শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ছাত্রজীবনে মহসিন হলে ছাত্রদলের ভিপি ছিলাম: চুন্নু

জাতীয় পার্টিতে ভাঙনের সুর বাজছে। শনিবার দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে দলের কাউন্সিল, রওশন এরশাদকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে অপসারণসহ আরও অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে। কেউ কেউ দাবি জানিয়েছেন রওশন এরশাদকে বহিষ্কার করার। এসব বিষয়েই শনিবার রাতে মুঠোফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তার সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-

ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় পার্টি কি ভাগ হচ্ছে?

মুজিবুল হক চুন্নু: আমরা তো এক ভাগই আছি, আমাদের তো কেউ যায় নাই। উনার (রওশন এরশাদ) নামে যারা কাউন্সিল ডাকছে এটার তো আমাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই। আমাদের দলের তো কেউ যায় নাই ওখানে। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। এটা আমরা জানি না। আমরা আমলেই নিচ্ছি না। আমলে নেওয়ার মতো না। বহিষ্কৃত কয়েকজন গেছে, এটা তো কোনো বিষয়ই না। সাবজেক্টই না আমাদের জন্য।

ঢাকাপ্রকাশ: কিন্তু আজকের বৈঠকে রওশন এরশাদকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। এ বিষয়ে কিছু বলুন।

মুজিবুল হক চুন্নু: ইনডোর মিটিংয়ে কত কিছু হতে পারে। সেটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। ওনাকে বহিষ্কার করব কী, তিনি তো দলের কোনো পদে নাই। কীভাবে বহিষ্কার করব? উনি বিরোধীদলীয় নেতা। ওইটা ওনাকে চেঞ্জ করার জন্য এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উনি তো দলের কোনো পদে নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: রওশন এরশাদকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না?

মুজিবুল হক চুন্নু: এটা তো আগেই নিয়েছি। কার্যকর করার কিছু নাই। স্পিকার ফরমাল দেখবেন আইনগতভাবে ঠিক আছে কি না, এই। এটা উনি স্বীকৃতি দেবেন। স্বীকৃতি দেওয়া ছাড়া কোনো রাস্তা নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: মসিউর রহমান রাঙ্গাকে নাকি স্থায়ী বহিষ্কার করা হচ্ছে?

মুজিবুল হক চুন্নু: স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য, প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য মিটিংয়ে সবাই মিলে একমত হয়েছে। কার্যকর করিনি, তবে রেজুলেশন নেওয়া হয়েছে। ঐক্যমত হয়েছি। কার্যকর করবেন চেয়ারম্যান। তবে সবাই দাবি করেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: গোলাম মসীহ বলেছেন চুন্নু কে? উনি তো ছাত্রদলের নেতা ছিলেন, উনি জাতীয় পার্টির কী বুঝবেন?

মুজিবুল হক চুন্নু: সেটা ঠিক আছে। উনি বলেছেন উনি বিদ্বান মানুষ, উনি অনেক কিছু বোঝেন, আমি লেখাপড়া কম জানি। তবে উনি যে সাবজেক্টে পড়েছেন আমি একই সাবজেক্টে পড়েছি। উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ফোর্থ ব্যাচ আমি পঞ্চম ব্যাচ। কাজেই ওনার চেয়ে লেখাপড়ায় কম জানি এটা মনে হয় না। আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন ছাত্রদল থেকে মহসিন হলের ভিপি ছিলাম এটা তো ঠিকই আছে।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে কাউন্সিল হচ্ছে না?

মুজিবুল হক চুন্নু: আমাদের পার্টির কাউন্সিলের এখনো সময় হয়নি। আমরা এখনো পার্টিতে সিদ্ধান্ত নেই নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: জিএম কাদের তো কাউন্সিল ছাড়াই চেয়ারম্যান, রওশন অনুসারীরা তো সে কথাই বলছেন…

মুজিবুল হক চুন্নু: না, উনি কাউন্সিল করেই চেয়ারম্যান হয়েছে। ওরা কী বলল তাতে কী যায় আসে। অবশ্যই কাউন্সিল করে হয়েছে। কাউন্সিল হওয়ার পর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হয়েছে। ওরা কী বলে না বলে এটা হ্যাডেক নাই। এরা আসলে বহিষ্কৃত লোক এটা হেডেক না। যাকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেও কাউন্সিল ছাড়া হয়েছিল। এখন তো সে বহিষ্কৃত। রাঙ্গাও তো কাউন্সিল ছাড়া মহাসচিব হয়েছে, সে নিজেই তো বলল।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনিও তো কাউন্সিল ছাড়া মহাসচিব…

