গুলির পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে এলাকা ছাড়ে ঘাতকরা
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ২৫ বছর ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা হারুন অর রশিদ খান। তাকে গুলি করে হত্যার নেপথ্যে বাজার ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে মতিঝিল এলাকা থেকে ওই ঘটনায় জড়িতদের অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ।
সংস্থাটি বলছে, উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনকে হত্যায় অংশ নেন ছয়জন। দুটি মোটরসাইকেলে করে এসেছিল। এই হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির মতিঝিল বিভাগ।
গ্রেপ্তাররা হলেন-ফরহাদ হোসেন ওরফে মোফাজ্জল হোসেন সরকার ও আরিফুল ইসলাম আরিফ। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত দুটি রিভলবার ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যানকে নিজ বাসায় ঢুকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন অংশ নিয়েছে। দুই রাউন্ড গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে বাসা ত্যাগ করে আত্মগোপনে চলে যায় ঘাতকরা।
এর আগে হত্যাকারীরা গ্রেপ্তারদের কাছে অস্ত্র বুঝিয়ে দেয়। শিবপুর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার নির্দেশে প্রথমে নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে এরপর আসাদের নির্দেশে ঢাকার মতিঝিলে এসে আত্মগোপন করেছিলেন। আর এই হত্যার নেপথ্যে ব্যক্তিগত ও বাজার ইজারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দ্বন্দ্ব। হত্যার সময়ে যারা জড়িত সবার নাম আমরা পেয়েছি।
মহানগর গোয়েন্দা প্রধান বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করবে ডিবি। তবে নরসিংদী জেলা পুলিশ প্রয়োজন মনে করলে কোনো তথ্যের জন্য সহযোগিতা চাইলে আমরা করব।
কেএম/এমএমএ/