শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

আমের নাম ‘নাকফজলি’

নানা জাতের আম পাওয়া যায় বাংলাদেশে। এত সব জাতের আম কোথা থেকে এলো, কিংবা কোন আম কোন জেলায় বিখ্যাত? যারা আম খেতে ভালোবাসেন? জেনে নিন ‘নাকফজলি’ আমটি বাংলাদেশে কীভাবে এলো?

‘আম রাজ্য’ হিসেবে পরিচিত নওগাঁয় ল্যাংড়া, গোপালভোগ, আম্রপালি, ক্ষীরশাপাত, বারি-৪, গুটি জাতের আম দেশ বিদেশে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। এ ছাড়া জেলায় বিখ্যাত ‘নাকফজলি’ আম বেশ সুনাম অর্জন করেছে।

‘নাকফজলি’ আম নিয়ে বর্ণিত আছে, নওগাঁর বদলগাছী ভান্ডারপুরের জমিদার বিনোদ কুমার লাহিড়ীর হাত ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কলকাতা থেকে প্রথম বাংলাদেশে আসে। পরবর্তীতে ‘নাকফজলি’ নামে পরিচিতি পায় এই অঞ্চলে।

কৃষি বিভাগ ও চাষিদের কাছ থেকে জানা যায়, এই আমের আসল নাম হচ্ছে ‘নাকফজলি’। গঙ্গাতীরবর্তী কাশী বা বেনারস ভারতের প্রধান আম উৎপাদন এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিনোদ কুমার লাহিড়ীর মাধ্যমে বদলগাছী উপজেলায় প্রথম বিস্তার লাভ করেন ‘নাকফজলি’। অনেকে মনে করেন, ‘নাকফজলি’ বাংলাদেশের একটি আমের জাত। এই জাতের আম দেখতে কিছুটা নাকের মতো। নাক ফজলি আমের জীবনকাল ১২০ থেকে ১৩০ দিন। নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় প্রথম এই আমের চাষ শুরু হয়।

স্থানীয়দের তথ্যসূত্রে জানা যায়, তৎকালীন সার্বভৌম শাসক ছিলেন ইংরেজরা। ১৯৪৭ সাল। ভারতবর্ষ থেকে গোটাল ব্রিটিশ উপনিবেশ। তিনটি খণ্ডে দুটি রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল অখণ্ড ভারত। ভাগ হলো বাংলা। ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভান্ডারপুরে বিনোদ কুমার লাহিড়ী পরিবারের জমিদারি অঞ্চল ছিল। প্রতিবছর জমিদার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তীর্থে যেতেন ভারতে। ফেরার পথে সঙ্গে নানা ধরনের ফলজ গাছের চারা নিয়ে আসতেন। যেমন- কাশি ফজলি, বোম্বে ফজলি, দেবীভোগ, মালদা ফজলি ও নাকফজলি। যে এলাকা থেকে ফলের চারা নিয়ে আসতেন, সেই এলাকার নামের প্রথম অক্ষর দিয়েই নামকরণ করতেন তিনি। এরপর থেকেই ‘নাকফজলি’ আম কলমের চারার মাধ্যমে আশপাশের গ্রামগুলোয় ছড়িয়ে যেতে থাকে। এভাবেই আমটি পরিচিতি পায় ভান্ডারপুর গ্রামের বাইরে। নওগাঁর দুবলহাটি ও বলিহার রাজবাড়ির বাগানেও এ আমের গাছ ছিল বলে জানা যায়। বদলগাছীর শ্রীরামপুর, দেউকুড়ী, কোলা, ভান্ডারপুর, দ্বীপগঞ্জ ও দুধকুরি গ্রামে এ আমের অসংখ্য বাগান গড়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে জমিদার বিনোদ কুমার লাহিড়ীর উত্তরসূরি নাতি শ্রী নিরঞ্জন লাহিড়ী বলেন, 'আমার দাদা জমিদার খুকুমণি লাহিড়ী তার ভালো নাম ছিল কার্তিক লাহিড়ী। যুগেশ লাহিড়ী, মুহেশ লাহিড়ী এরা তিন ভাই ভান্ডারপুরের জমিদারি দেখাশোনা করতেন। এরা সকলে ভারতে বিয়ে করেছিলেন। দাদু কলকাতা থেকে নাকফজলি, ল্যাংড়া, মালদহ, গোপালভোগ, সাদা পড়া, এবং বারো মাসী আমের চারা শখ করে এনে নিজ জমিদারি এলাকায় রোপন করতেন এবং পার্শ্ববর্তী দুবলহাটি ও বলিহার রাজাদের উপহার দিতেন।'

তিনি আরও বলেন, 'আমার দাদারা ভারতের রায়গঞ্জ, কলকাতা, কালীগঞ্জে বিয়ে করেন। এমনকি আমার ৭ পিসি (ফুপু) সবার বিয়ে হয়েছিল ভারতে। এ কারণে প্রতিবছরই তীর্থে গয়াকাশি যেতেন। ফেরার পথে সঙ্গে নানা রকমের ফলের চারা নিয়ে আসতেন। এভাবেই ভান্ডারপুরের মাটিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে আমটি।'

