে গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের ওপর জোর দেন এবং ভ্রমণ ও যোগাযোগের সুবিধার্থে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

তিনি উল্লেখ করেছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ উভয় দেশের মধ্যে পর্যটন, শিক্ষা এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াবে। হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন এবং এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন এবং উল্লেখ করেন, কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া তরুণ প্রজন্মকে তাদের অধিকারের কথা বলার ক্ষমতা দিয়েছে এবং সেটি দেশে বাকস্বাধীনতার শক্তিশালী সংস্কৃতিতে অবদান রেখেছে।

হাইকমিশনার ইকবাল হুসেইন খাইবার পাখতুনখাওয়াতে বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা এবং শিল্প খাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদার কথাও উল্লেখ করেন এবং এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম এবং করাচিকে সংযুক্তকারী শিপিং রুটের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চলছে বলেও জানান।

হাইকমিশনার বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন এবং প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার দেশের ফোকাস রয়েছে বলেও পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যতিক্রমী সক্ষমতার জন্য পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রশংসাও করেন।

Header Ad
Header Ad

১৪ যুগ্ম জেলা জজকে পদোন্নতি  

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ১৪ জন যুগ্ম জেলা জজকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৫ এর সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

পদোন্নতি দিয়ে তাদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।

পদোন্নতি পাওয়া বিচারকরা হলেন এস, এম, মাসুদ আমান, সেলিনা আক্তার, ফারহানা ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আব্দুল হাই, অসীম কুমার দে, খালেদা ইয়াসমিন, আব্দুল কুদ্দুস, মোছা. রুবিনা পারভীন, সানজিদা আফরীন দীবা, মো. আব্দুল্লল্লাহ আল মামুন, মো. কামরুজ্জামান, মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন, মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন ইকবাল এবং মো. শাহিনুর রহমান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের প্রথম সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ মারা গেছেন
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর ঘোষণা  
১৪ যুগ্ম জেলা জজকে পদোন্নতি  
নওগাঁয় আকাশে ঝলমলে রোদ, তবুও তাপমাত্রা সর্বনিম্ন
১৯৭১ সালের আগে জন্মালে আমাকেও রাজাকার উপাধি দিতো: আজহারী  
মেসে মিলল জবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ পুলিশের ধরণা আত্মহত্যা  
যুদ্ধ বাধিয়ে অস্ত্র বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড  
আজ গুলশান ২, যে কারণে এড়িয়ে চলবেন  
সুদানের হাসপাতালে ড্রোন হামলা, নিহত ৬৭  
বিপিএলের মাঝপথে অস্ট্রেলিয়ান 'হোস্ট' নিয়োগ দিলো ঢাকা  
ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চায় তারা: পরীমণি  
১৪ আদিবাসী জুম্ম জাতি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে : সন্তু লারমা  
কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত    
বছরের প্রথম উন্মুক্ত কনসার্টে গাইবেন জেমসসহ ৭ ব্যান্ড
বাংলা একাডেমি পুরস্কারের ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত
আ. লীগের মন্ত্রী-এমপিদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ‘আপা’ নামে যুক্ত শেখ হাসিনা
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ২০০ ফিলিস্তিনি
গ্রামীণ ট্রাস্টের মালিকানায় আসছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়
বৌভাতের অনুষ্ঠানে পান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩
পরীমণির আগমন ঠেকাতে মুসল্লীদের কর্মসূচি, চাপে অনুষ্ঠান স্থগিত