বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৫ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানা ৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা সরকারের

গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানা ৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা সরকারের। ছবি: সংগৃহীত

১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার ছিল ২৫ শতাংশ। তবে শেয়ার ৫ শতাংশে নামিয়ে মালিকানা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এসব পরিবর্তন বাস্তবায়নের জন্য সরকার ইতোমধ্যে গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩ সংশোধনের একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে।

খসড়াটি অংশীজনদের মতামত নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, খসড়াটি প্রণয়নের আগে বিভাগের পক্ষ থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের আইন উপদেষ্টাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকে সরকারের অংশীদারিত্ব এবং বোর্ডের প্রতিনিধিত্বকে ২০১১ সালের আগের কাঠামোতে ফিরিয়ে আনা।

১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার ছিল ২৫ শতাংশ। তবে, পরবর্তী সরকারগুলো পরিশোধিত মূলধনে অবদান না রাখায় এ অংশীদারি ধীরে ধীরে ৫-৮ শতাংশে নেমে আসে বলে তিনি জানান।

২০১১ সালে মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের সময় সরকার ২৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডিং পুনঃস্থাপনের জন্য মূলধন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিল।

নতুন খসড়া অনুযায়ী, ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হবে। ঋণগ্রহীতারা ধীরে ধীরে মূলধনে অবদান বাড়িয়ে ৯৫ শতাংশ মালিকানা অর্জন করবেন। বোর্ড ঘোষিত যেকোনো লভ্যাংশ মূলধনের ভিত্তিতে আনুপাতিকভাবে বিতরণ করা হবে।

সূচনালগ্ন থেকেই গ্রামীণ ব্যাংকের ১২ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যানসহ সরকারের মনোনীত তিনজন পরিচালক এবং ঋণগ্রহীতাদের নির্বাচিত নয়জন পরিচালক রয়েছেন। নতুন প্রস্তাবে ঋণগ্রহীতারা বোর্ডে ১১ জন পরিচালক নির্বাচনের সুযোগ পাবেন।

বর্তমান আইনে বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে রয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত খসড়ায় চেয়ারম্যান নির্বাচন বোর্ডের সদস্যদের মধ্য থেকেই করার বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া, বর্তমানে আইনে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে, সরকার তার মনোনীত দুই পরিচালকের মধ্যে একজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে।

প্রস্তাবিত খসড়ায় এ বিধানটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান অক্ষম হলে, বোর্ডের সদস্যরা অন্য কোনো পরিচালককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুমোদন দিতে পারবেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডে চেয়ারম্যান এবং তিনজন পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে রয়েছে। তবে, ড. ইউনূসের অপসারণের আগে সরকার সাধারণত কেবল চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষমতা ব্যবহার করত।

তিনি বলেন, "২০১১ সালের পর থেকে সরকার চেয়ারম্যানের পাশাপাশি তিনজন পরিচালকও নিয়োগ দিতে শুরু করে।"

বর্তমান আইনের অধীনে, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারেন। প্রস্তাবিত খসড়ায় এ বিধান বহাল রাখা হয়েছে। তবে এতে নতুন একটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে—বোর্ডের অনুমোদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৬৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে, যদি ব্যাংকের কার্যক্রমে তা প্রয়োজনীয় মনে হয়।

বর্তমান আইনে পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারিত রয়েছে, এবং খসড়া অধ্যাদেশেও এটি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে নতুন একটি সংযোজন করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, "নবনির্বাচিত পরিচালকেরা তাদের দায়িত্ব গ্রহণ না করার আগ পর্যন্ত নির্বাচিত পরিচালকেরা তাদের পদে থাকবেন।"

এছাড়া, বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন আঞ্চলিক অফিস খোলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু খসড়া অধ্যাদেশে এ শর্তটি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বর্তমান আইনে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জোবরা গ্রামে ড. ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের কোনো উল্লেখ নেই। তবে খসড়া অধ্যাদেশে আইনের ধারা ৪-এ একটি ব্যাখ্যা যুক্ত করে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নতুন ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প বলতে ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধীনে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার জোবরা গ্রামে পরিচালিত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে বোঝায়। এ প্রকল্প পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পায় এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক এতে অংশগ্রহণ করে।

২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। সরকার জানিয়েছিল, ড. ইউনূস পদের জন্য নির্ধারিত ৬০ বছরের বয়সসীমা অতিক্রম করেছেন। তিনি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করলেও আদালত তা খারিজ করেন।

ড. ইউনূসের পদত্যাগের পর ২০১৩ সালে সরকার গ্রামীণ ব্যাংক আইনে সংশোধনী আনে। তবে এ সংশোধনীতে ব্যাংকের মালিকানা ও পরিচালনা পর্ষদে সরকারের অংশীদারিত্ব বজায় রাখা হয়।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করে। এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংকটিকে কর মওকুফের সুবিধাও দেয়।

