বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল না’

ববি হাজ্জাজ। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। সম্প্রতি ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দল গঠন করলেও রাজনীতি তার পেশা না। পেশায় শিক্ষক ববি আরও অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন। বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো দল না। তিনি তার বাবাকে (মুসা বিন শমসের) ছাত্রলীগের নেতা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি একজন তরুণ রাজনীতিক। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) নামে আপনার একটা রাজনৈতিক দলও আছে। রাজনীতিটা আপনি কেমন উপভোগ করেন?

ববি হাজ্জাজ: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। একই সঙ্গে আপনার মাধ্যমে ঢাকাপ্রকাশ এবং ঢাকাপ্রকাশ-এর সকল দর্শক, শ্রোতা ও পাঠকদেরকে সালাম ও শুভেচ্ছা।

আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে গত ১০-১২ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। যারাই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন বা রাজনীতি করেন এটা তাদের জীবনের একটা অংশ হিসেবেই করেন। তারা জনগণের কাছে থাকতে চান। মানুষের কাছে থাকতে চান, মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য তারা কাজ করেন এবং একবার যখন মানুষের কাছে পৌঁছান তখন তারা মানুষকে নিয়েই কথা বলেন। মানুষকে নিয়েই তারা কাজ করেন। আসলে রাজনীতি বৃহত্তর ও একটা জীবনের অংশ।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে রাজনীতি আপনার পেশা না?

ববি হাজ্জাজ: না, রাজনীতি আমার পেশা না। একটা নির্বাচন জিতে আপনি চেয়ারম্যান বলেন, কাউন্সিলর বলেন কিংবা এমপি বলেন, ওই একটা জায়গায় বসার আগ পর্যন্ত রাজনীতি আসলে পেশা হতে পারে বলে আমি মনে করি না।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এ এইচ এম এরশাদের উপদেষ্টা ছিলেন। মানে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে গেলেন কেন?

ববি হাজ্জাজ: প্রথমত মরহুম প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। উনি দাওয়াত দিয়ে আমাকে পার্টিতে জয়েন্ট করতে বলেন। উনার বিশেষ উপদেষ্টা বানান। দলের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কও বানান এবং স্পোকস্ পার্সনও বানান। কিন্তু মূল বিষয় ছিল উনার বিশেষ উপদেষ্টা।

২০১৫ সালের মাঝামাঝির দিকে একটা সময় আসে যেখানে দলীয় কিছু কারণে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমার একটা দূরত্ব তৈরি হয়। এই দূরত্ব একবার তৈরি হওয়ার পর আর আসলে জাতীয় পার্টিতে আমি ফিরে যাইনি। আমি জাতীয় পার্টি ছেড়ে দিয়েছি, এ কথাটা আসলে ভুল।

ঢাকাপ্রকাশ: হঠাৎ কেন নতুন রাজনৈতিক দল করার ইচ্ছা জাগল আপনার মতো একজন শিক্ষকের?

ববি হাজ্জাজ: ২০১৫ সালে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমার একটা দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর থেকে আমি…তখনও আমি জাতীয় পার্টির হয়ে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কাজ করছিলাম। কাজ করতে করতে কিছু উপলব্ধি হলো। আমি যে জিনিষগুলো বিশ্বাস করি, জাতীয় পার্টি ভালো না খারাপ সেটা বিষয় না। আমি বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য, দেশের জনগণের জন্য কাজ করা। সেই কাজগুলো জাতীয় পার্টির মাধ্যমে করা অত্যন্ত মুশকিল হতো। আমি যে জিনিষগুলো সঠিক বলে মনে করি সেগুলো নিয়ে কাজ করার প্রত্যাশা থেকেই জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন গঠন করা।

ঢাকাপ্রকাশ: দেশে তো অসংখ্য রাজনৈতিক দল আছে। এতো দলের ভিড়ে আরেকটি রাজনৈতিক দলের কি খুব প্রয়োজন ছিল?

ববি হাজ্জাজ: আলবত প্রয়োজন ছিল। প্রয়োজন ছিল বলেই আমরা শুরু করি। অনেক রাজনৈতিক দল আছে নিশ্চয়ই। নিবন্ধিত অনেক রাজনৈতিক দল আছে নিশ্চয়ই। কিন্তু যেই বিশ্বাসে আমরা বিশ্বাসী সেই বিশ্বাসে অন্যকোনো দল না থাকার কারণে আমরা এনডিএম গঠন করি।

ঢাকাপ্রকাশ: দল নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

ববি হাজ্জাজ: দেখেন রাজনৈতিক দল আমরা সৃষ্টি করি জনণকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য। আর জনগণকে রিপ্রেজেন্ট একমাত্র ইলেকট্রেট পজিশনে গেলেই হয়। সো, দল নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হল সব পর্যায়ে অর্থাৎ স্থানীয় নির্বাচনে, জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করা।

ঢাকাপ্রকাশ: সামনে তো নির্বাচন আসছে। নির্বাচনে আপনার দলের প্রার্থী দেওয়ার মতো অবস্থা কি আছে কোথাও?

ববি হাজ্জাজ: ২০১৯ সালে আমরা নিবন্ধন পাই সিংহ প্রতীক নিয়ে। সামনে যে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে, ২০২৪ সালের নির্বাচন যদি সঠিকভাবে হয়, একসেপ্টবল একটা নির্বাচন দিতে সরকার সক্ষম হয় তাহলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে আলবত এনডিএম বড় ভাবে প্রার্থী দেবে এবং নির্বাচন করবে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি বলছেন নির্বাচন যদি সঠিক হয়, আপনার মনে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন আছে কিনা?

ববি হাজ্জাজ: দেখেন আমি এক মুহূর্তের জন্য ধরছি না যে নির্বাচন সঠিক, স্বচ্ছ ও সুন্দর হবে। ২০১৪ তে হয়নি, ১৮তে হয়নি। এটা হবেই না। তারপরও ২০২৪-এ এসে যদি সরকার একটা আশাবাদের জায়গা তৈরি করতে পারে, যেখানে একটা মিনিমাম জায়গা তৈরি হবে তাহলে আমরা নির্বাচনে যাব। মিনিমাম একটা জায়গা তৈরি করা, বেসিক একটা জয়গা তৈরি করা। যেখানে সবার একটা আস্থা আসে যে, এটলিস্ট একটা মিনিমাম স্বচ্ছতা থাকবে নির্বাচনে। ফুল স্বচ্ছতা না, আমার বিশ্বাস ফুল স্বচ্ছতা আসবে না। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের বসা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও কিছু বিষয়ে তাদের অপারগতার কথা জানিয়েছেন যে, অনেক জিনিসই তাদের ক্ষমতার বাইরে। তাদের ক্ষমতার ভেতরে থাকলে যে তারা করতেন আমি সেটাও বলছি না।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কয়েকদিন আগে ফেনীতে একটি সমাবেশে বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। আওয়ামী লীগকে উড়িয়ে দিলেন…

ববি হাজ্জাজ: আমি আওয়ামী লীগকে উড়িয়ে দেইনি। আওয়ামী লীগ এদেশের একটা প্রাচীন রাজনৈতিক দল। কিন্তু সেই দলের সঙ্গে আজকের আওয়ামী লীগকে আমি রাজনৈতিক দল হিসেবে ধরি না। কারণ ক্ষমতায় যারা আছেন তারা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আওয়ামী লীগ এদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। এটা আমি বিশ্বাস করি। তবে যতদিন সরকারে আছে ততোদিন আওয়ামী লীগ জনসম্পৃক্ত না এবং কোনো রাজনৈতিক দল না। দ্বিতীয়ত, আমরা মনে করি আমরা শুধু সত্য বলছি। সত্যটা যদি কারো বিরুদ্ধে যায়, তাতে আমার করার কিছু নেই।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার বাবা তো একজন ব্যবসায়ী এবং জনশক্তি রপ্তানির পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে স্বীকৃত। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। আপনার রাজনীতির ক্ষেত্রে তার কোনো প্রভাব পড়ে কি না?

ববি হাজ্জাজ: প্রথমত আপনাকে বলে রাখি, এই জনশক্তি রপ্তানি, এই সেক্টরটার জন্ম দিয়েছে আমার বাবা। আজকের বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অবস্থা তার উপর বড় কোনো ইন্ড্রাস্টিয়াল ইম্পেক্ট যদি থেকে থাকে…বাংলাদেশের উন্নয়নের মাপকাঠি, উন্নত দেশ, এতো হাইরাইজ জিডিপি, আজকে যে ডলার ক্রাইসিস তৈরি হল… তখন কিন্তু এই ফরেন রেমিটেন্সের কারণেই আমরা বলতে পারছি ডলার ভ্যালু একটা সামঞ্জস্যে আসছে। এই জনশক্তি রপ্তানির কারণে, এই ইন্ড্রাস্টির কারণে। আর এই ইন্ড্রাস্টির জন্মদাতা আমার বাবা।

দ্বিতীয়ত, অস্ত্রের ব্যবসা নিয়ে অনেকভাবে কথা বলা যায়। রাস্তাঘাটে যারা অস্ত্র নিয়ে বা অবৈধ আর্মস নিয়ে হেলমেট বাহিনী দৌড়াদৌড়ি করছে, এটা যারা বিক্রি করছে এটাও অস্ত্রের ব্যবসা। আবার বিএই সিস্টেমস এ যারা অস্ত্র বিক্রি করছে সেটাও অস্ত্রের ব্যবসা। আমার বাবা বড় বড় ফাইটার জেট, ট্যাংক, ওয়্যার শিপ, ফ্রিগেট… একটা দেশ যখন আরেকটা দেশে বিক্রি করত তখন উনার মাধ্যমে বিক্রি করছে। বহু বছর আমার বাবা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমার বাবা কখনই বিতর্কিত কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাকে নিয়ে কেন বিতর্ক সেটা আমার বোধগম্য নয়। আর আমার রাজনীতিতে সেটা কোনো প্রভাব ফেলেনি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার পিতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করা, পাকবাহিনীকে সহায়তা করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। মামলাও হয়েছে। কিন্তু আপনাদের পরিবারের সঙ্গে সরকারি দলের একজন প্রভাবশালী নেতার পরিবারের আত্মীয়তার কারণে সেই মামলাটি আগায়নি। যার ফলে যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রক্রিয়া আগায়নি। যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি আপনি কীভাবে খণ্ডাবেন…।

ববি হাজ্জাজ: প্রথমত প্রশ্নটা একটা অবাঞ্ছিত প্রশ্ন। যেহেতু আপনি জিজ্ঞেস করে ফেলেছেন সেকারণে উত্তর দেই। যেকোনো বড় মানুষের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের আরোপ আনা যায়। কখনো উনার নামে কোনো মামলা হয়ে কিছু প্রমাণিত হয়নি এবং বড় কথা কোনো মামলা নেয়ওনি। এই কমপ্লেইন আইসিটি ট্রাইব্যুনাল থেকে শুরু করে দুদক সব জায়গায় গিয়েছে। কিন্তু কোথাও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লগের মরহুম নেতা আব্দুর রাজ্জাক সাহেব যার ছেলেও এখন সংসদে আছেন, আব্দুর রাজ্জাক সাহেব পর্যন্ত বক্তব্য দিয়েছেন যে, আমার বাবা কখনো… এবং আমার বাবা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের আন্ডারেই উনি ছিলেন। মানে আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন সিনিয়র নেতা, আর আমার বাবা ছিলেন জুনিয়র নেতা। সেই হিসেবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা সেই এলাকায় বক্তব্য দিয়েছেন যে, উনি কখনো যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এমনকি কোনো মামলায় তার বিরুদ্ধে কোনো আইসিটি এভিডেন্স বের করতে পারেননি।

আর আপনি যদি বলেন যে, সরকারি দলের সঙ্গে সম্পর্কের…সরকারি দলের সঙ্গে যদি আমার এতোই দহরম-মহরম সম্পর্ক থাকে তাহলে আমার রাজনীতিতে এতো নাজেহাল কেন হতে হয়। এতোই যদি দহরম মহরম থাকে তাহলে দেখান গত ২০ বছরে আমার পরিবার… গত ৩০ বছরে আমাদের পারিবারিক যে ব্যবসা তার একটা কন্ট্রাক্ট সরকারের সঙ্গে করেছে। সরকারের সঙ্গে এতো দহরম মহরম থাকে তাহলে সরকারের কাছ থেকে না আমি একটা টাকা বানাতে পারছি …এই সরকারের আমলে দুদকে হয়রানি হয়, এই সরকারের আমলে রেন্ডম মামলা করে…যখন এদেশের অর্থনীতি যাদের উপর দাঁড়িয়ে তাদের নাজেহাল করে…তখন এই দেশের সরকারের সঙ্গে কতোখানি সম্পর্ক আমার, এখানে কি প্রতীয়মান হয় না।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২