ডলার সংকটে কোনো পণ্য আমদানি বন্ধ করা হয়নি
চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের (জুলাই- জানুয়ারি) গত সাত মাসে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে আয় হয়েছে ৪৪ বিলিয়ন (৪ হাজার ৪০০ কোটি ) ডলার। আর পণ্য আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৩৯ বিলিয়ন ডলার। কোনো পণ্যের এলসি বন্ধ করা হয়নি। তবে কোনো কোনো বিলাসী পণ্যের ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ মার্জিন রাখতে বলা হয়েছে। সিস্টেমের কারণে ডলারের সংকট মনে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক এসব তথ্য জানান।
দেশে অনেক বেশি চিনি, সোয়াবিন তেল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুরের এলসি খোলা হয়েছে বলা হলেও বাজারে চিনি ও সয়াবিন তেলের দাম বেড়েই যাচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক বলেন, কোনো পণ্যের দাম নির্ধারণ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ নয়। আন্তর্জাতিক বাজারের দর পর্যালোচনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম নির্ধারণ করে। তিনি বলেন, দেশে রমজান উপলক্ষ্যে পর্যাপ্ত পণ্য আমদানি করা হয়েছে। রমজোনের আগে আরও পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হবে। কাজেই নিবিড়ভাবে বাজার মনিটরিং করা হলে বাজার দর স্বাভাবিক থাকবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন এলসি খোলা যাচ্ছে না। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু জানুয়ারিতেই সয়াবিন তেল, চিনি, পেঁয়াজ, ছোলা ও খেজুর এই পাঁচটি পণ্যের এলসি প্রায় ৬ শতাংশ বেশি করে খোলা হয়েছে। এটা কিভাবে হলো তা হলো। গত সাত মাসে চিনি, সোয়াবিন তেল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুরের এলসি খোলা হয়েছে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৬ টনের। যা গত বছরের জানুয়ারিতে খোলা হয়েছিল ১১ লাখ ৮২ হাজার ৭৭৩ মেট্রিক টন।
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে ডলার সংকট নেই। রপ্তানির মুল্য ১২০ দিনের মধ্যে আসে। তা কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রপ্তানি আয় দিয়েই আমাদানির জন্য এলসি খুলা হয়। জ্বালানী তেলসহ সরকারি এলসি খোলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। এ পর্যন্ত চলতি অর্থবছরে ৯ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। যা গত অর্থবছরে বিক্রি করা হয়েছিলো ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। ডলার বিক্রি করায় বাজার থেকে টাকা কমে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত বাজার থেকে দেড় লাখ কোটি টাকা তুলা হয়েছে। সব দিক বিচেনা করেই ডলার বিক্রি করা হয়।
নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, আমদানির জন্য নগদ পরিশোধ করেই এলসি খুলতে হয়। এ জন্য সংকট মনে হচ্ছে। আমরা ডলার সংকটের কারণে কোনো পণ্যের এলসি খোলা বন্ধ করিনি। হয়ত কোনো ব্যাংকের কাছে ডলার না থাকার কারণে অনেকে সহজে এলসি খুলতে চায় না।
জেডএ/এএস