মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বঙ্গবন্ধু অমর একুশে ফেব্রুয়ারির মূল কারিগর

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে উদযাপিত হচ্ছে। সারা বিশ্বের মানুষ তাদের স্ব স্ব মাতৃভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এই দিনটিকে বেছে নিয়েছে।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ তথা দেশের মেধাবী ছাত্ররা রাজপথে ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। ভাষার জন্য তাদের সেই আত্মত্যাগকে স্মরণ করে বিশেষ করে ভাষা শহীদদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আজ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। এটি আমাদের জন্য গর্বের, অহংকারের ও আত্মমর্যাদার। মাতৃভাষার কল্যাণে আজকে সারা পৃথিবীতে যে কার্যক্রম পরিচালিত হয় তার বীজ রোপণ করেছিলাম আমরা। ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে অর্থাৎ পূর্ব বাংলায় সেদিনটিকে রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং সেই সময়ের তরুণ ছাত্র নেতা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সেদিন পাকিস্তান কারাগারে নিক্ষিপ্ত হোন।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১১ই মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে গেলেন, তখনই তিনি সঠিকভাবে উপলব্ধি করেছিলেন, এভাবে বাঙ্গালির মুক্তি সম্ভব নয়। তিনি বুঝেছিলেন বাঙ্গালির মুক্তির প্রথম সোপান হিসেবে রাষ্ট্রভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণা করার প্রয়োজন আছে। যখন জিন্নাহর মুখ থেকে ঘোষিত হলো, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। বঙ্গবন্ধু তখন তরুণ ছাত্রনেতা।

বঙ্গবন্ধু কত যৌক্তিকভাবে বললেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ বাংলাভাষায় কথা বলে। তারপরও আমরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিচ্ছি না। কাজেই আমরা চাই, পাকিস্তানের পূর্ব অংশের রাষ্ট্রভাষা হবে ‘বাংলা’। পশ্চিম অংশে যেকোনো একটি ভাষাকে তারা রাষ্ট্রভাষা করবে। বাংলাকে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। কত যৌক্তিক একটি প্রস্তাব নিয়ে তিনি আন্দোলনের ডাক দিলেন এবং সেই আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে আমরা পেলাম রাষ্ট্রভাষা বাংলা। যে মাইলফলকগুলো বঙ্গবন্ধু তৈরি করে গেছেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এ সবকিছুর সূচনা পর্ব যদি আমরা বলি, সেটিই আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলা ভাষা, বাঙ্গালির ইতিহাস ও ঐতিহ্য, আমাদের শেষ পর্যন্ত মুক্ত স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছে।

এই বাংলা ভাষা আন্দোলনের নির্মাতা বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতার নির্মাতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নির্মাতাও তিনি। সেকারণেই তিনি বাঙালি জাতির পিতা। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে যে দিবসটি উদযাপন করছি, এই দিনটিকে আমরা আরও বেশ গুরুত্ব দিয়ে উদযাপন করব এজন্য যে, বাংলা ভাষাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা হিসেবে সারা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করব। সেটিই আমাদের অভিপ্রায়। আমাদের ছেলেমেয়েদের অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মকে আমাদের শুদ্ধ বাংলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। তাদের শুদ্ধ বাংলায় পড়ানো, শুদ্ধ বাংলায় লেখা এবং শুদ্ধ বাংলায় উচ্চারণ করা এ বিষয়গুলোতে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ বাংলাভাষা এখন শুধুমাত্র ভৌগলিক অবস্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বাংলা ভাষা এখন পশ্চিমবঙ্গসহ, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের ভাষা এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা পৃথিবীতেই বাংলা ভাষা সমাদৃত।

যে জাতি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন, আজ ২১ ফেব্রুয়ারি মানে সারা পৃথিবীর জন্যই তাদের সে ভাষা একইসঙ্গে সেই জাতিকে, সেই জাতির ভাষাকে প্রাধান্য দিয়েই আমাদের জীবন যাপন করার প্রয়োজন আছে। বাংলা ভাষাকে একটি পরিশুদ্ধ, পরিশীলিত কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমন্বয়ের প্রয়োজন আমাদের আছে। তাহলে আমরা যে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করি, সেটি অনেকদূর এগিয়ে যাবে এবং অর্থপূর্ণ হবে।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Header Ad
Header Ad

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা উচিত নয়। তিনি সোমবার রাজধানীর মগবাজারে দৈনিক সংগ্রামের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।

তিনি অভিযোগ করেন যে, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অনেকেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। প্রকৃত সত্য প্রকাশ পায়নি এবং এখনো কিছু ক্ষেত্রে সেই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে জামায়াত নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ শহীদের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছিল। তাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী, যে কারো শহীদ হওয়ার স্বীকৃতি নির্ধারিত হতো। তিনি দাবি করেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের সময়ে জাতি এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর তাণ্ডব চালানো হয়েছে। যদি সাংবাদিকরা তাদের প্রকৃত দায়িত্ব পালন করতেন, তাহলে ফ্যাসিবাদী শাসন জাতির ওপর এত শক্তভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারতো না।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের কাজ সত্য প্রকাশ করা। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলাই সাংবাদিকতার মূল নীতি। কিন্তু ফ্যাসিবাদী শাসন এই নীতিকে ব্যাহত করেছিল, যার কিছু প্রভাব এখনো বিদ্যমান।

Header Ad
Header Ad

রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়

ছবি: সংগৃহীত

চিটাগং কিংসের জন্য আজকের জয় ছিল স্বস্তির। তারা রাজশাহীকে ১১১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পঞ্চম জয় নিশ্চিত করেছে। চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেলেও পরবর্তীতে দুইটি হারে জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল তারা।

আজকের ম্যাচে তাদের বোলার এবং ফিল্ডারদের কৃতিত্বের পাশাপাশি, রাজশাহীর ফিল্ডারদের দুর্বলতা ম্যাচের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে। চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানদের একাধিক সহজ ক্যাচ রাজশাহী ফিল্ডাররা ফেলে দেন, যার মধ্যে তাসকিন আহমেদের বলেই দুটি ক্যাচ পড়েছে।

রাজশাহী আজ অধিনায়ক পরিবর্তন করে খেলেছিল, কিন্তু দলের ফিল্ডিংয়ের অবস্থা তাদের জন্য বিপদজনক ছিল। সানজামুল ইসলাম ও রায়ান বার্ল ইনিংসের প্রথম ও ১৯তম ওভারে সহজ ক্যাচ ফেলেন, এবং বার্ল হাঁটুর চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। এর ফলে রাজশাহীকে আরও বিপদে ফেলেছিল।

চিটাগংয়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের জন্যও ছিল কিছুটা ভাগ্য, কারণ তিনি দুটি জীবন পেয়েছেন। তাসকিন ও বার্লের ক্যাচ ফেলায় মিঠুন তার ইনিংসে ২০ বল খেলে ৩২ রান করেন। অপরদিকে, চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যান নাঈম উদযাপন করেছেন নিজের ফিফটিতে, যার মধ্যে তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চার ছিল।

বিপরীতে, রাজশাহীর ব্যাটিং খুবই ধীর গতিতে চলছিল এবং তারা ১৯১ রানের টার্গেট তাড়ায় মাত্র ৮০ রানে অল আউট হয়ে যায়। চিটাগংয়ের বোলাররা বিশেষ করে শরীফুল ইসলাম ও নাঈম দুর্দান্ত বোলিং করেন এবং রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের চাপের মধ্যে ফেলেন।

এই জয়ে চিটাগং কিংস দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে, যেখানে রাজশাহী ষষ্ঠ হার তুলে নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, মাটিরাঙা, রামগড়, এবং দীঘিনালা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এই অভিযানে দুটি ইট ভাটা বন্ধ করা হয়, যেগুলোর অনুমোদন ছিল না। এর মধ্যে দীঘিনালায় দুটি ভাটাকে বন্ধ করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়। কর্ণফুলী ব্রিকস ও ফোর বি ভাটাকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়, এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত থেকে আগুন নিভিয়ে দেন।

রামগড় উপজেলায়, অনুমোদনহীন ৫টি ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতিটি ভাটাকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এসব ভাটার চিমনি ও কাঠ জব্দ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জানায়, এ অভিযানটি একদিনেই ১৬টি অবৈধ ভাটা বন্ধ এবং প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ১৫টি ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিল, কিন্তু কিছু ভাটা মালিক এসব ভাটা পুনরায় চালু করে। সোমবারের অভিযানে তাদের বন্ধ করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী এসব ভাটাগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশিদের বের করে দিন, হাসিনাকে দিয়ে শুরু করুন: শিবসেনা নেতা
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে চিঠি লিখলেন দীপু মনি
সিলেটকে ৬ রানে হারিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের রোমাঞ্চকর জয়
সমস্যা পোশাকে নয়, সিস্টেমে: সারজিস আলম
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করতে পারে রাষ্ট্র, মন্ত্রণালয় নয়’
মেজর ডালিমের পর এবার সাংবাদিক ইলিয়াসের টকশোতে আসছে কর্নেল রাশেদ চৌধুরী