বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

পণ্য থাকলেও কেনার সামর্থ্য থাকবে না মানুষের: ড. জাহিদ

বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা উড়িয়ে না দিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিতে বললেন বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া মোবাইল সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে আর ডলারের যে পরিস্থিতি তাতে এমন একটা সময় আসতে পারে দেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য থাকলেও মানুষের কেনার সামর্থ্য থাকবে না। তাই এখন থেকেই আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দুর্ভিক্ষের যে আশঙ্কার কথা বলেছেন তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহজাহান মোল্লা। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—

ঢাকাপ্রকাশ: দুর্ভিক্ষ হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা বেশ কিছুদিন ধরে বলছেন সরকার প্রধান। আসলেই কি পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে?

ড. জাহিদ হোসেন: আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সেপ্টেম্বরের রিপোর্টে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে এমন ৪৫টি দেশের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তারমধ্যে বাংলাদেশও আছে। তা ছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) তারাও এরকম একটা আশঙ্কার কথা বলেছে। যেহেতু ইউক্রেন হচ্ছে গ্রেনারি অব দ্য ওয়ার্ল্ড। সারাবিশ্বে গমের সরবরাহের প্রায় ২০-২২ শতাংশ আসে ইউক্রেন থেকে। অন্যদিকে ব্লাক সি ব্লকেডের কারণে উৎপাদন থাকলেও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যুদ্ধের কারণে। তাই বিশ্বব্যাপী একটা সংকট আছে। আবার বৈরি আবহাওয়ায় অনেক খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে যেমন পাকিস্তানে বিশাল বন্যা হয়েছে। ভারতেও কিছু এলাকায় বন্যা হয়েছে। ধান এবং গমের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈরি আবহাওয়া, যুদ্ধ, সরবরাহে সমস্যা, এগুলোর কারণে সারাবিশ্বে খাদ্য সংকটের ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যদি মন্দা হয় তাহলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে। এর ফলে একটা দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি হতে পারে।

দেখেন, দুর্ভিক্ষ হয় দুটো জিনিস যখন ঘটে। একটা খাদ্যের যোগান যথেষ্ট না থাকলে। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে— যোগান থাকলেও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি আছে। ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি দু’কারণে হতে পারে, একটা হচ্ছে খাদ্যের মূল্য অনেক উচ্চ পর্যায়ে থাকে, মানুষ কিনতে পারছে না। অথবা আয় যদি না থাকে।

ঢাকাপ্রকাশ: বাংলাদেশে কি সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে?

ড. জাহিদ হোসেন: বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যোগানের দিকে এপ্রিল মাসে আগাম বন্যার কারণে আউশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমন একটা দীর্ঘ খরার মধ্যে দিয়ে গেছে। এখনো খরাটা কাটেনি। কাজেই আমন তো একটা বড় ফসল। ফলে নরমালি যে পরিমাণ আমন উৎপাদন হয় এ বছর হয়ত ততটা হবে না। তা ছাড়া বোরো হচ্ছে সেচ নির্ভর, সার নির্ভর। দেশে বিদ্যুতের যে অবস্থা, ডিজেল সরবরাহের যে অবস্থা। ঢাকাতেও দুই ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং, ঢাকার বাইরের কী অবস্থা। যেখানে ডেসকো, ডেসা, সামাল দিতে পারছে না, পিডিবি সামাল দিতে পারছে না, আরইবি কীভাবে সামাল দেবে? বিদ্যুৎ যদি সেচে ব্যবহার না করতে পারি, ডিজেল যদি পর্যাপ্ত না হয়, তাহলে তো বোরো উৎপাদনেও ধাক্কা আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমার বিকল্প হলো আমদানি। আমদানির ক্ষেত্রে বড় বড় সরবরাহকারী দেশগুলো যেমন— ফিলিপিনস, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম। এইসব দেশ কিন্তু চাল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। তারা হয় শুল্ক বাড়াচ্ছে নয়তো নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। তারা আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে চায়। যেটা স্বাভাবিক।

ঢাকাপ্রকাশ: সরকার তো বিকল্প উৎস থেকে খাদ্যপণ্য আমদানির পরিকল্পনাও করেছিল। তা দিয়ে কি মোকাবিলা করা সম্ভব?

ড. জাহিদ হোসেন: সরকার আমদানির জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল। আমদানির জন্য ব্যক্তি খাতে শুল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। এমনকি ২/৩টা প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়। সেগুলোর কি অবস্থা জানি না। আমদানি যদি সময় মতো দেশে এসে না পৌঁছায় তাহলে তো যোগানে একটা ঘাটতি দেখা দেবে। এখন মূল্যস্ফীতি তো ৯ শতাংশের উপরে। সেখানে তো মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে, ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সব বিবেচনা করেই দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাটা।

ঢাকাপ্রকাশ: এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী?

