সৌদি আরবের নতুন প্রধানমন্ত্রী যুবরাজ সালমান
সৌদি আরবের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম ঘোষণা করেছেন দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক রাজকীয় ডিক্রিতে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ তার ছেলে এবং সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মোহাম্মদ বিন সালমানকে এই দায়িত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এ ছাড়া নিজের দ্বিতীয় পুত্র প্রিন্স খালিদকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন বাদশাহ। সৌদির ক্ষমতা কাঠামোয় রদবদলের ডিক্রিতে নিজের আরেক পুত্র যুবরাজ আবদুল আজিজ বিন সালমানকে সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী হিসাবে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বাদশাহ।
এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ, অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান এবং বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ তাদের পদে বহাল রয়েছেন বলে ডিক্রিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সৌদির প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার আগে যুবরাজ সালমান দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন এবং মঙ্গলবারের রাজকীয় ডিক্রিতে তিনি কার্যত পদোন্নতি পেয়েছেন। এই কথাটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত যে, সালমান বিন আবদুল আজিজ সৌদি আরবের বাদশাহ হলেও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানই সৌদির প্রকৃত শাসক।
৮৬ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ইসলামের পবিত্রতম স্থানগুলোর রক্ষক। ক্রাউন প্রিন্স হিসাবে আড়াই বছর অতিবাহিত করার পর ২০১৫ সালে সৌদির শাসক হন তিনি। অবশ্য গত দুই বছরে বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এই বাদশাহ।
অন্যদিকে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ ২০১৭ সালে ক্ষমতা কাঠামোয় প্রবেশ করার পর থেকে সৌদি আরবকে আমূল পরিবর্তন করেছেন। তেলের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় নেতাদের ক্ষমতাও রোধ করেছেন তিনি।
এ ছাড়া মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমন-পীড়নেরও অভিযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর পদটি আগে বাদশাহই নিজের হাতে রাখতেন। রাজকীয় ফরমানে দায়িত্ব হস্তান্তরের কোনো কারণ বলা হয়নি। তবে ফরমানে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাদশাহই সভাপতিত্ব করে যাবেন।
আরএ/