সুদানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৭
সুদানে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৭ জন পৌঁছেছে। এ বন্যায় সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দেশটির জাতীয় কাউন্সিল সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
আব্দুল জলিল জানান, গত মে মাসে বর্ষাকাল শুরুর পর থেকে সৃষ্ট বন্যায় এতো মানুষের মৃত্যু হলো সেখানে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য উত্তর কোর্দোফান, গেজিরা, দক্ষিণ কোর্দোফান, দক্ষিণ দারফুর।
সুদানে সাধারণত মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে বহু ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) সপ্তাহের শুরুতে এক প্রতিবেদনে জানায় যে, সরকারের মানবিক সহায়তা কমিশন, মানবিক সংস্থা ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাবে, এ বছরের বন্যায় ১ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কারণ এখনো অনেক এলাকা পানির নিচে ডুবে আছে। জাতিসংঘ বলছে, গত ১৪ আগস্ট ভারী বৃষ্টির কারণে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা গতবছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ।
সংস্থাটির তথ্য বলছে, ২০২১ সালে সুদানে বর্ষাকালে দেশজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ মানুষ। গত বছর বন্যায় দেশটিতে ৮০ জনের মৃত্যু হয়। সারাদেশে ১০ হাজারের বেশি বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ২০২০ সালের বন্যায় এ ক্ষতির পরিমাণ ছিল এক লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ১০০।
টিটি/