ড. জাহিদ হোসেন: বের হওয়ার একটাই উপায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে জোর দিতে হবে বেশি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর তো কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। দেখা যাবে খাদ্যপণ্য পাওয়া গেল কিন্তু কেনা গেল না। ২০০৮ সালের অভিজ্ঞতাটা অনেকটা একই ধরণের ছিল। প্রথমে আগস্টে বন্যা হলো, সেপ্টেম্বরে আবার বন্যা তারপর নভেম্বরে আসল সাইক্লোন ‘সিডর’। যার কারণে আমন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আন্তর্জাতিক বাজারে কেউ চাল বিক্রি করছিল না। সবাই চালের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তখন বোরোতে বাম্পার ফলন এক নম্বর প্রায়োরিটি ছিল। উৎপাদন নরমালের চেয়ে অনেক বেশি করতে হবে। সেজন্য পানি, সার, কীটনাশক এবং যন্ত্রের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করার জন্য শতভাগ অ্যাফোর্ট দরকার ছিল। আমাদের বোরো ধানের চাষটা ওভাবেই দেখতে হবে। আমন-আউশের ক্ষতি কীভাবে বোরো দিয়ে পুষিয়ে নিতে পারি ভাবতে হবে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহারটা কোথায় অগ্রাধিকার দেবেন সেটা নির্ধারণ করতে হবে। দেখা গেল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য ডিজেল, এলএনজি, কিনব না, সেটা না কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে ঘাটতি সেটার কারণে বৈদেশিক মুদ্রা লোকসান হবে বেশি। উৎপাদনে ঘাটতি হলে চাল আমদানি করা লাগতে পারে, সুতা আমদানি করতে হতে পারে।

ব্যবসায়ীরা এলএনজি আমদানির জন্য প্রস্তুত। তাতে মাসে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দরকার। এটা না আনলে একদিকে দৃশ্যমান সাশ্রয় দেখা যাবে। বাস্তবে যে ক্ষতিটা দৃশ্যমান না সেটা হলো আমদানিতে ক্ষতি হবে। ব্যবসায়ীরা বিটিএমই থেকে সুতা না কিনে চায়না থেকে কিনবে। সেখানে তো আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে।

আমাদের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার কথা মনে করিয়ে দেয়। শ্রীলঙ্কা সার এর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য। তাতে তাদের ৪০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হলো। কিন্তু ওটা না করার ফলে যে চাল আমদানি করতে হলো তাতে তাদের ব্যয় হলো ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। সে সময় সার ও অন্যান্য কীটনাশক পর্যাপ্ততা না থাকায় চায়ের উৎপাদন কমে গেল। সেখান থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়টা কমে গেল, তাতে কি হলো হিতে বিপরীত। বিদ্যুৎ উৎপাদন যেহেতু সব খাতকে প্রভাব ফেলে- সরাসরি সেখানে কৃষি, সেবা, শিল্প খাত তো বটেই। গ্যাসের সরবরাহ যাতে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়, ডিজেল সরবরাহ, বিদ্যুৎ এবং সেচের জন্য যেন থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা তো প্রতিদিনই বাংলাদেশ ব্যাংক বিক্রি করছে। সেগুলো কিসের জন্য বিক্রি করছে? প্রতিদিনই তো ৬০, ৭০ কোনো দিন ১০০ মিলিয়ন ডলার করে বিক্রি হচ্ছে জরুরি আমদানির জন্য? ডিজেল কী জরুরি আমদানি না? সার কী জরুরি আমদানি না? এলএনজি কী জরুরি আমদানি না? সেগুলোকে যদি অগ্রাধিকার না করি তাহলে তো লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে মানুষ কী কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে?

ড. জাহিদ হোসেন: এখনই যেসকল মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে আছে, তারা অনেক কষ্টে আছে। এখন ওদের তো দুর্ভিক্ষের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না, ওরা এরইমধ্যে কষ্টে আছে। সরকার ফ্যামিলি কার্ড সিস্টেম চালু করেছে। কথা হচ্ছে, যে মানুষগুলো কষ্টে আছে তারা কী পাচ্ছে? এক কোটি পরিবারের জন্য করা হচ্ছে। কিন্তু দরিদ্রের সংখ্যাটি তো অনেক বেশি। তারা এখন জীবিকার যুদ্ধে আছেন। তাই খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি আরও বাড়াতে হবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২