শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পাল্লা দিয়ে বাড়লেও আদায় হচ্ছে না খেলাপি ঋণ

তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। আর এই সময়ে আদায় হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার কম। যা আগের প্রান্তিকের (মার্চ-জুন) অর্ধেকের কম।

অপরদিকে ঋণ আদায় সেভাবে না বাড়লেও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তফসিলভূক্ত ৬১টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

অথচ আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই প্রথম দিন বলেছিলেন, ‘আর এক টাকাও খেলাপি বাড়বে না। কিন্তু চার বছর চলে গেলেও হুহু করে বেড়েই যাচ্ছে খেলাপি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপির পরিমাণ এক লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। তিন মাসে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৩ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

এর আগে, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ছিলে এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ওই সময়ে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৫ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা।

আদায়ের হার কম হওয়ার কারণে দেশে গত ১০ বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ গুণেরও বেশি বেড়েছে। কারণ ২০১২ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ টাকা।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও করোনায় আক্রান্ত হলে সরকার ব্যবসায়ীদের প্রায় পৌনে দুই লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছিল। ২০১৯ সালে বিশেষ নীতিমালার আওতায় ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্টে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ দেয় সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকও ঋণ আদায় বন্ধ এবং ঋণ অবলোপনের সুযোগ দিয়েছে। এভাবে নানা রকমের ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অনেক ঋণ গ্রহীতা এই সুযোগ নিয়েছেন। যে কারণে কাগজে তাদের নাম নেই। এ জন্য তাদের ঋণখেলাপি বলা যাবে না। তারপরও আদায় হচ্ছে না ব্যাংকের টাকা।

সর্বশেষ তথ্য মতে, গত ১৮ বছরে ব্যাংক খাতে প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ৯ মাসে নতুন করে অবলোপন করা হয়েছে ৯৭৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম মতে, ব্যাংকের মন্দমানের খেলাপি ঋণ দীর্ঘদিন আদায় না হলে তা ব্যাংকের মূল ব্যালান্স শিট থেকে আলাদা করে অন্য একটি লেজার বুকে সংরক্ষণ করা হয়। ব্যাংকিং পরিভাষায় যা ঋণ অবলোপন বা রাইট অব নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার আওতায় ২০০৩ সাল থেকে ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করে আসছে।

সাধারণত খেলাপি হওয়ার পর যে ঋণ আদায় হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, সেই ঋণ অবলোপন করে ব্যাংকগুলো। তবে এ ঋণ পুনঃতফশিল বা পুনর্গঠন করা যায় না। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ অবলোপনের ক্ষেত্রে নীতিমালায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। আগে মামলা ছাড়া ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অবলোপন করা যেত। এখন ২ লাখ টাকা পর্যন্ত মামলা ছাড়াই অবলোপন করা যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন শিথিল নীতিমালার কারণে খেলাপি ঋণ অবলোপন বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো।

সূত্র মতে, সর্বশেষ তথ্য মতে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা খেলাপির মধ্যে তফসিলি ৬১টি ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ আদায় হয়েছে মাত্র এক হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংকে আদায় হয়েছে ৪৭০ কোটি টাকা, বেসরকারি ব্যাংকের আদায় এক হাজার ২০৪ কোটি, বিদেশে ব্যাংকের ৩৭ কোটি ও বিশেষায়িত ব্যাংকে নগদ আদায় হয়েছে ১৬৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া অন্যসব ব্যাংক থেকে আদায় হয়েছে ৬০১ কোটি টাকা।

অপরদিকে, আগের প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) নগদ আদায় হয়েছিল ৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংকে আদায় হয়েছে ৫৩৯ কোটি টাকা, বেসরকারি ব্যাংকের আদায় ২ হাজার ৮৫১ কোটি, বিদেশে ব্যাংকের ৩২ কোটি ও বিশেষায়িত ব্যাংকে নগদ আদায় হয়েছে ৪৩৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া অন্যসব ব্যাংকের মাধ্যমে আদায় হয়েছিল ২৪১ কোটি টাকা।

ব্যাংকিংখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সার্কুলার ইুস্যু করেছে। এগুলো পরিপালন, প্রতিপালন করা হলে খেলাপি কমবে।

রাজনৈতিক কারণেই কি ঋণ বাড়ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে রাজনৈতিক সমস্যা নেই। গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে। তারা আয় করে ঋণ পরিশোধ করে। তবে বিভিন্ন কারণে অনেকে ঋণ খেলাপি হন, বাংলাদেশ ব্যাংক তখন পুনর্বাসন করতে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন পলিসি (নীতি) গ্রহণ করে। ঋণ আদায় করার জন্য গাইডলাইনও জারি করে। সেটি পরিপালন করা হলে খেলাপি ঋণ আদায় বৃদ্ধি পাবে।

সম্প্রতি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে বেনামে ঋণ নিয়েছে। এ নিয়ে আলোচনার ঝড় চলছে দেশে। এ সব ঋণ আসলে কতোটা নিয়মের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ সব ঋণে নিয়মের যে কিছুটা ব্যত্যয় ঘটেনি, তা নয়। এ জন্যই তো দুইটা ব্যাংকে অবজারভার্ব নিয়োগ করা হয়েছে। তদন্তকারী দল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করেছে।

খেলাপি ঋণের ব্যাপারে জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, করোনাকালিন সরকার কিছু ব্যবসায়ীদের ২ শতাংশ সুদে ডাউন পেমেন্টে ঋণ সুবিধা দিয়েছে। সেই ঋণই অনাদায়ী হচ্ছে। এ জন্য খেলাপি বাড়ছে। আদায়ও তেমন হচ্ছে না। এ ছাড়া কিছু খারাপ লোকও ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ পরিশোধ করছে না। এ জন্য খেলাপি ঋণ বাড়ছে, আদায়ও কম হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর না হলে এ অবস্থার উন্নতি হবে না অর্থাৎ খেলাপি ঋণ কমবে না।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত