বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ছাত্রজীবনে মহসিন হলে ছাত্রদলের ভিপি ছিলাম: চুন্নু

জাতীয় পার্টিতে ভাঙনের সুর বাজছে। শনিবার দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে দলের কাউন্সিল, রওশন এরশাদকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে অপসারণসহ আরও অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে। কেউ কেউ দাবি জানিয়েছেন রওশন এরশাদকে বহিষ্কার করার। এসব বিষয়েই শনিবার রাতে মুঠোফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তার সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-

ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় পার্টি কি ভাগ হচ্ছে?

মুজিবুল হক চুন্নু: আমরা তো এক ভাগই আছি, আমাদের তো কেউ যায় নাই। উনার (রওশন এরশাদ) নামে যারা কাউন্সিল ডাকছে এটার তো আমাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই। আমাদের দলের তো কেউ যায় নাই ওখানে। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। এটা আমরা জানি না। আমরা আমলেই নিচ্ছি না। আমলে নেওয়ার মতো না। বহিষ্কৃত কয়েকজন গেছে, এটা তো কোনো বিষয়ই না। সাবজেক্টই না আমাদের জন্য।

ঢাকাপ্রকাশ: কিন্তু আজকের বৈঠকে রওশন এরশাদকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। এ বিষয়ে কিছু বলুন।

মুজিবুল হক চুন্নু: ইনডোর মিটিংয়ে কত কিছু হতে পারে। সেটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। ওনাকে বহিষ্কার করব কী, তিনি তো দলের কোনো পদে নাই। কীভাবে বহিষ্কার করব? উনি বিরোধীদলীয় নেতা। ওইটা ওনাকে চেঞ্জ করার জন্য এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উনি তো দলের কোনো পদে নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: রওশন এরশাদকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না?

মুজিবুল হক চুন্নু: এটা তো আগেই নিয়েছি। কার্যকর করার কিছু নাই। স্পিকার ফরমাল দেখবেন আইনগতভাবে ঠিক আছে কি না, এই। এটা উনি স্বীকৃতি দেবেন। স্বীকৃতি দেওয়া ছাড়া কোনো রাস্তা নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: মসিউর রহমান রাঙ্গাকে নাকি স্থায়ী বহিষ্কার করা হচ্ছে?

মুজিবুল হক চুন্নু: স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য, প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য মিটিংয়ে সবাই মিলে একমত হয়েছে। কার্যকর করিনি, তবে রেজুলেশন নেওয়া হয়েছে। ঐক্যমত হয়েছি। কার্যকর করবেন চেয়ারম্যান। তবে সবাই দাবি করেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: গোলাম মসীহ বলেছেন চুন্নু কে? উনি তো ছাত্রদলের নেতা ছিলেন, উনি জাতীয় পার্টির কী বুঝবেন?

মুজিবুল হক চুন্নু: সেটা ঠিক আছে। উনি বলেছেন উনি বিদ্বান মানুষ, উনি অনেক কিছু বোঝেন, আমি লেখাপড়া কম জানি। তবে উনি যে সাবজেক্টে পড়েছেন আমি একই সাবজেক্টে পড়েছি। উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ফোর্থ ব্যাচ আমি পঞ্চম ব্যাচ। কাজেই ওনার চেয়ে লেখাপড়ায় কম জানি এটা মনে হয় না। আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন ছাত্রদল থেকে মহসিন হলের ভিপি ছিলাম এটা তো ঠিকই আছে।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে কাউন্সিল হচ্ছে না?

মুজিবুল হক চুন্নু: আমাদের পার্টির কাউন্সিলের এখনো সময় হয়নি। আমরা এখনো পার্টিতে সিদ্ধান্ত নেই নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: জিএম কাদের তো কাউন্সিল ছাড়াই চেয়ারম্যান, রওশন অনুসারীরা তো সে কথাই বলছেন…

মুজিবুল হক চুন্নু: না, উনি কাউন্সিল করেই চেয়ারম্যান হয়েছে। ওরা কী বলল তাতে কী যায় আসে। অবশ্যই কাউন্সিল করে হয়েছে। কাউন্সিল হওয়ার পর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হয়েছে। ওরা কী বলে না বলে এটা হ্যাডেক নাই। এরা আসলে বহিষ্কৃত লোক এটা হেডেক না। যাকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেও কাউন্সিল ছাড়া হয়েছিল। এখন তো সে বহিষ্কৃত। রাঙ্গাও তো কাউন্সিল ছাড়া মহাসচিব হয়েছে, সে নিজেই তো বলল।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনিও তো কাউন্সিল ছাড়া মহাসচিব…

