একনেক সভায় ‘৫০ বছরে বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ অ্যাট ৫০: রিয়ালাইজেশন অব ড্রিমস থ্রু হিউম্যান প্যাট্রিয়টিক লিডারশীপ’ শীর্ষক একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় গ্রন্থটির মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ অন্যান্য মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত ২৭০ পৃষ্ঠার এ বইটিতে বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ’সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠায় তার অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন দর্শন এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এটা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যকে তুলে ধরা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, কোনো বিদেশি প্রেসক্রিপশন ছাড়া বঙ্গবন্ধু বাস্তবতার আলোকে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন । স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে যুদ্ধবিধ্বস্ত ও ভঙ্গুর অর্থনৈতিক কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা যেভাবে তার অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন দর্শনের রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন এবং দ্রুত একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলেছিলেন তার বর্ণনা রয়েছে গ্রন্থটিতে।
অর্থমন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে নব্য স্বাধীন রাষ্ট্রে সে সময়ে দ্রুততার সঙ্গে অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন আর্থিক ও অর্থনৈতিক খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, স্থাপিত হয়েছে পরিকল্লনা কমিশন, প্রণয়ন করা হয়েছে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, যার বিবরণ এ গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ফিরে যাওয়া এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও দর্শনকে বাস্তবরুপ প্রদানে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে তিনি যে সকল কার্যকর ও যুগোপযোগী উন্নয়ন কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। এরমধ্যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রেক্ষাপট ও বাস্তবায়নে অর্জিত সাফল্য লিপিবদ্ধ হয়েছে এ বইটিতে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণের মাধ্যমে দেশ গত ১৩ বছর ধরে সুদৃঢ় সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতে সরকারের গৃহীত উল্লেখযোগ্য সংস্কার কর্মসূচির বিস্তারিত বিবরণও এ গ্রন্থে সংকলন করা হয়েছে। সবশেষে, নিম্ন আয়ের দেশ হতে মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ এবং স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উত্তরণের প্রেক্ষাপট ও সাফল্যের সবিশদ বিবরণ এ গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে। মোড়ক উম্মোচনের পরপরই গ্রন্থটির ইলেকট্রনিক কপি অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে (www.mof.gov.bd) সকলের জন্য উম্মুক্ত করা হয়।
ড. শামসুল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ কোনো বিদেশি চিন্তা ছাড়াই কয়েকটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে করোনাকালেও আমাদের অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব পড়েনি। গত এক যুগে দুইটি মাইল ফলক অর্জন হয়েছে--মধ্য আয়ের দেশ ও উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা।
জেডএ/এমএমএ/