শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

এডিটর’স টক

‘সরকারপ্রধান যদি চান তাহলে সবকিছু সম্ভব’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এসেছিলেন ঢাকাপ্রকাশ-এ। ‘এডিটর’স টক’-এ ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামালের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। সেখানে তিনি জাতীয় পার্টির বর্তমান অবস্থা, কাউন্সিল, পার্টির সংসদীয় দলের নেতা রওশন এরশাদ ইস্যু, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের প্রধান হুইপকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন, ইভিএম, বেকারত্ব, দুর্নীতি, অর্থপাচার, মন্দা, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যসহ নানান বিষয়ে কথা বলেছেন। তার সেই কথোপকথনের চুম্বক অংশ ঢাকাপ্রকাশ-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি যদি আপনার এবং জাতীয় পার্টির অবস্থাটা আমাদের পাঠক দর্শকদের বলতেন।

জিএম কাদের: আমার ধারণা জাতীয় পার্টি খুব ভালো অবস্থানে আছে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে একটা নতুন চোখে দেখছে। মোটমুটি যেটা আগে একেবারেই...আমাদের নেতা হোসেনই মোহাম্মদ এরশাদ সাহেবের সময়ে যেভাবে জাতীয় পার্টি সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ এবং ভক্তি-ভালোবাসা ছিল, এটা মাঝখানে একটু ভাটা পড়েছিল। এখন আবার এটি উঠতির দিকে। আমরা খুবই আশাবাদী জাতীয় পার্টি শুধু তার পুরনো গৌরবই ফিরে পাবে না, সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করি এবং আমরা দেশের জনগণের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।

ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় পার্টি নিয়ে জনগণের মধ্যে নানান কৌতুহল। আপনার সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়েও নানান কথা হচ্ছে। একদিকে জাতীয় পার্টি সরকারের সঙ্গে আছে। আবার বিরোধী দলেও আছে। তো এভাবে আসলে সরকারের ভিতরে থেকে কতটা সরকার বিরোধী হওয়া সম্ভব?

জিএম কাদের: না, আমরা সরকারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই নেই। এই কথাটা কেন মানুষের মধ্যে ঢুকে গেছে সেটা আমি কিছুটা আঁচ করতে পারি। আমাদের কিছু কিছু বক্তব্য সংসদে সংসদ নেতার মাধ্যমে যেটা সংসদ সদস্যরা দিয়েছে সেটা খুব অল্প-মুষ্ঠিমেয় কয়েকজনের বক্তব্য। এটার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এই ভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে সত্যিকার অর্থে আমরা কোনো মহাজোট করে নির্বাচন করিনি। আমরা ১৪ দলের সঙ্গে একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং করেছিলাম। আমরা কিছু সিটে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিলাম। আর কিছু সিটে আওয়ামী লীগ আমাদের সমর্থন দিয়েছিল।

ঢাকাপ্রকাশ: সম্প্রতি আপনার দল থেকে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন আপনাকে বিরোধী দলীয় নেতা করার জন্য। এটা কীভাবে...

জিএম কাদের: এটায় আমি পড়ে আসছি। আমরা যখন সংসদে বিরোধী দল হয়েছি তখন থেকে আমরা বিরোধী দল হিসেবে কথা বলেছি। সরকারের যেখানে যেখানে সমালোচনা করা দরকার, সংশোধন করা দরকার, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা কথা বলেছি, আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। সংসদের বাইরেও আমরা বিভিন্ন প্রোগ্রাম করেছি। মানববন্ধন করেছি, সমাবেশ করেছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। তবে আমাদের মধ্যে একটা বিষয় ছিল, দীর্ঘ দিন আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলাম, আওয়ামী লীগের সঙ্গে অনেক হৃদ্যতা ছিল। সুখে-দুঃখে আমরা তাদের পাশে ছিলাম। মহাজোটের মন্ত্রীও ছিলাম। কাজেই পারস্পারিক একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তো ছিলই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে যে একটা সম্পর্ক, একটা হিংসাত্মক এবং সহিংসতাপূর্ণ সম্পর্ক, আমাদের মধ্যে এরকম সহিংস কোনো সম্পর্ক ছিল না।

এখন আসি স্পিকারকে চিঠি দেওয়ার বিষয়ে। আমাদের দলের ভেতরের কিছু মানুষ যাদেরকে আমরা জয়গা মতো অবস্থান দিতে পারিনি বা যারা অনেক আগে দল ছেড়ে চলে গেছেন বা বিভিন্ন কারণে দলের সঙ্গে নেই দীর্ঘদিন। তারা হঠাৎ করে...আমার শ্রদ্ধেয় ভাবীকে (রওশন এরশাদ)…। কিন্তু হঠাৎ দেখলাম উনি জাতীয় পার্টির সম্মেলন করার জন্য একটা চিঠি পাঠিয়েছেন। যেটা আমরা তিন বছর পর পর করি। যেটা আমরা করেছি। যেটাতে আমাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত আমাদের মেয়াদ আছে। কিন্তু হঠাৎ করেই ২৬ নভেম্বর সম্মেলন কল করে চিঠি দিয়েছেন। এরপর পরই পার্টির পক্ষ থেকে উনাকে একটা সময় বেঁধে দেওয়া হয় তার সম্মেলনের প্রস্তাব প্রত্যাহার করার জন্য। না হলে আমরা ধরে নেব যে আপনি এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন এবং আপনার বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, তিনি সংসদের একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছেন।

এই অবস্থায় দলের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আসলে দলের এমপিরা বসে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, উনাকে বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া দলের জন্য মঙ্গলজনক। আমি বলেছি সবাই মিলে যেটা সিদ্ধান্ত নেবেন আমি সেটাতে এতমত হব। সবাই শতভাগ এগ্রি করল যে উনাকে সসম্মানে এই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত। আমাকে বলল, নেক্সট ম্যান হিসেবে আপনি দায়িত্ব নেন। ওইভাবে একটা রেজুলেশন হলো এবং সেটা স্পিকারকে দেওয়া হলো।

ঢাকাপ্রকাশ: কিছুদিন আগে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন। এটার বিশেষ কোনো কারণ আছে কি?

জিএম কাদের: বিশেষ কারণ তো বটেই। খুবই ইন্টারেস্টি...। সে কিন্তু বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিজেই মুজিবুর রহমান চুন্নুসহ সবাইকে নিয়েই চিঠিটা দিয়েছে। কিন্তু দুই তিন দিন পর সে বলতে শুরু করে, এটা দেওয়া ঠিক হয়নি। আমরা সবাই রাজি ছিলাম না। অনেকে রাজি ছিল না। তখন সবাই বলল, হঠাৎ করে একটা লোক এরকম উল্টো কথা বলল। উনার মতো একটা লোককে এরকম একটা পজিশনে রাখা একটা সমস্যা। তখন সবার পরামর্শে সিদ্ধান্ত হল উনাকে দলের সব পদপদবি থেকে নিস্কৃতি দেওয়াটাই হবে আমাদের জন্য ভালো। সেটাই করা হয়েছে।

ঢাকাপ্রকাশ: বলছিলেন রংপুরে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছেন। এটা কি আপনার সাম্প্রতিক বিভিন্ন বক্তব্য, বিভিন্ন ইস্যু ধরে সরকারের সমালোচনা করা এটা জন্য হয়েছে?

জিএম কাদের: আমার ধারণা মানুষ আসলে সরকারের অনেক কাজকেই পছন্দ করছে না। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক একটা ভীতির পরিবেশ আছে দেশে। অনেকে কথাগুলো বলতে চাচ্ছেন না বা বলতে পারেন না। আমি সেই কথাগুলো বলছি।

ঢাকাপ্রকাশ: এই যে আপনি কথাগুলো বলছেন এই জন্য কি কোথাও থেকে আপনাকে কোনো ধরনের হুমকি...

জিএম কাদের:  না, এখন পর্যন্ত সে রকম কোনো ভয়ভীতি বা বাধার সৃষ্টি করা হয়নি।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে কি আমরা এটা বলতে পারি যে রওশন এরশাদের নেতৃত্ব আলাদা কোনো জাতীয় পার্টি হচ্ছে না?

জিএম কাদের: না। জাতীয় পার্টি হওয়ার কোনো স্কুপ নেই। অন্য কোনো দল হওয়ারও কোনো স্কুপ নেই আমার মনে হয়।

ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় পার্টি কি আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিচ্ছে?

জিএম কাদের: হ্যাঁ, আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। দেখেন সামনের দিকে রাজনীতিটা বেশ অনিশ্চিত হয়ে আছে। সামনের দিকে একটা সুষ্টু নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটা দাবি আছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাটা ভেঙে পড়েছে। স্বাভাবিক নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচনে প্রশাসন সরকারের পক্ষে কাজ করছে। এটা একদম সত্য কথা। কিন্তু আমরা নির্বাচন বর্জন করিনি। আমরা সব নির্বাচনে যাচ্ছি। দেখতে চাচ্ছি যে সরকার শেষ পর্যন্ত কী করে। এখন যেটা হয়েছে যে, নির্বাচন ভালো হয়নি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার কি মনে হয় যে, সরকারি দলকে জেতানোর জন্য গোটা মাঠপ্রশাসনকে ওইভাবেই সাজানো হয়েছে বা আপনার সংশয়টা কেন?

জিএম কাদের: এটা খুব একটা ন্যাচারাল ব্যাপার হয়ে গেছে। আমরা করছি কি, আমাদের সমস্ত ক্ষমতা সরকারি দলের প্রধানের হাতে ন্যস্ত করেছি। রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষমতা, সকল বিভাগ,স্তম্ভ, যেটাকে আমি বলি, নির্বাহী বিভাগের প্রধান তো উনি বটেই, পার্লামেন্টেরও প্রধান এবং বিচার বিভাগেরও বেশির ভাগ জিনিস উনার প্রভাবের বাইরে নয়। অধস্তন আদালতের শতভাগ উনার দ্বারাই চলে, উনার মন্ত্রী দ্বারা চলে। তাদের পদোন্নতি, পদায়ন সবই উনার দ্বার চলে। সংবাধানের ১১৬ ধারায় এটা চলে। সংবিধানের ১০৯ ধারায় বলা আছে, এটা হাইকোর্টের আওতায় থাকবে।

উচ্চ আদালতেও রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন। কিন্তু সবই করতে হয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে। দেখেন আমাদের এখানে সংসদীয় গণতন্ত্রের কথা বলা হয়। আসলে এটা কোনো গণতন্ত্র নয়। এটা আসলে একজনের শাসনব্যবস্থা। কারণ, সব ক্ষমতা ৭০ ধারা অনুযায়ি প্রধানমন্ত্রীর হাতে।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ, ইলেকশন কমিশন সবই কিন্তু কন্ট্রোল একজনের হাতে। সেক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করা খুবই কঠিন। যদি উনি কিংবা উনার দল নির্বাচন করে। উনি যদি নির্বাচন না করেন তাহলে সেটা ভিন্ন কথা।

ঢাকাপ্রকাশ: নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে?

জিএম কাদের: নির্বাচনকালীন সরকার তো পরের কথা। যদি সরকার চায় তাহলে আমরা পার্টির ফোরামে বসে সিদ্ধান্ত নেব। একটা ফর্মুলা দেব। সরকার না চাইলে তো এগুলো অর্থহীন হয়ে যাবে। সরকার যদি না চায় তাহলে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। তখন খুবই কঠিন হয়ে যাবে ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন করা। কারণ, সকল ক্ষমতা একটা দলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এমনকি নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা সেভাবে নেই। যদিও আমাদের সংবিধানে আছে নির্বাচনের সময় সমস্ত নির্বাহী ক্ষমতা ইলেকশন কমিশনের হাতে থাকবে। কিন্তু তার কথা যদি কেউ না শুনে তাহলে কী হবে? আসলে আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা সত্যিকার অর্থেই একটা ভঙ্গুর ব্যবস্থা। বর্তমানে যে ব্যবস্থা আছে তাতে সরকার দলীয় প্রার্থীকে ফেল করানো প্রায় অসম্ভব।

ঢাকাপ্রকাশ: ইভিএম নিয়ে একটা জটিলা দেখা যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকেও চাচ্ছে ইভিএম। নির্বাচন কমিশন থেকেও বলা হচ্ছে অন্তত অর্ধেক আসনে ইভিএম-এ নির্বাচন করতে। নিশ্চয়ই সবাই একটা ভালো নির্বাচন চায়। তাহলে সমাধানটা কি?

