মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি জনগণ ও অর্থনীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা

আমি মনে করি, তেলের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি ছিল না। সরকার যে যুক্তিতে এটি করেছে তার কোনো ভিত্তি নেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে তাই এখানেও দাম বেড়েছে এই কথার কোনো ভিত্তি নেই। এটির যুক্তি এজন্য নেই যে, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে যাচ্ছে। যেটি ১২০/১৩০ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল, সেটি কমতে কমতে ৯০ ডলার পর্যন্ত চলে এসেছে। এটি আরও কমবে সামনে, সেরকম লক্ষণই দেখা যাচ্ছে। সুতরাং তেলের দাম বিশ্ব বাজারে বেশি এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

দ্বিতীয়ত, সরকার বলছে কয়েক মাসে লোকসান হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা। গরমিল থাকলেও আমরা যদি এটিই মনে করি, সরকারের ক্ষতি হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা। তবে এর আগে কয়েক বছরে সরকারের লাভ হয়েছিল ৪৭ হাজার কোটি টাকা। সেটির কারণ হচ্ছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কম ছিল, কিন্তু সরকার এখানে তেলের দাম কমায়নি। যেকারণে বাংলাদেশের মানুষকে অনেক বেশি দামে তেল কিনতে হয়েছে। তার মানে বাংলাদেশের মানুষের পকেটের টাকা দিয়ে সরকার মুনাফা করেছে ৪৭ হাজার কোটি টাকা। সুতরাং লোকসান বাদ দিলেও তাদের হাতে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা থাকে। সে হিসেবে আমাদের টাকা নেই, আমাদের টাকা খালি হয়ে গেছে, আমাদের কোনো উপায় নেই। এই কথাগুলি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মুনাফার সঙ্গে যদি বিষয়গুলো এডজাস্ট করা যেত, তাহলে সরকার দাম না বাড়িয়ে বরং দাম কমানোর কথা চিন্তা করতে পারত।

তৃতীয়ত, তেলের উপর সরকার অনেক শুল্ক পায়। সেটি অনেক দেশে শুল্ক কম রেখে তেলের দাম কম রাখা হয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সেটি কিন্তু বাদ দেওয়া হয়নি। সরকার এখন পর্যন্ত সেটি আদায় করে যাচ্ছে।

চতুর্থত, প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগেই বলছেন যে, অকটেন এবং পেট্রল দেশে গ্যাস উৎপাদনের মধ্য দিয়ে বাই প্রডাক্ট হিসেবে আসে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটি আমাদের দেশে যা আছে তা চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত। চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত যদি থাকে, তাহলে বিশ্ববাজারে দামের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ এটি খুব সহজেই দাম কমানো সম্ভব ছিল। যেহেতু এটি বাই প্রডাক্ট হিসেবে হয়, এটির কোনো উৎপাদন ব্যয় ছিল না। সুতরাং সব জায়গায় চিন্তা করতে পারত দাম কমানোর।

কাজেই যে চারটি পয়েন্ট আলোচনা করা হল, সেটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সরকারের কোনো যুক্তিই আসলে ধোপে টিকে না। আরেকটি বিষয় যেটি তারা বলতে চায়, ভারতে দাম বেশি সুতরাং তেল পাচার হয়ে যাবে। পাচার ঠেকানোর জন্য তাদের নানারকম ব্যবস্থা আছে। বাহিনী আছে। কাজেই পাচার হয়ে যাচ্ছে মানে তাহলে সরকারের কাজটি কি? সরকারতো আছেই যেন পাচার না হয় সেটি ঠেকানোর জন্য। শুধু তেলের দাম বললে হবে না। মজুরি বলতে হবে। অন্যান্য জিনিসের দাম বলতে হবে। এটির কোনো যুক্তি হয় না।

সরকার সম্পূর্ণ নির্মমভাবে, সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে তেলের দাম বাড়াল, জ্বালানি তেলের দাম শতকরা ৫০% বাড়ানো হল, এর প্রভাব সবকিছুতে পড়বে। যেমন— বাসা ভাড়া বাড়বে, পরিবহন ভাড়া বাড়বে, উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। অর্থাৎ অর্থনীতির গতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জনগণের প্রাত্যহিক জীবনের যে গতিশীলতা সেটিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাজেই যেকোনোভাবেই হোক তহবিল বাড়ানোর দিকে সরকারের নজর। কারণ সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্প অপ্রয়োজনীয় আমদানিতে, টাকা পাচার হওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রাসহ বিভিন্নক্ষেত্রে সরকারের তহবিলের উপরে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সেই চাপটি কমানোর জন্য মুদ্রাপাচার বন্ধ করতে পারত অথবা নিয়ন্ত্রণ করতে পারত, অপ্রয়োজনীয় আমদানি বন্ধ করতে পারত। সরকার জনগণের পক্ষ থেকে আরও টাকা নেওয়ার চেষ্টা করছে, আইএমএফের কাছে থেকে লোন নিচ্ছে এবং যে লোনের শর্ত হিসেবে আবার জনগণের উপর নতুন নতুন আক্রমণ করা হচ্ছে। কাজেই সবকিছু দেখে এটি বলা বোধ হয় ভুল হবে না যে, এটি জনগণের বিরুদ্ধে এবং অর্থনীতির বিরুদ্ধে একরকম যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

লেখক: অর্থনীতিবিদ
আরএ/

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সাবেক ফ্লোরিডা সিনেটর মার্কো রুবিওকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মার্কো রুবিও ইসরায়েলপন্থি এবং চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত, এবং তার এই কট্টর অবস্থান তাকে রিপাবলিকান দলের সঙ্গে সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও সমাদৃত করেছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সিএনএন ও রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কো রুবিওর নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। ৯৯ সিনেটরের সবাই তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

মার্কো রুবিও ২০১১ সাল থেকে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক বছর আগে তিনি ট্রাম্পের বিরোধিতা করলেও, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মার্কো রুবিও ইসরায়েলের প্রতি তার গভীর সমর্থন এবং চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন, যা তাকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য করে তোলে।

এদিকে, সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে তিনি জো বাইডেনের শাসনামলে নেওয়া ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন। পাশাপাশি, ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

Header Ad
Header Ad

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করেছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নেওয়ার পরপরই তিনি এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

এছাড়া, তার শপথগ্রহণের পরপরই ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত নেওয়া এবং বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করার মতো বড় পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। তিনি বাইডেন প্রশাসনের ৭৮টি নির্বাহী আদেশও বাতিল করেন, যা দেশটির রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার জন্য আটক প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। ওই দিন সাভারের ডিসি জেলের বাইরে তার সমর্থকরা অপেক্ষা করছিলেন, যখন ট্রাম্প ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। ট্রাম্প তখনই ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি ওয়াশিংটনে ফিরে ৬ জানুয়ারির দাঙ্গায় অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন। এর পরপরই উপস্থিত জনতার মধ্যে উদযাপনের চিৎকার শোনা যায়, কেউ কেউ "ফ্রিডম!" বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে হামলা চালানোদের 'রাজনৈতিক বন্দি' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং তাদের ক্ষমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে এটি স্পষ্ট নয় যে, তিনি ক্ষমার আওতায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করবেন কিনা।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি, ট্রাম্প সমর্থকরা ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায়, যেখানে সেদিন বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল। হামলাকারীরা কংগ্রেসের অধিবেশন ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় এবং বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার কার্যালয় তছনছ করে দেয়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হন।

ডেমোক্র্যাটরা এই হামলার জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করে তাকে অভিশংসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তবে সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের অভাবে ট্রাম্প শাস্তি থেকে মুক্তি পান।

Header Ad
Header Ad

আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার সাইদুর রহমান সুজন। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তার বিরুদ্ধে ১৪টি হত্যা মামলায় অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আশিক ইকবাল। গ্রেপ্তারের সময়, গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম রাজধানীর উত্তরা থেকে সাইদুর রহমান সুজনকে আটক করে।

সাইদুর রহমান সুজন সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তিনি আওয়ামী লীগে সক্রিয় রাজনীতি করতেন। গোয়েন্দা পুলিশের দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক আশিক ইকবাল জানান, সুজনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যার অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে, এছাড়া আরও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলাও রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর সাভারের রাজপথে গুলি চালানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে সাইদুর রহমান সুজনের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের শপথ: নতুন আমেরিকার সূচনা
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান