বইমেলার চালচিত্র
মানুষের ঢল নেমেছে ছুটির দিনে

বইমেলায় মানুষের ঢল নেমেছে। ছুটির দিনে বেলা পড়তে না পড়তে বইমেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠে হাজার হাজার মানুষের পদচারণায়।
মেলার চতুর্থদিনে এসে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেল বইমেলা।
বইমেলায় প্রকাশকরা ছুটির দিনের অপেক্ষায়ই থাকেন সব সময়। এবারের মেলা শুরুর পর প্রথম শুক্রবার এল চতুর্থ দিনে। সরকারি ছুটির দিনে আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার দ্বার খুলে সকাল ১১টায়।
প্রতিবার মেলায় ছুটির দিনগুলো থাকে শিশুদের জন্য নির্ধারিত। সকাল বেলা থাকে শিশু প্রহর। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলা একাডেমির থাকে নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন। এ উপলক্ষে সকাল থেকে বইমেলা মুখরিত থাকে শিশু কিশোরদের উপস্থিতিতে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এবার সেই সাংস্কৃতিক আয়োজন নেই, তাই নেই শিশু-প্রহরও। এ কারণে অন্য যে কোনো ছুটির দিনের তুলনায় আজকের সকালের মেলা ছিল অনেকটাই ফাঁকা। কিন্তু তারপর অনেকেই সপরিবারে মেলায় এসেছেন সকালের দিকে। খোলামেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে ফেরার পাশাপাশি বইও কিনেছেন। অবসর প্রকাশনীর মাসুদ রহমান জানালেন, সকালে বিক্রি ভালোই হয়েছে। এভাবে মানুষজন এলে এবার মেলা ভালোই জমবে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বইমেলা প্রাঙ্গণে জনসমাগম বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বিকাল ৪টা থেকে মানুষের ঢল নামে। ৫টার দিকে মেলা প্রাঙ্গণ লোকে লোকারণ্যে পরিণত হয়।
তরুণ-তরুণীরা দল বেধে মেলায় ছুটে আসেন। অনেকে আসেন পরিবারের শিশু-কিশোরদের সঙ্গে নিয়ে। ফলে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে ভিড় জমে।
কেউ কেউ কেবলই বেড়ানোর লক্ষ্যে এসেছেন মেলায়। অনেকে ঘুরাফেরা করে ক্লান্ত হয়ে স্বাধীনতা স্তম্ভের জলাধারের তীরে বসে সময় কাটান।
মালিবাগ থেকে মেলায় আসা তাসফিয়া খন্দকার বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সব কিছু বন্ধ। চিত্ত-বিনোদন বলতে কিছু নেই। সব দিকে আতঙ্ক আর দম বন্ধ করা একটা অবস্থা। এই অবস্থায় মেলা শুরু হওয়াটা সবার জন্যই স্বস্তিদায়ক। তাই প্রথম ছুটির দিনেই এসেছি সন্তানদের নিয়ে। কিছু বইও কিনেছি। আবারও আসবো এবং আরও বই কিনবো।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রবেশপথগুলোতে রীতিমতো ভিড় লাগে। নিরাপত্তা তল্লাশি, তাপমাত্রা মাপা এবং হ্যান্ডস্যানিটাইটার বিতরণে কর্মীদের রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়।
এপি/
