শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ২৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

দাম বৃদ্ধি পেয়ে বাজারে আটা

সরকার বলছে দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাদ্য মজুতি রয়েছে, শঙ্কার কোনো কারণ নেই। তারপরও কয়েক দিন থেকে বাজারে আটা পাওয়া যাচ্ছে না। খুচরা ব্যবসায়ীরা নেই নেই বলার পর দাম একেবারে লাগামহীন হয়ে গেছে। এক লাফেই পুষ্টিসহ কয়েকটি কোম্পানির ২ কেজির ১২৬ টাকার আটা ১৪৪ টাকা হয়ে গেছে। বেড়েছে ১৮ টাকা বা ১৪ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে আটার দাম বেড়েছে ৭৯ শতাংশ।

বিভিন্ন বাজার ও সরকারি সংস্থা টিসিবি সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীতে খাদ্যপণ্যের পাইকারি বাজার কৃষিমার্কেট। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সিটি এন্টারপ্রাইজের আবু তাহেরসহ অনেক বিক্রেতার কাছে আটার দাম কত— জানতে চাইলে তারা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আটা নেই। কয়েকদিন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ২ কেজি আগে ১২৬ টাকা বিক্রি করা হলেও পৃষ্টি, এসিআইসহ অন্যান্য কোম্পানির আটা পাওয়া যাচ্ছে না। কেন নেই এমন প্রশ্নের জবাবে সেদিন তারা বলেছিলেন, সয়াবিন তেল, চিনির দশা আটাতেও। দাম বৃদ্ধির কারণে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিলাররা শুধু দিব দিচ্ছি করে দিচ্ছে না। তাই বিক্রি করতে পারছি না।

তবে শনিবার (১২ নভেম্বর) থেকে পাওয়া যাচ্ছে ২ কেজি ১৪৪ টাকা দরে। দাম বেড়েছে ১৮ টাকা বা ১৪ শতাংশ।

এদিকে রাজধানীর অপর পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারেও একই দশা। গত কয়েক দিন থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, আটা নেই। কোম্পানি থেকে না দিলে আমরা কীভাবে বিক্রি করব। চিনির মতো হয়ে গেছে, বাজারে নেই।

এ সব দোকানে শনিবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ভিন্ন চিত্র। কিচেন মার্কেটের নিচতলার ভাই ভাই জেনারেল স্টোরের মালিক আবুল কাদের ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন ‘২ কেজির পুষ্টি আটা ১৪৪ টাকা। এত দাম কেন? উত্তরে বলেন, কয়েক দিন থেকে ছিল না আটা। আজ সকালে কোম্পানি থেকে দিয়েছে। তারা দাম বৃদ্ধি করেছে। আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে আগের দামের কয়েক প্যাকেট এসিআই আটা আছে ১৩২ টাকা। কালকে থেকে হয়ত তাদের নতুন রেটের ১৪৪ টাকার আটা আসবে।

এদিকে একই মার্কেটের জব্বার জেনারেল স্টোরের জব্বারও বলেন, ২ কেজির পুষ্টি আটা ১৪৪ টাকা। এরচেয়ে কম দামেরটা নেই। কয়েক দিন আগেই শেষ হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাদ্য মজুদ আছে।’

শনিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সর্বশেষ ৯ নভেম্বর খাদ্য মজুদ ছিল ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩২২ টন। এরমধ্যে চালের মজুদ ছিল প্রায় ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টন। ধান ১৩ হাজার টন। আর গমের মজুদ ছিল দুই লাখ ১৩ হাজার টন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে গমের বার্ষিক চাহিদা ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে গমের উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টন। বাকি গম বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা মেটানো হয়। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬২ লাখ টন গম আমদানি হয়েছে। এই গম থেকে আটা-ময়দা তৈরি করে কয়েকটি কর্পোরেট শিল্প। এরমধ্যে বসুন্ধরা, সিটি, মেঘনা, টিকে, আকিজ এবং এসিআই। তারাই বেশি করে বিক্রি করছে বাজারে।

এদিকে আটার বাজারের অস্থিরতা সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর ওয়েবসাইডেও দেখা যায়।

টিসিবির তথ্য বলছে, এক বছরের ব্যবধানে প্রতি কেজি খোলা আটার দাম বেড়েছে ৭৯ শতাংশের বেশি। কারণ গত বছরের ১২ নভেম্বর এক কেজি খোলা আটার দাম ছিল ৩৩ থেকে ৬৫ টাকা। বর্তমানে তা ৬০ থেকে ৭২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর এক বছর আগের ৩৮ টাকা থেকে ৪৫ টাকার প্যাকেট আটা শনিবার বিক্রি করা হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। যেখানে চিকন চাল মিনিকেট ও নাজিরশাইল বিক্রি করা হচ্ছে ৭২ টাকা।

