সরকারি চাকরিজীবীকে তুলে নিয়ে নিজের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিলেন বাবা
ছবি: সংগৃহীত
সরকারি কর্মকমিশনের পরীক্ষায় পাস করে মাত্র শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন ‘গৌতম কুমার’। প্রতি দিনের মতো গত বুধবারও স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেলেন তিনি। ক্লাসের মধ্যে হঠাৎ করে কয়েকজন ব্যক্তি জোর করে ঢুকে গৌতমকে তুলে নিয়ে যান। এমনকি অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তার সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দেন এক অপহরণকারী।
এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহারে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার বিহারের বৈশালী জেলায় এই অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী গৌতম কুমার পাতেপুরের রেপুরার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। এ ঘটনায় তার পরিবার বুধবার রাতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এরপরই নিখোঁজ শিক্ষকের সন্ধানে অভিযানে নামে পুলিশ।
গৌতমের পরিবারের অভিযোগ, রাজেশ রায় নামে এক ব্যক্তি গৌতমকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। এরপর রাজেশের মেয়ে চাঁদনীর সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেন। এমনকি বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনও করা হয়।
এ ঘটনায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিহার পুলিশ। এ ছাড়া অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত চলছে।
অবশ্য বিহারে এই ধরনের ‘পাকদওয়া বিবাহ’-এর ঘটনা প্রায়ই ঘটে। পাকদওয়া বিবাহ হলো এমন এক প্রথা যেখানে অবিবাহিত ছেলেদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়।
গত বছর এক পশু চিকিৎসককে অসুস্থ প্রাণীর চিকিৎসার জন্য ডেকে প্রথমে তিন ব্যক্তি অপহরণ করেন। এরপর তাকে এক মেয়ের সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়। কয়েক বছর আগে বিহারের এক প্রকৌশলীর সঙ্গেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে।