শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সংবাদপত্রের ভূমিকা

বাংলাদেশ একটা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আমরা সবাই এটা জানি যে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বে এবং সমগ্র জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে আমরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী জামায়াতে ইসলামী ও রাজাকারদের পরাজিত করি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধও একটা রাজনৈতিক যুদ্ধ ছিল। এই জন্য যে আমরা এখানে শুধুমাত্র উপনিবেশবাদকেই পরাজিত করিনি, উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ছিল, সামরিকতন্ত্র তথা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই ছিল। ধর্মকে ব্যবহার করে ইসলামভিত্তিক ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই ছিল এবং ধনী-গরিবের যে বৈষম্য অর্থাৎ শোষনের বিরুদ্ধে একটা লড়াই ছিল।

সুতরাং মুক্তিযুদ্ধ কিন্তু একটা চার মাত্রার সমন্বিত যুদ্ধ। এই চার মাত্রা হচ্ছে উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে, পরাধীনতার বিরুদ্ধে, সামরিক স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র এবং এখানে মুসলিম ইসলামি ও ইসলামভিত্তিক ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদীর বিরুদ্ধে বাঙালি জাতীয়তাবাদী অসাম্প্রদায়িক সমাজ নির্মাণের যুদ্ধ এবং শোষনমুক্তির লড়াই। এই লড়াইটাকে সমন্বিতভাবে সামনে নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। এরকম একটি পরিস্থিতিতে আমি প্রথমেই বলতে চাচ্ছি, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা বর্জন করেছে। জঙ্গিবাদী রাজনীতি বর্জন করেছে, পাকিস্তান পন্থা বর্জন করেছে এবং সামরিকতন্ত্র বর্জন করেছি।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমে একটা ঐতিহাসিক সম্পর্ক দেখি। সেই সম্পর্কটা হচ্ছে যে, গণমাধ্যম একেবারে শক্তভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়। সেজন্য আমি বার বার বলে থাকি গণমাধ্যম নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। তবে গণমাধ্যম কিছু মৌলিক বিষয় সমুন্নত রাখবে। অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র, শোষনমুক্তি, জাতীয়তাবাদী চেতনা প্রশ্নে গণমাধ্যম আপোসহীন থাকবে। গণমাধ্যম এই বিষয়গুলোর উপর বিশ্বস্ত থাকবে। বাংলাদেশের মাটিতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ প্রমাণ করেছে যে, গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করবে নিরপেক্ষভাবে। গণমাধ্যম ওতোপ্রতোভাবে আপাদমস্তক একটা অসাম্প্রদায়িক মাধ্যম। একটা গণতান্ত্রিক মাধ্যম। গণমাধ্যম আপাদমস্তক ঐতিহাসিকভাবে একটি শোষনের বিরুদ্ধে একটা প্রতিষ্ঠান। সেই জন্য সাম্প্রাদায়িকতার বিরুদ্ধে , জঙ্গিবাদি তৎপরতার বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের অবস্থান সব সময় সোচ্চার।

পঁচাত্তরে যখন বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে সামরিকতন্ত্র বাংলাদেশকে দখল করে নিল, গণমাধ্যম কিন্তু ওই বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে সামরিকতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং এই হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। একই সঙ্গে সঙ্গে যখন সামরিকতন্ত্রের হাত ধরে বাংলাদেশে পঁচাত্তর পরবর্তিতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আবার পুনর্বাসন হলো, ইতিহাসের আস্তাকুড় থেকে টেনে এনে আবার বাংলাদেশের বুকের উপর সাম্প্রদায়িক ডাস্টবিনটাকে চাপিয়ে দিল তখন সামরিকতন্ত্রের হাত ধরে সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার যাত্রা, সেই অশুভ যাত্রার বিরুদ্ধে গণমাধ্যম অবস্থান গ্রহণ করল। খেয়াল করতে হবে, সেই সময় কিন্তু অনেক রাজনীতিবিদ সামরিকতন্ত্রের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যম সামরিকতন্ত্রের সঙ্গে হাত মিলায়নি। সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে হাত মিলায়নি। পঁচাত্তরের পর একটা পর্যায় এই সাম্প্রদায়িকতা সামরিকতন্ত্র অথবা স্বৈরচারের কাঁধে ভর করেই কচুরিপানার মত বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজনীতির উপর চেপে বসে। যারা ইসলামকে ব্যবহার করে এখানে সাম্প্রদায়িকতার চর্চা করে মূলত সেখানে তারা এই সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে পাকিস্তানপন্থার সম্পর্ক, রাজাকারদের সম্পর্ক, আলবদরদের সম্পর্ক, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে গড়ে তোলে।
বাংলাদেশে ইসলামকে কেন্দ্র করে ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতার নেতা-হোতারা ধারবাহিকভাবে পাকিস্তান পন্থাকে সমর্থন করে পাকিস্তানের দালালি করে। বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। বাঙালিয়ানার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। সাম্প্রদায়িক অপসংস্কৃতি বাংলাদেশের বুকের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই সাম্প্রদায়িক শক্তির দলগতভাবে নেতা হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী এবং আলবদর-রাজাকাররা। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক্ রাজনীতির ধারকবাহকরা তারা ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধপরাধীদের রক্ষা করে, পক্ষাবলম্বন করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-আচারের বিরোধীতা করে। জঙ্গিবাদী যেকোনো তৎপরতা, যেকোনো নামে সেই জঙ্গিবাদীদের পথ অবলম্বন করে জঙ্গিবাদীদের দমন আন্দোলনকে তারা সমালোচনা করে এবং বিরোধীতা করে। এই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আমরা তাহলে এভাবে দেখি, একাত্তরে যে আলবদর, রাজাকাররা ও জামায়াতে ইসলামী, পাকিস্তানের এই দালালগুলো, ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক শক্তি তারাই কিন্তু নারী বিদ্বেষী, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিদ্বেষী, তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্বীকার করে, মিমাংসিত বিষয়ে অর্থাৎ ৩০ লাখ শহিদদের সংখ্যা অস্বীকার করে। ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা অস্বীকার করে, সংবিধানের চার নীতিকে অস্বীকার করে।

এরাই কিন্তু নারী বিদ্বেষী। হেফাজতে ইসলামীর শফি সাহেব নারীকে তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করে নারীদেরকে খাটো করেছে। এই তেঁতুল হুজুররা এবং তেঁতুল তত্ত্বের প্রবক্তরা আসলে একাত্তর সালেই জন্মলাভ করে রাজাকারদের হাত ধরে। রাজাকাররাই তেঁতুল তত্ত্বের চর্চা করেছে। রাজাকাররাই আসলে প্রকারান্তরে তেঁতুল হুজুরের মত বয়ান দিয়েছে এবং নারীদের ধর্ষণ করেছে।
এই যে একাত্তরের রাজাকার, আলবদর, জামায়াতে ইসলামী এরাই তেঁতুল তত্ত্বের প্রবক্তা। এরাই নারীকে খাটো করে, নারী বিদ্বেষী। বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পর নারীদের ক্ষমতায়নে যতটুকু লড়াই চলছে, নারীদের সেই ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে এই তেঁতুল তত্ত্ব, জামায়াতে ইসলামী, সাম্প্রদায়িক হেফাজতে ইসলাম সবাই সম্মিলিতভাবে নারী বিদ্বেষী রাজনীতি, বাঙালিয়ানা বিদ্বেষী রাজনীতি এবং বাঙালি সংস্কৃতি বিদ্বেষী রাজনীতি বাংলাদেশে করার চর্চা করেছে।

