শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

পাল্লা দিয়ে বাড়লেও আদায় হচ্ছে না খেলাপি ঋণ

তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। আর এই সময়ে আদায় হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার কম। যা আগের প্রান্তিকের (মার্চ-জুন) অর্ধেকের কম।

অপরদিকে ঋণ আদায় সেভাবে না বাড়লেও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তফসিলভূক্ত ৬১টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

অথচ আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই প্রথম দিন বলেছিলেন, ‘আর এক টাকাও খেলাপি বাড়বে না। কিন্তু চার বছর চলে গেলেও হুহু করে বেড়েই যাচ্ছে খেলাপি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপির পরিমাণ এক লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। তিন মাসে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৩ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

এর আগে, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ছিলে এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ওই সময়ে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৫ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা।

আদায়ের হার কম হওয়ার কারণে দেশে গত ১০ বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ গুণেরও বেশি বেড়েছে। কারণ ২০১২ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ টাকা।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও করোনায় আক্রান্ত হলে সরকার ব্যবসায়ীদের প্রায় পৌনে দুই লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছিল। ২০১৯ সালে বিশেষ নীতিমালার আওতায় ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্টে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ দেয় সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকও ঋণ আদায় বন্ধ এবং ঋণ অবলোপনের সুযোগ দিয়েছে। এভাবে নানা রকমের ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অনেক ঋণ গ্রহীতা এই সুযোগ নিয়েছেন। যে কারণে কাগজে তাদের নাম নেই। এ জন্য তাদের ঋণখেলাপি বলা যাবে না। তারপরও আদায় হচ্ছে না ব্যাংকের টাকা।

সর্বশেষ তথ্য মতে, গত ১৮ বছরে ব্যাংক খাতে প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ৯ মাসে নতুন করে অবলোপন করা হয়েছে ৯৭৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম মতে, ব্যাংকের মন্দমানের খেলাপি ঋণ দীর্ঘদিন আদায় না হলে তা ব্যাংকের মূল ব্যালান্স শিট থেকে আলাদা করে অন্য একটি লেজার বুকে সংরক্ষণ করা হয়। ব্যাংকিং পরিভাষায় যা ঋণ অবলোপন বা রাইট অব নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার আওতায় ২০০৩ সাল থেকে ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করে আসছে।

সাধারণত খেলাপি হওয়ার পর যে ঋণ আদায় হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, সেই ঋণ অবলোপন করে ব্যাংকগুলো। তবে এ ঋণ পুনঃতফশিল বা পুনর্গঠন করা যায় না। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ অবলোপনের ক্ষেত্রে নীতিমালায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। আগে মামলা ছাড়া ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অবলোপন করা যেত। এখন ২ লাখ টাকা পর্যন্ত মামলা ছাড়াই অবলোপন করা যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন শিথিল নীতিমালার কারণে খেলাপি ঋণ অবলোপন বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো।

সূত্র মতে, সর্বশেষ তথ্য মতে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা খেলাপির মধ্যে তফসিলি ৬১টি ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ আদায় হয়েছে মাত্র এক হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংকে আদায় হয়েছে ৪৭০ কোটি টাকা, বেসরকারি ব্যাংকের আদায় এক হাজার ২০৪ কোটি, বিদেশে ব্যাংকের ৩৭ কোটি ও বিশেষায়িত ব্যাংকে নগদ আদায় হয়েছে ১৬৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া অন্যসব ব্যাংক থেকে আদায় হয়েছে ৬০১ কোটি টাকা।

অপরদিকে, আগের প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) নগদ আদায় হয়েছিল ৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংকে আদায় হয়েছে ৫৩৯ কোটি টাকা, বেসরকারি ব্যাংকের আদায় ২ হাজার ৮৫১ কোটি, বিদেশে ব্যাংকের ৩২ কোটি ও বিশেষায়িত ব্যাংকে নগদ আদায় হয়েছে ৪৩৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া অন্যসব ব্যাংকের মাধ্যমে আদায় হয়েছিল ২৪১ কোটি টাকা।

ব্যাংকিংখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সার্কুলার ইুস্যু করেছে। এগুলো পরিপালন, প্রতিপালন করা হলে খেলাপি কমবে।

রাজনৈতিক কারণেই কি ঋণ বাড়ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে রাজনৈতিক সমস্যা নেই। গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে। তারা আয় করে ঋণ পরিশোধ করে। তবে বিভিন্ন কারণে অনেকে ঋণ খেলাপি হন, বাংলাদেশ ব্যাংক তখন পুনর্বাসন করতে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন পলিসি (নীতি) গ্রহণ করে। ঋণ আদায় করার জন্য গাইডলাইনও জারি করে। সেটি পরিপালন করা হলে খেলাপি ঋণ আদায় বৃদ্ধি পাবে।

