টানা বর্ষণে তামিলনাড়ুর দক্ষিণাঞ্চলে ১০ জনের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত
টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তামিলনাড়ু। এখন পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত তিনদিনের টানা বর্ষণে রাজ্যটির দক্ষিণাঞ্চলে স্তব্ধ জনজীবন, ঘরবন্দি হয়ে আছেন কয়েক হাজার মানুষ। একাধিক জেলায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল, কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
গত শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে রাজ্যটির তিরুনেলভেলি, তেনকাশী, তুতিকোরিন, কন্যাকুমারী এবং থুথুকুড়ি জেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিরুনেলভেলি ও তেনকাশী জেলার সব স্কুল কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি ঘুরছে, তাতে দেখা গেছে প্রায় এক তলা সমান বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
রাজ্যের মুখ্য সচিব শিব দাস মিনা জানিয়েছেন, ‘আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী যে বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল তা ছাপিয়ে গেছে। গত তিনদিনের বৃষ্টিতে তিরুনেলভেলি এবং তুতিকোরিন জেলা মিলিয়ে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে ৩ জন দেয়াল চাপা পড়ে, ৪ জন পানিতে ডুবে, ২ জন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এবং একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
মুখ্য সচিব জানান, রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিশেষ করে তিরুনেলভেলি এবং তুতিকোরিন জেলায় রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে ওই দুই জেলায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অতিরিক্ত বর্ষণের ফলে এই জেলাগুলোতে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন পরিষেবা। বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন। ইতোমধ্যেই দুর্গত এলাকায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীও।
এই অবস্থায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে উপযুক্ত ত্রাণ তহবিল ঘোষণারও দাবি জানিয়েছেন স্ট্যালিন।
সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের ৮ মন্ত্রী এবং ১০ জন আইএএস কর্মকর্তাকে ত্রাণ এবং উদ্ধারের কাজে পাঠানো হয়েছে। অন্য এজেন্সিগুলোর সঙ্গে রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা দলের ১৫টি টিম এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দলের ১০টি টিম দুর্গত এলাকায় কাজ করছে। যারা এখন পর্যন্ত সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃতদেরকে ১৪৩টি ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে খাবার বিতরণ চলছে।