সারের দাম বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করলেন কৃষিমন্ত্রী
সারেব দাম বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এটা ঠিক সারের দাম বাড়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে সার্বিকভাবে কৃষির খুব একটা ক্ষতি হবে না।
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে সরকার প্রত্যেকটা সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়েছে।’
সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়ানোর পর মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকালে এক অডিও বার্তায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আগে প্রতি কেজি ডিএফপি সারের দাম ছিল ৯০ টাকা। আমরা সরকারে আসার পর ২০০৯ সালে সেই সারের দাম কমিয়ে করলাম ২৫ টাকা। ২০১৯ এসে করলাম ১৬ টাকা। পটাশিয়ামের দাম ছিল ৬০টাকা। সেটা আমরা করলাম ১৫ টাকা। ইউরিয়ার দাম ছিল ২০ টাকা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব চেষ্টা করেছি যাতে সারের দাম না বাড়াতে হয়। কী পরিস্থিতিতে আমরা সারের দাম বাড়িয়েছি সেটা আপনারা জানেন। সারের দাম বাড়লে সারের যে প্রয়োজন সেই প্রয়োজনীয় সার কৃষক জমিতে দিতে পারবে না। ফসলে ব্যবহার করতে পারবে না। উৎপাদন কমে যাবে। তাতে করে আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন যাতে সারের দাম না বাড়াতে হয়।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। পটাশিয়াম, টিএসপি, ইউরিয়া সব ধরনের সারের দাম বেড়েছে। এই দাম বৃদ্ধির কারণে ২০২০-২০২১ সালে আমাদেরকে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। এই বছর আমরা গত অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। এই যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি সেটা সরকার দিতে পারছে না। দেওয়া কঠিন হচ্ছে। সার্বিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা খুবই জটিল রূপ নিয়েছে। কাজেই সার্বিক অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য সরকার বাধ্য হয়ে সারের দাম বৃদ্ধি করেছে।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এতে কৃষকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু আমি মনে করি যে পরিমাণ বেড়েছে তাতে করে উৎপাদনের উপর খুব একটা বেশি প্রভাব পড়বে না। কিন্তু সরকারের জন্য আর কোনো উপায় ছিল না।’
এনএইচবি/এমএমএ/