শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

গ্রাফিক নভেল মুজিব: প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বঙ্গবন্ধু

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ছোট্ট মুজিবকে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়া। তারপর ধীরে ধীরে সেই ছোট্ট মুজিবকে জাতীয় মুক্তির আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে উঠতে দেখা। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছুঁয়ে যাওয়া এমনই এক রিয়েল লাইফ হিরোর গল্প গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’।

‘মুজিব’ এমন এক নাম যার বাস্তবতা কল্পনার জগতকেও হার মানাবে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বাংলাদেশের অসংখ্য গর্ব করার মতো বিষয় রয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতীয় বীর ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তৈরি হতে পারত অসংখ্য গ্রাফিক নভেল; কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। শেখ মুজিবুর রহমান নামটিকে ঘিরে তৈরি হওয়া মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চেতনাকে আরও কাছ থেকে উপলব্ধি করতে পারা যায় সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) প্রকাশিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’-এর মাধ্যমে। শৈশব থেকে বঙ্গবন্ধুর বেড়ে উঠা। নিজ দেশ ও জাতির প্রতি তার দায়িত্ববোধ, নিষ্ঠা ও নেতৃত্ব ফুটে উঠেছে এই কমিক বইটির প্রতিটি পাতায়।

শিল্পীর রঙের তুলির কল্পনায় যেন ভেসে না যায় বাস্তবতা সে বিষয়টির সম্পূর্ণ তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্বে ছিলেন জাতির পিতার দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তাদের সম্পাদনায় বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি অবলম্বনে প্রস্তুত করা হয়েছে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’-এর দশটি খণ্ড। গ্রাফিক নভেলটির প্রকাশক হিসেবে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

২০১৫ সালের ১৭ মার্চ ‘মুজিব’ গ্রাফিক নভেল সিরিজের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হয়। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে আরও ৯টি পর্ব প্রকাশিত হয়েছে।

দশটি সিরিজের গ্রাফিক নভেল মুজিবের প্রতিটি খণ্ডে তার জীবনের আকর্ষণীয় কিছু ঘটনা রয়েছে। প্রথম পর্বে স্কুলের শিশু ছাত্র মুজিবকে দৃষ্টিশক্তির সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করার পর তিনি সেখান থেকে পালিয়ে গেলে কীভাবে তাকে আবার ফেরত আনা হয় এবং এরপর শৈশব কীভাবে কাটে সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় সিরিজে তুলে ধরা হয়েছে তার শৈশব থেকে কৈশোরে পা দেওয়ার ঘটনা। যেখানে তিনি ফুটবলের প্রতি ঝুঁকে পড়ছেন। এই পর্বে মুজিব ও তার বাবার একটি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচে শেষ পর্যন্ত মুজিবের দল জয় পায়, নাকি তার বাবার দল?

তৃতীয় পর্বে দেখানো হয় দুর্ভিক্ষের চিত্র। যেখানে গ্রামের এক যুবক ক্ষুধার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। সংগঠক হিসেবে নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে সব ধরনের ভূমিকা পালন করেন। এই দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করে মুজিব কী পারবে তার গ্রামের মানুষকে রক্ষা করতে?

চতুর্থ পর্বে অল্প টাকা নিয়ে মুজিবকে দেখা যায় দিল্লি যাত্রা করতে। সেখানে গিয়ে হঠাৎ বিপদে পড়লেন তিনি। কিভাবে সেই বিপদ কাটিয়ে উঠবেন মুজিব?

দুর্নীতি ও নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে তার দৃঢ় সংকল্প বর্ণিত হয়েছে পঞ্চম পর্বে। যেখানে একজন দুর্নীতিগ্রস্ত মুসলিম লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। কী করেছিলেন তখন মুজিব?

ষষ্ঠ পর্বে তার আজীবন রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যের গল্প আঁকা হয়েছে। এইভাবে গল্পটি তার স্বপ্নময় যৌবন থেকে রাজনৈতিক টালমাটাল সময়ে চলে গিয়েছিল যা পরবর্তীতে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়। মুজিবের রাজনীতিতে প্রবেশের রোমঞ্চকর বর্ণনা রয়েছে এই পর্বে।

উপমহাদেশকে বিচ্ছিন্নকারী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে চিত্রিত করা হয়েছে সপ্তম পর্বে। যেখানে রাস্তাঘাট লাশে ছেয়ে গেছে। কারফিউর মধ্যেও মুজিব তার জনগণকে সাহায্য করতে বেরিয়েছিলেন। একটি মিলিটারি জিপ তার কাছে এলে সে অন্য লাশের পাশে মরার মতো ভান ধরে শুয়ে পড়েন। ভারতীয় অহিংস নেতা মহাত্মা গান্ধীকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায় সেই দাঙ্গা। মুজিব সেই দাঙ্গার ছবি লুকিয়ে কীভাবে মহাত্মা গান্ধীর কাছে পৌঁছে দেন, জানা যাবে এই পর্বে।

অষ্টম পর্বে তুলে ধরা হয়, উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র বিক্ষোভের ঘটনা। যেখানে মুজিব কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করেন। একটি ঘটনায়, সাইকেল আরোহী মুজিবকে তাড়া করছিল পুলিশ জিপ। কিন্তু কেনো তাড়া করছে, তাকে কী পুলিশ ধরে ফেলেছে, কি হয়েছিল তারপর? এমন সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে এই পর্বে।

দেশভাগ পরবর্তী টালমাটাল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তরুণ নেতা মুজিবের শাসক গোষ্ঠীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দলকে সংগঠিত করার রোমাঞ্চকর সব অভিযানের গল্প রয়েছে গ্রাফিক নভেলটির নবম খণ্ড ‘মিশন পাঞ্জাব’ এ। এই পর্বে মুজিব বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তান সরকার জানত আমাকে পারমিটের কারণে তিন দিনের ভেতরেই দেশে ফিরতে হবে। তাই বর্ডার পুলিশ কাস্টমস আমাকে গ্রেপ্তার করতে আসবে সে কথা আন্দাজ করতে পেরেছিলাম।’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল? মুজিবকে কি গ্রেফাতর করতে পেরেছিল তারা? জানা যাবে এই পর্বে।

‘মুক্তির পথে’ মুজিব গ্রাফিক নভেলের সর্বশেষ পর্ব। এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বন্দি জীবনের কথা বর্ণনা হয়েছে। জাতির মুক্তি আন্দোলনে আঠারো মাস বন্দি। আর কতদিন বন্দি থাকতে হবে মুজিবকে? পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের মিথ্যা অপবাদ, জেল-জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার গল্প জানা যাবে সর্বশেষ এই পর্বে।

সিআরআই-এর জনপ্রিয় প্রকশনা গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় প্রতিষ্ঠানটির ৭৩৫-৭৩৬ নম্বর স্টলে। এ ছাড়াও বইটি মিলবে ‘বাতিঘর’ প্রকাশনীর স্টলে।

এসএম/এসএ/

Header Ad
Header Ad

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, দর্শক ভোটে সর্বাধিক পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবে ‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন নারী সাফ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা।

এ বছর ‘স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে মিরাজ পেছনে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা এবং ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা আর্চার সাগর ইসলামকে। অপরদিকে, ‘পপুলার চয়েজ’ বিভাগে ঋতুপর্ণা এগিয়ে যান মিরাজ ও উদীয়মান পেসার নাহিদ রানাকে ছাড়িয়ে।

 

ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৪ সাল থেকে ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি জানিয়ে আসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এবছর ১৫টি বিভাগে মোট ১৩ ব্যক্তি, দল ও সংস্থাকে সম্মাননা দেয়। সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

পুরস্কার গ্রহণ করে মিরাজ বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ প্রতি বছর এমন আয়োজনের জন্য। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।” ভুটানে লিগ খেলায় ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় ঋতুপর্ণা জানান, “এই সম্মান আমাকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা দেবে।”

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মগবাজার ও মধুবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা ও ময়লার উপস্থিতি নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ট্যাপের পানি দুর্গন্ধযুক্ত ও অস্বচ্ছ হওয়ায় তা রান্না, গোসল ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাসার পানির ট্যাঙ্ক একাধিকবার পরিষ্কার করেও মিলছে না সমাধান। ওয়াসার সাপ্লাই পাইপ থেকেই এই সমস্যার উৎপত্তি বলে মনে করছেন তারা।

মধুবাগ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এই পানি দিয়ে রান্না ও গোসল সম্ভব না। আমাদের বাসার শিশুরা পানি খেতেই চায় না। বাধ্য হয়ে পাম্প থেকে পানি এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে।” আরেকজন জানান, “ট্যাঙ্ক পরিস্কার করলে প্রথমে কিছুদিন ভালো থাকে, তারপর আবার পোকা দেখা দেয়।”

বিকল্প না থাকায়, অনেকেই ট্যাপের মুখে কাপড় বেঁধে পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারপরও পেটের অসুখ ও চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার তিনজন কর্মকর্তা মধুবাগ এলাকায় পরিদর্শনে যান এবং কয়েকটি বাসা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পোকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে দায় চাপান ট্যাঙ্ক ঠিকমতো পরিষ্কার না করাকে। ওয়াসার উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “লাইনের পানি পরিষ্কার। ট্যাঙ্ক যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, নিয়মিত ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের পরও পানি দূষিত হচ্ছে, যা পাইপলাইনের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এ অবস্থায় ওয়াসার কর্মকর্তারা পাইপের মান যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Header Ad
Header Ad

বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে হবে বিদেশি আইনের মাধ্যমে এবং এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ নতুন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি দেশের নয়, বরং বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ রেখে করতে হবে। এর জন্য আগে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং এস্টেট (সম্পদ) ফ্রিজ করে আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া চালাতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথমে এস্টেটগুলো ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আইন পরামর্শক নিয়োগে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এস্টেট ট্রেসিং ফার্মের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এস্টেট ফ্রিজ করা গেলে এটিই হবে প্রথম সাফল্য।”

এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, “আমার ধারণা, প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু বেক্সিমকো গ্রুপেরই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ পাচার হয়েছে। এগুলো বড় গ্রুপের হিসাব, ছোট গ্রুপগুলো এখনো বিবেচনায় আনা হয়নি। ভবিষ্যতে যেন এমন না ঘটে, সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “সব সময় আদালতের মাধ্যমে সমাধান না করে, কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতেও (আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট) টাকা ফেরত আনার চিন্তা করছি। তবে সেটার আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা জরুরি, না হলে আমরা ঠকে যাব।”

মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে গভর্নর বলেন, “অতীতে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হলেও বাস্তবে তা ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। তবে এখন সেটি ৮-৯ শতাংশে নেমেছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমতির দিকেই। আগামী বছরে তা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, ফাইন্যান্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পরিচালক মো. আনিসুর রহমানসহ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু