বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

খরগোশের খামার করে সফল হবিগঞ্জের হান্নান  

 

শান্ত ও নিরিহ প্রাণী খরগোশ অনেকেই পালন করেন সৌখিনভাবে। বন-বাদাড়েও এর দেখা মিলে। জেলার যুবক আব্দুল হান্নান বাণিজ্যিকভাবে খরগোশের খামার করে সবাইকে তাক লাগিয়েছেন।

আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবেও যে খরগোশ পালন করা যেতে পারে তা অনেকেরই জানা নেই। খরগোস পালন করে হান্নান যেভাবে লাভবান হচ্ছেন তেমনিভাবে তাকে দেখে এখন অনেকেই আগ্রহী হয়েছেন খরগোশের খামার গড়ে তুলতে। প্রাণিসম্পদ বিভাগও এগিয়ে এসেছি খরগোশের খামার জনপ্রিয় করতে।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি গ্রামের হিরা মিয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান। স্থানীয় লুকড়া বাজারে ফার্মেসির ব্যবসা এবং পশু চিকিৎসক হিসেবেই তার পরিচিতি। তবে এর বাইরেও তিনি তার নিজ বাড়িতে তৈরি করেছেন খামার। ষাঁড় মোটাতাজাকরণ, দুধের গাভী পালন, চিনা হাঁস ও কবুতর পালনের পাশাপাশি ৬ মাস পূর্বে শুরু করেন খরগোশ পালন। অল্প সময়ে এই খরগোশ থেকেই তার খামার বড় আয়ের মুখ দেখেছে। এখন তার মনোযোগ খরগোশের খামারকে বড় করা।

আব্দুল হান্নান জানান, ৬ মাস পূর্বে লাখাই উপজেলার বুল্লা বাজার থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় ৫টি খরগোশ কিনে করে শুরু করেন খামারের কাজ। এর মাঝে ৪টি ছিল মাদি এবং একটি পুরুষ খরগোশ। অল্প সময়ের মাঝে বাড়তে থাকে খরগোশের সংখ্যা। এখন তার খামারে আছে ৭০টি খরগোশ। প্রতি মাসে খরগোশ বিক্রি থেকে আয় আসে ৫ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে তার ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালান।

তিনি বলেন, খরগোশ পালনের জন্য বাড়িতে তিনি চ্যাপা শুটকির মটকা সংগ্রহ করেন। পরে তা মাটিতে পুতে খরগোশের বাসা তৈরি করেন। বর্তমানে ১৩টি মটকার ভিতর ১৩ জোড়া খরগোশকে বাসা তৈরি করে দিয়েছেন। অন্যগুলো বেড়া দেওয়া ঘরেই লালন পালন করেন। একটি খরগোশের বয়স ৪ মাস হলেই বাচ্চা দেওয়ার উপযোগী হয়। ৪০ দিনে বাচ্চা প্রসব করে। প্রসবের ২/১ দিন পরই আবারও খরগোশ গর্ভধারণ করে। ফলে বছরে ৬/৭ বার বাচ্চা দেখে একেকটি খরগোশ।

একসঙ্গে ৭/৬টি বাচ্চা প্রসাব করে। ৩ মাস বয়স হলেই খরগোশ খাওয়ার উপযোগী হয়। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের হয় প্রতিটি খরগোশ। বড় খরগোশ বিক্রি হয় ১ থেকে দেড় হাজার টাকা পিস। ছোট বাচ্চা বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পিস। তার খামারে এসে লোকজন ক্রয় করে নিয়ে যান খরগোশ। অনেকেই নেন খাওয়ার জন্য। কেউ কেউ নেন বাসা বাড়িতে সৌখিনভাবে পালন করার জন্য। আবার অনেকেই তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে খামার করার জন্য নিয়ে যান।

আব্দুল হান্নান বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের সঙ্গে ভাল পরিচয় থাকায় এবং তাদের পরামশেই শুরু করেন খরগোশের খামার। এ ছাড়া, তার খামারে ৪টি ষাঁড়, ৪টি ফিজিয়ান গাভী, বিভিন্ন ধরনের কবুতর ও প্রচুর পরিমাণ চিনার হাস রয়েছে। এগুলো থেকে ভালই আয় আসে। তবে কম পরিশ্রম ও কম খরছে বেশি আয় আসে খরগোশ পালন থেকে। খরগোশের খাবার নিয়েও চিন্তা করতে হয়না। বাচ্চা জন্মের পর ৩০/৩৫ দিন পর্যন্ত মায়ের দুধ কায়। পরে কচি ঘাস, লতাপাতা, শাক-সবজি, খড়কুটো, গম, ভুসি, খৈল, গাজর, মুলা, মিষ্টি আলু খরগোশের খাদ্য হিসেবে দিতে হয়। তরকারির ফেলনা অংশ এবং গাভীর ফিডও খরগোশ পছন্দ করে। তার খামারে খরগোশের তেমন তোন রোগ বালাই হয় না। মাঝে মাঝে কোনটি পাতলা পায়খানা করলে একডোজ সিপ্রো ওষুধ দিলেই ভাল হয়ে যায়।

হবিগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, হবিগঞ্জে আব্দুল হান্নানই সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে খরগোশের খামার গড়ে তুলেছেন।

প্রাণিসম্পাদ প্রদর্শনীতে তার খামার দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। আমারও চাই খরগোশ পালন জনপ্রিয় করতে। কারণ এটি লাভজনক এবং আমিষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অন্য প্রাণীর তুলনায় খরগোশ সহজেই পালন করা যায়। এটির খাদ্য এবং ব্যবস্থাপনা সহজ বিধায় বাড়ির মহিলা ও ছেলেমেয়েরা কাজের ফাঁকে ফাঁকে সহজেই খরগোশ পালন করতে পারেন। আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস, চীন এবং জাপানসহ অনেক দেশে বাণিজ্যিকভাবে খরগোশ প্রতিপালন হয়।

বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির খরগোশ আছে। সাদা, কালো, ডোরা এবং খয়েরি রঙের খরগোশ বেশি। এক সময় খরগোশ বাড়ির শোভাবর্ধনকারী প্রাণী হিসেবে লালন-পালন করা হত। আবার ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ওষুধ পরীক্ষা করার জন্যও খরগোশ ব্যবহার করা হয়। এখন জীবন ও জীবিকার তাগিদেই খরগোশ পালন প্রয়োজন।

বাসস/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক