দেশে ‘অষ্টম’ ও জলজবিজ্ঞানে ‘প্রথম’
লেখা ও ছবি : প্রতিনিধি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জলজ সম্পদ ও মৎস্য গবেষণায় বাংলাদেশের ৩৪টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
এই তালিকাটি করেছে স্পেনের ‘এসসিমাগো ইনস্টিউশনস র্যাংকিংস’। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল্যায়ন করেন।
তাদের ‘বাংলাদেশ ২০২২’ তালিকাতে প্রথমে আছে আইসিডিডিআর’বি, দ্বিতীয় বেসরকারী সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, তৃতীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ বিএসএমএমইউ, পঞ্চম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ষষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সপ্তম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, অষ্টম সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও সিলেটের প্রথম এবং বাংলাদেশের অন্যতম কৃতবিদ্য ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষকদের এই গবেষণা এবং উচ্চতম কৃষি সংশ্লিষ্ট খাতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ‘জলজ বিজ্ঞান’ শিক্ষা-গবেষণা ও কর্ম শাখায় প্রথম হয়েছে সারা দেশের ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে।
এই অনন্য অর্জনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে নানা অনুষ্ঠান করেছে।
‘সেলিব্রেশন অব অ্যাচিভমেন্ট’ বা ‘অর্জনের সাফল্য উদযাপন’ আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ছিলেন মৎস্য জীববিদ্যা ও কৌলিতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব ইকবাল।
আয়োজক জলজ বিজ্ঞান ও মাছ এবং নানা প্রজাতি নিয়ে কাজ করা মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ।
তারা ‘সেলিব্রেশন অব অ্যাচিভমেন্ট’ নামের বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন।
ভেটেরিনারি : অ্যানিমেল অ্যান্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস নামের বিরাট অনুষদে সম্মেলন কক্ষে বিশেষ সভাটি হয়েছে।
স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন এই সাফল্য উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব ইকবাল।
উপস্থাপনা করেছেন উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পার্থ প্রতীম বর্মণ।
সভাপতি ছিলেন মৎস্য অনুষদের ডিন ও গবেষক অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড।
প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, নামকরা শিক্ষক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, সাতটি অনুষদের প্রধান, মৎস্য অনুষদের ৪৪ জন শিক্ষক, ছাত্র, ছাত্রী ও গবেষকরা অংশ নিয়েছেন। আরো অনেকে ছিলেন।
অধ্যাপক ড. মতিয়ার রহমান হাওলাদার এই অসাধারণ অর্জনের জন্য তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি মানুষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, ‘আমাদের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের পড়ালেখা ও গবেষণা এবং শ্রমে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে।’
অনুষদের চারটি বিভাগের শিক্ষক ও গবেষকদের লেখাগুলো, বিভিন্ন জার্নাল ও দেশীয় পত্রপত্রিকাতে প্রকাশিত, নিয়ে প্রকাশ করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ‘বুক অব অ্যাবস্ট্রাক্ট’। বাংলায় ‘বইটি বিমূর্ত’।
প্রকাশনা উৎসবের প্রধান ছিলেন কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া এই ক্যাম্পাসের অন্যতম প্রধান অধ্যাপক ভিসি স্যার স্বয়ং।
ওএস।