Header Ad
Header Ad

শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা: হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতার কবলে আবারও পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গা। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঠান্ডা এবং হাড় কাঁপানো শীতে জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষত খেটে খাওয়া মানুষের জন্য এই শীত অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকাল থেকেই মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এই অঞ্চলে, তবে সূর্য উঠলে কিছুটা রোদ পড়ছে, যা শীতের তীব্রতা কমানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে, উত্তরের হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। হিমেল হাওয়া এবং শীতল পরিবেশের কারণে জনজীবন বেশ বিপর্যস্ত। গরম কাপড় পড়ে, কাঁপতে কাঁপতে বাইরে বেরিয়ে জীবিকার তাগিদে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষরা।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, চলতি জানুয়ারি মাসজুড়ে তাপমাত্রা এমনই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরের হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দেবে। কর্কট ক্রান্তি রেখার কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় শীত মৌসুমে প্রায়ই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড হয়।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক বিশেষ সেল গঠন করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারকে সহায়তা, হামলাকারীদের বিচারসহ একাধিক বিষয়ে অবহেলার পরিপ্রেক্ষিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক সেল’ গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেলটির কমিটি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।

এই সেলটির সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন হাসান ইনাম। তার অধীনে চারটি সাব-সেল গঠন করা হয়েছে।

আরিফ সোহেল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক সেল চারটি সাব-সেলে ভাগ হয়ে কাজ করবে। ১. আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণ ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন বিষয়ক টিম, ২. জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ডকুমেন্টেশন বিষয়ক টিম, ৩. বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতকরণ লক্ষ্যে গঠিত শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের টিম, ৪. শহীদী স্মারক নির্মাণের লক্ষ্যে গঠিত টিম। প্রত্যেক সপ্তাহে একবার প্রত্যেকটি সাব-সেল তাদের কাজের অগ্রগতি নিয়ে কাছে সেল সম্পাদকের কাছে রিপোর্ট প্রদান করবে। মাসে একবার প্রেস কনফারেন্স করে দেশবাসীর সামনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক সেলের কাজের আপডেট দিতে হবে।

এরমধ্যে আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণ ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন বিষয়ক টিমের সদস্যরা হলেন- ০১. হাসান আলী (শহীদ আরাফাতের ভাই), ০২. ইয়াছিন মিয়া (আহত যোদ্ধা), ০৩. আমানুল্লাহ ফারাবী (আহত যোদ্ধা), ০৪. রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, ০৫. নাফিসা ইসলাম সাকাফি, ০৬. আনিসুর রহমান, ০৭. রবিউস সানি শিপু, ০৮. মাহমুদুল হাসান মঈন, ০৯. হুজাইফা সম্রাট, ১০. আলী আব্বাস শাহিন, ১১. আব্দুল বাসেত, ১২. শাকিল আলী, ১৩. আবুল কাশেম ওভি, ১৪. মো: মেহেদি হক মামুন, ১৫. সাইদুর রহমান শাহিদ, ১৬. সুমন বসুনিয়া, ১৭. আশা তালুকদার, ১৮. তাহমিনা আক্তার মিম, ১৯. সালোয়া আক্তার এ্যানি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ডকুমেন্টেশন বিষয়ক টিমের সদস্যরা হলেন- ০১. স্মৃতি আফরোজ সুমি, ০২. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ০৩. সালমান সা'দ, ০৪. অদ্বিতীয়া মুকুল, ০৫. আব্দুল্লাহ আরিয়ান, ০৬. শেখ ফাহিম ফয়সাল, ০৭. দোলা ইসলাম, ০৮. তানভীর ইসলাম অসি, ০৯. রিদওয়ান মুহসীন, ১০. তৌহিদুল ইসলাম ভূঞা, ১১. মো: সাইদুর রহমান সোহাগ, ১২. ওয়াসিমুল হাসান শাতিল, ১৩. মুঈনুদ্দিন গাউছ, ১৪. শাহাদাত হোসেন, ১৫. মো: সজিব হোসাইন, ১৬. আর্ফিয়াস আল দ্বীন।

বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতকরণ লক্ষ্যে গঠিত শিক্ষানবিশ আইনজীবী টিমের সদস্যরা হলেন- ০১. ফারদীন হাসান আন্তন, ০২. নোমান বিন হারুন, ০৩. জহিরুল ইসলাম, ০৪. আরিফুল ইসলাম বিজয়, ০৫. জাকি হাসান ইফতি

শহীদী স্মারক নির্মাণের লক্ষ্যে গঠিত টিমের সদস্যরা হলেন- ০১. মো: রাঈদ হোসেন, ০২. এস আই শাহিন, ০৩. মনিরুজ্জামান মাজেদ, ০৪. ফারহান হাসান বর্ণ, ০৫. হৃদয় সজন, ০৬. তাজহারুল ইসলাম, ০৭. দেলোয়ার হোসেন, ০৮. সাখাওয়াত হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে এই সেলের কর্মপরিধি ও পরিকল্পনা ঘোষণা করেন আরিফ সোহেল। তিনি বলেন, আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ ও শহীদ পরিবারের দেখভাল করার কাজে নিয়োজিত কমিটি বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ; শহীদ পরিবারের সদস্যদের খোজ খবর নেওয়া এবং সুবিধা-অসুবিধায় পাশে থাকা; আর্থিক সাহায্য অপ্রাপ্ত আহত যোদ্ধা কিংবা শহীদ পরিবারের তালিকা করে আর্থিক সাহায্য প্রাপ্তির কাজে সহযোগিতা করা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রের অন্যান্য অংশের সাথে সমন্বয় করে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।

আরিফ সোহেল বলেন, ডকুমেন্টেশন টিমটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহত যোদ্ধা, শহীদ বীরগণ এবং অভ্যুত্থান চলাকালীন বিভিন্ন সাহসী গল্প সংগ্রহ এবং সংকলনের কাজে নিয়োজিত থাকবে। বিচারকাজ সম্পন্ন হওয়া, মামলা রুজু করাসহ ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে অন্যান্য আইনী কাজে পরামর্শ প্রদান এবং সহযোগিতার জন্য শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত টিমটি কাজ করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে রাখার জন্য সারাদেশে আন্দোলনের মূল পয়েন্টে শহীদী স্মারক নির্মাণ করবে।

সেল গঠনের কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ এবং আহত হয়েছেন, তাদেরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এবং অন্যান্যরা কাজ করবেন। এ ব্যাপারে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখছি, যে উদ্যোগগুলো নেওয়া হয়েছে, তা একেবারেই অপ্রতুল। বিভিন্ন কারণে আহত যোদ্ধা ও শহীদ ভাইবোনদের আমরা গুরুত্ব দিতে পারছি না। অথচ তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজকে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।

তিনি বলেন, এছাড়াও জুলাই অভ্যুত্থানের যে ঘটনাবলি-আন্দোলন কীভাবে আন্দোলন দানা বাঁধল, কীভাবে তা চূড়ান্ত পরিণতির দিকে পৌঁছালে ব্যাপারে যথাযথ নথিবদ্ধকরণ আমরা দেখছি না। কিছু আর্কাইভের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সরকারি বা বেসরকারিভাবে সহায়তা করা হচ্ছে না। এছাড়াও গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারী রাষ্ট্রীয় বাহিনী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিচার, এবং এর আগে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরে ‘ম্যাসাকারের’ বিচারে আমরা শ্লথ গতি দেখেছি।

এছাড়াও জুলাই অভ্যুত্থানের আদর্শকে ধারণ করতে শহীদ মিনার, স্মৃতি ফলকসহ যেসব স্মরণীয় উদ্যোগ নেওয়ার দরকার ছিল, তা নেওয়া হয়নি। তাই আমরা এ ধরনের একটি সেল গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি।

Header Ad
Header Ad

শেখ পরিবারকে প্লট বরাদ্দ: ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের রাজউক থেকে প্লট গ্রহণের অনুসন্ধানে অগ্রগতি হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, তদন্তে শেখ হাসিনার ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গতকাল বুধবার তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের অনুসন্ধান দল অনেক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য এসেছে যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি। বিশেষ করে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা শিগগিরই আপনাদের ভালো কিছু তথ্য দিতে পারব।

যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে মামলার দিকে যাওয়া যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। অনুসন্ধান দল প্রতিবেদন দাখিল করলে আমরা আপনাদের শিগগিরই ভালো সংবাদ দিতে পারব। তবে আমরা যে রেকর্ডপত্র পেয়েছি তাতে সুস্পষ্টভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণাদি রয়েছে।

এর আগে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচলে ১০ কাঠা করে ৬টি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে গত ২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ৫ জন সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। তারা হলেন, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি এবং রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকী।

দুদক তখন জানায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে এই ছয়জয়নের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নং রোড হতে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার ৬টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। গণমাধ্যমে এমন তথ্য প্রকাশ হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা: হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন
জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক বিশেষ সেল গঠন করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
শেখ পরিবারকে প্লট বরাদ্দ: ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক
সাভারে বাস-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন নিহত
লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি খালেদা জিয়া, শুরু হয়েছে চিকিৎসা
বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে তিন ধাপ পেছালো বাংলাদেশ, শীর্ষে কোন দেশ?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটার মার্টিন গাপটিল
সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
একনেক সভায় ৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে সেনাবাহিনীর কম্বল বিতরণ
এস আলমের দুই ছেলসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্যের অমূল্য হাতিয়ার ‘স্টোরিটেলিং’
৩২ কোটি টাকার তদবির বাণিজ্য নিয়ে যা বললেন সমন্বয়ক রাফি
ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ!
ব্রাজিল থেকে এলো না ৪৯৫ টাকা কেজি মাংস
এ বছর থেকেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি শুরু: শিক্ষা উপদেষ্টা
কানাডাকে যুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করলেন ট্রাম্প
জ্বিনের মাধ্যমে গর্ভধারণের আশ্বাস, ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আলামিন
শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো ভালোভাবে নেয়নি জনগণ: রিজভী
হাসিনার নির্ঘুমের কারণ ছিল কুমিল্লা : হাসনাত আবদুল্লাহ