বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিজয়বনের মুক্ত পাখি

চারিদিকে গুমোট পরিবেশ। সকাল থেকে আকাশে মেঘ জমে রয়েছে। বৃষ্টি হবে হবে করেও হচ্ছে না। ফলে গরম কমারও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। জঙ্গলের ভেতর বসে দরদর করে ঘামছে মুক্তিসেনারা। দশ জনের ছোট্ট একটা দল। গাছের কয়েকটা ডাল কেটে একটা তাবু কোনোমতে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। বৃষ্টি একবার এসে পড়লে অতটুকু জায়গায় সবাই শান্তিমতো বসতে পারবে কি-না সন্দেহ আছে। তবুও সবাই বৃষ্টির দেখা চায়। গরম ক্রমশ অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে।

আকাশের কালো মেঘের মতো দেশের আকাশেও দুর্যোগের ঘনঘটা। হঠাৎ করেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকেরা বাংলার মানুষের ওপর সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে। পুরো দেশটাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে একেবারে ছারখার করে দিচ্ছে ওরা। ওদের বিরোধিতা করে এমন কোনো মানুষকেই জীবিত রাখবে না।

হাসানের পরিবারের কাউকেও জীবিত রাখা হয়নি। সে কোনোরকমে সেদিন চোখের জল সম্বল করে পালিয়ে এসেছিল। তারপর মুক্তিবাহিনীর সাথে ভিড়ে গেছে।
দশজনের এই দলটাতে হাসান বাদে বাকি সবাই ভারত থেকে যুদ্ধের জন্য ট্রেনিং নিয়ে এসেছে। হাসানকেও তারা সীমানা পেরিয়ে ওপারে যেতে বলেছিল। কিন্তু সে যেতে রাজি হয়নি; বলেছে, 'আমাকে আপনারা কেউ অস্ত্র চালানো শিখিয়ে দিলেই হবে।'
'ভারতে গেলে ঠিকমতো শিখতে পারবি। ওরা ভালো ট্রেনিং করায়।'
বলেছিল ক'দিনের ভেতর খুব কাছের বন্ধু হয়ে যাওয়া হৃদয়। কিন্তু হাসান বলে, 'আমাদের হাতে সময় খুব কম। আমি যুদ্ধ করতে চাই। পাকিস্তানি শুয়োর মারতে মারতে আমি শহিদ হতে চাই। ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে আবার ফিরে আসবো এত সময় কোথায়!'
হাসানের মনোভাব বুঝতে পেরেছিলেন দলের কমান্ডার। পরদিনই তিনি হাসানকে ট্রেনিং দিতে শুরু করেন। কমান্ডার যে শুধু তাকে অস্ত্র চালানোই শিখিয়ে দিলেন তাই নয়; কীভাবে অ্যামবুশ করতে হবে, গেরিলা আক্রমণ পরিচালনা করতে হবে কীভাবে- সবই শেখনো হয় হাসানকে। সে খুব দ্রুতই যুদ্ধের সমস্ত কলাকৌশল শিখে নেয় এবং দলের সেরা গেরিলা যোদ্ধায় পরিণত হয়।

 
বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে আরম্ভ করেছে।
হাসানের পোষা ময়না পাখিটা বৃষ্টি পড়তে দেখে ডাকাডাকি শুরু করেছে। সবাই তাবুর ভেতর প্রবেশ করলে হাসান খাঁচাটাকে নিয়ে তাবুর এক কোনায় ঝুলিয়ে দেয়। তারপর ময়নার চোখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে, 'বল তো, এই বৃষ্টি আমাদের জন্য সৌভাগ্য নাকি দুর্ভাগ্য বয়ে আনবে?'
ময়না কিছু বুঝতে না পেরে চুপ করে মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। হাসান দলের বাকি সদস্যদের দিকে চেয়ে দেখে, তারা সবাই ওর দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ও সবার কাছে চলে আসতে গেলে ময়না চিৎকার দিয়ে বলে ওঠে, 'বিজয়...বিজয়...বিজয়...'
অবাক হয়ে যায় সবাই; হাসানও। কারণ, কথাটা মোটেও সে তাকে শেখায়নি।
হাসান ফিরে এসে মাটিতে বসে পড়ে। সবাই কোনোমতে গোল হয়ে বসার সুযোগ পেয়েছে। প্রথমে কথা বলে ওঠেন কমান্ডার।
'এই বৃষ্টিটার জন্য আমরা সারাদিন অপেক্ষায় রয়েছি। সন্ধ্যাও হয়ে এসেছে। হাসান ময়নাকে যে প্রশ্ন করেছে তার উত্তর আমি দিচ্ছি—এই বৃষ্টি আমাদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে এসেছে।'
কমান্ডারের চিন্তাধারা আগে থেকে অনুমান করা মুশকিল। তার কাজের ধরনই আলাদা। সামনে বসে থাকা বোকাসোকা জয়নাল প্রশ্ন করে, 'এতটা নিশ্চিত হচ্ছেন কীভাবে?'
কমান্ডার রহস্যময় হাসি হেসে বলেন, 'নিশ্চয়ই কারণ আছে। আজ রাতে আমরা নদী পেরিয়ে গিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণ করবো।'
'একে তো বৃষ্টির রাত—তার ওপর ঘুটঘুটে অন্ধকার। নদী পার হতে সুবিধাই হবে বটে।'
যোগ করে হাসান। তার বুদ্ধিমত্তা এবং দক্ষতার ওপর অগাধ ভরসা কমান্ডারের।
কমান্ডার বলেন, 'আমি এই অভিযানের নেতৃত্ব হাসানের ওপর দিলাম। তুমি পাঁচজনকে নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে নদী পার হয়ে যাও। অন্ধকার যখন একেবারে গাঢ় হয়ে আসবে তখনই আক্রমণে যাবে।'
দলের সদস্যরা একে অন্যের মুখের দিকে তাকায়। কমান্ডার বুঝতে পারেন সব।
'আমি বাকি তিনজনকে নিয়ে ক্যাম্প পাহারায় থাকছি। আল-বদর বাহিনী রাতে হামলা করতে পারে।'
বু্ক টানটান করে উঠে দাঁড়ায় হাসান। তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে পড়ে সবাই। কমান্ডারের বুকের সঙ্গে বুক মেলায় সে। তারপর পাঁচ সঙ্গী নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ঘুটঘুটে রাতের অন্ধকারে।

 
কমান্ডার যেভাবে বলেছিলেন, আক্রমণ পর্যায়টা তেমন সহজ হয়নি। পাকিস্তানিরা আক্রমণের জন্য প্রস্তুতই ছিল। হাসানের বাহিনী আক্রমণ শুরু করতেই ওপার থেকে তীব্র গুলিবর্ষণ শুরু হয়। তবে এই জল-কাঁদার ভেতর ওদের চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যায় থাকা সত্ত্বেও পাক বাহিনী বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। সাতটা লাশ পেছনে ফেলে আস্তানা ছেড়ে পালিয়েছে ওরা। এদিকে হাসানের বুকেও বিদ্ধ হয়েছে গুলি। সেখান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে রক্তের ফোঁটা মিশে গিয়ে আশেপাশে লাল রঙের স্রোত তৈরি করেছে।
সহযোদ্ধারা ধরাধরি করে ক্যাম্পে নিয়ে এসেছে হাসানকে। এখনো বেঁচে আছে সে। কমান্ডার এগিয়ে এসে কান পাতেন বুকে। হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন টের পাওয়া যাচ্ছে। হাসান চোখ খুলে তাকায়। সহযোদ্ধাদের সবার চোখেমুখে কান্নার ছাপ। তারা জাতির একজন সাহসী সন্তানকে হারাতে যাচ্ছে।

হাসান তাকায় তার পোষা ময়নার দিকে। সে বড় ছুটাছুটি করছে। হয়ত মুক্তির আকুতি জানাচ্ছে হাসানের কাছে। হাসান ইশারায় বুঝিয়ে দেয় ময়নাকে ছেড়ে দিতে। ওর এখন মুক্তি প্রয়োজন। কমান্ডার এগিয়ে যান খাঁচার দিকে। কাঁপাকাঁপা হাতে খুলে দেন খাঁচার মুখ। ছাড়া পেয়ে বেরিয়ে কালো মিশমিশে অন্ধকারে মিলিয়ে যায় ময়না পাখিটা। সহযোদ্ধারা ময়নার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে হাসানের দিকে চেয়ে দেখে, তার বুকের ভেতর থেকেও প্রাণপাখিটা বেরিয়ে অন্ধকার রাতের বুকে মিলিয়ে গেছে।

 

 ডিএসএস/




Header Ad
Header Ad

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক ও মাউশির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি তার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের এই দায়িত্ব কেবল সাময়িক, যা পদোন্নতি হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তীতে নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ হলে এই চলতি দায়িত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অধ্যাপক এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তথ্য তিনি পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তার অপসারণের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে অসহযোগিতা করতেন। এমনকি কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন, যা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। তিনি কলেজের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজের বাসায় গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিতেন এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এছাড়া, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিজি পদ থেকে এহতেসাম উল হককে অপসারণের খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষাখাতের এত বড় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তার অপসারণের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে এই কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (যুগ্মসচিব) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউল গনি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংযুক্ত) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম আজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ওই সময়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ওএসডি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনারই ইঙ্গিত।

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সেখানে সামরিক আইন চলছে। তার দাবি, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটি ধ্বংসের পথে। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের দাবির মতো এতটা কমেনি।

এছাড়া, ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, "তারা কি জনগণের মতামত নিয়েছে? তারা আলোচনার টেবিলে বসতে চায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।"

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কৌতুকপূর্ণ, কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো এবং তাদের উচিত ছিল রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে হয় রাশিয়ার মিত্র সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজি হতে হতো, নয়তো প্রতিরোধ ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে পারেন, যা পুতিনের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র: সিএনএন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল
ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি, ৫ ভবন ও ২ ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা, বিজেপির সিদ্ধান্তে চমক
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
নামাজি জীবনসঙ্গী খুঁজছেন আইশা খান
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ আটক এএসআইকে কারাগারে প্রেরণ
উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন হাসনাত-পাটোয়ারী: ছাত্রদল সেক্রেটারি
সরকারে থেকে ‘নতুন দল’ গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
হোস্টিং সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিলো নিউজিল্যান্ড
বৈষম্যবিরোধী নামধারী শীর্ষ নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের ওপর হামলা: রাকিব
যান্ত্রিক ত্রুটিতে আবারও বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
২২০ জনকে নিয়োগ দেবে সমরাস্ত্র কারখানা, এসএসসি পাসেও আবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ দিনব্যাপি খামারি প্রশিক্ষণ
সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক
বিপ্লবী সরকারের ডাক থেকে সরে এলেন কাফি  
নাঈম ভাই হেনা কোথায়?: ‘তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস বাপ্পা’