ট্রেনচাপায় তরুণের মৃত্যু
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মো. আশিক (১৮) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশিকের সহপাঠি লাবন্য আক্তার জানান, বিজয় দিবসে তিনি ও আশিক ঘুরতে বের হন। খিলগাঁওয়ের বাগিচা রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন আশিক। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উত্তরার একটি কনফেকশনারিতে কাজ করতেন আশিক। তিনি সেখানে সিরাজ মার্কেট এলাকায় থাকতেন। তার বাবার নাম মো. জামাল উদ্দিন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিকার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণখানে একটি অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় একটি মাইক্রোবাস দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে দুজন আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন।
প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দক্ষিণখানের ওই রেল ক্রসিংয়ে সবসময় দুজন গেইটম্যান দায়িত্ব পালন করেন; কিন্তু ভোরে তাদের কেউই ছিলেন না। ফলে রেলক্রসিংয়ের গেইট খোলা পেয়ে সেখানে উঠে পরে গাড়ীটি। এসম ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় সেটি ছিটকে পড়ে।
রেলওয়ে পুলিশের উপ পরিদর্শক মো. রফিক জানান, ভোরে নীলসাগর এক্সপ্রেস জয়দেবপুর থেকে ঢাকার দিকে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচ জনকে টঙ্গীর একটি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা হলেন–মাহমুদা আক্তার মিতু (২৬) ও তার দুই বছরের ছেলে ফয়েজ আহমেদ। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মিতুর স্বামী মো. হাসান। তিনিসহ আহত তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এনএইচ/এসএ/