শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাৎকার

‘সিংহভাগ শিক্ষক তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি’

দেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান সংকট, প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের। সেখানে তিনি এ সংকট উত্তরণের পথও তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শেহনাজ পূর্ণা। নিচে সাক্ষাৎকারটির চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল—

ঢাকাপ্রকাশ: শিক্ষাঙ্গনে প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি ভয়াবহ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এর কারণ কি?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: দেশের শিক্ষাঙ্গনে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে কতগুলো কারণে। একটি হচ্ছে— লোভের সংস্কৃতি, যা ইতোমধ্যে আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সমাজের উচ্চস্তর থেকে নিম্নস্তর অবধি সর্বত্র এই সংস্কৃতি প্রসারমাণ। এখন বেশির ভাগ মানুষ প্রতিমাসে যা আয় করে তার থেকে অনেক বেশি পেতে চায়। কারণ যদি সে তা না পায়, তাহলে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। একজন শিক্ষক, যার বেতন খুবই কম এবং যার কোনো উপরি উপার্জনের পথ নেই, তার পক্ষে যদি নিজের সম্মানটুকু বজায় রেখে চলতে হয়, তাহলে টিউশন করা ছাড়া উপায় নেই। যারা টিউশন করে টাকা পয়সা উপার্জন করেন, ছেলেমেয়েদের যাদের বিয়ে দিতে হয় ,সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হয়, তাদের পক্ষে সেই ব্যয়ভারটুকু বহন করাও কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। ফলে কেউ কেউ তারা নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে নানা উপায়ে টাকাপয়সা উপার্জন করতে চান। এদের সংখ্যা বাড়ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা সবসময়ই শাস্তির বাইরে থেকে যাচ্ছে কেন? তাদের ব্যাপারে আইনগত কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: দুঃখের বিষয় হল, আইনের প্রয়োগ আমাদের দেশে হয় না। আইনের শাসনের অবস্থা খুব দুর্বল। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওঠে সেই দেশে যে দেশে আইনের শাসন নেই। অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি আমাদের পেনাল কোডে আছে। কিন্তু ক্ষমতাধর অপরাধীদের কোনো শাস্তি হয় না। ফলে, অপরাধ করে যখন পার পেয়ে যায় মানুষ, তখন সেটি সোনা চোরাচালান থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের দুর্নীতিতে মানুষ বেপরোয়া হয়ে যায়। মানুষ ভাবে শাস্তি যেহেতু হবে না, কাজেই যেকোনো অপরাধই সিদ্ধ বলে গৃহীত হয়ে যাবে, কোনো সমস্যা হবে না।
এখন প্রশ্ন আসে, এটি সাধারণ দুর্বৃত্তরা করতে পারে কিন্তু শিক্ষকরা কেন করবেন? তার মানে হচ্ছে, শিক্ষকতায় এখন অপরাধপ্রবণ মানুষজন আছেন, অর্থাৎ উঁচু নৈতিকতার মানুষ অনেকেই আসছেন না। শিক্ষকদের প্রতি সম্পূর্ণ সহানুভূতি ও ভালবাসা থেকেই বলছি, সিংহভাগ শিক্ষক তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। কিন্তু যদি এক শতাংশ শিক্ষকও থাকেন, যারা আদর্শচ্যুত হয়ে নীতি-নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে, এ সব করতে থাকেন, তাহলে সমগ্র শিক্ষক সমাজের উপর সেটির একটি প্রভাব পড়বে।

এ ধরনের অপরাধ বাড়ছে এবং আগামীতে হয়ত আরও বাড়বে। এটি কোনো একটি কারণে হয়নি। একদিনেও হয়নি। সামাজিক অস্থিরতা থেকে, লোভের সংস্কৃতি থেকে, আইন শৃঙ্খলার যথাযথ প্রয়োগের অভাব থেকে, দুর্বৃত্তদের আইনের ফাঁক-ফোঁকর গড়িয়ে ঢালাওভাবে পার পেয়ে যাওয়ার উপায় থেকে, এগুলো উদ্ভূত হয়েছে। কিছু দুষ্টুচক্রের কারণে এটি হচ্ছে কিন্তু দুর্নামটি হচ্ছে সমগ্রের। এটি আমাদের মনে রাখতে হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: এ রকম একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কি?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: এ রকম একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য় আমি মনে করি, প্রথমেই শুরু করতে হবে আইনশৃঙ্খলার সুষ্ঠু প্রয়োগ এবং অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে। কোনো অপরাধীকে (যে ধরনের অপরাধই সে করুক না কেন) বিচার প্রক্রিয়ার ভেতর নিয়ে আসতে হবে। অকারণ কালক্ষেপণ করা যাবে না। সেই বিচার প্রক্রিয়া যদি স্বচ্ছ হয়, সত্যিকার অপরাধী যদি শাস্তি পায় এবং কাগজে কলমে সেটি দৃষ্টান্তমূলক হয়ে যায়, তাহলে এটি প্রধান একটি অন্তরায় হয়ে যাবে। সবাই তখন ভয় পেয়ে যাবে যে, এটি করা যাবে না। পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সময় নৈতিকতার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আমাদের এখানে অনেক নিয়োগ হয় টাকা পয়সার বিনিময়ে। এভাবে যদি শিক্ষক নিয়োগ হয়, তাহলে যে টাকা তিনি খরচ করবেন, নিশ্চয় তা তুলে আনার চেষ্টা করবেন। কীভাবে? এ ধরনের দুর্নীতির মাধমেই তিনি ঘুষ দেওয়া টাকাটা ফেরত পেতে চাইবেন। এই যে ভয়াবহ একটি ধংসের সম্ভাবনা দেখছি শিক্ষকতায়, এটি বাস্তব রূপ ধারণ করেছে দেশের বেশির ভাগ কর্মক্ষেত্রে। এর ফলে আমার মনে হয় না যে, এটি দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার মত। আমি যতই সমাধানের কথা বলি, হয়ত তা বলব একটি আদর্শিক দৃষ্টিকোণ থেকে, সাংবাদিক ছাপাবেন একটি আদর্শিক অবস্থান থেকে, সমাজের জনগণ, তারাও এটি বিচার করবে একটি আদর্শিক পরিপ্রেক্ষিতে। কিন্তু সেই আদর্শটুকু আমাদের থাকতে হবে।

আমি শুধু শিক্ষকদের নৈতিকতার কথা বলব না, আমি মনে করি, তাদের বেতন ভাতারও উন্নতি করতে হবে। একজন শিক্ষকের থেকে যখন কম শিক্ষিত একজন ব্যবসায়ী অথবা একজন ঠিকাদারের আয় অনেক গুণ বেশি থাকে বেচারা শিক্ষককে হয়ত চারপাশের মানুষ এমনকি পরিবারের লোকজন থেকেও তার অক্ষমতা নিয়ে কটু কথা শুনতে হয়। শিক্ষকদের যদি আমরা পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিই, বেতন ভাতা বাড়িয়ে দিই, তার পক্ষে দুর্নীতি করার কারণ থাকবে না। দুর্নীতিকে কখনো উৎসাহিত করা যাবে না। যারা অপরাধ করেন, তাদের অপরাধ প্রমাণিত হলে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে দুর্নীতির বিষয়টি চিরতরে বাদ দিতে হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: এক সময় একাধিক প্রশ্নপত্র সেট ছিল। এখন সেই প্রক্রিয়াটি নেই কেন?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: আমাদের সময় পরীক্ষাপত্রের সেট একটিই থাকতো। তখন এমন একটি নৈতিকতার পরিবেশ ছিল, কেউ নকল করার কথা চিন্তাই করতে পারত না। আমাদের যারা শিক্ষক ছিলেন, যারা কর্মকর্তা ছিলেন, কেরানি ছিলেন, কারো মাথাতেই এ সব চিন্তা আসত না। এখন যেহেতু নকল হয়, সেজন্য আমাদের কিছু চালাকির আশ্রয় নিতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, চালাকির মাধ্যমে আমরা যদি এই পদ্ধতিকে হারাতে চাই, মনে রাখতে হবে এই চালাকিটা ধরে ফেলে আরও বড় চালাকি করার মানুষ কিন্তু বাংলাদেশে আছে। কাজেই আমি বলব, প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করলেও কাজ হবে না যদি আমি মানুষটি অসৎ থাকি। যাদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সেটগুলো যাবে বিভিন্ন জায়গায়, সেই মানুষগুলো যদি দুর্বৃত্ত হয়, তখন কোনো সেটেই কাজ হবে না। কাজেই আমি মনে করি অধিক সেট তৈরি করা কোনো গুরুত্বপূর্ণ সমাধান নয়। এজন্য বিকল্প ভাবনার অর্থাৎ সেই চালাকির প্রয়োজন। এর জন্য প্রযুক্তি নিশ্চয় আছে। না থাকলে উদ্ভাবন করতে হবে।

আমি আরও একটি বিষয় এখানে সংযুক্ত করতে চাই। সেটি হল এ সব অনাচারের জন্য গুটি কয়েক শিক্ষক জড়িত থাকতে পারেন অথবা অন্য অনেকেই থাকতে পারেন। কিন্তু সব শিক্ষককে এজন্য দায়ী করা ঠিক হবে না। সাধারণীকরণ করা ঠিক হবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: সম্প্রতি নতুন কারিকুলাম প্রণীত হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীল মেধা বিকাশে সেটি কতটুকু কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আপনি মনে করছেন?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ সব অপরাধ থেকে বের হওয়ার আরেকটি পথ আছে। সম্প্রতি আমরা নতুন কারিকুলাম তৈরি করেছি। প্রাইমারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। ভবিষ্যতে এটি আরও সম্প্রসারিত হবে। পরীক্ষা কমিয়ে সৃজনশীলতার দিকে আমাদের বেশি নজর দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে পাঠ্যপুস্তক ও মুখস্ত নির্ভর না হয়ে সৃজনশীলতার চর্চা করে এবং জানার মাধ্যমে নিজের ভাবনার বিকাশ করতে পারে এ বিষয়টির উপর এখন থেকে জোর দেওয়া হবে। এটি সফল হলে নোটবই, গাইডবইয়ের দরকার হবে না।

নোটবই, গাইডবই সিন্ডিকেট করে কিছু মানুষ হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে। এ সব গাইডবই নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। টিউশন বাণিজ্যগুলো যারা করে, বড় বড় প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দিয়ে এ সব করে, এগুলো থেকে দূরে সরে গিয়ে আমাদের এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা উচিত, যে শিক্ষাব্যবস্থায় বাচ্চারা নিজেরাই শিক্ষার উপকরণ তৈরি করবে। উদাহরণস্বরূপ— আমি একটি অভিজ্ঞতা ভাগ করতে পারি। নরওয়ের একটি স্কুল পরিদর্শনে গেলে আমাকে বলা হল, আজকে আমাদের বাচ্চারা বাটারফ্লাই অর্থাৎ প্রজাপতি নিয়ে শিখবে। আপনি একটু থাকুন। সেখানে শিক্ষক প্রথমে প্রজাপতি সম্পর্কে বলে দিলেন, তারপর বললেন, তোমরা গুগলে যাও, যতটা পারো জানো ছয়জনের একটি গ্রুপ ব্যস্ত হয়ে পড়ল প্রজাপতি সম্পর্কে জানতে। তারপর ওরা নিজের ভাষায় যে প্রেজেন্টেশন দিল, তাতে এত সুন্দরভাবে প্রজাপতি সম্পর্কে বলল যে, আমি মুগ্ধ হয়ে শুনলাম। এই যে ওরা শিখলো, এটিতো সারাজীবন তাদের মাথায় থাকবে। আমাদের এখানে ছুটির ঘণ্টা বাজলে অর্থাৎ স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা দৌড়ে বাড়ি যেতে চায়, আর ওই দেশে দেখেছি স্কুল ছুটি হলে খুব মন খারাপ করে থাকে। আমাদের বাচ্চাদের যেন আমরা সেভাবেই শিখাতে পারি। আমাদের সেদিকেই যেতে হবে। যে পাঠ্যক্রম চালু হচ্ছে, তা শতভাগ সফল হবে, সেকথা আমি বলছি না, তবে শুরুটাতো হলো। এভাবে যদি আমরা এগোতে পারি, তাহলে আগামী দশ বছরে দ্বিতীয় পর্বে এবং তারপরের পাঁচ বছরে তৃতীয় পর্বে পৌঁছাতে পারবো। ফলে ১৫ থেকে ২০ বছরে একটি নতুন প্রজন্ম আমাদের তৈরি হয়ে যাবে, যারা মুখস্থ-পরীক্ষা-নকল-প্রশ্নপত্র ফাঁস এ রকম নানা ছক থেকে বেরিয়ে সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। এরপর আমাদের আর পেছন ফিরতে হবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: আপনাকেও ধন্যবাদ। সেইসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ও পাঠকদেরও ধন্যবাদ।

আরএ/

Header Ad

ইউরোপা লিগ: অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে ফাইনালে লেভারকুসেন

অজেয় থাকার রেকর্ড গড়ে ফাইনালে লেভারকুসেন। ছবি: সংগৃহীত

হার এড়াতে পারলেই ইউরোপের ফুটবলে লেখা হবে নতুন ইতিহাস। এটি আগেই জানা ছিল বেয়ার লেভারকুসেনের। তবে মাঠে নেমে সেই ইতিহাস গড়তে একটু দেরি হলেও শেষমেশ তা করেই ছাড়লো জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাবটি। ইউরোপীয় ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে টানা বেশি ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড করলো লেভারকুসেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে ইউরোপা লিগে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রোমার বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে ড্র করে ফাইনালের টিকিট কাটে জাবি আলোনসোর দল।

সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রোমার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে তারা। প্রথম লেগে ২-০ গোলে জয় পাওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলে রোমাকে হারিয়ে ইতিহাসের দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠল লেভারকুসেন।

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সকল প্রতিযোগিতায় অপরাজিত রয়েছে লেভারকুসেন। বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের ১১ বছরের আধিপত্য কেড়ে নিয়েছে তারা।

তার পাশাপাশি লিগ কাপেও ফাইনালে উঠেছে আলোনসোর দল। আর এবার ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগে কোন ম্যাচ না হেরে ফাইনালে উঠেছে লেভারকুসেন।

এতে চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৪৯ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েছে লেভারকুসেন। তারা ভেঙেছে ইউরোপের ফুটবল ইতিহাসের ৫৯ বছর আগের রেকর্ড।

১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সালে টানা ৪৮ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ইউরোপের ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি এতদিন দখলে রেখেছিল বেনফিকার।

আগামী ২৫ মে জার্মানির দ্বিতীয় সারির দল এফসি কাইজারস্লটার্নের বিপক্ষে লিগ কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে লেভারকুসেন। আর তার আগে ২২ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালে আতালান্তার মুখোমুখি হবে আলোনসোর দল।

এই দুই ম্যাচে জয় পেলে আর লিগে শেষ দুই ম্যাচে জিততে পারলেই অপরাজিত এক মৌসুম পার করবে লেভারকুসেন। যা আগে অন্য কোন জার্মান ক্লাব করতে পারেনি।

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা। ছবি: সংগৃহীত

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

একদিনের সফরে আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে সড়ক পথে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল পৌনে ১০টার দিকে নিজ বাড়ি ও নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জে পৌঁছান তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা, ভাই শেখ হেলালসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর তার সম্মানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করে।

এরপর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

এর আগে সকালে সড়কপথে গোপালগঞ্জ আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়াকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করবেন।

পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। বিকেলে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে আসবেন তিনি।

দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ

ফাইল ছবি

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি ও কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে রাজধানী ঢাকায় আজ সমাবেশ করবে বিএনপি। শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ৩টায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। কিছু শর্ত সাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে বলে ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সমাবেশের অনুমতি নিতে গতকাল বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির তিন নেতা।

সমাবেশের অনুমতি নিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ডিএমপি কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির তিন নেতা। তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

আলোচনা শেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত সমস্যা থাকবে না। তাই সেদিন সমাবেশ ও মিছিল করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। ডিএমপি এ বিষয়ে ইতিবাচক এবং সমাবেশে তারা সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি বলেন, আন্দোলনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।

প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঈদের পর গত এপ্রিলে এই সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে যায়।

সর্বশেষ সংবাদ

ইউরোপা লিগ: অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে ফাইনালে লেভারকুসেন
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
প্রেমিক যুগলকে মারধরের পর গলায় জুতার মালা, ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
বিদায় নিচ্ছেন পিটার হাস, নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড মিল
চুক্তি ছাড়াই শেষ যুদ্ধবিরতি আলোচনা, রাফায় চলছে ইসরায়েল-হামাস লড়াই
কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান উদ্ধার
রাফায় বড় অভিযান হলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ: বাইডেন
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
ভবিষ্যতে শতভাগ কানেক্টিভিটি তার ভূগর্ভে স্থাপন করা হবে: পলক
নয়া সরকারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম বাজেট ঘোষণা ৬ জুন
প্রকল্প-স্থাপনায় ‘শেখ হাসিনা’ নাম না রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৬.১ শতাংশ
৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৬৩৮
ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ
নওগাঁয় বজ্রপাতে ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু
ভারত-কানাডা দ্বন্দ্ব চরমে, পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি
জামিন পেলেন না মিল্টন সমাদ্দার
চীনের আগে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী : হাছান মাহমুদ