সামান্য আঘাতেই ভেঙে যাচ্ছে স্যামসাংয়ের ফোনসেট!
এস সিরিজের ফোন স্যামসাং এর ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ। তাই এই সিরিজের ফোন দেখতে ও ফিচারে যেমন প্রিমিয়াম হয় তেমনি এর দামও হয় বেশি। কিন্তু এবার প্রযুক্তি পর্যালোচকদের হতাশ করেছে স্যামসাং।
বিশ্ব বাজারে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পাওয়া যাচ্ছে স্যামসাং এর নতুন ফোন এস টুয়েন্টি থ্রি প্লাস। স্মার্টফোনটি আন্তর্জাতিক বাজারে আসার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভেঙে ফেলেছেন পর্যালোচকরা। প্রযুক্তি পর্যালোচক পিবিকে রিভিউস তাদের ইউটিউব চ্যানেলে এ সম্পর্কিত একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা দেখিয়েছে কোমর সমান উচ্চতা থেকে পড়েই ফোনটি ভেঙে গেছে।
এর আগে এস টুয়েন্টি থ্রি আল্ট্রা স্মার্টফোনটি নিয়েও তারা একই ধরনের পর্যালোচনা প্রকাশ করেছিল। তখন অবশ্য নেট দুনিয়ায় স্যামসাংয়ের সাফাই গেয়ে এস টুয়েন্টি থ্রি আল্ট্রার কার্ভ ডিসপ্লেকে অভিযুক্ত করেছেন স্যামসাংয়ের অন্ধ ভক্তরা, কিন্তু সামান্য আঘাতেই এস টুয়েন্টি থ্রি প্লাসের ডিসপ্লে ভেঙে যাওয়ায় স্যামসাংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পর্যালোচকরা। আর এবার কার্ভ ডিসপ্লে না থাকায় সে সাফাই গাওয়ারও সুযোগ থাকছে না অন্ধ ভক্তদের।
প্রযুক্তি পর্যালোচকরা বলছেন স্মার্টফোন হাত থেকে পড়ে যাওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। সাধারণত কান সমান উচ্চতা বা কোমর সমান উচ্চতায় সবচেয়ে বেশি ফোন হাত থেকে পড়ে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলে এরকম অবস্থায় সাধারনণত ফোনগুলো টিকে থাকে এবং কোম্পানি গুলোও এসব গবেষণা করেই ফোন বাজারে ছাড়ে। কিন্তু সম্প্রতি স্যামসাং এর ভূমিকায় হতাশই হয়েছেন পর্যালোচকরা।
স্যামসাং দাবি করেছে গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি থ্রি প্লাস স্মার্টফোনটির ডিসপ্লের সুরক্ষায় ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাসের সর্বাধুনিক সংস্করন ও সবচেয়ে শক্তিশালী গরিলা গ্লাস ভিক্টাস টু। যা এস টুয়েন্টি থ্রি আল্ট্রাতেও ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু দুটো স্মার্টফোনই একই পরিণতি বরণ করেছে। তবে এস টুয়েন্টি থ্রি আল্ট্রার তুলনায় এস টুয়েন্টি থ্রি প্লাসের ডিসপ্লেতে ভাঙার পরিমাণ কম ছিল। তবে বরাবরের মতই কর্মক্ষমতা অক্ষুণ্ন ছিল।
অথচ কর্নিং তাদের নতুন এ গরিলা গ্লাস সম্পর্কে দাবি করেছিল অন্যান্য সুরক্ষা গ্লাসের তুলনায় গরিলা গ্লাস ভিক্টাস অধিক আঘাত সহনশীল। এমনকি কংক্রিটের এবড়ো থেবড়ো ভূমি বা পাথুরে ভূমিতেও এ গ্লাস টিকে থাকবে।
পর্যালোচকরা বলছেন, সামান্য কোমর সমান উচ্চতা থেকে পড়েই যদি ফোন ভেঙে যায় তাহলে কান সমান উচ্চতা বা বড় ধরনের দুর্ঘটনায় স্মার্টফোনগুলো কি পরিণতি বরণ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তারা প্রশ্ন তুলেছেন তবে কি এত অর্থের বিনিময়ে ফোন কিনে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরা।
ইতোমধ্যে যারা এ স্মার্টফোনটি কিনেছেন বা কেনার চিন্তা করছেন তাদের ফোনে অবশ্যই সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন পর্যালোচকরা।
বাংলাদেশে এখনও স্মার্টফোনটি আসেনি। আশা করা হচ্ছে আগামী মার্চ থেকেই ফোনটি দেশের বাজারে পাওয়া যাবে তবে দাম হবে প্রায় দেড় লাখ টাকা।
/এএস