রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ১২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সমুদ্রের অলস প্রাণী শাপলা পাতা মাছ

ছবি সংগৃহিত

সমুদ্রের তলদেশে বসবাস করে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। এদের মধ্যে কিছু প্রাণী শান্ত প্রকৃতির। আবার কিছু প্রজাতির প্রাণী সমুদ্রে রাজত্ব করে। এসব প্রাণী তাদের আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্যগত দিক দিয়ে স্থলে বসবাসকারী প্রাণীর চেয়ে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। হিংস্রতা, ক্ষিপ্রতা ও শিকার কৌশলে অনেক সময় ডাঙার প্রাণীকেও টেক্কা দেয়। তেমনই সমুদ্রে বসবাসকারী একটি অলস প্রাণীর নাম শাপলা পাতা মাছ।

শাপলা পাতা মাছের ইংরেজি নাম স্টিংরেস। বৈজ্ঞানিক নাম মাইলিওবাটোয়েডই। মূলত এরা মাংসাশী প্রাণী। ১৫-২৫ বছর এদের আয়ুষ্কাল। ৬.৫ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়া এ মাছের ওজন সর্বোচ্চ ৭৯০ পাউন্ড হতে পারে।

শাপলা পাতা মাছের চোখ তার দেহের সম্মুখভাগে অবস্থিত। মুখ, নাকের ছিদ্র এবং ফুলকা পেটের নিচে অবস্থিত। শিকার ধরতে শাপলার এ তীক্ষ্ণ চোখ ভীষণ কাজে আসে। এর বাহ্যিক আবরণ ‘লরেঞ্জিনির অ্যাম্পুলা’ নামক বৈদ্যুতিক সেন্সর দিয়ে আবৃত। শিকার কাছে এলে বৈদ্যুতিক শকের সাহায্যে শিকারকে ঘায়েল করে। এছাড়া দাঁতের সাহায্যে ছোট ছোট প্রাণীর খোলস, ঝিনুক চূর্ণবিচূর্ণ করতে পারে।

শাপলা পাতা মাছ যখন নড়াচড়া করে; তখন নিজের শরীরকে ঢেউয়ের মতো উল্টে দিয়ে সাঁতার কাটে। সঙ্গে অন্য শাপলাও ঘুরে বেড়ায়। এদের চাবুকের মতো দেখতে লেজ সাঁতার কাটতে সাহায্য করে। এছাড়া লেজ তাদের সুরক্ষায় অনেক কাজে আসে।

শাপলা পাতা মাছ সাগরের গভীরে বিচরণ করলেও বংশ বিস্তারের সময় মাছগুলো তীরের কাছাকাছি আসে। আর আটকে পড়ে জেলেদের লোভের জালে।

বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০ প্রজাতির শাপলাপাতা থাকলেও বাংলাদেশে ৫৬ প্রজাতির শাপলাপাতা মাছের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এই মাছ আকারে অনেক বড়। একটা মাছের কয়েক মণ ওজন হয়।

দূর থেকে দেখলে মনে হবে বড় আকৃতির শাপলা পাতা। কিন্তু না। শাপলা পাতা না। এটি একটি মাছ। মাছটির আকৃতি শাপলা পাতার মতো। যে কারণে শাপলা পাতা মাছ নামে পরিচিত।

নাতিশীতোষ্ণ সমুদ্রের অগভীর জলের মাছ এটি। তাই বেশিরভাগ সময়ই নিষ্ক্রিয়ভাবে সময় কাটায়। এতটাই অলস যে সমুদ্রের বালুর ক্ষুদ্র কণা গায়ে এসে জমলেও স্থির থাকে। তবে জোয়ারের সময় এরা জোয়ারের সঙ্গে ভেসে বেড়ায়।

শাপলা পাতা মাছের লেজের কাঁটা খুব বিষাক্ত। কেউ এ বিষের সংস্পর্শে এলে মৃত্যুর আশঙ্কা আছে। গ্রিক পুরাণ মতে, ইথাকার মহান রাজা ওডিসিয়াসকে তার ছেলে টেলিগোনাস শাপলার লেজের বিষের সাহায্যে ঘায়েল করেছিল।

শাপলা পাতা মাছের চামড়া অর্থনৈতিকভাবে ভীষণ লাভজনক। এর চামড়া দিয়ে অনেক দেশে জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি বানানো হয়।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী শাপলাপাতা মাছ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও উপকূলীয় জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে দিব্বি চলছে কেনাবেচা।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) শাপলা পাতা মাছকে বিপন্ন প্রায় প্রজাতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় শাপলা পাতা মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে শাপলা পাতা মাছ ধরা এবং বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

 

Header Ad
Header Ad

দেশের প্রথম সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ মারা গেছেন

কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম। ছবি: সংগৃহীত

দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান ছিলেন তিনি।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কে এম সফিউল্লাহর ব্যক্তিগত সহকারী জিয়ার রহমান মনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রণাঙ্গনের এ বীর। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি।

১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেন কে এম সফিউল্লাহ। ১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে একটিতে নেতৃত্ব দেন সফিউল্লাহ। তার নামানুসারে সেই ফোর্সের নাম ছিল ‘এস’ ফোর্স। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ‘বীর উত্তম’ (দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পুরস্কার) খেতাবও পান তিনি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন সফিউল্লাহ। পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর ঘোষণা  

ছবিঃ সংগৃহীত

৫ আগষ্ট হাসিনা সরকার পতনের পর পাকিস্তান আর বাংলাদেশের বানিজ্য যাত্রা নতুন মাত্রা শুরু হয়েছে। গত কিছুদিন আগে চাল এসছে সমুদ্র পথে। সমুদ্রের পর এবার আকাশপথেও বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। চলতি বছর যেকোনো সময় চালু হবে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে কাজ চলছে ভিসা জটিলতা নিরসন নিয়েও।

এবার পাকিস্তানের সাথে সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হুসেইন। এতে করে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শনিবার দেশটির কাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে ইকবাল হুসেইন দুই দেশের মধ্যে গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের ওপর জোর দেন এবং ভ্রমণ ও যোগাযোগের সুবিধার্থে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

তিনি উল্লেখ করেছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ উভয় দেশের মধ্যে পর্যটন, শিক্ষা এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াবে। হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন এবং এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন এবং উল্লেখ করেন, কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া তরুণ প্রজন্মকে তাদের অধিকারের কথা বলার ক্ষমতা দিয়েছে এবং সেটি দেশে বাকস্বাধীনতার শক্তিশালী সংস্কৃতিতে অবদান রেখেছে।

হাইকমিশনার ইকবাল হুসেইন খাইবার পাখতুনখাওয়াতে বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা এবং শিল্প খাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদার কথাও উল্লেখ করেন এবং এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম এবং করাচিকে সংযুক্তকারী শিপিং রুটের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চলছে বলেও জানান।

হাইকমিশনার বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন এবং প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার দেশের ফোকাস রয়েছে বলেও পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যতিক্রমী সক্ষমতার জন্য পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রশংসাও করেন।

Header Ad
Header Ad

১৪ যুগ্ম জেলা জজকে পদোন্নতি  

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ১৪ জন যুগ্ম জেলা জজকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৫ এর সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

পদোন্নতি দিয়ে তাদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।

পদোন্নতি পাওয়া বিচারকরা হলেন এস, এম, মাসুদ আমান, সেলিনা আক্তার, ফারহানা ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আব্দুল হাই, অসীম কুমার দে, খালেদা ইয়াসমিন, আব্দুল কুদ্দুস, মোছা. রুবিনা পারভীন, সানজিদা আফরীন দীবা, মো. আব্দুল্লল্লাহ আল মামুন, মো. কামরুজ্জামান, মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন, মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন ইকবাল এবং মো. শাহিনুর রহমান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের প্রথম সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ মারা গেছেন
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর ঘোষণা  
১৪ যুগ্ম জেলা জজকে পদোন্নতি  
নওগাঁয় আকাশে ঝলমলে রোদ, তবুও তাপমাত্রা সর্বনিম্ন
১৯৭১ সালের আগে জন্মালে আমাকেও রাজাকার উপাধি দিতো: আজহারী  
মেসে মিলল জবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ পুলিশের ধরণা আত্মহত্যা  
যুদ্ধ বাধিয়ে অস্ত্র বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড  
আজ গুলশান ২, যে কারণে এড়িয়ে চলবেন  
সুদানের হাসপাতালে ড্রোন হামলা, নিহত ৬৭  
বিপিএলের মাঝপথে অস্ট্রেলিয়ান 'হোস্ট' নিয়োগ দিলো ঢাকা  
ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চায় তারা: পরীমণি  
১৪ আদিবাসী জুম্ম জাতি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে : সন্তু লারমা  
কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত    
বছরের প্রথম উন্মুক্ত কনসার্টে গাইবেন জেমসসহ ৭ ব্যান্ড
বাংলা একাডেমি পুরস্কারের ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত
আ. লীগের মন্ত্রী-এমপিদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ‘আপা’ নামে যুক্ত শেখ হাসিনা
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ২০০ ফিলিস্তিনি
গ্রামীণ ট্রাস্টের মালিকানায় আসছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়
বৌভাতের অনুষ্ঠানে পান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩
পরীমণির আগমন ঠেকাতে মুসল্লীদের কর্মসূচি, চাপে অনুষ্ঠান স্থগিত