রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ১২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ সাক্ষাৎকার

‘সিংহভাগ শিক্ষক তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি’

দেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান সংকট, প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের। সেখানে তিনি এ সংকট উত্তরণের পথও তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শেহনাজ পূর্ণা। নিচে সাক্ষাৎকারটির চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল—

ঢাকাপ্রকাশ: শিক্ষাঙ্গনে প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি ভয়াবহ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এর কারণ কি?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: দেশের শিক্ষাঙ্গনে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে কতগুলো কারণে। একটি হচ্ছে— লোভের সংস্কৃতি, যা ইতোমধ্যে আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সমাজের উচ্চস্তর থেকে নিম্নস্তর অবধি সর্বত্র এই সংস্কৃতি প্রসারমাণ। এখন বেশির ভাগ মানুষ প্রতিমাসে যা আয় করে তার থেকে অনেক বেশি পেতে চায়। কারণ যদি সে তা না পায়, তাহলে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। একজন শিক্ষক, যার বেতন খুবই কম এবং যার কোনো উপরি উপার্জনের পথ নেই, তার পক্ষে যদি নিজের সম্মানটুকু বজায় রেখে চলতে হয়, তাহলে টিউশন করা ছাড়া উপায় নেই। যারা টিউশন করে টাকা পয়সা উপার্জন করেন, ছেলেমেয়েদের যাদের বিয়ে দিতে হয় ,সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হয়, তাদের পক্ষে সেই ব্যয়ভারটুকু বহন করাও কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। ফলে কেউ কেউ তারা নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে নানা উপায়ে টাকাপয়সা উপার্জন করতে চান। এদের সংখ্যা বাড়ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা সবসময়ই শাস্তির বাইরে থেকে যাচ্ছে কেন? তাদের ব্যাপারে আইনগত কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: দুঃখের বিষয় হল, আইনের প্রয়োগ আমাদের দেশে হয় না। আইনের শাসনের অবস্থা খুব দুর্বল। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওঠে সেই দেশে যে দেশে আইনের শাসন নেই। অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি আমাদের পেনাল কোডে আছে। কিন্তু ক্ষমতাধর অপরাধীদের কোনো শাস্তি হয় না। ফলে, অপরাধ করে যখন পার পেয়ে যায় মানুষ, তখন সেটি সোনা চোরাচালান থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের দুর্নীতিতে মানুষ বেপরোয়া হয়ে যায়। মানুষ ভাবে শাস্তি যেহেতু হবে না, কাজেই যেকোনো অপরাধই সিদ্ধ বলে গৃহীত হয়ে যাবে, কোনো সমস্যা হবে না।
এখন প্রশ্ন আসে, এটি সাধারণ দুর্বৃত্তরা করতে পারে কিন্তু শিক্ষকরা কেন করবেন? তার মানে হচ্ছে, শিক্ষকতায় এখন অপরাধপ্রবণ মানুষজন আছেন, অর্থাৎ উঁচু নৈতিকতার মানুষ অনেকেই আসছেন না। শিক্ষকদের প্রতি সম্পূর্ণ সহানুভূতি ও ভালবাসা থেকেই বলছি, সিংহভাগ শিক্ষক তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। কিন্তু যদি এক শতাংশ শিক্ষকও থাকেন, যারা আদর্শচ্যুত হয়ে নীতি-নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে, এ সব করতে থাকেন, তাহলে সমগ্র শিক্ষক সমাজের উপর সেটির একটি প্রভাব পড়বে।

এ ধরনের অপরাধ বাড়ছে এবং আগামীতে হয়ত আরও বাড়বে। এটি কোনো একটি কারণে হয়নি। একদিনেও হয়নি। সামাজিক অস্থিরতা থেকে, লোভের সংস্কৃতি থেকে, আইন শৃঙ্খলার যথাযথ প্রয়োগের অভাব থেকে, দুর্বৃত্তদের আইনের ফাঁক-ফোঁকর গড়িয়ে ঢালাওভাবে পার পেয়ে যাওয়ার উপায় থেকে, এগুলো উদ্ভূত হয়েছে। কিছু দুষ্টুচক্রের কারণে এটি হচ্ছে কিন্তু দুর্নামটি হচ্ছে সমগ্রের। এটি আমাদের মনে রাখতে হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: এ রকম একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কি?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: এ রকম একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য় আমি মনে করি, প্রথমেই শুরু করতে হবে আইনশৃঙ্খলার সুষ্ঠু প্রয়োগ এবং অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে। কোনো অপরাধীকে (যে ধরনের অপরাধই সে করুক না কেন) বিচার প্রক্রিয়ার ভেতর নিয়ে আসতে হবে। অকারণ কালক্ষেপণ করা যাবে না। সেই বিচার প্রক্রিয়া যদি স্বচ্ছ হয়, সত্যিকার অপরাধী যদি শাস্তি পায় এবং কাগজে কলমে সেটি দৃষ্টান্তমূলক হয়ে যায়, তাহলে এটি প্রধান একটি অন্তরায় হয়ে যাবে। সবাই তখন ভয় পেয়ে যাবে যে, এটি করা যাবে না। পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সময় নৈতিকতার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আমাদের এখানে অনেক নিয়োগ হয় টাকা পয়সার বিনিময়ে। এভাবে যদি শিক্ষক নিয়োগ হয়, তাহলে যে টাকা তিনি খরচ করবেন, নিশ্চয় তা তুলে আনার চেষ্টা করবেন। কীভাবে? এ ধরনের দুর্নীতির মাধমেই তিনি ঘুষ দেওয়া টাকাটা ফেরত পেতে চাইবেন। এই যে ভয়াবহ একটি ধংসের সম্ভাবনা দেখছি শিক্ষকতায়, এটি বাস্তব রূপ ধারণ করেছে দেশের বেশির ভাগ কর্মক্ষেত্রে। এর ফলে আমার মনে হয় না যে, এটি দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার মত। আমি যতই সমাধানের কথা বলি, হয়ত তা বলব একটি আদর্শিক দৃষ্টিকোণ থেকে, সাংবাদিক ছাপাবেন একটি আদর্শিক অবস্থান থেকে, সমাজের জনগণ, তারাও এটি বিচার করবে একটি আদর্শিক পরিপ্রেক্ষিতে। কিন্তু সেই আদর্শটুকু আমাদের থাকতে হবে।

আমি শুধু শিক্ষকদের নৈতিকতার কথা বলব না, আমি মনে করি, তাদের বেতন ভাতারও উন্নতি করতে হবে। একজন শিক্ষকের থেকে যখন কম শিক্ষিত একজন ব্যবসায়ী অথবা একজন ঠিকাদারের আয় অনেক গুণ বেশি থাকে বেচারা শিক্ষককে হয়ত চারপাশের মানুষ এমনকি পরিবারের লোকজন থেকেও তার অক্ষমতা নিয়ে কটু কথা শুনতে হয়। শিক্ষকদের যদি আমরা পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিই, বেতন ভাতা বাড়িয়ে দিই, তার পক্ষে দুর্নীতি করার কারণ থাকবে না। দুর্নীতিকে কখনো উৎসাহিত করা যাবে না। যারা অপরাধ করেন, তাদের অপরাধ প্রমাণিত হলে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে দুর্নীতির বিষয়টি চিরতরে বাদ দিতে হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: এক সময় একাধিক প্রশ্নপত্র সেট ছিল। এখন সেই প্রক্রিয়াটি নেই কেন?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: আমাদের সময় পরীক্ষাপত্রের সেট একটিই থাকতো। তখন এমন একটি নৈতিকতার পরিবেশ ছিল, কেউ নকল করার কথা চিন্তাই করতে পারত না। আমাদের যারা শিক্ষক ছিলেন, যারা কর্মকর্তা ছিলেন, কেরানি ছিলেন, কারো মাথাতেই এ সব চিন্তা আসত না। এখন যেহেতু নকল হয়, সেজন্য আমাদের কিছু চালাকির আশ্রয় নিতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, চালাকির মাধ্যমে আমরা যদি এই পদ্ধতিকে হারাতে চাই, মনে রাখতে হবে এই চালাকিটা ধরে ফেলে আরও বড় চালাকি করার মানুষ কিন্তু বাংলাদেশে আছে। কাজেই আমি বলব, প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করলেও কাজ হবে না যদি আমি মানুষটি অসৎ থাকি। যাদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সেটগুলো যাবে বিভিন্ন জায়গায়, সেই মানুষগুলো যদি দুর্বৃত্ত হয়, তখন কোনো সেটেই কাজ হবে না। কাজেই আমি মনে করি অধিক সেট তৈরি করা কোনো গুরুত্বপূর্ণ সমাধান নয়। এজন্য বিকল্প ভাবনার অর্থাৎ সেই চালাকির প্রয়োজন। এর জন্য প্রযুক্তি নিশ্চয় আছে। না থাকলে উদ্ভাবন করতে হবে।