গণমাধ্যম কঠিনভাবে, বলিষ্ঠভাবে এইসব তেঁতুল ত্বত্ত্বের বিরুদ্ধে হেফাজতের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িক চর্চার বিরুদ্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামের পাকিস্তানপন্থার বিরুদ্ধে, আলবদর, রাজাকারদের বিরুদ্ধেও গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিল শক্তিশালী।

পঁচাত্তর সালের পর জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাত ধরে, সামরিক শাসকের হাত ধরে, জেনারেল এরশাদের হাত ধরে দেশে এক দিকে যেমন রাজাকারদের আমদানি, পুর্নবাসন ঘটেছে, ঠিক তেমনি এই যে সামরিকতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতার অশুভ যাত্রা শুরু হল তার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর রাজনীতিও বাংলাদেশে চালু হলো। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ, জাসদ, ওয়ার্কার্সপার্টিসহ সমজতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল দলগুলো এটা রুখে দেওয়ার জন্য পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললো। এই সংগ্রাম কঠিন ছিল। এর ভিতরে ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি এই যে পাল্টা যাত্রাটার নেতৃত্ব যারা দিয়েছেন তাদের জানের উপর হামলা করা হয়েছে। পাকিস্তানীরা যখন যুক্তিতে পারে না, ভোটে পারে না, রাজনীতিতে পারে না তখন জানে মেরে ফেলে। যেমন একাত্তর সালে মানুষকে মেরেছে। ঠিক জামায়াতে ইসলামী ও জঙ্গিবাদীরা, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্যরা ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে, তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যদের জানে মেরে ফেলল। সুতরাং এই জামায়াতে ইসলামী কিন্তু মিথ্যাচারের উপর, সাম্প্রদায়িকতার উপর ভর দিয়ে চলছে। এরা ইতিহাসকে খন্ডিত করার ব্যাপারে অথবা ইতিহাস ধংসের ব্যাপারে, চাপা দেওয়ার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

এই জামায়াতে ইসলামী এবং জঙ্গিবাদীরা ও তাবৎ বাংলাদেশে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য জঙ্গিবাদী শক্তি, সন্ত্রাসীরা ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। তারা ব্লগারদের হত্যা করেছে ও হত্যার চেষ্টা করেছে। অধ্যাপক, কবি, সাহিত্যিক যারা অসাম্প্রদায়িকতাকে লালন করেন, অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে কথা বলেন, যারা অসাম্প্রদায়িকতায় নেতৃত্ব দেন তাদের উপর হামলা করেছে, হত্যা করেছে। তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া নেতাদের মেরে ফেলেছে। গণমাধ্যম এসকল চোরাগুপ্তা হামলার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।

রাজাকাররা ২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে ক্ষমতা দখল করল। সুতরাং বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতির বিষবৃক্ষ। এই বিষবৃক্ষ হচ্ছে সকল সাম্প্রদায়িক শক্তি, সকল রাজাকার, সকল যুদ্ধাপরাধীর আশ্রয়ের ঠিকানা। তাদের আড়তদার। বিএনপি হচ্ছে সকল সাম্প্রদায়িক শক্তির হোলসেলার। রাজনৈতিকভাবে বিএনপির দর্শন এবং সাম্প্রদায়িক জামায়াতে ইসলামীর দর্শন একই। তারা একই দর্শনের চর্চা করে। আমি বলি যে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী হাতের এপিঠ-ওপিঠ।

