ইমরানের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস বিরোধী’ আইনে অভিযোগ, তদন্ত শুরু
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস বিরোধী’ আইনে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রাজনৈতিক বক্তৃতায় পুলিশ ও বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগে রবিবার (১৯ আগস্ট) ইমরানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর পাওয়া গেছে।
ইমরানের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গন। শনিবার ইসলামাবাদের এফ-৯ পার্কে বক্তৃতায় পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) সভাপতি ইমরান খান দেশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, এক নারী বিচারক, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও আমলাতন্ত্রকে প্রকাশ্যে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শাহবাজ গিলকে গত ৯ আগস্ট গ্রেপ্তার করায় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের হুমকি দেন ইমরান। গিলকে নির্যাতন করা হয়েছে, এমন অভিযোগে ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে শত শত সমর্থক ইমরান খানের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। তার গ্রেপ্তার ঠেকাতে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান নিতে দেখা যায় তাদের। পুলিশ খানকে আটকের চেষ্টা করলে রাজধানী দখলের হুমকি দিয়ে রাখেন তারা। উপস্থিত পুলিশ জানায়, এই পরিস্থিতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে নয়, নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই এসেছেন তারা।
এদিকে পুলিশের তদন্তকারীরা বলছেন, ইমরান খান রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে দেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘন করেছেন।
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের ভাষণ সরাসরি সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির মিডিয়া নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ। রবিবার পাকিস্তান ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটির (পিইএমআরএ) এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ইমরান খান ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের’ বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ তুলছেন এবং ‘ঘৃণাবাদী বক্তব্য ছড়াচ্ছেন’।
এর সূত্র ধরেই ‘সন্ত্রাস বিরোধী’ আইনের অধীনে এফআইআর করা হয়েছে।
টিটি/