১৬ বছরের নবযৌবনা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
২ নভেম্বর, বুধবার ১৬ বছরে পা দিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার উচ্চতর প্রতিষ্ঠান ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’।
সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে, জাতীয় পত্তাকা উড়িয়ে দিবসের পালন শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অধ্যাপক, কর্মকর্তা, ছাত্র, ছাত্রী, গবেষক ও কর্মচারী।
এরপর শান্তির পায়রা ও বেলুন ওড়ানো হয়েছে।
সব কাজে সবার আগে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান।
এরপর তাদের আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে শহরের টিলাগড় পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে তাদের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এসে থেমেছে।
এরপর কেক কেটে জন্মদিনের উৎসব।
‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৬তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী আলোচনা সভা’য় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. মেহেদী হাসান খান বলেছেন, ‘আমাদের সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এই সিলেটাঞ্চল তথা পুরো বাংলাদেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ গবেষণায় ১৬ বছরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকদের অনন্য অবদান রয়েছে। আমরা প্রতি বছর দেশের সেরা কৃষি গ্রাজুয়েট তৈরি করে চলেছি। তারা বাংলাদেশে খাতগুলোর নেতৃত্ব প্রদান করছেন।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. মেহেদী হাসান খান আবেদন জানিয়েছেন, ‘আগামীতে বিশ্বব্যপী যে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা মোকাবেলায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসবেন।’
‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠাবাষিকীতে আরো অংশগ্রহণ করেছেন-রেজিস্ট্রার এম. বদরুল ইসলাম শোয়েব, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. তরিকুল ইসলাম, ছাত্র-পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. মোস্তফা সামছুজ্জামান, অতিরিক্ত পরিচালক ড. মাহফুজ রব, সব অনুষদীয় ডিন, সব বিভাগীয় প্রধান, সকল পর্যায়ের সকল অধ্যাপক, সব দপ্তর প্রধান, বিপুল ছাত্র, ছাত্রী, গবেষক, সাবেক ছাত্র, ছাত্রীরা।
সারা দিনের আয়োজন, আড্ডা, গল্প এবং স্মৃতিচারণের পর সন্ধ্যায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনের মঞ্চে হয়েছে সাংস্কৃতিক আয়োজন। ক্যাম্পাসের ‘কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ’ সাংস্কৃতিক পরিবেশন করেছে।
ব্যান্ডদল হিসেবে পারফর্ম করেছে জনপ্রিয় ‘এসেজ’।
লেখা : জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
ছবি : রাজিবুল ইসলাম।
ওএফএস।