বাইডেনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান নাকচ করলেন নেতানিয়াহু

ফাইল ছবি
গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বান নাকচ করে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে অনুরোধ করেছেন। বাইডেনের দাবি, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হলে আরও জিম্মিমুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সম্প্রতি বাইডেনের যুদ্ধে সাময়িক বিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করার পর একটি টিভি ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস জিম্মিদের ফেরত না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যাবে না তেল আবিব।
কিছুদিন আগেই ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে বন্দী ও জিম্মিদের মুক্তির সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য মানবতার প্রয়োজনে সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে যুদ্ধবিরতি অত্যন্ত জরুরি বলেও জানান তিনি।
একজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং কাতারের মধ্যে আলোচনাধীন একটি প্রস্তাবের অধীনে হামাস তিন দিনের বিরতিতে ১০ থেকে ১৫ জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং অবশিষ্ট বন্দীদের পরিচয় যাচাইয়ের সুযোগ দেবে। তাছাড়া হামাস সদস্যরা জিম্মিদের একটি তালিকাও দেবে বলে জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাইডেন এবং নেতানিয়াহু সোমবার টেলিফোনে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
হামাসের যুদ্ধে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরায়েলের বিরোধিতার মুখে মার্কিন কর্মকর্তারা বারবারই বলে আসছেন, কৌশলগত বিরতি জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় আরও মানবিক সহায়তা পাঠানো এবং আরও বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দুজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে জনিয়েছেন, বাইডেনের অনুরোধের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি হামাসকে বিশ্বাস করেন না। তাছাড়া তাদের উদ্দেশ্য দেখে মনে হয় না যে তারা জিম্মিদের বিষয়ে কোনো সমঝোতা করতে চায়। তিনি বলেন, পশ্চিম জেরুজালেমে ২০১৪ সালের যুদ্ধে মানবিক বিরতির সময় হামাস ইসরায়েলি সৈন্যদের আক্রমণ করেছিল এবং একজনকে বন্দী করেছিল। নেতানিয়াহু মনে করেন, তিন দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ করলে গাজায় ইসরায়েলি অনুপ্রবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাবেন তারা।
তবে এই আলোচনার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
