বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অভিমানী মুক্তিযোদ্ধা

অনেকক্ষন যাবৎ হাঁটছি। কোনো রিকশা পাচ্ছি না। হাঁটতে ভালই লাগে আমার কাছে, বিশেষ করে এ জায়গাটাতে। রাস্তার দু’পাশে প্রচুর গাছপালা, অনেকটা ঝোপঝাড়ের ন্যায়। বেশ কিছু তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। শান্তশিষ্ট, নির্জন, নিরিবিলি পরিবেশ। সন্ধ্যা নামতেই যেন ভূতুরে অন্ধকার জেঁকে বসে। রাইনাদি গ্রাম পেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে শিমুলতলী বাজারে এসে উপস্থিত। আজ এ এলাকাতে কী রিকশা ধর্মঘট চলছে নাকি ? মনে মনে ভাবছি। সারাটা রাস্তা জুড়ে খালি রিকশা তো নাই-ই, যাত্রীসহ কোনো রিকশা ও চোখে পড়লনা ।


বেড়ানোর সূত্রে মাঝে মাঝে এ এলাকায় আসা হয়। খুব বেশি একটা পরিচিত এলাকা না। বাজারেও কোনো রিকশা নেই। হাঁটতে আর ভালো লাগছে না তাই রিকশার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। বেলা বড়জোড় এগারোটা। বয়স্ক এক রিকশা ওয়ালা যাত্রীবিহীন রিকশা নিয়ে এ দিকেই আসছে।
“চাচা, যাবেন ?” জিজ্ঞেস করলাম। “যামু, তবে এক কাপ চা খাইয়া লই”। উত্তর দিলেন রিকশা চালক। “আচ্ছা, চলেন তাহলে আমিও খাই এক কাপ”।
এক চালা টিনের মাচাটাকে বাঁশ দিয়ে উঁচু করে রাখা দোকানের সামনে দুইটা কাঠের বেঞ্চি। দোকানে কোনো খরিদ্দার নাই। এই সময়ে বাজারের চায়ের দোকানে দু’চার জন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বাজারটা নাকি নতুন পত্তন পাওয়া আর এ শিমুলতলী বাজারটা ও নিতান্তই ছোটখাট। আড়াআড়ি দু’ বেঞ্চে দু’জন বসলাম।
“চাচা, চায়ের আগে বিস্কুট বা কেক কিছু একটা খান”।“ না-না, আপনে খাইলে কিছু খান। আমি শুধু এক কাপ চা-ই খামু”। “আচ্ছা, ঠিক আছে। দুধ চা নাকি রং চা ?”

“চাচার অভিব্যক্তিতে বুঝা গেল, তিনি অপরিচিত ব্যক্তির আপ্যায়নে এক কাপ চা বিনা পয়সায় খেতে সম্মত না। অবশেষে আমার পীড়াপীড়িতে রাজি হলেন। দু’ জনেই রং চা নিলাম। জিজ্ঞেস করলাম- “চাচার নাম ?” “রমিজ আলী”। “বাড়ী ?” “টোডার বাগ”। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। “চাচার বয়স কত হবে আনুমানিক ?” চায়ের কাপে শেষ চুমুক দিতে দিতে প্রশ্ন করলাম। “এই- কত- আর সত্তুর অইব হয়তো।” উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বললেন রমিজ চাচা। “কই যাইবেন ?” বিল দিয়ে বললাম- “আপনার ইচ্ছা। ইলমদী বা তিলচন্দী। যেখানে আপনি রাজি হন”। “রিশকা যহন চালাই, যেনে কন হেনে-ই যামু”। রিকশার পেডেলে চাপ লাগালেন।

“কিছু মনে না করলে একটা প্রশ্ন করতাম, চাচা।” কী পরশন করবেন এই বুড়া বয়সেও ক্যান রিশকা চালাই- এইডাই তো ?” কথার মধ্যে কেমন যেন ক্ষোভ, ঘৃনা, অভিমান, লজ্জা জড়িয়ে আছে। আমি কৌতুহলী হয়ে উঠলাম। আজকালের অটো রিকশার জমানায় ও পায়ে চালানো রিকশা, তদুপরি বয়স্ক চালক। ফলে রিকশার গতি ও মন্থর। আমার হাতে অফুরন্ত সময়, আমি ও মনে মনে চাইছি আরো ধীরে চলুক রিকশা টা। লোকটার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে আমার। “উত্তরটা দিলেন না যে চাচা ?”

