আবাসিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি কার স্বার্থে : বাংলাদেশ ন্যাপ
আবাসিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, অন্যথায় জনগণ তীব্র প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
রবিবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, জ্বালানি তেল, গ্যাস, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দুঃসহ ভোগান্তি তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ন্যাপ মনে করে, সরকারের দুর্নীতি ও সরকারি দলের মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীদের অনৈতিক মুনাফার জন্য জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
নেতারা বলেন, জনজীবন যখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জড়জড়িত, সে সময় আবাসিক গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি আগুনে ঘি ঢালা সমান। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে চরম অসময় যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সময় এটা নয়। যে চেষ্টা হচ্ছে, সেটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার শামিল।
তারা বলেন, সরকারের ভুল নীতি, অব্যবস্থাপনা, সিস্টেম লস ও দুর্নীতি দূর করার কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া জনবিরোধী এবং সরকারকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসা উচিত। আবাসিক গ্রাহকদের চুলায় নিয়মমতো গ্যাস সরবরাহ ও সারা দেশে ন্যায্যমূল্যে নিরাপদ গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার পরিবর্তে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি কার স্বার্থে?
নেতারা আরো বলেন, দেশের জনগণকে গ্যাস থেকে বঞ্চিত করবেন না। যারা রান্না করে তারা জানে গ্যাসের কী সঙ্কট। সরকারের উচিত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি না করে এর সঙ্কট দূর করা। কিন্তু তা না করে আবারও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হয়েছে।
তারা বলেন, দেশের মানুষ যতটুকু গ্যাস ব্যবহার করে তার দ্বিগুন মূল্য দিয়ে থাকেন। মানুষ গ্যাস দিয়ে রান্না করতে পারে না কিন্তু দাম ঠিকই দিতে হয়। এ ছাড়াও সারা দেশে সিলিন্ডার ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ থাকায় জেলা-উপজেলায় বেশি দামে গ্যাস কিনতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন শুধু জনগণের পকেট কাটে।
নেতারা বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্যদের মধ্যে অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজ সব সদস্যকে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, আবাসিক গ্রাহকদের চুলায় নিয়মমতো গ্যাস ও সারা দেশে ন্যায্যমূল্যে নিরাপদ গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া, গ্যাস খাতে দুর্নীতি অপচয় বন্ধ করা, শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করে স্থলে ও সমুদ্র বক্ষের গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা করা এবং এলএনজি আমদানির নামে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে ব্যবসায়ী কমিশনভোগীদের পকেট ভারি করার নীতি বন্ধ করতে হবে।
এমএইচ/