সুতরাং, এরা মুখে গণতন্ত্র ও ধর্মের কথা বলে। কিন্তু অন্তরে পাকিস্তান পন্থার চর্চা করে, সাম্প্রদায়িকতার চর্চা করে এবং হত্যা খুনের রাজনীতির চর্চা করে। গণমাধ্যম এসব সাম্প্রদায়িক শক্তির মুখোশ উম্মোচনে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একবার ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করা সম্ভব হয়। তারপরে আবার ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের মধ্য দিয়ে জোট সরকার ক্ষমতায় আসল। তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আচার থেকে শুরু করে সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তিকে দমনের বিষয়ে যে কঠোর অবস্থান আমরা নিলাম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরত যাত্রা শুরু করলাম। সংবিধানের চার নীতি সংযোজিত হল, তখন আমরা আবার দেখি সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তি এবং বিএনপি একই সুরে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শুরু করল। এই যে অবস্থান নেওয়া শুরু করল, এতে এইটা আবার প্রমাণ করলো যে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তিরই আরেকটা রূপ হচ্ছে বাংলাদেশে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর খুনীরা এবং জিয়ার নেতৃত্বে সামরিকতন্ত্র ও এরশাদের নেতৃত্ব সামরিকতন্ত্র। সুতরাং বিএনপি এই সবকিছুর উত্তরাধিকার হিসেবে সকল সামরিক স্বৈরাচার, সকল জঙ্গিবাদী শক্তি, সাম্প্রদায়িক শক্তি, রাজাকার শক্তির ঠিকানা ও আশ্রয়দাতা , ভরসাস্থল, আড়তদার, হোলসেইলার হিসেবে তারা দাঁড়িয়ে গেল। আর প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যত সংগঠন আছে সবাই হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার খুচরা ব্যবসায়ী। আমি এভাবেই চিহ্নিত করি।

সুতরাং নির্বাচনের নামে বাংলাদেশে বিএনপির যে আন্দোলন দেখতেছি, অথবা আরেকটা সরকার প্রতিষ্ঠার নামে বা সাংবিধানিক সরকার হঠানোর নামে যে আন্দোলনটা, এই আন্দোলনের ছায়ায় আমরা খেয়াল করছি বাংলাদেশে কোণঠাসা হয়ে যাওয়া সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি আবার কিন্তু পুর্নগঠিত হচ্ছে, পুনুরুজ্জীবিত হচ্ছে।

এই অবস্থায় আমি মনে করি, বাংলাদেশের গণমাধ্যম একাত্তরের আগে, পরে, সামরিক শাসনকালে যে ভূমিকা পালন করেছে, আমি আশা করি এবারও এই যে বিএনপির আন্দোলনের ছায়ায় যে সাম্প্রদায়িক শক্তির পুনরুজ্জীবন ঘটছে, পুর্নগঠন হচ্ছে সে বিষয়ে গণমাধ্যম যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে, ভূমিকা রাখবে। যাতে বাংলাদেশ এই সাম্প্রদায়িকতার ছোবল থেকে রক্ষা পায়।
সুতরাং গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন, সাংবিধানিক শাসন রক্ষার আন্দোলন, যথাসময়ে নির্বাচন করার বিষয়সহ সবকিছুর সহযাত্রি হিসেবে গণমাধ্যম তার ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখেবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। একটা কথা মনে রাখতে হবে- গণমাধ্যম হচ্ছে একটা স্বতন্ত্র শক্তি। সমাজের আয়না। রাষ্ট্র, দেশ, সমাজকে বদলে দিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিহার্য।

লেখক: এমপি, সভাপতি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)

 

Header Ad

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটারসহ মোট ৯ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অমান্য করায় এই ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটার ও এক ক্লাব কর্তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং সবাইকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। তাই এটিকে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ওই ৮ ক্রিকেটার হলেন, তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়। স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়। আর তেজগাঁও ক্লাবের কর্মকর্তা রবিন।

জানা গেছে, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে হওয়া সুপার লিগের ম্যাচে তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের শাস্তি দেয়।

Header Ad

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের দুর্ভোগের মধ্যে উপদেষ্টাদের অযাচিত কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।

তিনি বলেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উসকানি দিচ্ছে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত ১৫ বছর পুলিশ দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, কারাগারের সালমান এফ রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেখানে সে খুব তৎপরতা চালাচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোলনে ছিল এমন পরিচয়ে কিছু মানুষ সব পদ দখল করে নিচ্ছে।

এ সময় আন্দোলনে হতাহতদের মাসিক ভাতা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