মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প, ধসে পড়ল ভবন ও সেতু

ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে শুক্রবার (২৮ মার্চ) শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৭, এর পরপরই আরও একটি কম্পন অনুভূত হয় যার মাত্রা ছিল ৬.৪। এই ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এবং এর ফলে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে ভবন ও সেতু ধসে পড়েছে।
ইরাবতী নদীর ওপর নির্মিত ঔপনিবেশিক আমলের আভা সেতু ধসে পড়েছে। ৯১ বছর পুরনো এই সেতুটি ব্রিটিশরা নির্মাণ করেছিল এবং এটি মান্দালয় ও সাগাইং অঞ্চলের মধ্যে ইরাবতী নদী পার করত। ভূমিকম্পের তীব্রতায় এই সেতু বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এছাড়া, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো ও মান্দালয় শহরে বেশ কয়েকটি ভবন ভেঙে পড়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, স্থানীয় সময় দুপুর ১২:৫০ মিনিটে সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পর কিছু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং ভবনগুলোর ছাদ ভেঙে পড়েছে।
এদিকে, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য স্থানেও শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে। যদিও মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে, তাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মিয়ানমারে ভূমিকম্প একটি সাধারণ ঘটনা হলেও, দেশটির চিকিৎসা ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় বিপদগ্রস্ত জনগণের সহায়তার জন্য এটি বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
এছাড়া, ইতিহাস থেকে জানা যায়, মিয়ানমারে ১৯৩০ থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে সাগাইং ফল্টের কাছে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ২০১৬ সালে মধ্য মিয়ানমারের প্রাচীন শহর বাগানে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি মন্দির ভেঙে পড়েছিল এবং তিনজন নিহত হয়েছিলেন।
