‘কাইজ্যা পার্টি’র ২ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রতারণা করে মালামাল হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাইদুর রহমান হাওলাদার এবং মো. মোর্শেদ নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীতে ‘কাইজ্যা পার্টি’ নামেই পরিচিত তারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফ্রেব্রুয়ারি) রাতে মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (২৪ ফ্রেব্রুয়ারি) মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নগরে তারা ‘কাইজ্যা পার্টি’ নামেই পরিচিত। তারা রিকশা নিয়ে ঘুরেন। এরপর তাদের কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝগড়া করেন। ওই সুযোগে আরেকজন রিকশায় থাকা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যান। সাইদুর এই গ্রুপের প্রধান। তাদের কাছ থেকে লুট করা ৪ লক্ষাধিক টাকার মেডিকেল মেশিন এবং ২ লক্ষাধিক টাকার কসমেটিকস সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি মিরপুর-১০ থেকে ভুক্তভোগী মহিউদ্দিন দুটি মেডিকেল মেশিন নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় রিকশা নিয়ে হাজির হন সাইদুর। শেওড়াপাড়া যাওয়ার জন্য রিকশায় উঠে কিছু দূর যাওয়ার পর রিকশা নষ্ট হয়েছে বলে কিছুদূর হাঁটতে বলেন মহিউদ্দিনকে। কিছুদূর যেতেই সেখানে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা ২-৩ জন ইচ্ছাকৃতভাবে ঝগড়া লাগিয়ে দেন তার সঙ্গে। এই সুযোগে মালামালসহ রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান সাইদুর। পরে থানায় অভিযোগ করলে গতকাল রাতে জড়িত দুইজনকে মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকা গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক কেরানীগঞ্জের শহীদনগর এলাকা থেকে মেডিকেল যন্ত্রাংশ এবং কসমেটিকস সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, তাদের গ্রুপে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ৭-৮ জন সদস্য আছে। তারা কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে এই কাজ করেন। তাদের মধ্যে এক দল থাকেন হাঁটাওয়ালা। তারা সেই যাত্রীর সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝগড়া লাগেন। একজন মাদলিওয়ালা- তিনি রিকশা চালান, রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। সাইদুর এই দলের মাদলিওয়ালা। আরেক দল পল্টিওয়ালা। যখন ওই যাত্রী ওই রিকশা খুঁজতে থাকেন তখন এই দল উল্টো রাস্তা দেখিয়ে দেন। মালামাল হাতিয়ে দেওয়ার পর সেই টাকার ৭০ শতাংশ সবাই সমানভাগে নেন। ২০ শতাংশ পান মাদলিওয়ালা এবং ১০ শতাংশ পান হাঁটাওয়ালা। তারা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে এই প্রতারণা করেন। প্রায় দুই বছর ধরে তারা এই কাজ করছেন। তাদের কাছ থেকে ৪ লক্ষাধিক টাকা মূল্যমানের মেডিকেল মেশিন এবং ২ লক্ষাধিক টাকার কসমেটিকস সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কেএম/এসজি
