রিজার্ভ চুরি: নিউইয়র্কে মামলা চলতে বাধা নেই

সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধমে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক নিউইয়র্কে রক্ষিত রিজার্ভ চুরির মামলায় আসামিদের আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সুপ্রীম কোর্ট (স্টেট কোর্ট) এ ফিলিপাইনের রিজাল কর্মাসিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) ও অন্যান্য ছয় বিবাদীর মোশান টু ডিসমিস আবেদন গত ১৩ জানুয়ারি খারিজ করে দিয়েছেন।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজিন্স ইউনিট প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস এসব তথ্য জানান।
মো. মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘এই রায়ের ফলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা পরিচালনায় আর কোনো বাধা থাকল না।'
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে আরসিবিসিসহ ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চুরিকৃত অর্থ উদ্ধারে মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই মামলার পর আরসিবিসিসহ ৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মোশান টু ডিসমিস আবেদন করে। পরবর্তী সমেয়ে বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০২০ সালের ২০ মার্চ ফেডারেল আদালত ফিলিপাইনের বিভিন্ন বিবাদীর দায়েরকৃত আবেদন খারিজ করে মামলাটি ফেডারেল কোর্টের পরিবর্তে স্টেট কোর্টে পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এই অর্থ হাতিয়ে নেয়। এই অর্থ ফিলিপাইনের মাকাতি শহরে রিজাল ব্যাংকের শাখায় চারটি অ্যাকাউন্টে চলেও যায়। সেখান থেকে দ্রুত টাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপে চুরির অর্থ ফেরত আসে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এখনো বাকি রয়ে গেছে ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার বা ৫৬১ কোটি টাকা।
জেডএ/এমএমএ/