কিন্তু বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে দুই কেজির আটা বিক্রি করা হচ্ছে ১৪৪ টাকা বা এক কেজির দাম ৭২ টাকা। অর্থাৎ বর্তমানে চাল ও আটার দাম এক হয়ে গেছে।

তবে আটার চেয়ে ময়দা কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। সেই চিত্র টিসিবিও বলছে। খোলা ময়দা ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি ও প্যাকেট ময়দা ৭৮ থেকে ৮০ টাকা কেজি। এক বছর আগে খোলা ময়দা ছিল ৪২ থেকে ৫৫ টাকা ও প্যাকেট ময়দার কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। বছরের ব্যবধানে ময়দার কেজিতে বেড়েছে ৭৯ শতাংশ।

খুচরা ব্যবসায়ীরা এই প্রতিবেদককে জানান, সয়াবিন তেল ও চিনির দশা হয়ে গেছে আটা ও ময়দায়। প্রথমে তারা বিভিন্ন অজুহাতে দিব দিচ্ছি বলে দিচ্ছে না। তারপরও দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে আমাদেরও খারাপ লাগছে।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থে বাজারে কাজ করছি। তাই প্রতিনিয়ত সারাদেশে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি বাজার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে গেলেই বিচিত্র চেহারা দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যে যার মতো করে দাম আদায় করছেন। অভিযানে তারা ধরা পড়ছেন। তাদের জরিমানা করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। এই অজুহাতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতি মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে।

আর সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, আমরা প্রয়োজন মতো বাজারে আটা-ময়দা বিক্রি করছি। যে যা চাচ্ছে তা দেওয়া হচ্ছে। কারওয়ানবাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হয়ত স্টক কমে গেছে। ডিলাররা চাইলে সরবরাহ করা হচ্ছে।

জেডএ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

সাকিবের বিচার এই দেশের মাটিতেই হবে: আমিনুল হক

সাকিব আল হাসান (বামে) এবং আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেটার থেকে সংসদ সদস্য—সাকিব আল হাসানের রাজনৈতিক যাত্রা নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। আর এবার সেই বিতর্কে নতুন আগুন ঢেলেছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিএনপির ক্রীড়া-বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক।

সম্প্রতি এক রাজনৈতিক সভায় দেওয়া বক্তব্যে আমিনুল বলেন, “সাকিব গত ১৭ বছরের স্বৈরাচার সরকারের একজন এমপি হিসেবে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। নিজের স্বার্থে অবৈধ সংসদে যোগ দিয়েছেন। এটা খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা নয়।”

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশে ফেরেননি সাকিব। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গেই থাকছেন তিনি। সাকিবকে দেশে আসতে দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে আমিনুল আরও বলেন, 'এ ধরনের একজন খেলোয়াড়কে দেশে আসতে দেওয়া হবে কি না, সেটা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে—স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে বিচার হবে, ইনশাআল্লাহ।'

সাকিব আল হাসান ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে সেই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায়, অনেকের কাছেই এই পদক্ষেপ বিতর্কিত। আমিনুলের মতে, একজন আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদের উচিত ছিল নিরপেক্ষতা রক্ষা করা। কিন্তু সাকিবের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, বিশেষ করে একটি বিতর্কিত সরকারের পক্ষ নেওয়া, তার অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

তবে আমিনুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাকিবের আল হাসানের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন এবং একজন জাতীয় গৌরবের খেলোয়াড়কে এভাবে হেয় করার চেষ্টা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে বলে অভিহিত করেছেন।

কেউ কেউ আমিনুল হকের বক্তব্যকে ‘হীন রাজনৈতিক কৌশল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ সাকিবের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন। এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়বে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে ক্রীড়া ও রাজনীতির দ্বৈত ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশে বিতর্ক আরও যে গভীর হচ্ছে, সেটা আর না বললেও চলে।

Header Ad
Header Ad

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেফতারে লাগবে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি: ডিএমপি

ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সারাদেশে দায়ের হওয়া একের পর এক মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার নিয়ে বিতর্ক ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এখন থেকে এসব মামলায় কাউকে গ্রেফতারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, এবং গ্রেফতারের জন্য উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত প্রমাণ পেশ করাও হবে বাধ্যতামূলক।

গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রুজু করা মামলাগুলোর অধিকাংশেই এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অত্যাধিক। এসব মামলায় আসামি গ্রেফতারের আগে তদন্তে প্রাপ্ত প্রমাণ যেমন—ভিকটিম, বাদী, প্রত্যক্ষদর্শী, ভিডিও, অডিও, স্থিরচিত্র, মোবাইল কললিস্ট (সিডিআর) ইত্যাদি সংগ্রহ করে, তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে হবে। অনুমোদন ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।

শনিবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে এই বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, “কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন এবং প্রকৃত অপরাধীরা যেন ছাড়া না পান—সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।”

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক হারে মামলা দায়ের করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই একেকটি মামলায় হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে, যাদের অনেকের বিরুদ্ধে কোনো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি—এমন তথ্য উঠে এসেছে প্রাথমিক অনুসন্ধানে।

এই ধরনের মামলায় শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, এমনকি ব্যক্তি বিরোধ বা প্রতিপক্ষতার জেরে নাম জুড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। আসামি করার বিনিময়ে আর্থিক লেনদেন বা “মামলা বাণিজ্য”-এর কথাও উঠে এসেছে বিভিন্ন মহলের বক্তব্যে।

এর আগেও, পুলিশ সদরদপ্তর থেকে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর একটি সার্কুলারে বলা হয়েছিল, সঠিক তথ্য-প্রমাণ ছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও গ্রেফতার করা যাবে না। এমনকি প্রাথমিক তদন্তে কোনো ব্যক্তির সম্পৃক্ততা না থাকলে, তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথাও বলা হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও বারবার জানানো হয়েছে—“মামলা হলেই গ্রেফতার করতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।”

Header Ad
Header Ad

‘মার্চ ফর গাজা’ নিছক কোনো পদযাত্রা নয়, এটি মুসলিমদের ঐক্যের সেতু: আজহারি

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের রক্তমাখা ভূমির প্রতি সংহতি জানাতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমেছে ইতিহাসের আরেকটি দৃশ্য। ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে হাজারো মানুষের ঢল যেন শুধু একখণ্ড প্রতিবাদ নয়—এ এক ঐক্যের বয়ে চলা নদী।

এই কর্মসূচিকে নিছক একটি পদযাত্রা হিসেবে দেখছেন না বিশিষ্ট ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারি।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “আজকের ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি নিছক কোনো পদযাত্রা নয়। এটি আমাদের এই অঞ্চলের মুসলিমদের ঐক্যের এক নতুন সেতু বন্ধন রচনা করবে ইনশাআল্লাহ।”

এর আগে, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে রওনা হয়েছেন আলোচিত ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারি ও ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ। কর্মসূচিতে যোগ দিতে সবার প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

এদিন সকালে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে তারা এই আহ্বান জানান।

ড. মিজানুর রহমান আজহারি লেখেন, ‘মজলুম গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানাতে, এই মুহূর্তে আছি ‘মার্চ ফর গাজা’র পথে। মানবতার এ মিছিলে আপনিও আসুন প্রিয়জনদের সাথে নিয়ে।’

শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, ‘মজলুম গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানাতে এই মুহূর্তে আছি ‘মার্চ ফর গাজা’র পথে। মানবতার এ মিছিলে আপনিও আসুন সন্তানকে সাথে নিয়ে।’

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি দিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। কর্মসূচির মূল অনুষ্ঠান বিকালে হলেও সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি গেটেই মানুষের ঢল নেমেছে। সকাল থেকেই ছোট-বড় মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। মিছিলে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের হাতে রয়েছে লাল সবুজ পতাকা ও ফিলিস্তিনের পতাকা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাকিবের বিচার এই দেশের মাটিতেই হবে: আমিনুল হক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেফতারে লাগবে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি: ডিএমপি
‘মার্চ ফর গাজা’ নিছক কোনো পদযাত্রা নয়, এটি মুসলিমদের ঐক্যের সেতু: আজহারি
ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
আল-আকসার ইমামকে ৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিলো ইসরায়েল
হাসিনার দোসররা ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে: উপদেষ্টা ফারুকী
১০ জনের পরিবারের সবাইকে হত্যা করল ইসরায়েল
পিএসএল না খেলেই দেশে ফিরছেন লিটন
পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমেছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা
ভারী বর্ষণ-বজ্রপাতে ভারত ও নেপালে প্রায় ১০০ জনের প্রাণহানি
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৮ বস্তা টাকা, গণনা চলছে
অবশেষে জানা গেল কলকাতার কোথায় আছেন ওবায়দুল কাদের
স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ
মার্চ ফর গাজা: প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী, আসছে মানুষ-জনসমুদ্রের অপেক্ষা
চারুকলায় আগুন, নববর্ষের দুদিন আগে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মোটিফ’
কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী