ফিলিপাইনে বন্যা-ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২
ফিলিপাইনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন ঝড় নালগাইয়ের প্রভাবে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ জনে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দেশটির দুর্যোগবিষয়ক এজেন্সির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে শনিবার (২৯ অক্টোবর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবল বর্ষণ এবং তার ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া আহত অবস্থায় ৩৩ জনকে উদ্ধার করেছেন ফিলিপাইনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুখপাত্র বেরনার্দো রাফায়েলিতো আলেজান্দ্রো শনিবার দেশটির বেতার সংবাদমাধ্যম ডিজিএমএমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাফায়েলিতো আলেজান্দ্রো জানান, মাগিন্দানাও প্রদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রদেশে এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী সুলতান কুদরত প্রদেশে ২ জন, দক্ষিণ কোতাবাতো প্রদেশে ২ জন এবং ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ ভিসায়াসের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফিলিপাইন সাগরে গত কয়েকদিন ধরে চলা একটি নিম্নচাপ বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। ফিলিপিনো আবহাওয়া দপ্তর এই ঝড়ের নাম দিয়েছে ‘নালগায়ে’। এটি ঘণ্টায় ৯৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার ভোর বেলা আছড়ে পড়েছে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কাতানদুয়ানেস প্রদেশে।
এই ঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই রাজধানী ও তার আশপাশের অঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশে শুরু হয়েছে ভারী বর্ষণ ও দমকা হাওয়া। এটি লুজোন দ্বীপের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
প্রবল বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল এবং সেই ঢলের কাদা, পাথর ও গাছ লোকালয়ে ভেসে আসায় শুক্রবার ভোরের আগেই মাগিন্দানাও, সুলতান কুদরত, দক্ষিণ কোতাবাতো ও ভিসায়াত প্রদেশের বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে আকস্মিক বান ও ভূমিধস ঘটে। এই দিন সকাল থেকেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছিলেন।
এরই মধ্যে অবশ্য মাগিন্দানাওয়ে বৃষ্টিপাত কমে এসেছে। কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাগিন্দানাও প্রদেশ শাখার কর্মকর্তা নাসরুল্লাহ ইমাম বলেন, ‘মাগিন্দানাওয়ের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমে এসেছে। এটা একটা আশার কথা। আমরা প্রদেশের সব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীদের সহায়তা করতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, তারা সাড়াও দিয়েছেন।’
এসএন