রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমার সংকটের সমাধান চায় জাতিসংঘ
মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানের জন্য দেশটির সামরিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার (২৪ আগস্ট) এ কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ব্যাপক দমন-পীড়নের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে দলবেঁধে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। দেশটির রাখাইন রাজ্যে নির্মম নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। ওই সময় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়। অবশ্য এর আগে সাড়ে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে কক্সবাজারে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এত সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে মিয়ানমার সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বার বার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়ে উঠেনি। থমকে আছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।
এ নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিখ বলেন, গুতেরেস রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যত অস্পষ্ট। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে ব্যাপক বৈষম্যের সম্মুখীন রোহিঙ্গারা। তাদের বেশিরভাগই নাগরিকত্বসহ অন্যান্য অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
গুতেরেসের মুখপাত্র আরও বলেন, মিয়ানমারে সংঘটিত সব ধরনের আন্তর্জাতিক অপরাধে জড়িত অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
যদিও সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর মিয়ানমারের মানবিক, মানবাধিকার ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্টিফেন দুজারিখ।
টিটি/