৬.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল নেপাল
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে হিমালয় অঞ্চলের দেশ নেপাল। রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১। অবশ্য কম্পনের জেরে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানা যায়নি।
আজ রোববার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকালে রিখটার স্কেলে ৬.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প নেপালের রাজধানী শহর কাঠমান্ডুতে আঘাত হানে বলে দেশটির ন্যাশনাল আর্থকুয়াক মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে।
শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি সকাল ৭টা ৩৯ মিনিটে রেকর্ড করা হয় এবং কাঠমান্ডু ছাড়াও বাগমতি এবং গন্ডাকি প্রদেশের অন্যান্য জেলাতেও কম্পন অনুভূত হয়। অবশ্য কম্পনের ফলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মৃত্যু বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
দেশটির জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানায়, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ধাদিং জেলায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নেপাল বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। যার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি সব সময় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকে।
২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পোখারা শহরের মধ্যবর্তী স্থানে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশটিতে অন্তত ৮ হাজার ৯৬৪ জন নিহত এবং প্রায় ২২ হাজার মানুষ আহত হন।
‘গোর্খা ভূমিকম্প’ নামে পরিচিত সেই ভূমিকম্পের আঘাতে উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি শহরও কেঁপে উঠেছিল। এর পাশাপাশি কম্পন অনুভূত হয়েছিল পাকিস্তানের লাহোরে, তিব্বতের লাসা এবং বাংলাদেশের ঢাকাতেও। সেই ভূমিকম্পের পর কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এছাড়া ওই ভূমিকম্পে মাউন্ট এভারেস্টে তুষারপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ২২ জনের মৃত্যু হয়। পরে একই বছরের ১২ মে বড় ধরনের আফটারশক অনুভূত হয়। এই আফটারশকের কেন্দ্রস্থল ছিল কাঠমান্ডু এবং মাউন্ট এভারেস্টের মধ্যবর্তী চীন সীমান্তের কাছের অঞ্চল। এতে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যান এবং আহত হন ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি।