শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না, রেকর্ডই আমার পেছনে ছোটে: রোনালদো

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: সংগৃহীত

রেকর্ড ভাঙা-গড়াকে বহু আগেই নিজের সহজাত প্রবৃত্তি বানিয়ে ছেড়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গোলের পর গোল করে যাওয়াটাই পর্তুগিজ মহাতারকার নেশা। আন্তর্জাতিক থেকে ক্লাব ফুটবল সবখানেই গড়ে যান কীর্তি। এবার সৌদি প্রো লিগে এক মৌসুমে সর্বাধিক গোলের রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন।

সৌদি প্রো লিগের শেষ দিনে গতকাল আল ইত্তিহাদকে ৪-২ গোলে হারায় আল নাসর। দুই অর্ধে দুটি গোল করে সৌদি ফুটবল ইতিহাসে নাম লেখান রোনালদো। সর্বমোট ৩৫ গোল করে এই লিগের ৪৮ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার বনে গেলেন তিনি। আগের রেকর্ডটি মরক্কোর ফরোয়ার্ড আব্দেররাজ্জাক হামাদাল্লাহর। ২০১৮-১৯ মৌসুমে আল নাসরের হয়ে ৩৪ গোল করেছিলেন তিনি।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: সংগৃহীত

লিগের সর্বোচ্চ গোলস্কোরের পাশাপাশি আরেকটি অনন্য কীর্তি গড়েছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। ভিন্ন চারটি লিগের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হওয়া প্রথম ফুটবলার তিনিই। ইউরোপের তিন শীর্ষ লিগ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা ও সিরি আ হয়ে সৌদি প্রো লিগেও তিনি গোলের তালিকায় সবার ওপরে নিজেকে রাখলেন।

রেকর্ড গড়ার ম্যাচে শুরুর দিকে অবশ্য হতাশ হতে হয় রোনালদোকে। পরপর দুইবার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। প্রথমার্ধের শেষদিকে গিয়ে অবশেষে সফল হন। মোহাম্মেদ আল-ফাতিলের লম্বা পাস থেকে বুক দিয়ে বল নামিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ৬৯তম মিনিটে কর্নার থেকে হেডে দ্বিতীয় গোলটি করেন পর্তুগিজ তারকা।

এই দুই অসাধারণ কীর্তি গড়ে উচ্ছ্বসিত রোনালদো। জানালেন রেকর্ড তাকে ফলো করে, তিনি নয়। ম্যাচশেষে টুইটারে এক পোস্টে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড বলেন, ‘আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না। বরং রেকর্ড আমার পেছনে ছুটে।’

Header Ad

বাচ্চারা জীবন দেয় আর মুরব্বিরা পদ ভাগাভাগি করেন: হাসনাত আবদুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

বিপ্লবে বাচ্চারা গুলির সামনে জীবন দেয় আর মুরব্বিরা পদ ভাগাভাগিতে মেতে উঠেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) শিক্ষা অধিকার সংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাচ্চারা গুলির সামনে জীবন দেয় আর বিপ্লবের পর মুরব্বিরা পদ ভাগাভাগি করেন।

পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধসহ জাতীয় অর্জনকে একজনের একক অবদান হিসেবে তুলে ধরার অপপ্রয়াস থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত বলেন, পাঠ্যপুস্তকে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অতিরঞ্জিত প্রশংসার ফলে তার প্রতি বিরক্তির উদ্রেক হয়েছে।

তিনি বলেন, তরুণরা শুধু ইতিহাসের পাঠক নয়, এবার তারা ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তাই ইতিহাসে যার যে অবদান, পাঠ্যপুস্তককে তা যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে।

এ সময় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সামনে প্রতিটি প্রশ্নের বিনিময়ে বুদ্ধিজীবীরা সুবিধা নিতেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

Header Ad

‘ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকে বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিবেশীদের অনাগ্রহ’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রশ্নে প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে আশানুরূপ সমর্থন পায়নি বাংলাদেশ। এই বাস্তবতায় ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ জটিলতাকে বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)-এর আয়োজিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "প্রশ্ন আসে, চীন কেন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের পক্ষে এগিয়ে আসছে না? কারণ চীনের জন্য বঙ্গোপসাগর এবং মিয়ানমার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমারকে পাশে রেখে চীন তার কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা করছে। একইভাবে ভারতও কালাদান প্রকল্পের কারণে মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। এই ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে বাংলাদেশের স্বার্থ গুরুত্ব পাচ্ছে না।"

তিনি আরও বলেন, "আমি কাউকে দোষারোপ করছি না, কারণ প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এসব স্বার্থের সঙ্গে আমাদের স্বার্থের কোনো মিল নেই। যার ফলে সমস্যাটি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এই সংকট দ্রুত সমাধানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।"

রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি বিশ্বব্যাপী একটি গুরুতর সংকটে পরিণত হতে পারে বলে সতর্ক করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, "যে তরুণ প্রজন্মটি শরণার্থী শিবিরে কোনো ভবিষ্যৎ আশা ছাড়াই বড় হচ্ছে, তাদের জীবনে লক্ষ্যহীনতা ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে। অলস বসে থাকা এই তরুণরা সময়ের পরিক্রমায় শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের জন্যও বড় ধরনের সমস্যা হয়ে উঠতে পারে।"

এ সংকট সমাধানের জন্য বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে কার্যকর সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "এই সমস্যার সমাধান ছাড়া এটি কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো অঞ্চলের জন্যই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। তাই সকলের উচিত সম্মিলিতভাবে সমাধানের পথ বের করা।"

বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও প্রতিবেশীদের ভূ-রাজনৈতিক প্রাধান্য এবং অভ্যন্তরীণ স্বার্থের কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়নি। তবে এই সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে তা সমগ্র অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার জন্ম দেবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।

Header Ad

মণিপুরে রণক্ষেত্র, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

মণিপুরে গত দুই দিনে ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধারের পর সেখানকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ইম্ফল পশ্চিম এবং ইম্ফল পূর্বে কারফিউ জারি করা হয়েছে, এবং সাতটি জেলার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে, রাজ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আরো তীব্র হয়ে ওঠে।

শুক্রবার এবং শনিবার, মণিপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। রাজ্যের একটি সরকারি সূত্রের মতে, এই মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে গিরি নদীতে, যা অসম-মণিপুর সীমানায় অবস্থিত। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ওই তিনটি দেহ ছিল একটি মহিলার এবং দুটি শিশুর। এই দেহগুলোর সঠিক পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তবে, ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া দেহগুলো সেই ছয়জন অপহৃত মহিলার ও শিশুর হতে পারে, যাদের গত পাঁচ দিন আগে জিরিবাম জেলার কাছ থেকে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা অপহরণ করেছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী তদন্ত শুরু করেছে।

গত সপ্তাহে মণিপুরের জিরিবাম এলাকায় কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর পরেই ওই তিন মহিলার এবং তিন শিশুর অপহরণের অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের উদ্ধারে তৎপর হলে, শুক্রবার রাতে জিরিগাঁও থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সেই দেহগুলো শিলচরের হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়, যেখানে প্রাথমিকভাবে সেগুলোর মধ্যে একজন মহিলা এবং দুটি শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যে আবারও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। জিরিবামের ঘটনা পরবর্তী সময়ে কুকি সম্প্রদায়ের সদস্যরা শিলচরের মর্গে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, যেখানে গত সোমবার থেকে তারা মৃতদেহগুলো মিজোরামে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানায়। শনিবার সকালে, পুলিশ ১০টি মৃতদেহ নিয়ে চুরাচাঁদপুরের দিকে রওনা হলে, কুকি সম্প্রদায়ের মানুষরা আবারও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এর পরই পুরো অসম অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়।

মণিপুরের এই অশান্তি নতুন কিছু নয়। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকায় রাজ্য উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে পড়েছে এবং নিহতের সংখ্যা ২০০-র বেশি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাচ্চারা জীবন দেয় আর মুরব্বিরা পদ ভাগাভাগি করেন: হাসনাত আবদুল্লাহ
‘ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকে বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিবেশীদের অনাগ্রহ’
মণিপুরে রণক্ষেত্র, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের রোমাঞ্চকর জয়
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল
২১ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে
সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা জনগণ মেনে নেবে না: তারেক রহমান
ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করলে ধরা পড়বে: অর্থ উপদেষ্টা
এখনই সন্তান নিতে চাননি কাঞ্চন, শোনেননি শ্রীময়ী
যত দ্রুত নির্বাচন, ততই জনগণের কল্যাণ: মির্জা ফখরুল
টিকটকার মুন্নি হত্যা: গণধর্ষণের পর হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২
আফ্রিদির বিয়ের পর দীঘি বললেন ‘আল্লাহ বাঁচিয়েছে’
জানা গেল পুরুষদের নিঃসন্তান থাকার পেছনে আসল কারণ
যেভাবে শাহরুখের দেখা পেলেন বাংলাদেশি ভক্ত
ইউটিউবারের কাছে হারলেন বক্সিং কিংবদন্তি মাইক টাইসন
উত্তরাঞ্চল থেকে উপদেষ্টা নিয়োগে আলোচনা হয়নি : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
নবান্ন উৎসবে মুখরিত চারুকলা
পল্লবীতে ২ ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, ১৫ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা
পরিচালকের নেশা মিশ্রিত চকোলেট খেয়ে বিপাকে অভিনেত্রী