মুজিবুল হক চুন্নু: হ্যাঁ, আমি তো কাউন্সিল ছাড়া হয়েছি। এটা তো পার্টির চেয়ারম্যানের ক্ষমতা আছে।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে আপনারা আজকে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখানে তো সবাই উপস্থিত…

মুজিবুল হক চুন্নু: আজকে ২০ জন এমপি ছিলেন, তারা স্বাক্ষর করেছেন। প্রেসিডিয়ামের ৪১ জনের ৩৮ জন উপস্থিত ছিলেন। এমপিদের মধ্যে তিনজন নাই। ম্যাডাম তার ছেলে আর রাঙ্গা। আর থাকে ৩ জন। একজন সেলিম ওসমান চিকিৎসাধীন। পীর মিসবাহ ডেঙ্গু থাকায় আসতে পারেননি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি এর আগে ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, জাতীয় পার্টি কখনো বিএনপির সঙ্গে যাবে না। অথচ আপনাদের পার্টির চেয়ারম্যান নাকি বিএনপি এবং তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন?

মুজিবুল হক চুন্ন: এটা প্রপাগান্ডা। উনি তারেক রহমানসহ কারও সঙ্গে আলাপ করেন নাই। ফরমালি কোনো কথা হয় নাই। এগুলো পুরো ভুয়া কথা এবং প্রপাগান্ডা। আমি এখনো বলছি, বিএনপি-আওয়ামী লীগ কারও সঙ্গে জোটে যাওয়ার কোনো চিন্তা নাই। আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচন করব, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আমাদের আন্দোলন আমাদের নিজস্ব ধারায়। সরকার পতনের আন্দোলন করে এর সঙ্গে আমাদের আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নাই। আমাদের আন্দোলন আমাদের সিদ্ধান্তে। জোটে যাওয়ার মতো চিন্তাভাবনা নাই। ৩০০ আসনে এককভাবে নির্বাচন করার চিন্তা করছি।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে সরকার-ই কি জাতীয় পার্টিকে দিয়ে খেলছে?

মুজিবুল হক চুন্নু: এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: যদি কাউন্সিল হয় তাহলে তো জাতীয় পার্টি বিভক্ত হবে…

মুজিবুল হক চুন্নু: এটার কোনো সুযোগ নাই। জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামোর কেউ কাউন্সিলে যায় নাই। বিভক্ত হবে কীভাবে? জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ৭৭টি জেলার সভাপতি, সেক্রেটারি, কো-চেয়ারম্যান একজন ব্যক্তিও যায় নাই। ভাঙার সুযোগ নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: কাউন্সিল যদি হয়…

মুজিবুল হক চুন্নু: কে করবে? আমি মহাসচিব, আমরা তো কাউন্সিলের তারিখ দেই নাই। বাংলাদেশে আরও ৪-৫টি জাতীয় পার্টি নামে সংগঠন আছে। এখন কেউ যদি জাতীয় পার্টির নামে আর একটা কমিটি করতে চায় করতে পারে। সেটা তে আমাদের সম্পর্ক নাই। জাতীয় পার্টি রেজিস্ট্রার্ড সংগঠন, লাঙল মার্কা সেটা জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। কাউন্সিল আমরা ডাকি নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে প্রধান পৃষ্ঠপোষক যে কাউন্সিল ডাকলেন সেটা কি অবৈধ?

মুজিবুল হক চুন্ন: অবশ্যই অবৈধ, অগঠনতান্ত্রিক। ওনার কোনো এখতিয়ার নাই কাউন্সিল ডাকার।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির কেউ না?

মুজিবুল হক চুন্নু: না, উনি পার্টির কেউ না। উনি তো পার্টির কোনো পদে নাই। আমরা ওনাকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক করে রাখছি অলংকার পদ হিসেবে।

ঢাকাপ্রকাশ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মুজিবুল হক চুন্নু: আপনাকেও ধন্যবাদ।

এসজি/এএস

Header Ad

ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষা করুন, বললেন পলক

ছবি: সংগৃহীত

আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোন-শিশুদের বিরুদ্ধে ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে। তাদের থেকে আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের আল্লাহ রক্ষা করুন। তারা যেন মুক্ত স্বাধীনভাবে নিজেদের ভূ-খন্ডে বসবাস করতে পারে সেই প্রার্থনা করি, বললেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক।

শুক্রবার (১০ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিংড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আয়োজিত হাজি সমাবেশ-২০২৪ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টঙ্গি ইজতেমার জায়গার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা করেছেন। ইসলাম ধর্মের সম্প্রসারণ করার জন্য এবং কাকরাইল মসজিদসহ অসংখ্য মসজিদ প্রতিষ্ঠান করেন। তিনি আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ কমপক্সে নিমার্ণ করেছেন। আমাদের মাদরাসা, মসজিদে ইতিহাসের সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছেন। হাজিদের জন্য সুন্দর, সহজ, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল হজ্বের সকল কার্যক্রম তিনি নিজে তদারকি করছেন।

এসময় তিনি সারাবিশ্বের মুসলিম জাহানের মধ্য ঐক্য, শান্তি এবং যারা অত্যাচার, কষ্টের মধ্য আছেন, তাদের জন্য আল্লাহর কাছে মুক্তি কামনা করেন।

আরাফাতি হাজী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনু্ষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, আরাফাতি হাজী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ।

বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলন এবং নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। আবারও দেশে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করছে দলটি। বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত। তাদের কাছে গোটা রাজধানীবাসীকে ছেড়ে দেয়া যাবে না।’

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলন এবং নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। আবারও দেশে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করছে দলটি।’

যারা আন্দোলনে পরাজিত তারা নির্বাচনেও পরাজিত উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের দেখেছি পালানোর জন্য অলিগলি খুঁজে পাননি। তারা সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। তাই আমাদের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘরে গণতন্ত্র নেই, বাইরেও গণতন্ত্র নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভোটারদের ভয় পায় বলে নির্বাচনে অংশ নেয় না।

আওয়ামী লীগ আগামীকাল শনিবার (১১ মে) শান্তি উন্নয়ন সমাবেশ করবে বলেও জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ সিনিয়র নেতারা।

চড়া সবজির দাম, নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য

ছবি: সংগৃহীত

নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাজারে সরবারহে খুব একটা ঘাটতি না থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানেই দাম বেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সবজির। বিশেষ করে কয়েকটি সবজির দাম প্রতি কেজির দাম ১০০ টাকার ঘরে পৌঁছেছে।

আজ শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি, চিনি, চাল, আটা, ডাল ও মাছ-মাংস।

আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৫০-৬০ টাকা, যা মাসখানেক আগেও ৩০-৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে। পেঁপে এবং বেগুন ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। করলা ৬৫-৭৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন মানভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও পটল ৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

স্থান ও মানভেদে কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চিচিঙ্গা ৮০০-১০০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী মানভেদে ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা হালি।

বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে দেশি রসুন ২২০-২৪০ টাকা এবং আদা আগের বাড়তি দামেই ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে প্রতি কেজি স্থানভেদে ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩৫০ থেকে ৩৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। দেশি শোল মাছ প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা।

আকারভেদে শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৬০০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ৩০০, রুপচাঁদা ১ হাজার ও বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ সংবাদ

ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষা করুন, বললেন পলক
বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
চড়া সবজির দাম, নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন গোবিন্দগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ
ইসরায়েলের তীব্র হামলার মুখে রাফা ছাড়ল ৮০ হাজারের বেশি মানুষ
টাঙ্গাইলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ
ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না : যুক্তরাষ্ট্র
বাবা হওয়ার খুশিতে আবারও বিয়ে করলেন জাস্টিন বিবার
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ ইস্যুতে ভোট আজ
মানিকগঞ্জে পাইলট আসিমের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল
দেশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ চলছে: প্রধানমন্ত্রী
বুবলীর পর একই থানায় অপু বিশ্বাসের জিডি!
বিমান ঘাঁটিতে পাইলট আসিমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
ইউরোপা লিগ: অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে ফাইনালে লেভারকুসেন
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
প্রেমিক যুগলকে মারধরের পর গলায় জুতার মালা, ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
বিদায় নিচ্ছেন পিটার হাস, নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড মিল
চুক্তি ছাড়াই শেষ যুদ্ধবিরতি আলোচনা, রাফায় চলছে ইসরায়েল-হামাস লড়াই
কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান উদ্ধার