পিছন ফিরে এক ঝলক তাকালেন। মনে হলো চোখ দুটো যেন ঝাপসা। অস্ফুট স্বরে বললেন, “কপালের দোষ, বাজান।” “আপনার ছেলে সন্তান নাই ?” “হ” আছে- দুই পোলা এক মাইয়া। মাইয়া বিয়া দিয়া দিছি। পোলারা বিয়া শাদী কইরা নায় নাতি লইয়া যের যের সংসারে ব্যস্ত - আমগোরে দেহোনের সময় কই ? আমরা বুড়াবুড়ি ভালই আছি- মাশাল্লা। দোয়া কইরেন। পোলারা আর কী করব, দেশই কী কিছু করলনা”। তিলচন্দির রাস্তা পার হয়ে ইলমদীর রাস্তায় এসে পড়েছি। মনে সন্দেহ বাজল, উনি কী মুক্তিযোদ্ধা ?

“চাচা, কী মুক্তিযোদ্ধা ?” “এই কতা জিগাইয়া আর শরম দিয়েন না।” আমি অবাক স্বরে বললাম, এটা কেমন কথা বললেন চাচা, মুক্তিযোদ্ধা হওয়া তো গৌরবের কথা, সম্মানের বিষয়- এটা লজ্জার ব্যাপার হবে কেন ? “ততক্ষনে ইলমদী চলে এসেছি।” নামেন, আমার ভাড়া দেন।” কন্ঠস্বরটা বেশ কর্কষ মনে হলো। “চাচা কী আমার উপর রাগ করেছেন ?” “না-না, আফনে আমার কী হন যে আপনার উপর আমি রাগ করমু। আমার সময় নষ্ট কইরেন না। ভাড়া দিয়া নাইমা যান।” “আমি সামনের শান্তির বাজার যামু, চলেন।” “ভাড়া কত দিবেন ?” জিজ্ঞেস করলেন। “আপনি যা চান ?” নরম হয়ে আসে চাচা স্বর। আস্তে আস্তে রিকশার প্যাডেল চাপতে থাকেন। “মুক্তিযোদ্ধাদের তো সরকার অনেক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। আপনি পাচ্ছেন না ?” “মুক্তিযোদ্ধাদের লিষ্টে আমার নাম নাই।”
“কেন- কেন ?” “কেওরে ধন্না দইরা মুক্তিযোদ্ধার লিষ্টে নাম উঠানোর লাইগ্যা তো যুদ্ধ করি নাই। যুদ্ধ করছি দেশের লাইগ্যা, দেশের মানুষের লাইগ্যা।”

“চাচা, সামনের বটতলায় রিকশাটা থামাইয়া চলেন আরো এক কাপ চা খাইয়া নিই।” বুঝার বাকি রইল না- কঠিন এক মানুষ। সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা, খাঁটি দেশ প্রেমিক। চা খাওয়া উপলক্ষ্যে অনেকক্ষন কথা হলো। অনেক অজানা কথা, আবেগের কথা, ভাললাগার কথা, ভালোবাসার কথা, যুদ্ধকালীন নির্মম অনেক স্মৃতির কথা, নির্দয় পাকিস্থানীদের কথা, নির্ঘুম অনেক রাতের কথা, অনাহারে কিংবা অর্ধাহারে দিনানিপাতের কথা, স্বজনদের ছেড়ে দূরে থাকার কথা, এমন অনেক কথা যে কথা কখনো কাউকেই বলা হয়নি। যুদ্ধ পরবর্তী অবহেলার কথা, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নাম না উঠার কথা। এমন-ই অসংখ্য আলাপ। “জীবন বাজী রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করলেন। বিনিময়ে কিছুই পেলেন না। কষ্ট হয় না আপনার ?” জিজ্ঞেস করলাম, “না---হ’, নিশ্বাস ফেলে সহজ উত্তর। আবার চলা শুরু। এ বয়সে ও এত কষ্ট করছেন অথচ দেখার কেউ নেই। কাউকে বলছেন ও না কিছু। ভিতরে আমার কান্না চেপে রাখতে কষ্ট হচ্ছে।

বিড়বিড় করে বলছেন-“পোলাগো কাছেই কিছু আশা করি না আর দেশের কাছে কী আশা করমু।” দাসিরদিয়া ব্রিজ পার হওয়ার পরে বেশ নিরিবিলি একটা জায়গা। রাস্তার দু’পাশে বেশ গাছপালা। অনেক দূর পর্যন্ত কোনো গ্রাম নেই। রাস্তার ডানে বামে দু দিকেই সবুজ ফসলি মাঠ। বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত, বিশাল প্রান্তর। স্বাধীন দেশের মুক্ত প্রানের ছোঁয়ায় যেন গ্রাম বাংলার প্রকৃত রূপ। এ অপরূপ, মুক্ত স্বাধীন দেশটাকে আমার দেখার অসাধারণ সৌভাগ্য তো হয়েছে এ সাধারণ রিকশা চালক রমিজ আলীর জন্য। স্যালুট, তোমাকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী মুক্তিযোদ্ধা। বললাম- “চাচা, রিকশাটা থামান।” “কেন- বাজান ?” চাচা রিকশা থামালেন, “চাচা, কষ্ট করে রিকশা থেকে একটু নেমে আসবেন ?” আমি রিকশা থেকে নেমে বললাম। রিকশা থেকে নামলেন রিকশা চালক রমিজ আলী। “আমি আপনার পা ছুঁয়ে একটু সালাম করতে চাই।” পায়ে হাত লাগানোর আগেই জোড়ে বুকে জড়িয়ে নিলেন মুক্তিযোদ্ধা রমিজ আলী আর হাউ মাউ করে কেঁদে উঠলেন। চলতি পথে কোনো রিকশা বা অন্য কোন গাড়ীর যাত্রীর অথবা কোনো মেঠো পথচারীর চোখে এ দৃশ্য পড়ল কিনা জানি না তবে তার কান্নার দৃশ্য আমার চোখে এখনো সতেজ।

খুচরা দু’তিন শ’ টাকা বাদ দিলে পকেটে মাত্র এক হাজার টাকার একটা নোট। ভাড়া দিতে সাহসে কুলাচ্ছেনা। এক হাজার টাকার নোটটা হাতের মধ্যে গুঁজে দিয়ে বললাম- “চাচা, মাফ করবেন। আমার যদি এখন পাঁচ হাজার, দশ হাজার বা পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়ার সামর্থ্য থাকতো আমি তা-ই দিতাম। আপনার সন্তান মনে করে টাকাটা রাখবেন।” কিছুতেই রাজি হলেন না, চাচা। অগত্যা নির্ধারিত ভাড়া মিটিয়ে হাঁটা ধরলাম। চাচা বললেন-“হাঁইটা যাইতে কষ্ট অইব না, আপনের।” তার চাইতে কতগুন কষ্ট করেছেন আপনি আমাদের জন্য। মনে মনে বললাম- এ রিকশায় চড়ে আমি আর মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করতে পারিনা। অন্তত পক্ষে বাকী রাস্তা টুকু পাঁয়ে হেঁটে তার প্রায়শ্চিত্ত করি। আমি রিকশা থেকে নেমে গেলে ও রিকশা হয়তো খালি থাকবে না। কোন না কোন যাত্রী এ রিকশায় চড়বেই। কিন্তু সবাই তো আর আমার মত এ প্রচার বিমুখ অভিমানী মুক্তিযোদ্ধার মনের গভীরের কথা জানবে না। কিছু দুর এগিয়ে পিছন ফিরে তাকাই। আবার চোখে চোখ পড়ে যায়। দেখি সে চোখে যেন বর্ষার বৃষ্টি ভর করে আছে।

ডিএসএস/

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