কাতারের লক্ষ্য এবার অলিম্পিক আয়োজন

মরুর বুকে সফলভাবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবলের ফুল ফুটিয়েছে কাতার। আয়োজনে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অথচ এই কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শুরুতে কতই না সমালোচনা ছিল সর্বত্র। মুসলিম প্রধান দেশ ।
ইসলামের নীতি ও নৈতিকতা ধরে রেখে বিশ্বকাপ ফুটবলের সফল আয়োজন করা সহজ কথা ছিল না। শুরুতেই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে বিশ্বকাপকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শীতে। তারপরও থামেনি সমালোচকদের মুখ। তাদের মুখ পরবর্তী সময়ে এমনিতেই থেমে গিয়েছিল শুরু হওয়ার পর। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইন ফান্তিনো বুক ফুলিয়ে ঘোষণা দেন কাতার বিশ্বকাপ তার দেখা এ যাবৎকালের সেরা।
বিশ্বকাপ ফুটবলের সফল আয়োজনের পর কাতারের পরবর্তী লক্ষ্য অলিম্পিক আয়োজন করা। তবে চাইলেই তো আয়োজন সম্ভব নয়। তার জন্য অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে নিজেদের প্রস্তাবনা দিতে হবে। বিডিংয়ে অংশ নিতে হবে, জিততে হবে। তারপর আয়োজন। বিষয়টি মাথায় রেখেই আয়োজন করতে চায় কাতার।
অল্মিপিক আয়োজন এর জন্য কাতারকে অপেক্ষা করতে হবে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত। ১৯২৪ ,১৯২৮ ও ১৯৩২ সালের আয়োজক দেশের নাম ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। ১৯২৪ সালের প্যারিস, ১৯২৮ সালে লস আ্যঞ্জেলস ও ১৯৩২ সালে ব্রিসবেনে বসবে অলিম্পিকের ৩৩ ৩৪ ও ৩৫ তম আসর।
কাতার অলিম্পিক কমিটি ১৯৩৬ সালকে টার্গেট করে এগুচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে তাদের মৌখিক আগ্রহের কথাও জানিয়েছে। কাতারের এই আগ্রহের কথাই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এক টুইট বার্তা জানিয়ে উল্লেখ করেছে, ২০৩৬ সালের অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক আয়োজন করতে চায় কাতার অলিম্পিকক কমিটি। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে।
অলিম্পিক আয়োজন করতে হলে কাতারকে এখন থেকে আগামী ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে। কাতারের জন্য এই অপেক্ষা অবশ্য খুব বেশি মনে হবে না কারণ বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্যই তারা ১২ বছর অপেক্ষা করেছে। ২০১০ সালে ফিফা কাতারকে আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করে। স্বাগতিক হওয়ার দায়িত্ব পাওয়ার পরই কাতার ঘোষণা করেছিল তারা আয়োজনের দিক দিয়ে তাক লাগিয়ে দেবে বিশ্বকে। সেটাই করিয়ে দেখিয়ছে। এখন অলিম্পিক আয়োজনের পালা। যদি দায়িত্ব পায় তবে সেখানেও কাতার যে চমক দেখাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এমপি/এমএমএ/