আমি আরও একটি বিষয় এখানে সংযুক্ত করতে চাই। সেটি হল এ সব অনাচারের জন্য গুটি কয়েক শিক্ষক জড়িত থাকতে পারেন অথবা অন্য অনেকেই থাকতে পারেন। কিন্তু সব শিক্ষককে এজন্য দায়ী করা ঠিক হবে না। সাধারণীকরণ করা ঠিক হবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: সম্প্রতি নতুন কারিকুলাম প্রণীত হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীল মেধা বিকাশে সেটি কতটুকু কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আপনি মনে করছেন?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ সব অপরাধ থেকে বের হওয়ার আরেকটি পথ আছে। সম্প্রতি আমরা নতুন কারিকুলাম তৈরি করেছি। প্রাইমারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। ভবিষ্যতে এটি আরও সম্প্রসারিত হবে। পরীক্ষা কমিয়ে সৃজনশীলতার দিকে আমাদের বেশি নজর দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে পাঠ্যপুস্তক ও মুখস্ত নির্ভর না হয়ে সৃজনশীলতার চর্চা করে এবং জানার মাধ্যমে নিজের ভাবনার বিকাশ করতে পারে এ বিষয়টির উপর এখন থেকে জোর দেওয়া হবে। এটি সফল হলে নোটবই, গাইডবইয়ের দরকার হবে না।

নোটবই, গাইডবই সিন্ডিকেট করে কিছু মানুষ হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে। এ সব গাইডবই নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। টিউশন বাণিজ্যগুলো যারা করে, বড় বড় প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দিয়ে এ সব করে, এগুলো থেকে দূরে সরে গিয়ে আমাদের এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা উচিত, যে শিক্ষাব্যবস্থায় বাচ্চারা নিজেরাই শিক্ষার উপকরণ তৈরি করবে। উদাহরণস্বরূপ— আমি একটি অভিজ্ঞতা ভাগ করতে পারি। নরওয়ের একটি স্কুল পরিদর্শনে গেলে আমাকে বলা হল, আজকে আমাদের বাচ্চারা বাটারফ্লাই অর্থাৎ প্রজাপতি নিয়ে শিখবে। আপনি একটু থাকুন। সেখানে শিক্ষক প্রথমে প্রজাপতি সম্পর্কে বলে দিলেন, তারপর বললেন, তোমরা গুগলে যাও, যতটা পারো জানো ছয়জনের একটি গ্রুপ ব্যস্ত হয়ে পড়ল প্রজাপতি সম্পর্কে জানতে। তারপর ওরা নিজের ভাষায় যে প্রেজেন্টেশন দিল, তাতে এত সুন্দরভাবে প্রজাপতি সম্পর্কে বলল যে, আমি মুগ্ধ হয়ে শুনলাম। এই যে ওরা শিখলো, এটিতো সারাজীবন তাদের মাথায় থাকবে। আমাদের এখানে ছুটির ঘণ্টা বাজলে অর্থাৎ স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা দৌড়ে বাড়ি যেতে চায়, আর ওই দেশে দেখেছি স্কুল ছুটি হলে খুব মন খারাপ করে থাকে। আমাদের বাচ্চাদের যেন আমরা সেভাবেই শিখাতে পারি। আমাদের সেদিকেই যেতে হবে। যে পাঠ্যক্রম চালু হচ্ছে, তা শতভাগ সফল হবে, সেকথা আমি বলছি না, তবে শুরুটাতো হলো। এভাবে যদি আমরা এগোতে পারি, তাহলে আগামী দশ বছরে দ্বিতীয় পর্বে এবং তারপরের পাঁচ বছরে তৃতীয় পর্বে পৌঁছাতে পারবো। ফলে ১৫ থেকে ২০ বছরে একটি নতুন প্রজন্ম আমাদের তৈরি হয়ে যাবে, যারা মুখস্থ-পরীক্ষা-নকল-প্রশ্নপত্র ফাঁস এ রকম নানা ছক থেকে বেরিয়ে সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। এরপর আমাদের আর পেছন ফিরতে হবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: আপনাকেও ধন্যবাদ। সেইসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ও পাঠকদেরও ধন্যবাদ।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর ঘোষণা  

ছবিঃ সংগৃহীত

৫ আগষ্ট হাসিনা সরকার পতনের পর পাকিস্তান আর বাংলাদেশের বানিজ্য যাত্রা নতুন মাত্রা শুরু হয়েছে। গত কিছুদিন আগে চাল এসছে সমুদ্র পথে। সমুদ্রের পর এবার আকাশপথেও বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। চলতি বছর যেকোনো সময় চালু হবে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে কাজ চলছে ভিসা জটিলতা নিরসন নিয়েও।

এবার পাকিস্তানের সাথে সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হুসেইন। এতে করে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শনিবার দেশটির কাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে ইকবাল হুসেইন দুই দেশের মধ্যে গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের ওপর জোর দেন এবং ভ্রমণ ও যোগাযোগের সুবিধার্থে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

তিনি উল্লেখ করেছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ উভয় দেশের মধ্যে পর্যটন, শিক্ষা এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াবে। হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন এবং এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন এবং উল্লেখ করেন, কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া তরুণ প্রজন্মকে তাদের অধিকারের কথা বলার ক্ষমতা দিয়েছে এবং সেটি দেশে বাকস্বাধীনতার শক্তিশালী সংস্কৃতিতে অবদান রেখেছে।

হাইকমিশনার ইকবাল হুসেইন খাইবার পাখতুনখাওয়াতে বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা এবং শিল্প খাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদার কথাও উল্লেখ করেন এবং এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম এবং করাচিকে সংযুক্তকারী শিপিং রুটের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চলছে বলেও জানান।

হাইকমিশনার বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন এবং প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার দেশের ফোকাস রয়েছে বলেও পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যতিক্রমী সক্ষমতার জন্য পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রশংসাও করেন।

Header Ad
Header Ad

১৪ যুগ্ম জেলা জজকে পদোন্নতি  

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ১৪ জন যুগ্ম জেলা জজকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৫ এর সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

পদোন্নতি দিয়ে তাদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।

পদোন্নতি পাওয়া বিচারকরা হলেন এস, এম, মাসুদ আমান, সেলিনা আক্তার, ফারহানা ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আব্দুল হাই, অসীম কুমার দে, খালেদা ইয়াসমিন, আব্দুল কুদ্দুস, মোছা. রুবিনা পারভীন, সানজিদা আফরীন দীবা, মো. আব্দুল্লল্লাহ আল মামুন, মো. কামরুজ্জামান, মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন, মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন ইকবাল এবং মো. শাহিনুর রহমান।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় আকাশে ঝলমলে রোদ, তবুও তাপমাত্রা সর্বনিম্ন

ছবিঃ সংগৃহীত

আকাশে ঝলমলে রোদ দেখা গেলেও স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে আজ নওগাঁর তাপমাত্রা ৮ দশমিম ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৩, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নওগাঁর আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনব্যাপী কুয়াশা পড়েছিল বৃষ্টির মত করে। ঠিকমহ ঘর থেকে বের হতে পারেননি সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষ।

গত তিন দিনের আবহাওয়ার এই বৈরিতা কাটিয়ে আজ ঝলমলে রোদ উঠেছে নওগাঁর আকাশে। অথচ আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, মৌসুমের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে উত্তরের জেলা নওগাঁয়।

নওগাঁ শহরের এলাকার জনাব আলী জানান, আজকের আবহাওয়া মোটামুটি ভালো অথচ আজকেই নাকি তাপমাত্রা কমে গেছে। বরাবরই দেখছি যেদিন আবহাওয়া ভালো থাকে সেদিনই তাপমাত্রা কমে যায়। তবে চরম কষ্ট হয়েছে গত তিনদিন।

শহরের ঢাকা বাস স্ট্যান্ড এলাকার রিকশাচালক মুনছুর জানান, ঠান্ডা আর অতিরিক্ত কুয়াশা থাকলে যাত্রী পাওয়া যায় না। আবার যাত্রী পেলেও এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে খুবই কষ্ট হয়। তবে আজকে কিছুটা রোদ উঠেছে দেখে ভালো লাগছে।

আবহাওয়া ও তাপমাত্রার বাস্তবতার বিষয়ে বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তাপমাত্রা বাড়ে। গত তিনদিন সূর্যের দেখা মেলেনি পাশপাশি আকাশ খুবই মেঘাচ্ছন্ন ছিল। যার কারণে তাপমাত্রার রিডিং নিচে নামেনি। আজ এ জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে আরও কিছুটা নেমে যেতে পারে বলে জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর ঘোষণা  
১৪ যুগ্ম জেলা জজকে পদোন্নতি  
নওগাঁয় আকাশে ঝলমলে রোদ, তবুও তাপমাত্রা সর্বনিম্ন
১৯৭১ সালের আগে জন্মালে আমাকেও রাজাকার উপাধি দিতো: আজহারী  
মেসে মিলল জবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ পুলিশের ধরণা আত্মহত্যা  
যুদ্ধ বাধিয়ে অস্ত্র বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড  
আজ গুলশান ২, যে কারণে এড়িয়ে চলবেন  
সুদানের হাসপাতালে ড্রোন হামলা, নিহত ৬৭  
বিপিএলের মাঝপথে অস্ট্রেলিয়ান 'হোস্ট' নিয়োগ দিলো ঢাকা  
ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চায় তারা: পরীমণি  
১৪ আদিবাসী জুম্ম জাতি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে : সন্তু লারমা  
কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত    
বছরের প্রথম উন্মুক্ত কনসার্টে গাইবেন জেমসসহ ৭ ব্যান্ড
বাংলা একাডেমি পুরস্কারের ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত
আ. লীগের মন্ত্রী-এমপিদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ‘আপা’ নামে যুক্ত শেখ হাসিনা
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ২০০ ফিলিস্তিনি
গ্রামীণ ট্রাস্টের মালিকানায় আসছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়
বৌভাতের অনুষ্ঠানে পান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩
পরীমণির আগমন ঠেকাতে মুসল্লীদের কর্মসূচি, চাপে অনুষ্ঠান স্থগিত
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