সারের দাম বাড়বে না, সংকটও হবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সারের দাম বাড়ানো হবে না এবং কোনোক্রমেই দেশে সারের কোনো সংকট হবে না।
তিনি বলেন, ‘আগামী মওসুমের জন্য ২৭ লাখ টন ইউরিয়া সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
সোমবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের সারের চাহিদা বিষয়ে ‘সারবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি’র সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মন্ত্রী।
আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সমূহের কর্মকর্তারা।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে সব মিলিয়ে প্রায় সারে ৬৮ লাখ টন সারের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে শুধু ইউরিয়া সারই লাগবে ২৭ লাখ টন। এ ছাড়া ডিএপি ১৬ লাখ টন, টিএসপি সাড়ে ৭ লাখ টন, এমওপি সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ লাখ টন।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বছরও সারের মূল্যবৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই, দাম বৃদ্ধি করা হবে না।
সার নিয়ে সংকটের কথা মানুষ ভুলে গেছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সরকার সারের সংকট হতে দেবে না।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিশ্ববাজারে সারের দাম কমেছে। তবে প্রয়োজনীয় গ্যাসের সরবরাহ থাকলে বিদেশ থেকে খুব কম পরিমাণ সার আমদানি করতে হবে। বলা যায় হবেই না। কারণ, বিসিআইসির উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।’
তিনি বলেন, যতটা সম্ভব আমরা স্থানীয় পর্যায়ে ইউরিয়াসহ অন্য সার উৎপাদনের চেষ্টা করব।
সার উৎপাদনে প্রয়োজনীয় গ্যাসের সরবরাহ দিতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হবে। স্থানীয়ভাবে সার উৎপাদন করলে খরচ অনেক কম হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূন বলেন, গ্যাসের সরবরাহ পেলে আমাদের সবগুলো কারখানাতেই সার উৎপাদন করা হবে। তাহলে বিদেশ থেকে সার আমদানি করতে হবে না। এখন গ্যাস প্রাপ্তি সাপেক্ষে বোঝা যাবে আমরা কতটুকু সার উৎপাদন করতে পারব।
কৃষিমন্ত্রী জানান, স্থানীয়ভাবে সার উৎপাদন করা গেলে আমাদেরকে বিদেশ থেকে সার আমদানি করতেই হবে না।
তাই যতটা সম্ভব আমরা স্থানীয় পর্যায়ে সার উৎপাদন করার চেষ্টা করব।
এনএইচবি/এমএমএ/