শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তি সংগ্রামকে অন্তরে রাখতে হবে’ : ফরিদা আক্তার

লেখা ও ছবি : জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার স্বচ্ছ জলের পাড়ের মেয়ে। নবীগঞ্জ উপজেলার ‘কদম রসূল দরগাহ শরীফ’র খাদেম পরিবারের সন্তান। নাম ফরিদা আক্তার। জন্ম ১৯৫২ সালে ২৩ মে। ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান নেতা ও উর্দুভাষী পরিবারের সন্তান হোসেন শহীদ সোহরোয়ার্দী তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ডিআইটি মার্কেটে যে সভা করেছেন, তেজস্বী মেয়ে-মোটে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ফরিদা আক্তার তাতে বক্তৃতা দিয়েছেন। চার বছর পর ক্লাস টেনের কিশোরী ফরিদা ছয়দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। ছাত্রলীগের এই মেয়ে কর্মীটি জানতেন, ছয় দফা বাঙালির মুক্তির সনদ। তখন নারায়ণগঞ্জ গার্লস হাই স্কুলে পড়েন। শহরে ছয়দফার পক্ষে ছাত্রী ও নারীদের অংশগ্রহণ এবং সমর্থনে মূল ভূমিকাটি পালন করেছেন। পরের বছর পাকিস্তানের স্বৈরশাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খানের বিপক্ষে পূর্ববঙ্গের মানুষের টানা আন্দোলনের তুঙ্গস্পর্শী সময়-১৯৬৭ সালে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকা। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই দায়িত্বে আইয়ূববিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। তখন নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজে পড়েন। এখন সেটি সরকারী। স্বাধীনতা সংগ্রামে লিপ্ত বাঙালির ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’র নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের আগেই মুক্তিযুদ্ধে নেমে পড়েছেন বরণ্যে মানুষটি। নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজের ভিপি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন ফরিদা আক্তার। ১৯৭৪ সালে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা, এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নিযুক্ত হয়েছেন দফায়, দফায় এগিয়ে। বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক লীগ (বাকশাল)’র প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৭৪ সালে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নারী কমিশনার।
বরেণ্য, এই কীতিমান গড়ে তুলেছেন এনজিও। তার বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাটির নাম ‘মহিলা সংঘ’। সেখানে জীবনমান বদলে গিয়েছে হাজারো নারীর। তারা শতাধিকের চেয়ে বেশি যোগ্য নারীর চাকরি দিয়েছেন। মহিলা সংঘের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করেছেন হাজারো মানুষকে। এই মেয়েদের জন্য তারা প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। বিশ্বের মোট ১শ ৩৮টি দেশে যাবার অভিজ্ঞতা আছে মহিলা সংঘের নিবাহী পরিচালকের।
মহিলা সংঘের প্রধান ফরিদা আক্তার ‘বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (বিএফটিইউসি)’র প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত। নারী শ্রমিকদের দাবী, দাওয়া ও অধিকার আদায়ে তাদের অনেক সাফল্য আছে। কাজ করেছেন মহিলা অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়সহ প্রায় সব সরকারী অফিসে। ইউএনডিপি বা জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সংস্থা তাকে নিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ভুবনে। এই দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমজীবি নারীদের নিয়ে কাজ করে চলেছেন তারা। তার একটি বিদ্যালয়ও আছে ‘কেয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুল’।
আজীবন কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে, নারী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের অন্যতম কন্ঠ, মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার অনেক সম্মান লাভ করেছেন। জয় করেছেন ‘জয়িতা পুরস্কার’, ‘সেরা সমবায়ী পুরস্কার’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক’। আজ শুক্রবার তিনি হাজার কাজ ফেলে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাবনার একমাত্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-এর এই আয়োজন ছিল তাকে ঘিরেই। শিরোনাম ‘পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান’। তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেছেন তাদের প্রথম নারী উপাচার্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্লু ছাত্রী, বরেণ্য গবেষক ও এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশের নির্বাচিত সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান।
জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন আরো জানিয়েছেন, ‘আমাদের নারী মুক্তিযোদ্ধা ও এনজিও ব্যক্তিত্ব ফরিদা আক্তারের বিশেষ স্মৃতিচারণ ও সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি বিকাল ৪ টায় শুরু হয়েছে। হয়েছে গ্যালারি ২-এ। শেষ হয়েছে সন্ধ্যা ৬ টায়।’
প্রধান অতিথি বাংলাদেশের অন্যতম এনজিও ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম কর্মী ও ও নারী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার বলেছেন,“বঙ্গবন্ধুর ‘ছয় দফা’র মাধ্যমে বাংলাদেশ জেগে উঠেছিল। মুক্তিযুদ্ধে এই বাঙালি জাতি একত্রে মিলিত হয়েছিল। হাজারো মা-বোনেরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আমার জীবনে মুক্তিযুদ্ধ নিরবচ্ছিন্ন, ঐতিহাসিক ও মহাকাব্যিক। আমাদের সাহস ও শক্তির উৎস।”
নতুন প্রজন্মের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজের প্রথম ভিপি, মুক্তিযোদ্ধা ও মহিলা সংঘের নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, ‘আপনাদের সবার ভেতরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বসবাস করতে হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘সামনে তাকাতে হলে আমাদের পেছনের ইতিহাসকেও স্মরণ করতে হয়।’
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ আয়োজনে প্রধান অতিথি তার মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক এবং কর্মভুবনের সহযোদ্ধা, মাঠকর্মীদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন।
ফরিদা আক্তার বলেছেন, ‘আমাদের একাত্তরে কোনো কিছুর পরোয়া না করেই, বিন্দুমাত্র না ভেবেই মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন। তারা জীবন দিয়েছেন ও এই বাংলাদেশ আমাদের উপহার দিয়ে গিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের ভালোবাসা প্রকাশ করি।’
তবে ফরিদা আক্তার আফসোস করেছেন, ‘সঠিক তথ্যভান্ডার ও নানা সীমাবদ্ধতার জন্য বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে মূল্যায়ন না পেয়েই চলে গিয়েছেন। তাদের জন্য কিছু করতে হলে এই দেশকে ভালোবাসতে হবে। বাংলাদেশকে গড়ে তোলায় অবদান রাখতে হবে।’
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘নবীন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ উপলব্ধি করতে হবে।’
‘তোমাদের দেশ গড়ায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে’ তরুণ শিক্ষাথীদের বলেছেন।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এই অনুষ্ঠানের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন ‘আজ বিখ্যাত রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এনজিও ব্যক্তিত্ব ফরিদা আক্তারের আগমন উপলক্ষ্যে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি।’
অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেছেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ওপর বেশি পাঠ ও আলোচনা করতে হবে। তাহলে নতুন প্রজন্ম আমাদের বীরত্বগাঁথা, সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাস জানতে পারবে।’
ড. হাফিজা খাতুন বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তি সংগ্রামকে অন্তরে রাখতে হবে।’
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচায জানিয়েছেন, ‘আমাদের সংগ্রামী, জয়ী এবং পরাজিত বীরদের ইতিহাস জানতে হবে। তাদের জীবন অনুসরণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে এই সংগ্রামী মানুষদের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ ও দশের জন্য কাজ করতে পারব।’
উপ উপাচার্য ও বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান “পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান’-এ বলেছেন, ‘বিভক্তি ও বৈষম্যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যায় এই জাতি দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের মাঝে কিছু বিষয়ে বিভক্তি চলছে। মতভেদগুলো ভুলে দেশ ও জাতি গঠনে সবাইকে কাজ করতে হবে।”
‘পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান’র উপস্থাপক ছিলেন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহ।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রায় সবাই জন্মদিন পালনের ধারাবাহিক অনুষ্ঠানমালার এই বিশেষ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন।

ছবি : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ছয় ও ১১ দফার অন্যতম কমী, রাজনৈতিক সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা এবং এনজিও ব্যক্তিত্ব ফরিদা আক্তারকে সম্মাননা স্মারক উপহার দিচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন ও উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান। আলোচনা করছেন মুক্তিযুদ্ধ ও ফরিদা খাতুনের ওপর নারী মুক্তিযোদ্ধা উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
ওএস।

Header Ad
Header Ad

৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

দেশের তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবলকে জাগিয়ে তুলতে বড় পরিসরের একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত “কুল বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪”-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, খুব শিগগিরই দেশের ৬৪ জেলার অংশগ্রহণে একটি জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান ফুটবলারদের তুলে আনতেই এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) একটি কাঠামো তৈরি করতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আসিফ মাহমুদ সজীব বলেন, “জেলা ফুটবল আয়োজনের জন্য আমরা বাফুফেকে একটি কাঠামো ডিজাইন করতে বলেছি। আশা করছি তারা খুব দ্রুতই আমাদের সেই পরিকল্পনা দেবে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই ৬৪ জেলার অংশগ্রহণে আমরা এই টুর্নামেন্ট শুরু করবো।”

ক্রীড়া উপদেষ্টা এ সময় সরকারের ক্রীড়া খাতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ এমন একটি আয়োজনের জন্য। এটি খেলোয়াড়দের মধ্যে স্বপ্ন ও অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমরা ক্রীড়াঙ্গনে কাঠামোগত সংস্কারে কাজ করছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা বিশ্বাস করি, ক্রীড়াক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধি ও প্রণোদনা নিশ্চিত করতে পারবো।”

উল্লেখ্য, দেশের তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবলে দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর কোনো প্রতিযোগিতা না থাকায় নতুন প্রজন্মের প্রতিভা হারিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন ক্রীড়াবিদরা। ক্রীড়া উপদেষ্টার এই ঘোষণাকে অনেকেই ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

Header Ad
Header Ad

আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় অব্যাহত ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে “প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ”-এর উদ্যোগে রাজধানী ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে বৃহৎ সংহতি কর্মসূচি—“মার্চ ফর গাজা”।

শনিবার, ১২ এপ্রিল, বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সকল রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক স্তরের মানুষ এক কাতারে এসে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। গণজমায়েতে সভাপতিত্ব করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।

বিকেল ৩টার জমায়েতের আগে রাজধানীর পাঁচটি স্থান থেকে দুপুর ২টায় শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাগুলো নির্ধারিত গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবে। শুরুর স্থান ও প্রবেশপথগুলো হলো—

১. বাংলামোটর থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে রমনা গেইটে প্রবেশ।
২. কাকরাইল মোড় থেকে শুরু হয়ে মৎস ভবন হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইটে প্রবেশ।
৩. জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে টি.এস.সি গেইটে প্রবেশ।
৪. বখশীবাজার মোড় থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার হয়ে টি.এস.সি গেইটে প্রবেশ।
৫. নীলক্ষেত মোড় থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর হয়ে টি.এস.সি গেইটে প্রবেশ।

বিশেষ নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, দিনটিতে টিএসসি মেট্রো স্টেশন বন্ধ থাকবে। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সব রাস্তায় বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সাধারণ দিকনির্দেশনায় অংশগ্রহণকারীদেরকে নিজ দায়িত্বে পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তাছাড়া, রাজনৈতিক প্রতীকের পরিবর্তে শুধুমাত্র ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।

এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আয়োজকরা আহ্বান জানিয়েছেন—মানবতার পক্ষে দাঁড়াতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে সবাই যেন পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত

মিসরের তারকা ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ। ছবি: সংগৃহীত

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে লিভারপুলের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে সই করলেন মিসরের তারকা ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ। ফলে ২০২৭ সাল পর্যন্ত অ্যানফিল্ডেই দেখা যাবে তাকে।

৩২ বছর বয়সী এই তারকার আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি গ্রীষ্মে। তিনি নিজেও কয়েকবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, এটি হতে পারে তার লিভারপুল ক্যারিয়ারের শেষ মৌসুম। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাবের নতুন কোচ আর্নে স্লটের অধীনে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

সালাহর নতুন চুক্তির আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টর রিচার্ড হিউজেস এই আলোচনার নেতৃত্ব দেন এবং নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন সালাহর এজেন্ট রামি আব্বাস ইসার সঙ্গে। বিভিন্ন সূত্রে শোনা গেলেও, ইএসপিএন জানিয়েছে—বেতন কমানোর কোনো শর্ত ছিল না আলোচনায়।

নতুন চুক্তি সইয়ের পর সালাহ বলেন, “অবশ্যই আমি খুব রোমাঞ্চিত। আমাদের এখন দারুণ একটা দল আছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা আরও ট্রফি জিততে পারব এবং আমি আমার ফুটবল উপভোগ করতে পারব।” তিনি আরও বলেন, “এখানে আমার সেরা সময় কেটেছে। আমি আট বছর খেলেছি, আশা করছি সেটা দশ বছরে পৌঁছাবে। এখানে জীবন ভালো কাটছে, ফুটবলও উপভোগ করছি।”

২০১৭ সালে ইতালির রোমা থেকে লিভারপুলে যোগ দেন সালাহ। এরপর থেকেই তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড। প্রায় ৪০০ ম্যাচে অংশ নিয়ে জিতেছেন সাতটি বড় ট্রফি, যার মধ্যে রয়েছে প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৫ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা ৩২টি, যার মধ্যে ২৭টি এসেছে প্রিমিয়ার লিগে।

লিভারপুলের ২০তম লিগ শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে এ মৌসুমে সবচেয়ে বড় ভরসা ছিলেন সালাহ। মার্চে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে তার জোড়া গোল তাকে লিভারপুলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসিয়েছে।

চলতি গ্রীষ্মে চুক্তি শেষ হতে যাওয়া তিনজন খেলোয়াড়ের মধ্যে সালাহই প্রথম, যিনি নতুন করে চুক্তি করলেন। বাকি দুই তারকা ভার্জিল ভ্যান ডাইক এবং ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। তবে ভ্যান ডাইক জানিয়েছেন, নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা এগিয়ে চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন লোগো প্রকাশ
মঙ্গল শোভাযাত্রার নতুন নাম ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে ‘চোর’ বললেন সিদ্দিকী নাজমুল
গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, আবারও অস্থিরতার আশঙ্কা
ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘রাইড ফর প্যালেস্টাইন’ র‌্যালি