উদ্বোধনী দিনে ছন্দহীন বইমেলা, চলছে স্টল নির্মাণ
করোনার রেশ কাটিয়ে এবার নির্ধারিত সময়ে অমর একুশে বইমেলা শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে আজ জমে উঠেনি মেলা।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখনো স্টল সাজানোর মতো কাজগুলো করছেন বিক্রয়কর্মীরা৷ আবার কোনো কোনো স্টল পর্দা টাঙিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে মেলার সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণে যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে স্টল নির্মাণের সামগ্রী।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বিকাল ৫টা থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় অমর একুশে বইমেলা। এর পর থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ শুরু করেন দর্শনার্থীরা।
উদ্বোধনী দিনে হাতে গোনা দর্শনার্থী থাকলেও, ক্রেতা নেই বললেই চলে। স্টলে আসছেন বই উল্টিয়ে দেখছেন চলে যাচ্ছেন। কেউ অনেক নেড়ে-চেড়ে দু’একটি বই কিনছেন। কেউবা এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ছুটছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরেফিন রনি মেলার উদ্বোধনী দিনেই এসেছেন মেলা প্রাঙ্গণে। রনি জানায়, ক্যাম্পাসের কাছাকাছি হওয়াতেই প্রথম দিনেই এসেছি। বেশ ভালো লাগছে।
এদিকে মেলার পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্ট তাসনুভা তিন্নী। তিন্নী জানান, যত্রতত্র এভাবে নির্মাণ সামগ্রী পড়ে থাকার কারণে চলাফেরা করতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। আশা করি মেলা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেবেন।
পরিবার নিয়ে এসেছেন আবুল কালাম আজাদ, সঙ্গে তিন বছরে কন্যা নোরা। আজাদ জানান, বাংলা অভিধানসহ ফার্সি থেকে বাংলায় অনুদিত কিছু বই কিনেছি।
এদিকে প্রথম দিনের বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট ইত্যাদি প্রকাশনী বিক্রেতা আফনান ইসলাম। আফনান জানান, প্রথম দিনের কথা বিবেচনা করলে বেশ ভাল বিক্রি হয়েছে। আশা করছি সামনে মেলা আরও জমবে এবং সেই সঙ্গে বেচা-বিক্রিও বাড়বে
কাকলী প্রকাশন তাহসীন ফাহিম জানান, তুলনামূলক বেচা-কেনা অনেকটা কম। অনেকে আসছেন, বই নেড়ে-চেড়ে দেখে চলে যাচ্ছেন। হয়তো কাল থেকে বই বিক্রি বাড়বে।
স্টল নির্মাণ সামগ্রী এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা ভালো চোখে দেখছেন না অন্যধারা প্রকাশনীর প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম। তিনি জানান, এভাবে নির্মাণ সামগ্রী ছড়িয়ে রাখা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে প্রত্যেকের সচেতন থাকা উচিত ছিল।
আরএ/