এ বিষয়ে কথা হয় ভান্ডারপুর (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাহীনূর ইসলাম স্বপনের সাথে। তিনি বলেন, 'আমি যেটুকু জানি এই ‘নাকফজলি’ আম বিনোদ কুমার লাহিড়ী নামে এক ব্যক্তি ভারত থেকে একটি চারা এনে ভান্ডারপুরের মাটিতে রোপণ করেছিলেন। পরবর্তীতে এই চারা বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবেই সারাদেশে এই আমের জন্য এ অঞ্চলের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এই আমটি আগে আমাদের ভান্ডারপুর হাট থেকে বিক্রি হতো। বর্তমানে হাট থেকে বিক্রি হয়না। বাগান থেকে আম বিক্রি হয়ে যায় অনলাইনে। এই অঞ্চলের মতো এত সুস্বাদু নাকফজলি আম দেশের আর কোথাও পাওয়া যায় না।

স্থানীয় আবদুল মান্নান বলেন, আমরা ১৯৬৪ সালে এই অঞ্চলে বসবাসের জন্য আসি। এ অঞ্চলে আসার পর প্রশ্ন করেছিলাম, এই আমের নাম কী? কোথা থেকে আনলেন? উত্তরে তারা বলেছিলেন, প্রায়ই তাদের কলকাতায় যাওয়া আসা ছিল। সেখানে আমটি খেয়ে ভালো লেগেছিল। আসার পথে একটি চারা এনে রোপন করেন। এভাবেই সারা দেশে পরিচিত লাভ করেছে এই অঞ্চলের ‘নাকফজলি’ আমটি। দেশের অনেক অঞ্চলে হয় কিন্তু এই অঞ্চলের মতো আম এত সুস্বাদু হয় না।'

এ বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদক রকিবুল হক বলেন, 'ব্যক্তিগত আমার খুব প্রিয় আম ‘নাকফজলি’। এই আমটি শুধুমাত্র বাদলগাছিতেই সবচেয়ে বেশি আম বাগান রয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে নিরাপদ আম উৎপাদন করে আসছি। এ বছর আমের ব্যাপক ফলন হয়েছে। বাগানের পাশাপাশি রয়েছে নিরাপদ সবজি ক্ষেত। নিরাপদ প্রাকৃতিক কৃষি চর্চার মাধ্যমে প্রকৃতির উপর ছেড়ে দিয়ে ফল ফসল উৎপাদনের চেষ্টা করছি।'

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সামসুল ওয়াদুদ জানান, ‘নাকফজলি’ এ অঞ্চলে খুবই জনপ্রিয়। গাছ পাকা ‘নাকফজলি’ ঘ্রাণ জন্ম দেয় অসাধারণ এক অনুভূতির। এ আমের আরেকটি বিশেষত্ব একটু শক্ত হওয়ার কারণে পচে না সহজে। গাছ থেকে নামানো ‘নাকফজলি’ দীর্ঘদিন ধরে ঘরে রেখে খাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, ‘নাকফজলি’ আম লম্বায় প্রায় চার ইঞ্চি আর চওড়ায় দেড় ইঞ্চি হয়ে থাকে। এর নিম্নাংশ বাঁকানো। নাক বড় এবং স্পষ্ট বেরিয়ে আসা। আমটির গড় ওজন ৩০০ গ্রাম। আকারে অনেকটা বড় এবং নাক স্পষ্ট, এ কারণে এর নাম হয়েছে ‘নাকফজলি’ শুধু নওগাঁ জেলায় পাওয়া যায়।

এসজি/

Header Ad
Header Ad

৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

দেশের তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবলকে জাগিয়ে তুলতে বড় পরিসরের একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত “কুল বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪”-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, খুব শিগগিরই দেশের ৬৪ জেলার অংশগ্রহণে একটি জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান ফুটবলারদের তুলে আনতেই এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) একটি কাঠামো তৈরি করতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আসিফ মাহমুদ সজীব বলেন, “জেলা ফুটবল আয়োজনের জন্য আমরা বাফুফেকে একটি কাঠামো ডিজাইন করতে বলেছি। আশা করছি তারা খুব দ্রুতই আমাদের সেই পরিকল্পনা দেবে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই ৬৪ জেলার অংশগ্রহণে আমরা এই টুর্নামেন্ট শুরু করবো।”

ক্রীড়া উপদেষ্টা এ সময় সরকারের ক্রীড়া খাতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ এমন একটি আয়োজনের জন্য। এটি খেলোয়াড়দের মধ্যে স্বপ্ন ও অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমরা ক্রীড়াঙ্গনে কাঠামোগত সংস্কারে কাজ করছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা বিশ্বাস করি, ক্রীড়াক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধি ও প্রণোদনা নিশ্চিত করতে পারবো।”

উল্লেখ্য, দেশের তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবলে দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর কোনো প্রতিযোগিতা না থাকায় নতুন প্রজন্মের প্রতিভা হারিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন ক্রীড়াবিদরা। ক্রীড়া উপদেষ্টার এই ঘোষণাকে অনেকেই ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

Header Ad
Header Ad

আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় অব্যাহত ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে “প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ”-এর উদ্যোগে রাজধানী ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে বৃহৎ সংহতি কর্মসূচি—“মার্চ ফর গাজা”।

শনিবার, ১২ এপ্রিল, বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সকল রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক স্তরের মানুষ এক কাতারে এসে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। গণজমায়েতে সভাপতিত্ব করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।

বিকেল ৩টার জমায়েতের আগে রাজধানীর পাঁচটি স্থান থেকে দুপুর ২টায় শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাগুলো নির্ধারিত গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবে। শুরুর স্থান ও প্রবেশপথগুলো হলো—

১. বাংলামোটর থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে রমনা গেইটে প্রবেশ।
২. কাকরাইল মোড় থেকে শুরু হয়ে মৎস ভবন হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইটে প্রবেশ।
৩. জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে টি.এস.সি গেইটে প্রবেশ।
৪. বখশীবাজার মোড় থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার হয়ে টি.এস.সি গেইটে প্রবেশ।
৫. নীলক্ষেত মোড় থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর হয়ে টি.এস.সি গেইটে প্রবেশ।

বিশেষ নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, দিনটিতে টিএসসি মেট্রো স্টেশন বন্ধ থাকবে। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সব রাস্তায় বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সাধারণ দিকনির্দেশনায় অংশগ্রহণকারীদেরকে নিজ দায়িত্বে পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তাছাড়া, রাজনৈতিক প্রতীকের পরিবর্তে শুধুমাত্র ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।

এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আয়োজকরা আহ্বান জানিয়েছেন—মানবতার পক্ষে দাঁড়াতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে সবাই যেন পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত

মিসরের তারকা ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ। ছবি: সংগৃহীত

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে লিভারপুলের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে সই করলেন মিসরের তারকা ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ। ফলে ২০২৭ সাল পর্যন্ত অ্যানফিল্ডেই দেখা যাবে তাকে।

৩২ বছর বয়সী এই তারকার আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি গ্রীষ্মে। তিনি নিজেও কয়েকবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, এটি হতে পারে তার লিভারপুল ক্যারিয়ারের শেষ মৌসুম। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাবের নতুন কোচ আর্নে স্লটের অধীনে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

সালাহর নতুন চুক্তির আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টর রিচার্ড হিউজেস এই আলোচনার নেতৃত্ব দেন এবং নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন সালাহর এজেন্ট রামি আব্বাস ইসার সঙ্গে। বিভিন্ন সূত্রে শোনা গেলেও, ইএসপিএন জানিয়েছে—বেতন কমানোর কোনো শর্ত ছিল না আলোচনায়।

নতুন চুক্তি সইয়ের পর সালাহ বলেন, “অবশ্যই আমি খুব রোমাঞ্চিত। আমাদের এখন দারুণ একটা দল আছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা আরও ট্রফি জিততে পারব এবং আমি আমার ফুটবল উপভোগ করতে পারব।” তিনি আরও বলেন, “এখানে আমার সেরা সময় কেটেছে। আমি আট বছর খেলেছি, আশা করছি সেটা দশ বছরে পৌঁছাবে। এখানে জীবন ভালো কাটছে, ফুটবলও উপভোগ করছি।”

২০১৭ সালে ইতালির রোমা থেকে লিভারপুলে যোগ দেন সালাহ। এরপর থেকেই তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড। প্রায় ৪০০ ম্যাচে অংশ নিয়ে জিতেছেন সাতটি বড় ট্রফি, যার মধ্যে রয়েছে প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৫ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা ৩২টি, যার মধ্যে ২৭টি এসেছে প্রিমিয়ার লিগে।

লিভারপুলের ২০তম লিগ শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে এ মৌসুমে সবচেয়ে বড় ভরসা ছিলেন সালাহ। মার্চে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে তার জোড়া গোল তাকে লিভারপুলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসিয়েছে।

চলতি গ্রীষ্মে চুক্তি শেষ হতে যাওয়া তিনজন খেলোয়াড়ের মধ্যে সালাহই প্রথম, যিনি নতুন করে চুক্তি করলেন। বাকি দুই তারকা ভার্জিল ভ্যান ডাইক এবং ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। তবে ভ্যান ডাইক জানিয়েছেন, নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা এগিয়ে চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন লোগো প্রকাশ
মঙ্গল শোভাযাত্রার নতুন নাম ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে ‘চোর’ বললেন সিদ্দিকী নাজমুল
গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, আবারও অস্থিরতার আশঙ্কা
ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ র‌্যালি