জিএম কাদের: সমাধান খুবই কঠিন। সবাই চাইলে লাভ হবে না। এটা সরকারকে চাইতে হবে, সরকার প্রধানকে চাইতে হবে। উনি যদি চান তাহলে সবকিছু সম্ভব।

ঢাকাপ্রকাশ: বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভুলগুলো আপনি জানেন। সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি বিশেষ কোনো পরিকল্পনা করতে পারে কি না যে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যাবে। এই হচ্ছে আমাদের পরিকল্পনা…

জিএম কাদের: আমি মনে করি, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন আসা দরকার। একটা বেসিক পরিবর্তন দরকার। আমি সব সময় এগুলো বলছি। একইভাবে সবকিছুতে নিরপেক্ষতা আনা উচিত। নির্বাচন ফেয়ার হবে, বিজনেস ফেয়ার হবে, অ্যাপয়ন্টমেন্ট ফেয়ার হবে। প্রতিটি মানুষ যেন ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা মনে করে। মনে করে যেন ন্যায়বিচার পাচ্ছে। ধরেন একজন যদি ১০ হাজার টাকা বেতন পায়, আরেকজন যদি দশ গুণ বেশি পায় তাহলে তো ন্যায় বিচার হলো না। আমাদের কথা সর্বক্ষেত্রে ন্যায় বিচারভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে মেধা, সততাকে দাম দিতে হবে। শুধু এই সরকারের আমলে নয়, এর আগেও দেখেছি আমরা। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালনের বদলে শিষ্টের দমন এখন আমাদের সমাজের রীতি হয়ে গেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: এখান থেকে বের হওয়ার উপায় কী?

জিএম কাদের: আমরা যদি দুর্নীতিটাকে বন্ধ করতে পারি তাহলে এগুলো কিন্তু অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। সরকার যদি দুর্নীতি বিরোধী একটা অবস্থান নিতে পারে যে, দুর্নীতি করলে তার এমন শাস্তি হবে, যে শাস্তি মানুষ দেখে। দুর্নীতিটা যদি আমাদের সমাজ থেকে চলে যায় তাহলে দুবৃত্তায়নও চলে যাবে। তখন সাধারণভাবেই মানুষ সৎ হওয়ার চেষ্টা করবে। আর সৎ হলে সৎ মানুষের কদর বাড়বে।

ঢাকাপ্রকাশ: এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় সংকট কী বলে আপনি মনে করেন?

জিএম কাদের: দেশের সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে বেকারত্ব আর দুর্নীতি। মানুষের আয় প্রতিদিন কমে যাচ্ছে, দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ছে। যদিও ফিগারে অনেক কিছু বলা হয়। আমি সেটা বলছি না। আমি ন্যাচারালভাবে দেখেছি। বেকারত্বটা দিনকে দিন বাড়ছে। এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেভাবে অ্যাড্রেস করা হচ্ছে না। মহাজোট সরকার আসার সময় বলেছিল প্রতি ঘরে ঘরে একটা করে চাকরি দেওয়া হবে। এখন যেটা হচ্ছে প্রতি ঘরে ঘরে একটা করে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। বিদ্যুতের কারণে করখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বেকারের সংখ্যা বাড়ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি তো বিদ্যুতের কথা বলছেন। বিদ্যুৎ তো আমাদের এক সময় উদ্বৃত্ত থাকত…

জিএম কাদের: কথা হলো আমাদের দেশে বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি তৈরি করা হয়েছে ২০ হাজার মেগাওয়াটের মতো। আমাদের দরকার হলো ১৪ হাজার মেগাওয়াটের মতো। কিন্তু কোনোদিন যে আমাদের দেশ লোডশেডিং ছাড়া ছিল সেরকম একটা দিনও হয়নি। বিভিন্নভাবে বিদ্যুতের প্রোডাকশন করা হয়েছে অনেক বেশি। কিন্তু সেভাবে বিদ্যুৎ লাইনসহ সার্বিক ম্যানেজমেন্ট হয়নি।

ঢাকাপ্রকাশ: এই যে অনেক প্রকল্পে নানা বিশৃঙ্খলা। এটা কি অজ্ঞতা নাকি দুর্নীতির কারণে হয়েছে। আপনি কি মনে করেন?

জিএম কাদের: দেখেন আমার কাছে তো কোনো সাক্ষী প্রমাণ নেই। তবে যে সময়টায় মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সেই সময়টায় গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি নামে একটা প্রতিষ্ঠান আছে, তারা কিন্তু খবর দিচ্ছে আমাদের দেশ থেকে প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। সেখানে আমাদের দেশি টাকায় সুইস ব্যাংকে চার লাখ কোটি টাকা থাকার কথা গ্লোবাল ইন্টিগ্রিটি ডিক্লেয়ার করেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: সবাই বলছে আগামী বছরটা আমাদের জন্য তথা সারাবিশ্বের জন্য খারাপ সময়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সবাইকে মিতব্যয়ী হতে। আপনার কাছে কোনো আশার বাণী আছে কি?

জিএম কাদের: বিষয়টা হলো কি, সারা পৃথিবীতেই মন্দা হচ্ছে। সামনের দিকে মন্দা আরও বাড়বে। সারা পৃথিবী কিন্তু ওইটার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেকোনোভাবেই হোক তারা বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিচ্ছেন। যেমন প্রধানমন্ত্রী মিতব্যয়ী হতে বলেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটার সঙ্গে একমত। কিন্তু বাস্তবে আমি এটার কোনো প্রতিফলন এখনো দেখিনি। আমার চোখে পড়েনি যে সরকার খুব বেশি মিতব্যয়ী হচ্ছে। দরিদ্র মানুষেরা বড় বেশি কষ্টে আছে। দৃব্যমূল্যের যে চাপ সেটার চাপ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর দিয়ে। এটা সার্বিকভাবে একটা সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং বিশৃঙ্খলার কারণ হতে পারে। সেই কারণে আমি মনে করি, এসব বিষয়ে একটু দৃষ্টি দেওয়া উচিত।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

জিএম কাদের: আপনাকে এবং ঢাকাপ্রকাশ-কে ধন্যবাদ।


এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

পানি শুন্য ছোটযমুনা নদীর বুকে ধান চাষ!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চারদিকে শুধু ধান আর ধান। দেখে মনে হবে হাজার বিঘার মাঠ। সেখানে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের সোনার ফসল ধান। আর সেই ধান কাটছে বেশ কয়েকজন কৃষক। তারা নিজেরাই শ্রমিকের মতো ধান কাটছে। আবার একজনকে গরু চড়াতেও দেখা যায়।

বলছি নওগাঁর খরস্রোতা ছোট যমুনা নদীর কথা। হঠাৎ চোখে পড়ে নদীটির বুকে ধান চাষ। শুকিয়ে যাওয়ায় জেলার বদলগাছী উপজেলার তেজাপাড়া- কাদিবাড়ি পাশাপাশি দুটি এলাকায় ধান চাষ করেছেন শতাধিক কৃষক। সেই নদীর বুকে কয়েকজনকে ধান কাটতে দেখা যায়। আবার অনেক জায়গা থেকে ধান কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে কথা হয় তসলিম, আফজাল, রফিকুল, শামিম ও মোস্তফার সাথে। তারা জানালেন, আমরা ৫-৭ জন মিলে বেশ কিছু জায়গায় ধান চাষ করেছি। তাই নিজেরাই ধান কাটছি। এই ধান দিয়ে আমাদের সারা বছরের সংসার চলে। অবশ্য বৃষ্টির কারণে পানি জমতে শুরু করেছে। আর কয়েকদিন পর পানিতে ভরে যাবে নদীটি। তারা আরও জানান, উত্তর দিকের তেজপাড়া ব্রিজ থেকে দক্ষিণে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন লোকজন এই নদীর বুকে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। নদী শুকালে আমরা ধান চাষ করতে পারি। যা দিয়ে আমাদের সংসার চলে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নদীর বুকে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে এসেছেন এক যুবক। তিনি জানালেন, প্রায় দেড় মাসে আগে এই নদি শুকিয়ে গেছে।

তবে যেখানে যার মানানসই। নদীতে থাকবে পানি, আর মাঠে হবে ধান। এমন দৃশ্যই ভালো লাগবে সকলের। আর যে যার মতো সুবিধা খুঁজবে এটাই স্বাভাবিক।

নওগাঁর নদী, খাল-বিল দখল ও দূষণের প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় রাস্তায় নামা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি এ্যাড. ডিএম আব্দুল বারী বলেন, বিভিন্ন নদী, খাল-বিল, প্রাকৃতিক বনায়নে ভরপুর আমাদের মাতুভূমি বাংলাদেশ। কিন্তু আমাদের বিরূপ আচরণের কারণে আমরা নিজেরাই প্রকৃতিকে বিভিন্নভাবে ধ্বংস করে ফেলছি। নওগাঁসহ সারাদেশের নদী, খাল-বিল দখল ও দূষণের জন্য সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি জনসচেতনতাও এর জন্য দায়ী। তবে নদী শুকিয়ে গেলে সেখানে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করা সেটা খারাপ কিছু না। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের অনুমতি নিয়ে চাষ করলে ভালো হয়। এতে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবাব ফারহান বলেন, বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৭শত ৪০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এছাড়া নদীর ধারে উল্লেখযোগ্য হারে ধান উৎপাদিত হয়েছে। কারণ নদীর পাশের জমিতে পলির আস্তরণ জমে এবং সেখানে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই সেখানে ধান, সবজিসহ সব ধরণের ফসল ভালো উৎপাদিত হয়ে থাকে।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন, ছোট যমুনা নদীসহ কয়েকটি নদী ও খাল পুন:খননের জন্য আবেদন দেওয়া আছে। অনুমোদন পেলে যেকোনো সময় কাজ শুরু হবে।

এদিকে নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী সৌরেনের চেষ্টায় বদলগাছী উপজেলায় ছোট যমুনা নদীর ৩৩ কিলোমিটার অংশের পুন:খনন কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেটা যেকোনো সময় বাস্তবায়ন হওয়ার পথে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্জনে অর্জন দেখছে বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনে অংশ না নিলেও চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নজর ছিল বিএনপির। সদ্য শেষ হওয়া প্রথম ধাপের নির্বাচন বর্জনে নানামুখী অর্জন দেখছে দলটি। এর অন্যতম কারণ, ভোটার উপস্থিতি কম, হামলা, সংঘর্ষ, জালভোট, কারচুপি, বর্জনের মতো নেতিবাচক দিক ছিল নির্বাচনে। পাশাপাশি দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারী প্রার্থীরা খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি।

বিএনপি নেতাদের মতে, বিএনপির আহ্বানের কারণে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জোরাল হবে। কূটনৈতিকভাবেও সরকারের ওপর চাপ বাড়বে, যা আগামী দিনে বিএনপির রাজপথের আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বুধবার ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচনের পর রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফেরাম স্থায়ী কমিটির সভায়। বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির পর্যবেক্ষণে কি উঠে এসছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় বিএনপির প্রধান দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে ভূমিকা রাখবে বলে নেতারা মনে করেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়ার হার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। এ নিয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এক নেতা জানান, দিনব্যাপী ভোটারের আকাল ছিল। সেখানে এই পরিসংখ্যান একেবারেই অগ্রহযোগ্য।

খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, অংশ গ্রহণ না করলেও নির্বাচন মনিটর করেছে বিএনপি। ভোটারা যাতে কেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহী হয়, সে জন্য আগে থেকেই দলের তৎপরতা ছিল। নির্বাচনের দিন সাধারণ মানুষসহ দলীয় নেতাকর্মী ও দলের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করতে আগে থেকেই গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

দলের নেতাদের মতে, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রাপ্তি দিকগুলো হচ্ছে, আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, এই নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের পক্ষে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। দলের কর্মীরা আর্থিক ক্ষতি হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল অন্তদ্বন্দ্ব কোন্দলের বিষয়টি সামনে এসেছে।

দেশের মানুষ ভোটবর্জনের আহ্বান সাদরে গ্রহণ করছেন বলে দলটির সর্বস্তরের নেতারা মনে করেন। তাদের মতে, নির্বাচন বিরোধী দলগুলোর অংশ না নেওয়া এবং ভোট থেকে বিরত থাকার আহ্বানে মনের দিক থেকে জনগণ আরও শক্ত অবস্থানে ছিল। ফলে জোরজবরদস্তি করে অল্পসংখ্যক মানুষকে নিতে পারলেও বড় অংশ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। ফলে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই ভোট গ্রহণযোগ্য করা কঠিন হবে। নির্বাচন নিয়ে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের কথাগুলো সাধারণ মানুষ আগ্রহ নিয়ে শুনেছেন। লিফলেট বিতরণের মধ্যমে দলের বক্তব্য পথঘাটে, দোকানে, ভোটারদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। ফলে জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে জনগণ।

উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করার জন্য দলের নেওয়া পদক্ষেপ কাজে লেগেছে দাবি বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ভোটারদের ভোটবিমুখ করতে প্রায় লাখ লাখ লিফলেট ছাপিয়ে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডগুলোতে পাঠানো হয়েছিল। উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রামপর্যায়ে কর্মিসভা, মতবিনিময় সভা এবং যৌথ সভাও হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে, বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও। দলের নানামখী উদ্যোগের ফলে ভোটাররা কেন্দ্রবিমুখ ছিল। তিনি বলেন, এই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, তা প্রামাণিত হয়েছে। এই নির্বাচন বর্জন করে অন্যতম বড় অর্জন হচ্ছে, তাদের নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো মামলার মুখোমুখিও হতে হয়নি।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনের আগের দিনও ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ রাখার চেষ্টা সফলতা নিয়ে সন্দেহ ছিল। কারণ, সর্বশক্তি নিয়োগ করেও অনেক স্থানে বিএনপি নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখা যায়নি। এ ছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি হয়ে থাকে। আর বিএনপির ভোটার ফেরানোর কার্যক্রমে অনেক কর্মী সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেনি। এরপরও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় বিএনপি নেতারা খুশি।

প্রসঙ্গেত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে যাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয় দলটি। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৭৯ জন নেতা এবং দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেওয়া ৬১ নেতাকে বহিষ্কারও করে তারা। পাশাপাশি হুঁশিয়ার করা হয়, বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা ভোটে অংশ নেওয়া বহিষ্কৃতদের কোনোভাবে সহায়তা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করতে দেশব্যাপী লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি পালন করে।

ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষা করুন, বললেন পলক

ছবি: সংগৃহীত

আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোন-শিশুদের বিরুদ্ধে ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে। তাদের থেকে আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের আল্লাহ রক্ষা করুন। তারা যেন মুক্ত স্বাধীনভাবে নিজেদের ভূ-খন্ডে বসবাস করতে পারে সেই প্রার্থনা করি, বললেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক।

শুক্রবার (১০ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিংড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আয়োজিত হাজি সমাবেশ-২০২৪ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টঙ্গি ইজতেমার জায়গার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা করেছেন। ইসলাম ধর্মের সম্প্রসারণ করার জন্য এবং কাকরাইল মসজিদসহ অসংখ্য মসজিদ প্রতিষ্ঠান করেন। তিনি আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ কমপক্সে নিমার্ণ করেছেন। আমাদের মাদরাসা, মসজিদে ইতিহাসের সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছেন। হাজিদের জন্য সুন্দর, সহজ, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল হজ্বের সকল কার্যক্রম তিনি নিজে তদারকি করছেন।

এসময় তিনি সারাবিশ্বের মুসলিম জাহানের মধ্য ঐক্য, শান্তি এবং যারা অত্যাচার, কষ্টের মধ্য আছেন, তাদের জন্য আল্লাহর কাছে মুক্তি কামনা করেন।

আরাফাতি হাজী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনু্ষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, আরাফাতি হাজী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

পানি শুন্য ছোটযমুনা নদীর বুকে ধান চাষ!
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্জনে অর্জন দেখছে বিএনপি
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষা করুন, বললেন পলক
বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
চড়া সবজির দাম, নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন গোবিন্দগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ
ইসরায়েলের তীব্র হামলার মুখে রাফা ছাড়ল ৮০ হাজারের বেশি মানুষ
টাঙ্গাইলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ
ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না : যুক্তরাষ্ট্র
বাবা হওয়ার খুশিতে আবারও বিয়ে করলেন জাস্টিন বিবার
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ ইস্যুতে ভোট আজ
মানিকগঞ্জে পাইলট আসিমের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল
দেশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ চলছে: প্রধানমন্ত্রী
বুবলীর পর একই থানায় অপু বিশ্বাসের জিডি!
বিমান ঘাঁটিতে পাইলট আসিমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
ইউরোপা লিগ: অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে ফাইনালে লেভারকুসেন
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
প্রেমিক যুগলকে মারধরের পর গলায় জুতার মালা, ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
বিদায় নিচ্ছেন পিটার হাস, নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড মিল