মুজিবুল হক চুন্নু: হ্যাঁ, আমি তো কাউন্সিল ছাড়া হয়েছি। এটা তো পার্টির চেয়ারম্যানের ক্ষমতা আছে।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে আপনারা আজকে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখানে তো সবাই উপস্থিত…

মুজিবুল হক চুন্নু: আজকে ২০ জন এমপি ছিলেন, তারা স্বাক্ষর করেছেন। প্রেসিডিয়ামের ৪১ জনের ৩৮ জন উপস্থিত ছিলেন। এমপিদের মধ্যে তিনজন নাই। ম্যাডাম তার ছেলে আর রাঙ্গা। আর থাকে ৩ জন। একজন সেলিম ওসমান চিকিৎসাধীন। পীর মিসবাহ ডেঙ্গু থাকায় আসতে পারেননি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি এর আগে ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, জাতীয় পার্টি কখনো বিএনপির সঙ্গে যাবে না। অথচ আপনাদের পার্টির চেয়ারম্যান নাকি বিএনপি এবং তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন?

মুজিবুল হক চুন্ন: এটা প্রপাগান্ডা। উনি তারেক রহমানসহ কারও সঙ্গে আলাপ করেন নাই। ফরমালি কোনো কথা হয় নাই। এগুলো পুরো ভুয়া কথা এবং প্রপাগান্ডা। আমি এখনো বলছি, বিএনপি-আওয়ামী লীগ কারও সঙ্গে জোটে যাওয়ার কোনো চিন্তা নাই। আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচন করব, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আমাদের আন্দোলন আমাদের নিজস্ব ধারায়। সরকার পতনের আন্দোলন করে এর সঙ্গে আমাদের আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নাই। আমাদের আন্দোলন আমাদের সিদ্ধান্তে। জোটে যাওয়ার মতো চিন্তাভাবনা নাই। ৩০০ আসনে এককভাবে নির্বাচন করার চিন্তা করছি।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে সরকার-ই কি জাতীয় পার্টিকে দিয়ে খেলছে?

মুজিবুল হক চুন্নু: এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: যদি কাউন্সিল হয় তাহলে তো জাতীয় পার্টি বিভক্ত হবে…

মুজিবুল হক চুন্নু: এটার কোনো সুযোগ নাই। জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামোর কেউ কাউন্সিলে যায় নাই। বিভক্ত হবে কীভাবে? জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ৭৭টি জেলার সভাপতি, সেক্রেটারি, কো-চেয়ারম্যান একজন ব্যক্তিও যায় নাই। ভাঙার সুযোগ নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: কাউন্সিল যদি হয়…

মুজিবুল হক চুন্নু: কে করবে? আমি মহাসচিব, আমরা তো কাউন্সিলের তারিখ দেই নাই। বাংলাদেশে আরও ৪-৫টি জাতীয় পার্টি নামে সংগঠন আছে। এখন কেউ যদি জাতীয় পার্টির নামে আর একটা কমিটি করতে চায় করতে পারে। সেটা তে আমাদের সম্পর্ক নাই। জাতীয় পার্টি রেজিস্ট্রার্ড সংগঠন, লাঙল মার্কা সেটা জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। কাউন্সিল আমরা ডাকি নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে প্রধান পৃষ্ঠপোষক যে কাউন্সিল ডাকলেন সেটা কি অবৈধ?

মুজিবুল হক চুন্ন: অবশ্যই অবৈধ, অগঠনতান্ত্রিক। ওনার কোনো এখতিয়ার নাই কাউন্সিল ডাকার।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির কেউ না?

মুজিবুল হক চুন্নু: না, উনি পার্টির কেউ না। উনি তো পার্টির কোনো পদে নাই। আমরা ওনাকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক করে রাখছি অলংকার পদ হিসেবে।

ঢাকাপ্রকাশ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মুজিবুল হক চুন্নু: আপনাকেও ধন্যবাদ।

এসজি/এএস

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২