সম্প্রতি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে বেনামে ঋণ নিয়েছে। এ নিয়ে আলোচনার ঝড় চলছে দেশে। এ সব ঋণ আসলে কতোটা নিয়মের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ সব ঋণে নিয়মের যে কিছুটা ব্যত্যয় ঘটেনি, তা নয়। এ জন্যই তো দুইটা ব্যাংকে অবজারভার্ব নিয়োগ করা হয়েছে। তদন্তকারী দল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করেছে।

খেলাপি ঋণের ব্যাপারে জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, করোনাকালিন সরকার কিছু ব্যবসায়ীদের ২ শতাংশ সুদে ডাউন পেমেন্টে ঋণ সুবিধা দিয়েছে। সেই ঋণই অনাদায়ী হচ্ছে। এ জন্য খেলাপি বাড়ছে। আদায়ও তেমন হচ্ছে না। এ ছাড়া কিছু খারাপ লোকও ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ পরিশোধ করছে না। এ জন্য খেলাপি ঋণ বাড়ছে, আদায়ও কম হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর না হলে এ অবস্থার উন্নতি হবে না অর্থাৎ খেলাপি ঋণ কমবে না।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, দর্শক ভোটে সর্বাধিক পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবে ‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন নারী সাফ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা।

এ বছর ‘স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে মিরাজ পেছনে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা এবং ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা আর্চার সাগর ইসলামকে। অপরদিকে, ‘পপুলার চয়েজ’ বিভাগে ঋতুপর্ণা এগিয়ে যান মিরাজ ও উদীয়মান পেসার নাহিদ রানাকে ছাড়িয়ে।

 

ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৪ সাল থেকে ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি জানিয়ে আসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এবছর ১৫টি বিভাগে মোট ১৩ ব্যক্তি, দল ও সংস্থাকে সম্মাননা দেয়। সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

পুরস্কার গ্রহণ করে মিরাজ বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ প্রতি বছর এমন আয়োজনের জন্য। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।” ভুটানে লিগ খেলায় ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় ঋতুপর্ণা জানান, “এই সম্মান আমাকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা দেবে।”

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মগবাজার ও মধুবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা ও ময়লার উপস্থিতি নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ট্যাপের পানি দুর্গন্ধযুক্ত ও অস্বচ্ছ হওয়ায় তা রান্না, গোসল ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাসার পানির ট্যাঙ্ক একাধিকবার পরিষ্কার করেও মিলছে না সমাধান। ওয়াসার সাপ্লাই পাইপ থেকেই এই সমস্যার উৎপত্তি বলে মনে করছেন তারা।

মধুবাগ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এই পানি দিয়ে রান্না ও গোসল সম্ভব না। আমাদের বাসার শিশুরা পানি খেতেই চায় না। বাধ্য হয়ে পাম্প থেকে পানি এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে।” আরেকজন জানান, “ট্যাঙ্ক পরিস্কার করলে প্রথমে কিছুদিন ভালো থাকে, তারপর আবার পোকা দেখা দেয়।”

বিকল্প না থাকায়, অনেকেই ট্যাপের মুখে কাপড় বেঁধে পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারপরও পেটের অসুখ ও চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার তিনজন কর্মকর্তা মধুবাগ এলাকায় পরিদর্শনে যান এবং কয়েকটি বাসা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পোকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে দায় চাপান ট্যাঙ্ক ঠিকমতো পরিষ্কার না করাকে। ওয়াসার উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “লাইনের পানি পরিষ্কার। ট্যাঙ্ক যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, নিয়মিত ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের পরও পানি দূষিত হচ্ছে, যা পাইপলাইনের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এ অবস্থায় ওয়াসার কর্মকর্তারা পাইপের মান যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Header Ad
Header Ad

বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে হবে বিদেশি আইনের মাধ্যমে এবং এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ নতুন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি দেশের নয়, বরং বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ রেখে করতে হবে। এর জন্য আগে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং এস্টেট (সম্পদ) ফ্রিজ করে আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া চালাতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথমে এস্টেটগুলো ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আইন পরামর্শক নিয়োগে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এস্টেট ট্রেসিং ফার্মের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এস্টেট ফ্রিজ করা গেলে এটিই হবে প্রথম সাফল্য।”

এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, “আমার ধারণা, প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু বেক্সিমকো গ্রুপেরই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ পাচার হয়েছে। এগুলো বড় গ্রুপের হিসাব, ছোট গ্রুপগুলো এখনো বিবেচনায় আনা হয়নি। ভবিষ্যতে যেন এমন না ঘটে, সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “সব সময় আদালতের মাধ্যমে সমাধান না করে, কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতেও (আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট) টাকা ফেরত আনার চিন্তা করছি। তবে সেটার আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা জরুরি, না হলে আমরা ঠকে যাব।”

মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে গভর্নর বলেন, “অতীতে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হলেও বাস্তবে তা ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। তবে এখন সেটি ৮-৯ শতাংশে নেমেছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমতির দিকেই। আগামী বছরে তা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, ফাইন্যান্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পরিচালক মো. আনিসুর রহমানসহ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু