বেড়েছে দেড় টাকা, নিচ্ছে ২০ টাকা!
'এখন কাজে যাব না কি এদের সঙ্গে ঝগড়া করব? তাদের যা ইচ্ছা হইছে, ভাড়া বাড়ায়ে নিচ্ছে। সরকার তো বাসওয়ালারা যেভাবে চাইছে, সেভাবে ভাড়া বাড়ায়ে দিছে, আর এরা বাড়ায়ে নিচ্ছে তারও দ্বিগুণ।’
রাজধানীর রামপুরার কাছে আবুল হোটেল এলাকায় ঢাকাপ্রকাশ-কে কথাগুলো বলছিলেন 'এফআর আপন' নামে একটি পরিবহনের যাত্রী সোবহান মিয়া।
তার সঙ্গে তালমিলিয়ে ক্ষোভ জানালেন, একই বাসের আরেক যাত্রী শাহ আলম। ন্যাশনাল ব্যাংকের ইসলামপুর শাখার এ কর্মী বলেন, আবুল হোটেল থেকে তাঁতীবাজার পর্যন্ত এ বাসের ভাড়া ছিল ৫০ টাকা। আজ (রবিবার) থেকে নিচ্ছে ৭০ টাকা। তার মানে ৪০ শতাংশ ভাড়া বেশি নিচ্ছে এরা। অথচ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে কিলোমিটারে জনপ্রতি ৩৫ পয়সা। আবুল হোটেল থেকে তাঁতীবাজারের দূরত্ব হবে সর্বোচ্চ চার কিলোমিটার। সে হিসাবে এখান থেকে ভাড়া বাড়াতে পারে জনপ্রতি মাত্র এক টাকা ৪০ পয়সা। সেখানে বাড়িয়েছে ২০ টাকা!
এই চিত্র তুলে ধরে বাসটির কাউন্টারম্যান রবিন হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের তো এসি বাস, তাই বেশি।
তাই বলে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও ১৪-১৫ গুণ বেশি? দেড় টাকার জায়গায় ২০ টাকা? এসব প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি তিনি।
তবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাসভাড়া বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত হলেও এখনো এর তেমন কার্যকারিতা দেখা যায়নি অন্য কোথাও। রাজধানীতে চলাচল করা রমজান, তরঙ্গ প্লাস, স্বাধীন, তুরাগ ও গ্রিন অনাবিলসহ বিভিন্ন বাসে ভাড়া আগের মতোই নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পরিবহনকর্মীরা। ভাড়ার নতুন চার্ট এখনো না আসায় তারা আগের হারেই ভাড়া নেন বলে জানান।
এদিকে রাজধানীর গুলিস্তান থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বিভিন্ন বাসও আগের ভাড়ায় গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। তবে নারায়ণগঞ্জের রূপসীর উদ্দেশে গুলিস্তান থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসে আগের ভাড়া ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করে ভাড়া নিতে দেখা গেছে।
কাউন্টারে থাকা তোফায়েল হোসেন বলেন, ভাড়ার নতুন তালিকা এলে তা বাস্তবায়ন করা হবে। এখন শুধু পাঁচ টাকা বাড়ান হলো।
উল্লেখ্য, দূরপাল্লার পথে কিলোমিটারপ্রতি ৪০ পয়সা ও নগর পরিবহনে ৩৫ পয়সা ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল শনিবার এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
এমএ/এসএন