শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গ্রাফিক নভেল মুজিব: প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বঙ্গবন্ধু

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ছোট্ট মুজিবকে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়া। তারপর ধীরে ধীরে সেই ছোট্ট মুজিবকে জাতীয় মুক্তির আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে উঠতে দেখা। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছুঁয়ে যাওয়া এমনই এক রিয়েল লাইফ হিরোর গল্প গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’।

‘মুজিব’ এমন এক নাম যার বাস্তবতা কল্পনার জগতকেও হার মানাবে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বাংলাদেশের অসংখ্য গর্ব করার মতো বিষয় রয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতীয় বীর ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তৈরি হতে পারত অসংখ্য গ্রাফিক নভেল; কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। শেখ মুজিবুর রহমান নামটিকে ঘিরে তৈরি হওয়া মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চেতনাকে আরও কাছ থেকে উপলব্ধি করতে পারা যায় সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) প্রকাশিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’-এর মাধ্যমে। শৈশব থেকে বঙ্গবন্ধুর বেড়ে উঠা। নিজ দেশ ও জাতির প্রতি তার দায়িত্ববোধ, নিষ্ঠা ও নেতৃত্ব ফুটে উঠেছে এই কমিক বইটির প্রতিটি পাতায়।

শিল্পীর রঙের তুলির কল্পনায় যেন ভেসে না যায় বাস্তবতা সে বিষয়টির সম্পূর্ণ তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্বে ছিলেন জাতির পিতার দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তাদের সম্পাদনায় বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি অবলম্বনে প্রস্তুত করা হয়েছে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’-এর দশটি খণ্ড। গ্রাফিক নভেলটির প্রকাশক হিসেবে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

২০১৫ সালের ১৭ মার্চ ‘মুজিব’ গ্রাফিক নভেল সিরিজের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হয়। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে আরও ৯টি পর্ব প্রকাশিত হয়েছে।

দশটি সিরিজের গ্রাফিক নভেল মুজিবের প্রতিটি খণ্ডে তার জীবনের আকর্ষণীয় কিছু ঘটনা রয়েছে। প্রথম পর্বে স্কুলের শিশু ছাত্র মুজিবকে দৃষ্টিশক্তির সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করার পর তিনি সেখান থেকে পালিয়ে গেলে কীভাবে তাকে আবার ফেরত আনা হয় এবং এরপর শৈশব কীভাবে কাটে সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় সিরিজে তুলে ধরা হয়েছে তার শৈশব থেকে কৈশোরে পা দেওয়ার ঘটনা। যেখানে তিনি ফুটবলের প্রতি ঝুঁকে পড়ছেন। এই পর্বে মুজিব ও তার বাবার একটি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচে শেষ পর্যন্ত মুজিবের দল জয় পায়, নাকি তার বাবার দল?

তৃতীয় পর্বে দেখানো হয় দুর্ভিক্ষের চিত্র। যেখানে গ্রামের এক যুবক ক্ষুধার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। সংগঠক হিসেবে নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে সব ধরনের ভূমিকা পালন করেন। এই দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করে মুজিব কী পারবে তার গ্রামের মানুষকে রক্ষা করতে?

চতুর্থ পর্বে অল্প টাকা নিয়ে মুজিবকে দেখা যায় দিল্লি যাত্রা করতে। সেখানে গিয়ে হঠাৎ বিপদে পড়লেন তিনি। কিভাবে সেই বিপদ কাটিয়ে উঠবেন মুজিব?

দুর্নীতি ও নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে তার দৃঢ় সংকল্প বর্ণিত হয়েছে পঞ্চম পর্বে। যেখানে একজন দুর্নীতিগ্রস্ত মুসলিম লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। কী করেছিলেন তখন মুজিব?

ষষ্ঠ পর্বে তার আজীবন রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যের গল্প আঁকা হয়েছে। এইভাবে গল্পটি তার স্বপ্নময় যৌবন থেকে রাজনৈতিক টালমাটাল সময়ে চলে গিয়েছিল যা পরবর্তীতে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়। মুজিবের রাজনীতিতে প্রবেশের রোমঞ্চকর বর্ণনা রয়েছে এই পর্বে।

উপমহাদেশকে বিচ্ছিন্নকারী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে চিত্রিত করা হয়েছে সপ্তম পর্বে। যেখানে রাস্তাঘাট লাশে ছেয়ে গেছে। কারফিউর মধ্যেও মুজিব তার জনগণকে সাহায্য করতে বেরিয়েছিলেন। একটি মিলিটারি জিপ তার কাছে এলে সে অন্য লাশের পাশে মরার মতো ভান ধরে শুয়ে পড়েন। ভারতীয় অহিংস নেতা মহাত্মা গান্ধীকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায় সেই দাঙ্গা। মুজিব সেই দাঙ্গার ছবি লুকিয়ে কীভাবে মহাত্মা গান্ধীর কাছে পৌঁছে দেন, জানা যাবে এই পর্বে।

অষ্টম পর্বে তুলে ধরা হয়, উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র বিক্ষোভের ঘটনা। যেখানে মুজিব কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করেন। একটি ঘটনায়, সাইকেল আরোহী মুজিবকে তাড়া করছিল পুলিশ জিপ। কিন্তু কেনো তাড়া করছে, তাকে কী পুলিশ ধরে ফেলেছে, কি হয়েছিল তারপর? এমন সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে এই পর্বে।

দেশভাগ পরবর্তী টালমাটাল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তরুণ নেতা মুজিবের শাসক গোষ্ঠীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দলকে সংগঠিত করার রোমাঞ্চকর সব অভিযানের গল্প রয়েছে গ্রাফিক নভেলটির নবম খণ্ড ‘মিশন পাঞ্জাব’ এ। এই পর্বে মুজিব বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তান সরকার জানত আমাকে পারমিটের কারণে তিন দিনের ভেতরেই দেশে ফিরতে হবে। তাই বর্ডার পুলিশ কাস্টমস আমাকে গ্রেপ্তার করতে আসবে সে কথা আন্দাজ করতে পেরেছিলাম।’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল? মুজিবকে কি গ্রেফাতর করতে পেরেছিল তারা? জানা যাবে এই পর্বে।

‘মুক্তির পথে’ মুজিব গ্রাফিক নভেলের সর্বশেষ পর্ব। এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বন্দি জীবনের কথা বর্ণনা হয়েছে। জাতির মুক্তি আন্দোলনে আঠারো মাস বন্দি। আর কতদিন বন্দি থাকতে হবে মুজিবকে? পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের মিথ্যা অপবাদ, জেল-জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার গল্প জানা যাবে সর্বশেষ এই পর্বে।

সিআরআই-এর জনপ্রিয় প্রকশনা গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় প্রতিষ্ঠানটির ৭৩৫-৭৩৬ নম্বর স্টলে। এ ছাড়াও বইটি মিলবে ‘বাতিঘর’ প্রকাশনীর স্টলে।

এসএম/এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত