বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজধানীতে ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য, সতর্ক না হলে জীবনের ঝুঁকি

বেশ কয়েকদিন আগে আনিসুর রহমান আনিস নামের এক ব্যক্তি প্রতিদিনের মতো কাওরান বাজার দিয়ে মিরপুরের বাসায় ফিরছিলেন। আনিস একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। একদিন রাতে তিনি অফিস থেকে বের হয়েছেন সাড়ে ১০টার দিকে। তখন তিনি রাজধানীর কাওরান বাজার মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে গাড়িতে উঠার জন্য রাস্তা পার হন। রাস্তায় অনেক সময় দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটে ফার্মগেটের দিকে যেতে থাকেন। ঠিক এমন সময় ৫-৭ জন ছিনতাইকারী তাকে ফলো করতে থাকেন। হঠাৎ করে অল্প বয়সি এক কিশোর তাকে ধাক্কা দেয় এবং চাকু মেরে দৌড় দেয়।

পরে এই চক্রের অন্যান্য সদস্যরা দৌড়ে এসে আনিসের শরীরে বিভিন্নভাবে আঘাত করতে থাকে। এ সময় তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে ছিনতাইকারীরা তাকে জখম করে তার মোবাইল, মানিব্যাগ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে আনিস কোনোমতে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে কাওরান বাজারের মোড়ে চলে যান এবং অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সেখানে পুলিশ ও আশেপাশের লোকজন তার মাথায় পানি দেন। কিছু সময় পর তার জ্ঞান ফেরে। এরপর ঘটনাস্থলে ডিউটিতে থাকা এক পুলিশ সদস্য তাকে ১০০ টাকা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশে একটি রিকশা ভাড়া করে পঠিয়ে দেন। আনিস এখন সুস্থ কিন্তু উদ্ধার হয়নি তার খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগে থাকা টাকা।

আনিসের মতো এমন অনেকেই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছেন এবং ছিনতাই চক্রের ছুরি, চাকু বা অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে।

উত্তরা দিয়াবাড়ী মেট্রোরেল এলাকায় রাতের বেলায় ছিনতাইকারীদের হাত থেকে বেচেঁ যাওয়া নিঝুম মামুন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ঢাকায় দিন দিন বাড়ছে ছিনতাই, সতর্ক না হলেই যে কোনো সময় জীবনাটা চলে যেতে পারে।

অবশ্য, ছিনতাইকারীদের এ সব বিষয় নিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, এই সময়টাতে চুরি ,ছিনতাই, মাদকসহ ভিন্ন ভিন্ন কিছু অপরাধ বেড়েছে। গোয়েন্দারা বলছেন, এজন্য নগরবাসীদের আমরা আগে থেকেই সতর্ক করেছি। এবং আমরা জানিয়েছি ফাঁকা রাস্তায় কেউ একা একা চলাফেরা করবেন না। প্রয়োজনে পুলিশের সহযোগিতা চাইবেন। তবে যারা চুরি বা ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে অভিযোগ করেন তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে চুরি ,ছিনতাই রোধে কাজ করছে সরকারের বিভিন্ন বাহিনী। অভিযুক্তদের তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইকৃত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন শ্রেণির অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মপুর, আদাবর, হাজারীবাগ, ধানমন্ডি ও তেজগাঁও থানা এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৫২ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মো. ফজলুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সাধারণ মানুষ ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। এতে পথচারী ও এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজধানীবাসী বিভিন্ন এলাকায় চলাচলের সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। নারী-পুরুষ, স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ সবাইকে এর কবলে পড়তে হচ্ছে। তিনি বলেন, এ সব ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে অনেকেই জখম হচ্ছেন এবং মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

এদিকে ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করতে মাঠে নামে র‌্যাব-৩। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর মতিঝিল, মুগদা, ওয়ারী, খিলগাঁও, বংশাল, সবুজবাগ ও শাহজাহানপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই সংঘবদ্ধ চক্রের মূল হোতাসহ মোট ৬১ জনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত ৬১ জনের মধ্যে ৩২ জনের চক্রটি উৎসব উদযাপনকে ঘিরে জনবহুল স্থান টার্গেট করে ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। আর এর মধ্যে ২৯ জন ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা মেট্রোরেল ও নির্জন এলাকায় ছিনতাই করত। এদের দ্বারা অনেকেই জখম হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, মতিঝিল বিভাগে যারা ছিনতাই করে তাদের অনেকের নাম সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানতে চাইলে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। এরপর আমরা সারা ঢাকাতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করি। তথ্য আসে বড় কয়েকটি চক্র পৃথক পৃথক জায়গায় ছিনতাই করে থাকে। চক্রটি যেকোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে তাদের তৎপরতা বাড়ায় এবং ছিনতাইয়ের পরিকল্পনায় যুক্ত হয়।

তিনি বলেন, মতিঝিলে ছিনতাই চক্রের প্রধান হল- রাকেশ ও মান্নান। তাদের ২ জনকেই আমরা আইনের আওতায় এনেছি। অন্য কিছু সিন্ডিকেট বাইরে রয়েছে আশা করি তারাও গ্রেপ্তার হবেন।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারীরা খুবই দুর্ধর্ষ। তারা ছিনতাই করার সময় সাধারণ মানুষকে ব্লেড, ছুরি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে যেখানে সেখানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। ছিনতাই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান আমাদের চলমান রয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

অন্যদিকে, গত ২৪ ফ্রেরুয়ারি দিবাগত রাতে তেজগাঁও বিভাগের পানি ভবন সংলগ্ন ফুটপাত এলাকায় ফারুক হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা। ফারুখ হত্যার ঘটনায় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ পুলিশ এ হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করতে গিয়ে জানতে পারে ফারুক ছিনতাইকারীদের দ্বারা জখম হয়ে মারা গেছেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানায়, সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এটি প্রতিরোধে আমাদের বিভিন্ন অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতাই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে একাধিক খুনের মামলার আসামিও রয়েছে।

জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, তেজগাঁ এলাকায় ছিনতাইয়ের গ্যাং লিডার মো. সাদ্দাম হোসেন সাব্বির ওরফে সিটু সাব্বির ওরফে সাগরসহ তার অন্য সহযোগীদের আমরা গ্রেপ্তার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারলাম এই চক্রটি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করত। ছিনতাইয়ের সময় তাদের বাঁধা দিলে তারা ধারালো চাকু মেরে পালিয়ে যায়। যাদের চাকু মারা হয় তারা যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পায় তাহলে অনেকেই মারা যায়।

ঢাকার উত্তরার আজমপুর এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে একটি চক্রের দলনেতাসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব-১ জানায়, ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতকারীদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই করতেন এই চক্রের সদস্যরা। এই চক্রের মূল হোতা এক যুবক তার নাম শরীফ হোসেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজধানীর মেট্রোরেলের নির্জন রাস্তায়, উত্তরা, আবদুল্লাহপুর ও গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় ছিনতাই চক্রের তৎপরতা দিন দিন বাড়ছে। ছিনতাই চক্রের সদস্যরা নিরীহ মানুষকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বিভিন্ন মালামাল ছিনিয়ে নিচ্ছে। এ সব অপরাধে যুক্ত রয়েছে— কিশোর, অল্প বয়সী যুবক শ্রেণির লোক। তারা সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলন্ত গাড়ি থেকে থাবা দিয়ে অথবা অন্ধকারে নির্জনে নিরীহ পথচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে।

এদিকে মিতিঝিলে ছিনতাইয়ের কবলে পড়া সুমন হোসেন (শাহাদাত) নামের এক ব্যক্তি বলেন, রাতে গাড়ি না পেয়ে হাটছিলাম হঠাৎ পিছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখি কয়েকজন যুবক ও কিশোর আমাকে টার্গেট করেছে। আশেপাশে কাউকে না পেয়ে দেরি না করে দৌড় দিয়ে একটা দোকানে আশ্রয় নেই।

ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া মো. সাব্বির ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাত ১২টার পর আগারগাঁও তালতলা দিয়ে মেট্রোরেলের লেনের নিচ দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলাম। এমন সময় তিন জন হিজলা আমাকে ডাকে। দূর থেকে দেখতে পেলাম তাদের সঙ্গে ওত পেতে আছে ৬-৭ জনের একটি দল।

সাব্বির বলেন, প্রথমে হিজলারা আমাকে দাঁড়াতে বললে আমি একটু দাঁড়াই। পরে ওই যুবকরা দৌড় দিয়ে এসে ছুরি ধরে আমাকে জিম্মি করে এবং আমার কাছে থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও টাকা এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়নি।

ছিনতাইকারীদের হঠাৎ তৎপরতা ও তাদের বিভিন্ন কৌশলের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিশেষ করে রাতে যারা বাসে চলাচল করেন বা গ্রাম থেকে যারা ঢাকাতে আসেন তারা বেশি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। এ সব বিষয়ে আমরা সাধারণ মানুষকে অনেকবার সতর্ক করেছি এবং বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষকে আমরা বলেছি আপনারা রাতের বেলায় একা একা চলবেন না। গভীর রাতে ঢাকায় ছিনতাই হচ্ছে।

তিনি বলেন, তবে এ সব ছিনতাইকারীরা বেশির ভাগ ধরা পড়ার পরে জামিনে বের হয়ে বা পলাতক থেকে আবারও ছিনতাইয়ের কাজে যুক্ত হয়। ছিনতাইকারীরা বার বার গ্রেপ্তার হচ্ছেন। কিন্তু তারা সংশোধন হচ্ছেন না।

হাফিজ আক্তার আরও বলেন, ঢাকা রাতে বা ভোররাতের দিকে অরক্ষিত থাকে। ঠিক এই সময়টাতে ছিনতাই হওয়ার ঘটনা বেশি ঘটে। বিশেষ করে রাতে নগরবাসী ও যাত্রীরা যারা চলাচল করেন তারা যদি বাসস্ট্যান্ডে বা টার্মিনালে নামার পর সকালের দিকে তাদের গন্তব্যে যান বা চলাচল করেন তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। এই সময়টাতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে না।

কেএম/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত